মইনুল ইসলাম মিতুল : রাজধানীর সড়কে যানজটে নাকাল নগরবাসী। কোনোভাবেই এ ভোগান্তি থেকে মিলছে না মুক্তি। অতিষ্ঠ নগরবাসী বলছেন, যানজটে কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ায় চাকরি হারানোর ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময় গন্তব্যে যেতে পারছেন না তারা। রবিবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সকাল থেকেই তীব্র যানজটে নাকাল হতে হয় রাজধানীবাসীকে।
নগরীতে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের চলাচলও বেড়েছে। এদিকে সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রী তোলার জন্য গণপরিবহনগুলো সড়কের অনেকটা জায়গাজুড়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। যাত্রী-পথচারীদের তাড়া বেড়েছে। সব মিলিয়ে রাজধানীর সড়কগুলোতে ছিল তীব্র যানজট।
যানজটের কারণে রাজধানীতে গাড়ির গতি কমে যায়। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি না আসায় দীর্ঘ সময় স্ট্যান্ডে অপেক্ষায় থাকেন যাত্রীরা। এতে নষ্ট হয় কর্মঘণ্টা। বিলম্ব হয় অফিস যেতে। নগরবাসীর ভোগান্তির পাশাপাশি যানজটে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন শ্রমিকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রবিবার রাজধানীর প্রবেশদ্বার যাত্রাবাড়িতে দেখা যায় গণপরিবহনের তীব্র চাপ। এই মোড়ে সারি সারি বাস সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে মোড়ের শেষপ্রান্তে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলোকে।
অপরদিকে, রাজধানীর হাউস বিল্ডিং, আজমপুর, জসীম উদ্দীন মোড় হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে রয়েছে যানজট। খিলক্ষেত থেকে কুড়িল, নতুনবাজার, বাড্ডা হয়ে রামপুরা-মালিবাগ, খিলক্ষেত থেকে র্যাডিসনের সামনে দিয়ে বনানী-কাকলী, মহাখালী হয়ে সাতরাস্তা, মগবাজার হয়ে রমনা, গুলশান-১ ও ২ নম্বর সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও যানবাহন ও পথচারীর চাপ রয়েছে।
আরমান আরিফ নামে এক পথচারী বলেন, যানজট বড় সমস্যা। রাজধানীতে থাকতে হলে যানজটকে সঙ্গে নিয়েই থাকতে হবে। কারণ যে পরিমাণে গাড়ি সড়কে বেড়েছে তা যাত্রীদের তুলনায় অনেক বেশি এবং এসব গাড়ি একসঙ্গে চলাচলে পর্যাপ্ত সড়ক নেই। যেটুকু আছে সেখানেও সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে বছরের পর বছর। এখনো বিভিন্ন সড়কের পাশে ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। অথচ অধিকাংশ ভবনের ভেতরে সঠিক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। এতেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
পুলিশের ট্রাফিক সদস্যরা বলছেন, যানবাহন চালকরা সঠিক নিয়ম মেনে চলাচল করেন না। এতে সড়কে নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া সড়কে চলাচলে যাত্রী-পথচারী ও যানবাহনের চালক কেউই আইন মেনে চলেন না।