রোকসানা মনোয়ার :তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। শীতের প্রকোপে রাজধানীতে বাড়ছে শিশুদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা।
এতে গত এক সপ্তাহে কেবল ঢাকা শিশু হাসপাতালেই জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে রোগী বেড়েছে
দ্বিগুণ। যেসব শিশুর আগে থেকেই অ্যাজমার সমস্যা আছে তারা ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।
পাশাপাশি বাড়ছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় এসবের
আগে দরকার অভিভাবকদের সচেতনতা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি এখানে। পৌষের
কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। ঘন কুয়াশায় চারিদিক আবৃত হয়ে আছে। ঘন কুয়াশার
কারণে জেলার অধিকাংশ সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রচন্ড শীতে
বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা
অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফসলের বীজতলা ঠিকমতো পরিচর্যা করা যাচ্ছে না। কুয়াশায় চারা
ও পান বরজ নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। হাড় কাঁপানো শীতে রীতি মতো জবুথবু
অবস্থা। গায়ে গরম কাপড় ও টুপি পরে মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা
করছেন। দরিদ্র মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হঠাৎ করে শীত পড়ায় শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি, বাত
ব্যথায় আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শয্যা
সংকট থাকায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী।