Logo
শিরোনাম

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারী পোশাকশ্রমিক নিহত ও অন্য আরেকজন আহত হয়েছেন। যার জেরে সকাল থেকে পোশাকশ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী, মহাখালী অংশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে যেমন ওই এলাকার সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে তেমনি সেটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতেও। বিশেষ করে ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা, শ্যাওড়া, খিলক্ষেত, বিমানবন্দরসহ আশপাশের প্রতিটি সড়কেই যানবাহনের তীব্র চাপ এবং স্থবিরতা দেখা গেছে। এতে করে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা থেকে ফ্লাইওভার হয়ে রেডিসন ব্লু হোটেল পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কেই গাড়ির তীব্র চাপ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যেসব গাড়ি অবরোধের কারণে সামনে যেতে পারছে না সেগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে মিরপুরের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করছে। অনেকে আবার বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ঘোরানোরও চেষ্টা করছেন। আর ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখ, উপরে এবং শেষপ্রান্ত পর্যন্ত উভয় পাশের সড়কেই গাড়ি থেমে আছে। কিছু সময় পরপর সামনে কিছুটা ফাঁকা হলে কয়েকটি গাড়ি সামনে এগিয়ে যেতে পারছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী থেকে বিমানবন্দর ছাড়িয়ে উত্তরার জসিমউদ্দীন পর্যন্ত যান চলাচল এক প্রকার স্থবির হয়ে আছে।

এ অবস্থায় ব্যাপক বিপাকে ও ভোগান্তিতে পড়েছেন রোজা রেখে বাইরে বের হওয়া মানুষজন। সড়কে দীর্ঘসময় বাসে বসে থেকে অনেককেই হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করতে দেখা গেছে।

নুরুল ইসলাম নামের এক পথচারী বলেন, দীর্ঘসময় ধরে সড়কে বসে আছি। মহাখালী যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ি জায়গা থেকে নড়ছে না। এখন পেছনে ফিরে যাব সে সুযোগও নেই। বাধ্য হয়েই হেঁটে পেছনে যাচ্ছি। দেখি কোন পর্যন্ত গিয়ে গাড়িতে উঠতে পারি।

নাঈম হাসান নামের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসের জন্য বের হয়েছিলাম। ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও খিলক্ষেত পার হতে পারিনি। এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

জানা গেছে, নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার। আহত আরেক পোশাকশ্রমিকের নাম সুমাইয়া আক্তার। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মফুদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীদের যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য গাড়ি ডাইভারশন করে দিচ্ছি। কিছু গাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে, কিছু গাড়িকে রামপুরা রোড এবং প্রগতি সরণি দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প, নিহত ছাড়াল ৩০০০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবারের (২৮ মার্চ) পর থেকে একের পর এক কম্পন অনুভূত হয়েছে দেশটিতে। বুধবার (২ এপ্রিল) রাতেও ৪.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে।

শুক্রবারের জোরালো ভূমিকম্পের পর থেকে এখনও মাঝে মধ্যে কম্পন (আফটারশক) হয়ে চলছে মিয়ানমারে। বুধবার রাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভারতের ভূবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ সংস্থা (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি) অনুসারে, কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটি অনুভূত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ৪.৩ মাত্রার আরো একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার থেকে ৩০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে। তার মধ্যে এই ভূমিকম্পে পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

দেশটির জান্তা-বিরোধী পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স আগেই ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। বুধবার মায়ানমারের জুন্টা সেনাও সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

গত শুক্রবার সকালে প্রথমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমারের মাটি। তার পর থেকে পর পর ১৫ বার ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়েছে সে দেশে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। খোঁজ মিলছে না ৪ শতাধিক মানুষের।

এরই মধ্যে বুধবার মিয়ানমারের এক হোটেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক যুবককে।

শুক্রবারের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মীণাধীন ৩০তলা ভবন ভেঙে পড়ে। সেখানে বহু মানুষের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

উদ্ধারকারীদের ধারণা, এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের খুঁজে বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।


আরও খবর



৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরে বেশ বড় ছুটি পেয়েছেন দেশের পোশাক শ্রমিকরাও। ঈদের আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-বোনাস নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও ঈদ কাটিয়ে তারা ফিরেছেন কর্মস্থলে। ছুটি শেষে দেশের তৈরি পোশাক খাতের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা ঈদের ছুটি শেষে চালু হয়েছে।

বিজিএমইএ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনভুক্ত ২ হাজার ১০৪টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৯২টি কারখানা চালু রয়েছে। ঈদের ছুটিতে রয়েছে মাত্র ১২টি, যা মোট কারখানার মাত্র ০.৫৭ শতাংশ।

অঞ্চলভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৫৪টি কারখানার মধ্যে ৮৫১টি খোলা রয়েছে; সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় ৪০৩টির মধ্যে ৩৯৯টি খোলা; নারায়ণগঞ্জে ১৮৮টির মধ্যে ১৮৬টি এবং ডিএমপি এলাকায় ৩২১টির মধ্যে ৩২০টি চালু রয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে ৩৩৬টি খোলা রয়েছে।

খোলা কারখানার অনুপাতে শতকরা হারে গড় হিসেবে ৯৯ শতাংশের বেশি কারখানা চালু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খোলা রয়েছে ডিএমপি এলাকায় (৯৯.৬৯%), এরপর নারায়ণগঞ্জ (৯৮.৯৪%), চট্টগ্রাম ও গাজীপুর-ময়মনসিংহ (৮৮.৮%) এবং সাভার-আশুলিয়া (৮৮%)।


আরও খবর



আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কুয়েটে আমরণ অনশন শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আলোচনার প্রস্তাব গ্ৰহণ করলেও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অনড় রয়েছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৪টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আমরণ অনশন শুরু করেন। এ সময় ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের নেতৃত্বে একটি টিম আলোচনার জন্য সেখানে যায়। শিক্ষার্থীরা জানান, এক দফা দাবি আদায়ে তারা এ অনশন শুরু করেছেন।

এ সময় ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ শিক্ষকদের একটি টিম সেখানে আসেন এবং আলোচনা করবেন বলে জানান। এর আগে তারা সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানান।

অনশন চলাকালে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার সেখানে উপস্থিত হয়ে হ্যান্ডমাইক দিয়ে ছাত্রদের উদ্দেশে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আলোচনায় সমস্যা সমাধান সহজ হয়। যার যার অবস্থানে অনড় থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। আমরা সমস্যার সমাধান চাই।’

রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীরা উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। দাবি পূরণ না হলে সোমবার দুপুর ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।


আরও খবর

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দাবি

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




আমাকে হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এই অভিনেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে ফুসছে শোবিজ দুনিয়া।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে থাকার পরও কেন ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা- জানতে চেয়েছেন নেটিজেনরাও। এই অভিনেতার হয়ে কথা বলেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় আছেন উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও।

ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে তুলে ধরেছেন নিজের জীবনের কথাও। তিনি জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে তার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয় তখন কিভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল তাকে।

আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেছেন, অভিনেতা ইরেশ যাকেরের নামে মামলা দেওয়ায় সকল শিল্পী সমাজের সাথে আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজ থেকে আট মাস আগে আমার বিরুদ্ধেও এরকম একটি হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল। একমাত্র আশফাক নিপুণ ছাড়া আর কাউকে পাশে পাইনি। বরং বাদ পড়েছি বিভিন্ন কাজ থেকে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় শো করতে গিয়ে দুই একজন অতি উৎসাহী কলিগের কারণে মঞ্চে উঠা তো দূরের কথা আমাকে হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি। মামলার কারণে সামাজিকভাবে হেনস্তা হয়েছি। অনেক অতি উৎসাহী আত্মীয় আত্মীয়তা ভঙ্গ করেছে। অনেক কলিগ ফোনও ধরেনি। যোগাযোগ করেনি।

জয়ের বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি মামলা করেছেন তিনি বর্তমানে থানায় আছেন জানিয়ে অভিনেতা বলেন, শুনেছি, আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল সেই বাদী এখন থানায় আটক আছে। বিভিন্ন জনের নামে মামলা দিয়ে টাকা খাওয়ার অপরাধে। আমার বিরুদ্ধে পুলিশ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আমার কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। পুলিশ এবং রাষ্ট্র কোনো হয়রানি করেনি। বরং হয়রানি করেছে আমার পরিচিত কাছের স্বজনেরা এবং চিরকালের বন্ধুরা।

সবশেষ জয় লিখেছেন, যাক আমি কারো প্রতি দোষারোপ করছি না। সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমার নিজের ছোটখাটো ভুলের জন্য বারবার ক্ষমা চেয়েছি। বড় অপরাধী এবং অপরাধকে ছোট করে ফেলে এই ধরনের মামলা। যেখানে এমন একজন সেলিব্রেটির নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে মামলার চেয়ে সেলিব্রেটিকে নিয়ে চর্চা হয় বেশি। তখন আসল অপরাধীরা মুচকি হাসে। মামলাটাকে হাস্যকর মনে করে। এতে বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আমরা চাই অপরাধীর বিচার হোক। যে যার জায়গা থেকে নতুন বাংলাদেশে ভুল সংশোধন করে নতুন করে বাচুক। সকলে সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল হোক।


আরও খবর

মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি

রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা

বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫




পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, সুনামগঞ্জে একজন, হবিগঞ্জে একজন ও ও নেত্রকোণায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।২৮ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

জেলায় বজ্রপাতের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কৃষক ও দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে বজ্রপাতে মারা যান দুই কৃষক।

তারা হলেন- দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০) ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র। নিহতরা হলো- ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন। দুজনেই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আকস্মিক বজ্রপাতে দিদারুল ইসলাম নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষক ও মদন উপজেলায় আরাফাত মিয়া নামে এক মাদরাসার ছাত্র (১০) মারা গেছেন।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় আরাফাত মিয়ার। সে উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।

অপরদিকে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হোন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এর হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান জানান, সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালবাসী দাসশর ছেলে দূর্বাসা দাশ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় তার ভাই ভূষণ দাশ (৩৪) ও বোন সুধন্য দাশ (২৮) । এছাড়াও বজ্রপাতে বানিয়াচং উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (১৩) আহত হয়।

সুনামগঞ্জ

শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এই ঘটনা ঘটে।

রিমন তালুকদার উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও শাল্লা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে গ্রামের পাশে বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান রিমন তালুকদার। এক পর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। রিমন তালুকদার নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কৃষক ও একজন কৃষাণী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে খড় শুকাতে গিয়ে ফুলেছা বেগম নামে এক কৃষাণী বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজীত দাস ও কলমা হাওরে ধান কাটার সময় স্বাধীন মিয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।

মৃত ফুলেছা বেগম মিঠামইনে উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী, ইন্দ্রজীত দাস অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া একই উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

মিঠামইন থানার উপ-পরিদর্শক অর্পন বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কৃষক ইন্দ্রজীত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক ইন্দ্রজীত দাসের মৃত্যু হয়। একই সময় উপজেলার খয়েরপুর হাওরে কৃষক স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।


আরও খবর