Logo
শিরোনাম

টাইগারদের নতুন কোচ হাথুরুসিংহে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ইয়াশফি রহমান :টাইগারদের নতুন বস হলেন তাদেরই সাবেক গুরু চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেলেন এই শ্রীলঙ্কান।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ মাধ্যমে আজ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০ ফেব্রুয়ারিতে টাইগারদের সঙ্গে যোগ দিবেন সাকিব-তামিমদের পুরাতন গুরু।

ডিসেম্বরে ভারতের সঙ্গে সিরিজ শেষে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়ে দিয়েছিলেন, জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে বড়সড় রদবদল আসছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে রদবদলের আভাস দিয়েছিলেন। এরপরই নিজের ভবিষ্যতের কথা টের পেয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন রাসেল ডমিঙ্গো।

ডমিঙ্গো বাংলাদেশের প্রধান কোচ থাকা অবস্থাতেই বিসিবি কোচ খুঁজছিল। সেই সময় একাধিক কোচের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়। যে তালিকায় নাম ছিল বাংলাদেশের সাবেক কোচ শ্রীলঙ্কার চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার ও অস্ট্রেলিয়ার মাইক হাসি।

তবে টাইগার শিবিরে হাথুরুসিংহেকেই ফিরিয়ে আনতে বেশি আগ্রহী বিসিবি। কারণ, দায়িত্ব সচেতন ও কর্তৃত্বপরায়ন হাথুরুসিংহে ক্রিকেটারদের শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখেন। তাছাড়াও সাকিব, তামিম, মিরাজদের বেশ ভালোভাবেই চেনা-জানা তার। তাই এই লঙ্কানই আবারও হলেন টাইগারদের প্রধান কোচ।

এর আগে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। এরপর বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন। নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার কোচও ছিলেন। এরপর ২০২০ সালে আবার নিউ সাউথ ওয়েলসে ফিরে যান। সেখানে থেকে আবার টাইগারদের ডেরায় ফিরলেন হাথুরুসিংহে।


আরও খবর



গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা মানুষের ওপর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা মানুষের ওপরও গুলি করেছে ইসরায়েলের সেনারা। ইসরায়েল বলছে, বেশির ভাগই ভিড়ের মধ্যে পদলিত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু ওই ঘটনায় আহতদের নিরীক্ষা করে দেখা গেছে- তাদের মধ্যে ৮০ ভাগই গুলিতে জখম হয়েছেন। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ সর্বত্রই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এবার ত্রাণের আশায় যেসব মানুষ এসেছিল, তাদেরও গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচার চেয়েছে জাতিসংঘ। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর গুলির ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫০ জন। আল-আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সালহা এপিকে বলেছেন, ১৭৬ জন আহতের মধ্যে ১৪২ জনেরই গুলি লেগেছে। এর মধ্যে বাকি ৩৪ জন পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন। তবে নিহতদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। কেননা, মরদেহগুলো গণনার জন্য সরকার পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রমজানের আগেই যুদ্ধবিরতি : আসন্ন রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি শুক্রবার এই আশাবাদ জানিয়েছেন। একই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আন্তর্জাতিক জোট আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে তুরস্কে রয়েছেন শৌকরি। সেখানে এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই যুদ্ধের সব পক্ষ, অর্থাৎ আমরা সবাই ইতোমধ্যে সমঝোতার একটি পয়েন্টে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি, রমজানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি হস্তান্তর শুরু হবে।

ইসরায়েলের হামলায় ৭ জিম্মি নিহত : গাজা উপত্যকায় অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এই নিহতদের মধ্যে ৪ জন ইসরায়েলি এবং ৩ জন বিদেশি নাগরিক। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা উবাইদা। কিন্তু উপত্যকার কোন এলাকায় এই ৭ জিম্মি নিহত হয়েছেন, তা বলেননি তিনি।

গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র : ইসরায়েলের নির্বিচার চলমান গণহত্যার মধ্যে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা গাজাবাসীর জন্য বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার গাজা সিটির কাছে ত্রাণের জন্য ভিড় করা শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পরদিন শুক্রবার বাইডেন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। এদিকে ত্রাণ সংস্থা অক্সফাম বলেছে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ ফেলার বিষয়টি অক্সফাম সমর্থন করে না, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাদের বিবেকের দায় থেকে মুক্তি দিতে কাজ করবে, যাদের নীতি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে অবদান রাখছে। এর পরিবর্তে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা উচিত বলে মনে করে সংস্থাটি।


আরও খবর

রেকর্ড ব্যবধানে পুতিনের বিজয়

সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪




পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৫ বছর

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির সকালটাও আজকের দিনের মতোই স্বাভাবিক হতে পারত। শুরুটা হয়তো স্বাভাবিকই ছিল কিন্তু তা শেষ হয় এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞ দিয়ে। যার বীভৎসতায় বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল গোটা জাতি।


সেদিনের সকালটা শুরু হয়েছিল বার্ষিক বিশেষ আয়োজন দিয়ে। তবে শেষ হলো রক্ত, লাশ আর বারুদের গন্ধে। সেদিন পিলখানায় বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহী জওয়ানেরা নৃশংসভাবে হত্যা করেন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।

আজ রোববার সেই মর্মন্তুদ ঘটনার ১৫ বছর। এই ঘটনায় করা হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়।

এ ঘটনায় নিহত ৭৪ জনের মধ্যে তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও আছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাকে নৃশংসতম বলে বর্ণনা করা হয়।

নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার। এনিয়ে করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার ঢাকার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর ছয় বছরে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়নি। তবে চলতি বছরের মধ্যে আপিল শুনানি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের প্রত্যাশা, আপিল বিভাগে বিচারক বাড়িয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা হবে।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাক্রম :

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ২ মিনিট: পিলখানায় দরবার শুরু। দরবারে মোট উপস্থিত ছিলেন দুই হাজার ৫৬০ জন।

৯টা ২৬ মিনিট: ডিজির বক্তব্য চলাকালে মঞ্চের বাম দিকের পেছন থেকে দুজন বিদ্রোহী অতর্কিত মঞ্চে প্রবেশ করেন। এদের একজন ছিলেন সশস্ত্র। বিদ্রোহ শুরু হয়।

৯টা ৩০ মিনিট: ডিজি নিজে প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে দ্রুত সেনা হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান।

১০টা ১৫ মিনিট: র‍্যাবের একটি দল পিলখানার ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ফটকে পৌঁছায়।

১০টা ৩০ মিনিট: বিদ্রোহীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে দরবার হলে ঢোকেন এবং কর্মকর্তাদের বের হয়ে আসার নির্দেশ দেন। ওইসময় ডিজিকে বৃত্তাকারে ঘিরে কর্মকর্তারা মঞ্চের পেছন দিক থেকে বের হয়ে আসেন।

আনুমানিক ১০টা ৩৫ মিনিট: ডিজির নেতৃত্বে কর্মকর্তারা এক সারিতে দরবার হল থেকে বের হয়ে মাত্র সিঁড়িতে কয়েক পা দিয়েছেন, তখনই বাইরে দাঁড়ানো মুখ বাঁধা সৈনিকরা ব্রাশফায়ার করে। মুহূর্তে ঢলে পড়েন ডিজিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।

বেলা ১১টা: বিদ্রোহীরা ম্যাগাজিন ভেঙে গুলি-বারুদ সংগ্রহ করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র লুট করেন তারা। ১১টা নাগাদ সেনাবাহিনীর একটি দল ধানমন্ডির মেডিনোভা ক্লিনিকের সামনে অবস্থান নেয়। বিদ্রোহীরা ১৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। বাইরে থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।

দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পিলখানায় বিদ্রোহীদের প্রতি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ছাড়া হয়। এসময় হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। হেলিকপ্টারে ছয়টি গুলি লাগে।

১২টা ৩০ মিনিট: ৩ নম্বর ফটকের সামনে বিডিআরের পক্ষে শতাধিক মানুষের একটি মিছিল হয়। এরপর বিদ্রোহীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। তারা মাইকে জানান, আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একা আসতে হবে।

১টা ৩০ মিনিট: আলোচনার মাধ্যমে বিদ্রোহীদের নিরস্ত্রীকরণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাদা পতাকা নিয়ে ৪ নম্বর ফটকের সামনে যান প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সরকারি দলের হুইপ মির্জা আজম।

বিকেল ৩টা: প্রতিমন্ত্রী নানক, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস ও হুইপ মির্জা আজমের সঙ্গে ফটকের সামনে অবস্থানরত বিডিআর বিদ্রোহীরা কথা বলতে রাজি হন। তারা বিদ্রোহীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে রাজি করান।

৩টা ৪০ মিনিট: তারা ১৪ সদস্যের বিডিআর প্রতিনিধিদলকে নিয়ে সরকারি অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। যমুনায় তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তখন যমুনায় তিন বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের নেতা তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যা ৬টা: আলোচনা শেষে জাহাঙ্গীর কবির নানক অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, বিডিআর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহী সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন এবং অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের ব্যারাকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

৬টা ৪৫ মিনিট: যমুনা থেকে বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে নানক ও মির্জা আজম পিলখানায় ফেরেন।

সন্ধ্যা ৭টা: প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাকে গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি করেন এবং আগের মতো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন জওয়ানরা।

রাত ৮টা: ধানমন্ডির হোটেল আম্বালা-ইনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সঙ্গে বিদ্রোহীদের আরেকটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক শুরু। নানক ও মির্জা আজম, পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজি, গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ছিলেন।

এর আগে সন্ধ্যার পর পিলখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কর্মকর্তাদের মরদেহ সরানো শুরু ও পুঁতে ফেলা হয়।

২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১টা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রী ও আইজিপি পিলখানার ভেতরে যান এবং বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

রাত ১টা ৩০ মিনিট: বিদ্রোহীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কিছু অস্ত্র সমর্পণ করেন।

২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১০ মিনিট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আটকে পড়া ১৫ জন জিম্মিকে বের করে আনেন।

সকাল সাড়ে ৯টা: মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সংসদ সদস্য তাপস বিডিআর সদর দপ্তরের ৪ নম্বর ফটকে উপস্থিত হন।

সকাল ১০টা: যমুনায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ ও মহাজোটের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠক শুরু।

বেলা ১১টা ৩০ মিনিট: প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিট: সংসদ সদস্য মাহবুব আরা ও সেগুফতা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধিদল পিলখানায় যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর তারা তিন সেনা কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের বের করে আনেন। একই সময়ে হোটেল আম্বালায় মতিয়া চৌধুরী ও এরশাদসহ অন্যদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের বৈঠক ভেঙে যায়।

বিদ্রোহীদের দুপুর ২টার মধ্যে সব অস্ত্র জমা দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার। পিলখানার মূল ফটকে জওয়ানদের আবার গুলিবর্ষণ।

দুপুর ২টা ৩০ মিনিট: সরকারের ১২ সদস্যের মধ্যস্থতাকারী কমিটি গঠন। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে এই কমিটি পিলখানায় যায়। কমিটি বিদ্রোহীদের সঙ্গে হোটেল আম্বালায় আবার বৈঠক করে।

টেলিভিশন ও বেতারে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার। বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ করে ব্যারাকে ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ভাষণের পর বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন।

বিকেল ৪টা: হোটেল আম্বালায় অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের বৈঠক। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নানক ও মির্জা আজম পিলখানার ভেতরে যান।

বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ শুরু।

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট: সমর্পিত অস্ত্র হেফাজতে নিতে পিলখানায় পুলিশের প্রবেশ। রাতে পুলিশ পিলখানায় অবস্থান নেয়।

রাত ৮টা ৩০ মিনিট: পিলখানা থেকে বেরিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণাপরিস্থিতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মামলার রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন

২০০৯ সালের বর্বরোচিত এ ঘটনার পর দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এরমধ্যে বিস্ফোরক মামলাটির শুনানি এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে ৮৫০ আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জনকে খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার আগেই মারা যান চার আসামি।

নিম্ন আদালতের রায়ের বিপরীতে আসামিরা উচ্চ আদালতে যান। শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ৫৫২ জনকে বিচারের আওতায় এনে বাকি ২৮৩ জনকে খালাস দেন আদালত।

উচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালে আরও ১১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট ৮৩৫ জনের বিরুদ্ধে শুনানি হয় আলোচিত এ মামলায়।

নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। আটজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এরপর আসামিদের অনেকেই আপিল বিভাগে আপিল করেন, যার শুনানি এখনো শুরু হয়নি। আর বিস্ফোরক মামলাটির বিচার এখনো চলছে নিম্ন আদালতেই।

 


আরও খবর

সময়মতো ছাড়ছে না অধিকাংশ ট্রেন

মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪




রমজানের আগেই বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়ছে ৩৪ পয়সা। আগামী মার্চ থেকে এটা কার্যকর হবে। এ ছাড়া সমন্বয় করা হবে তেলের দামও। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিদ্যুতে বর্তমানে সরকার বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৩ বছর বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের এই নতুন দাম কার্যকর হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, একইভাবে গ্যাসের দামও সমন্বয় করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দাম বাড়ানো হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে গ্যাসের দাম কমানো হবে। এই সমন্বয়ও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে।

দাম বৃদ্ধির গেজেট আজ প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে, তবে সেটা বাসাবাড়ির গ্রাহক পর্যায়ে এখন দাম বাড়বে না। আগের তুলনায় মার্কিন ডলারের দামের পার্থক্য ৪০ টাকার বেশি হওয়ায় সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয়ে বাধ্য হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।


আরও খবর

সময়মতো ছাড়ছে না অধিকাংশ ট্রেন

মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪




তিতাসের অভিযানে গজারিয়া উপজেলার সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শাহাদাত হোসেন সায়মন :অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অভিযান চালাচ্ছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক মাসের অভিযানে গজারিয়া উপজেলার ১১ হাজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে তিতাস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পুরাতন ফেরি ঘাট এলাকা থেকে অভিযান শুরু করে তিতাস। অভিযানের শুরুতে কাজী ফার্মস লিমিটেড সংলগ্ন অবৈধ একটি ঢালাই লোহা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তারপর পুরান ব্যবসা এলাকায় এবং ভবেরচর বাজারে,   চরপাথালীয়া অভিযান চালায় তিতাস কর্তৃপক্ষ।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বৈধ সংযোগের তুলনায় অবৈধ সংযোগ বেশি হওয়ায় ওই এলাকাগুলোতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এন.এম. আবদুল্লাহ-আল-মামুন।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্, তিতাস গ্যাসের সোনারগা আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের  উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম,মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান,সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক (মিটার এন্ড ভিজিল্যান্স) আতিকুল ইসলাম।

অভিযানে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুনচর চাষি, বলুরচর, এলাকয় বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া, ভবেরচর ইউনিয়নের কলেজ রোড,  ভবেরচর বাজার এলাকায়  ১১কিলোমিটার এলাকা জুরে ১ হাজার ৫'শ আবাসিক সংযোগ,২টি ঢালাই কারখানা, এবং একাধিক চা স্টলের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিতাস গ্যাস  মেঘনা অঞ্চলিক বিপনণ অফিসের ব্যাবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান পলাশ।


আরও খবর



ধামরাইয়ে আবুল বাশার কৃষি কলেজে ছাত্র’র হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত, আটক ৩

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার ):

ঢাকার ধামরাইয়ে রঘুনাথপুর  আবুল বাশার কৃষি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পুনর্বহাল দাবিতে চার শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে কলেজে হামলা, পাঠদানে বাধা প্রদান ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছে।

রোববার বেলা ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়  হামলাকারী তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ।

জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় হিসাব নিকাশ ও বিবিধ ঘটনা প্রবাহ নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় ১ জানুয়ারি রঘুনাথপুর আবুল বাশার কৃষি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ রওশনারার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম। পরে সিনিয়র সহকারী প্রভাষক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

এ ঘটনার পর থেকেই অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের অনুসারী কয়েকজন ছাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মেনে নিতে নারাজ। পরে রোববার বেলা ৯ টার দিকে মোস্তফা কামাল, ইফতেখার আমিন ও রাব্বি হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বাধা প্রদান করে।

এ সময় শিক্ষকরা কারণ জানার জন্য তাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে হামলাকারী ওই ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাদেরকে মারধর করে। এতে কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মো. শামস উদ্দিন ও কম্পিউটার সাইন্সের শিক্ষক মো. মাহবুব আলম হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম।


আটক তিন শিক্ষার্থী জানায়, আমরা আমাদের সেশন ফি ৫ হাজার টাকার স্থলে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ  ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে পুনর্বহালের দাবি জানাই। আমরা শিক্ষকদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দেই।

হামলার শিকার শিক্ষক মো. শামসুদ্দিন ও মাহবুব আলম বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারী ওই ছাত্ররা কলেজে হামলা ও পাঠদানে বাধা প্রদান করে। আমরা এগিয়ে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদেরকেও মারধর করে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ রওশনারার কাছে দিলে রিজাইন লেটার জমা দিলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে সাবেক অধ্যক্ষ আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ হামলা পাঠদানে বাধা প্রদান ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মিলনায়তনে একজন শিক্ষক আমার উপস্থিতিতে টেবিল থাপড়িয়ে  কথা বলায় আমি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রওশনারার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেই। হামলার ঘটনায় আমার কোনো হাত নেই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আটককৃত ৩শিক্ষার্থীকে মুচলেকা দিয়ে ছারিয়ে নেন তাদের অভিভাবক।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলে এ ব্যাপারে মামলা নেওয়া হবে।


আরও খবর