Logo
শিরোনাম

তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সোমবার থেকে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে আলু বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বগুড়ায় বর্তমানে জাতভেদে প্রতি মণ (৪২ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৯ টাকা। 

বগুড়া জেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। আলীগ্রামের কৃষক নাফিসুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। গড়ে ৯০ মণের মতো এবার ফলন হতে পারে। সে হিসাবে, প্রতি মণে প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। 

'কিন্তু বাজারে দাম এর অর্ধেক। এ কারণে এখনও তুলিনি। আরও কয়েকদিন পর তুলে কোল্ড স্টোরেজে রাখব।

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না।

একই কথা জানান ফেনিগ্রামের আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, 'পাকড়ি ও স্টিক আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় পাকড়ি ৬৫-৭০ মণ এবং স্টিক ৯০ মণের মতো হবে। আমার প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে যারা বীজ কিনে আলু চাষ করে তাদের খরচ আরও অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি ছিল, এ কারণে বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু এই দামে আলু চাষ করলে কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাবে।

গত বছরের বেশিরভাগ সময় আলুর দাম ছিল অস্বাভাবিক বেশি। ফলে বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা আলু চাষ বেশি করেছেন। তবে এখন উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪.৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪.৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নাগদাহ গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এখন আমাদের এলাকায় প্রতি কেজি আলু ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ৮ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে ২০ টাকার নিচে হলে কৃষকদের লোকসান হবে।'

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম টিবিএসকে বলেন, 'যে বছর দাম বেশি থাকে এর পরের বছর কৃষকরা সে ফসল বেশি করেন। আবার দাম কম থাকলে পরের বছর কম ফসল করেন। এটা কমন সমস্যা। এখন ফলন বেশি হলে আবার দাম কমে যায়। 

'এজন্য আলুর ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাড করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রুপ মার্কেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে। অর্থাৎ ১০ জন কৃষক আলু চাষ করেন; এর মধ্যে একজন সেগুলো বাজারজাত করবেন। এতে সরাসরি বাজারের সঙ্গে কৃষকরা যুক্ত হবেন।'


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




নওগাঁয় গাছকাটা নিয়ে বিরোধে চাচাত দুই ভাইয়ের মৃত্যু, আটক ১০ জন

প্রকাশিত:শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বিরোধপূর্ন জমি থেকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দু'জন সম্পর্কে চাচাত ভাই। এসংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত পক্ষে আরও ১০ জন।

গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।

নিহত দু'জন হলেন, ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম এলাকার মৃত উছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫২) ও তার সম্পর্কে চাচাত ভাই একই এলাকার মৃত আফছের আলীর ছেলে আজিজুল রহমান (৪৮)। 

স্থানিয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ঐ এলাকার সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোকে মেহহনি গাছ লালচানদের জমির মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গত বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে এনিয়ে দু' পক্ষের লোকজনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেইজেরে বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বলেন। এসময় সাইফুল ব্যাস্ত আছেন জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ তাদের পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র লাঠি- হাসুয়া নিয়ে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলাম এর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হোন অন্তত পক্ষে আরো ১০-১১ জন।আহতদের মধ্যে আজিজুল রহমানকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। সর্বশেষ তথ্যমতে রাজশাহীতে ২ জন ও স্থানিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কয়েক জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, ঐ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।


আরও খবর



সারা দেশে সরকারি ফার্মেসি চালু করা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সরকার সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।

গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্যখাতের বিশাল চাপ এবং ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছেন না, যার ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের এই ফার্মেসি ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারিতা বয়ে আনবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করা। সরকারি ফার্মেসি চালু হলে, এর মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ।

তবে সরকারি ফার্মেসি সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করতে ওষুধ চুরি ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলা করতে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে এবং এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।


আরও খবর



সবজিতে আর স্বস্তি নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজার । শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে গত তিন-চার মাস সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে যে স্বস্তি ছিল, তা আর নেই। তবে দাম কমেছে খাসির মাংস ও সব ধরনের মুরগির। আর স্থিতিশীল রয়ে মাছের দাম। অধিকাংশ সবজির দামই ৮০ টাকার ওপরে। পাশাপাশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির ডিমের। এ ছাড়া আগের মতোই বাড়তি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে।


শীত মৌসুমে দাম কিছুটা কম থাকার পর রমজানে সবজির দাম চলে এসেছিল সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে। তবে ঈদের পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি, এ সময় এমনিতেই সবজির দাম একটু চড়া থাকে।


রাজধানীর খিলক্ষেতের সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রীষ্মকালীন সবজি আসেনি। আর এসব সবজির উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুর দিকে দাম বিছুটা চড়া থাকে। ধীরে ধীরে কম আসবে।


কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বলেন, এবার শীত মৌসুমে কৃষক লোকসানে ছিল। সবজির দাম পায়নি তেমন। ফলে তারা গ্রীষ্মকালীন সবজিতে কিছুটা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। তাছাড়া এসময় এমনিতেও সবজির দাম কিছুটা বেশি থাকে।


বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি করলা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৫০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা ও টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০-১২০ টাকা ও ধনেপাতা ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি পিস চালকুমড়া ৫০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।


দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে যা কেনাবেচা হচ্ছে ৭০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির কারণে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।


ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সবজির দাম কম থাকলেও, ঈদের পর থেকেই শাক-সবজির বাজার চড়া। দাম কমাতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। না হলে ফের অস্থির হয়ে উঠবে নিত্যপণ্যের বাজার। আরকে রাডার নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজানে হাতের নাগালে ছিল সবজির দাম। এখন হঠাৎ করেই বাড়ছে। বাজারে দ্রুত মনিটরিং জোরদার করতে হবে। না বাজারে নতুন করে সিন্ডিকেট তৈরি হবে।


তবে রমজানজুড়ে ভোগানো লেবুর দাম কমে এসেছে। মান ও আকারভেদে প্রতি ডজন নেমে এসেছে ৩০-৫০ টাকায়। বিক্রেতার বলছেন, রমজানে যেখানে লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়, সেখানে এখন দাম কমে ডজনই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

 

এদিকে পহেলা বৈশাখ থেকে চড়েছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে দামে বেড়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

 

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দাম। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।

তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে আলুর দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর জন্য গুনতে হচ্ছে ২০-২২ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর প্রতিকেজি আমদানি করা রসুনের জন্য ১৮০ থেকে ২২০ ও দেশি রসুনে গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।


বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা ও শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আর বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২,৫০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৪০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত।


এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে কমেছে সব ধরনের মুরগির দাম। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকায়।


এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।


বাজারে কমেছে খাসির মাংসের দামও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। আর ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।


তবে কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০-১৩০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়। তবে দাম বাড়লেও বাজারে চাহিদার তুলনায় বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা কম বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।


আরও খবর



পিতার লেখা ডায়েরী থেকে পুত্রের বই

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিতার গৌরবজ্জ্বল জীবনের ডায়েরী থেকে আত্মজীবনীমূলক বই লিখে দাদা-দাদির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমান। ঈদের পরেরদিন পারিবারিক মিলন মেলা ঘটিয়ে বইয়ের মোড়কও উম্মোচন করলেন তিনি। তাঁর পিতার বড় পুত্রবধূ ও বড় মেয়েকে দিয়ে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই উম্মোচন করা হলো বইটির মোড়ক। 

‘ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদার, এক সাহস্য জীবনযোদ্ধার নাম’ শিরোনামের এ বইটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার দক্ষিণ বেতকাটা গ্রামের ডাঃ মুনসুর আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যে এমন বিশাল আয়োজন হতে পারে সেটিও নজিরবিহীন ইতিহাস রচনা করলো।

মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ প্রতিষ্ঠিত রামপালের দক্ষিণ বেতকাটার ‘ডাক্তার বাড়ি’তেই ঈদের পরের দিন(১এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় বইটির মোড়ক উম্মোচনী অনুষ্ঠান। বইটির লেখক ও সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন, ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের বড়পুত্রবধূ মাজেদা বেগম ও বেঁচে থাকা একমাত্র মেয়ে জয়নব বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের নাতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বইয়ের লেখক মোঃ মাহবুবুর রহমানের পুত্র, লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যায়ণরত ব্যারিষ্টার মনজুর রাব্বি তনয়, ফাইবার অ্যাড. হোমের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা(সিএইচআরও) মোঃ মাসুদ রাব্বি, লেখকের ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমান, শিক্ষক আব্দুস সালাম, আবুল কালাম, বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, কলেজ শিক্ষক মোঃ আল মামুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের কোষাধ্যক্ষ মোঃ আজিজুর রমান মশিউর, মোড়েলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ নাসির ফকির, কামরুজ্জামান সোহেল, শামসুজ্জামান সজিব, তৌহিদুল ইসলাম আকমলসহ পরিবারের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং আত্মীয়-স্বজন।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত বইটিতে মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদের পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি কয়েক প্রজন্মের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। যার অধিকাংশই লেখকের অনুপ্রেরণায় তাঁর পিতা মৃত্যুর আগে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হলে ডায়রী সংগ্রহ করে বই আকারে প্রকাশ করা হয়। বইটি ঢাকার নোলক প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। প্রকাশক এম নন্দিনী খান।


আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫