Logo
শিরোনাম

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ


হয়তো মানুষের জীবনে অনেক দুঃখ থাকে, কষ্ট থাকে, না বলা অনেক কথা থাকে, জীবনে হেরে যাবার গল্প থাকে, আঘাত থাকে, স্বপ্নগুলো চোখের সামনে ভেঙে পড়ার দুঃস্বপ্ন থাকে, নীরবে নিভৃতে পৃথিবীর আনন্দযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবার ট্রাজেডি থাকে | তারপরও জীবনকে এগিয়ে নিতে হয়, জীবন খাতায় থেমে যাওয়া কলমটাকে আবার সচল করে একটু একটু করে লিখতে লিখতে ভেঙে যাওয়া স্বপ্নটাকে আরও অনেক বড় করে দেখার মতো দৃষ্টিভঙ্গি গড়তে হয় | থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়, সমস্যার সমাধান নয় | থেমে যাওয়া মানে নিজেকে নতুন করে চেনা, নিজের ভিতর থেকে যে মানুষটা একদিন হোঁচট খেয়ে মাটিতে পরে গিয়েছিলো, সে মানুষটা যাতে সেই মাটিকে আঁকড়ে ধরে আবার নতুন করে দাঁড়াতে পারে, সেই সাহসের জন্ম দেওয়া | জীবন যখন বিশ্বাসের পতন দেখে, তখন কাঁদো কাঁদো যে মুখটা সবার থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আকাশটাকে মেঘে ঢেকে যেতে দেখেছিলো, থেমে যাওয়া সে মানুষটার ভিতর আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেওয়া যেন সেখানে থেকে কালো মেঘ সরাতে সরাতে সূর্যের মতো করে সে মানুষটা আবার নতুন করে জ্বলে উঠতে পারে |

 

সব সময় মনে রাখতে হবে, যেখানে মানুষকে থেমে যেতে হয়, সেখান থেকেই শুরু হতে পারে নতুন করে যাত্রার প্রস্তুতি | সেই যাত্রা কোনো ভ্রমণ নয়, সে যাত্রা এমন এক মহাযাত্রা হবে যা জীবনকে জয় করতে করতে মৃত্যুঞ্জয়ী মানুষের জন্ম দিবে, মানুষের ভিতরের সব গ্লানি মুছে দিয়ে মানুষকে সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগাবে | মানুষের জীবনে যত কাঁটা বিছানো থাকবে ততই জীবন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হবে, হয়তো সে অভিজ্ঞতা সুখকর হবেনা , তারপরও সেখান থেকে মানুষ যে বার্তা পাবে, সেই বার্তাই মানুষকে চিনিয়ে দিবে অন্ধকারের ভিতরে ডুবতে ডুবতে একটুকরো আলোর জন্য কতটা লড়াই করতে হয়, লড়াই করে নিজেকে জয় করতে হয় | নিজের সাথে নিজে লড়তে পারলেই জীবনের অলিতে গলিতে পা ফেলে ফেলে জীবনের অগণিত পথ খোলা যায় | তখন জীবনের ভিতর মানুষ ঢুকে জীবনের নতুন থিওরির জন্ম দেয়, সে থিওরি বইয়ের পাতায় মলাট বন্দি থাকেনা বরং পরাধীনতা ভেঙে পৃথিবীকেই বই বানিয়ে ফেলে |

 

মানুষ যখন পৃথিবী হয়ে উঠতে পারে, তখন মানুষকে পৃথিবীর আর কেউ পরাভূত করতে পারেনা | মানুষকে ধ্বংস করা যায়, পরাভূত করা যায়না-এই সত্যটা তখন সবার পিছনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে হয়না বরং সেটা পিছন থেকে ফুলের সুবাস ছড়াতে ছড়াতে সামনে দাঁড়ানো সব মানুষকে বুঝিয়ে দেয়, কেউ একজন পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, যে জীবনকে বদলে দেবার সাহস দেখাতে পারে | সে মানুষটা কোনও অসাধারণ বা বিখ্যাত মানুষ নয়, আপনার আমার মতো খেঁটে খাওয়া সাধারণ একজন মানুষ |

 


আরও খবর

আত্মহননের সাংবাদিকতা

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24




মাগুরার শালিখায় ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ব্যাস্ত সময় পার করছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার বোরো চাষীরা। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে কৃষাণ ক্রয়, শ্রমিক সংকট , বৈরী আবহাওয়া তার উপর কারেন্ট পোকার উপদ্রব সব মিলিয়ে চাষীদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ। সরেজমিন উপজেলার তালখড়ি, শতখালী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কেউ ধান কাটছে, কেউ দিচ্ছে ধানের সারি, কেউ আবার গরু, মহিষ, ঘোড়াগাড়ি যোগে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, কেউ কেউ আবার নিকটবর্তী জমি থেকে মাথায় করে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে। অনেকে আবার ধান কেটে মাঠেই সেরে ফেলছেন মাড়ায়ের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি ধান কাটা ও মাড়াই করার কাজে অংশ নিচ্ছেন মহিলারাও। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। রোদের তাপ বেশি থাকায় কাজের জন্য সকাল ও বিকালকেই বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ চাষী।

আড়পাড়া ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের কৃষক রতন বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর ৭ বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি, ফসল অনেক ভালো হয়েছে তবে কৃষাণের (ধান কাটার শ্রমিক) যে মূল্য তাতে করে এক মণ ধানে মিলছে একজন কৃষাণ। এতে করে ধান ঘরে তুলতে মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ ধান শ্রমিকদের পাছে ব্যয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কৃষক রবি বিশ্বাস বলেন, এ বছর বোরো ধানের মৌসুমে ১২ একর জমিতে ধান রোপন করেছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি অনুকূলে থাকে তাহলে দায়-দেনা পরিশোধ করে সোনা-মণিদের ভোরণ পোষণের পাশাপাশি নিজের আর্থিক যোগান দিতে সক্ষম হব অন্যথায় বিপদের শেষ হবে না।

তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসাইন বলেন, গত বছর যে জন (কৃষাণ) কিনেছি ৬-৭শ টাকা দিয়ে এবছর তা ১১-১২শ টাকা তার উপর জমিতে কারেন্ট পোকা লাগদিছে ফলে ধান ভালো হলেও চিন্তায় আছি দাম নিয়ে । ধানের দাম যদি ভালো হয় তাহলে তো বেঁচে গেলাম না হলে সমস্যায় পড়ে যাব। এছাড়াও কৃষক এনামুল বিশ্বাস,নজরুল মোল্যা, হরিদাস, গোপাল সহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা হলে জানা যায়, ফসল ভালো হলেও শঙ্কা কাজ করছে বৈশাখীর ঝড় নিয়ে পাশাপাশি শ্রমিক সংকট এবং কিষাণের মূল্য যেন তাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ। তবে শ্রমবাজারের শ্রমিক মূল্য নির্ধারণ করে দিলে একদিকে শ্রমিক এবং অপরদিকে ধান চাষিরাও একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে উভয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর ১৩ হাজার ৫৭৫ হে. জমিতে বোরো ধানের আবাদ অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ হে. বেশি। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে যেখানে গড় ফলন হেক্টরে ৪.২টন (চাউলে) এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কর্তন সম্ভব হবে বলে জানা গেছে

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কর্তনের ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে। এতে করে শ্রমিক সংকটও কেটে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে একটি শতবর্ষী মসজিদের নামকরন বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর চিংড়াখালী খানবাড়ি জামে মসজিদে নামকরণ নিয়ে চলমান বিরোধ ও জুমার নামাজে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। মসজিদটির নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রে একটি কুচক্রী মহল  মেতে উঠেছে ।  তবে, (গত ৯ মে শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় আবারও উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে মোকাম বাগেরহাট বিজ্ঞ মোরেলগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।  

  শতবর্ষী মসজিদটি স্থানীয় খান পরিবার ও মুসল্লিদের অর্থায়নে নির্মিত, দলিল, ইউটিলিটি বিল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও গুগল ম্যাপে “খানবাড়ি জামে মসজিদ” নামে নথিভুক্ত। তবে একটি গোষ্ঠী দাবি করছে, মসজিদের নাম পরিবর্তন করতে হবে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও, অভিযোগ রয়েছে যে বিবাদী পক্ষ নিয়মিতভাবে মসজিদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এর প্রতিকার চায় শত শত মুসল্লি ও স্থানীয়রা।

গত শুক্রবার পোলেরহাট ফাঁড়ি পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নামাজের সময় মোঃ কিসলু কাজী ও আমিনুল ইসলাম জুলহাস সরদার সহ কয়েকজন হুংকার দিয়ে মসজিদের নাম পরিবর্তনের দাবি তোলেন। পুলিশ তাদের আইন মানার নির্দেশ দিলে উত্তাপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, এই গোষ্ঠীর প্রতি জুমায় ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং খান পরিবারসহ সাধারণ মানুষকে হুমকি  দিয়ে আসছে।  এতো পুরানো মসজিদের তারা নাম চেইঞ্জ করতে বললেই কি করা সম্ভব?।

২০২৫ সালে মসজিদের জমিদাতা মৃত হাবিবুর রহমান খান-এর সন্তান ও সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান (বর্তমান সভাপতি)-এর বাড়িতে হামলা হয়েছে যা আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া খান পরিবার ও মুসল্লিদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, ভীতি প্রদর্শন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

 মোরেলগঞ্জ থানার ওসি বিষয়টি অবহিত আছেন। পুলিশ উভয় পক্ষকে আদালতের রায় মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একাধিক মুসল্লি ও স্থানীয়রা বলেন, আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতা রক্ষায় সহযোগিতা করতে হবে।


আরও খবর



হজ অ‍্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

হজযাত্রীদের সেবা সহজীকরণের জন্য প্রস্তুতকৃত মোবাইল অ্যাপ লাব্বাইক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।এ সময় তিনি বলেছেন, হজযাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে ধর্মকর্ম পালন করতে পারেন, সে জন্য এই অ‍্যাপ বিরাট ভূমিকা রাখবে।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথমবারের মতো নির্মিত অ‍্যাপটি উদ্বোধন করে হজযাত্রীদের এটি ব্যবহারের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস বলেন, ধর্মকর্ম পালনে সহায়ক হওয়ায় এবং স্বাস্থ্য সেবাসহ নানা ফিচার থাকায় এই অ‍্যাপ হাজিদের একাগ্রচিত্তে হজ পালনে মস্তবড় অবদান রাখবে।

চলতি বছর পবিত্র হজব্রত পালনের শুরু থেকে হজযাত্রীরা এই অ‍্যাপ ব্যবহার করতে পারলেও আগামী বছর থেকে যেন মানুষ হজে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনার পর্যায় থেকে এই অ‍্যাপ ব্যবহার করে হজযাত্রাকে সহজ করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় যেসব দেশ আমাদের দেশের চেয়ে উন্নত তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা গ্রহণ এবং যেসব দেশ এ ধরনের ব্যবস্থা নেই সেসব দেশকে বিনা মূল্যে আমাদের অ্যাপটির কারিগরি দিক প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।ভবিষ্যতে এই অ‍্যাপকে আরো সহজ এবং ত্রুটিমুক্ত করার পরামর্শও দেন তিনি।

এই অ‍্যাপটি চালু হওয়ার হজযাত্রীদের ধর্মকর্ম পালন সহজতর করার পাশাপাশি সৌদি আরব গিয়ে চলা ফেরায় দুশ্চিন্তা মুক্ত হবে। অ‍্যাপটি তৈরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

এই অ‍্যাপটির পাশাপাশি হজ প্রিপেইড কার্ড ও হজ রোমিং প‍্যাকেজ সুবিধার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় অন‍্যদের মধ‍্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়‍্যব, হাব মহাচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।


আরও খবর



রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় রায় ৮ মে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

২০০১ সালে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর রায়ের জন্য আাগামী ৮ মে দিন রেখেছেন হাইকোর্ট ।

বুধবার এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।


আরও খবর



ঐক্যের চেতনা ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।

জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে যে পুঞ্জীভূত সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা। শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়, সে জন্য দরকার দরকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করা, গণতন্ত্রের চর্চা করা, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একত্রিত থাকা।

তিনি বলেন, জনসাধারণের ঐকবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়নে বাধ্য করেছে। এ ঐক্য বজায় রেখে, ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, লড়াই করেছেন, যারা আহত-নিহত হয়েছেন, তারও আগে গত ১৬ বছর ধরে সমস্ত রকম জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছন, গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র, সবার অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মতো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তাদের সবার কাছে আমাদের দায়।

সংস্কারের বিষয়ে সংলাপকে আলোচনার অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সামান্য হলেও অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। সেটা ধরে রাখতে না পারলে, বিকশিত করতে না পারলে সমস্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য সবার প্রচেষ্টা। আমরা একত্রিতভাবে অর্জনের চেষ্টা করছি। যে অর্জন শুধু আমাদের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।

সবাইকে একমত হয়ে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে যুক্ত ছিল গণসংহতি আন্দোলন উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, অংশগ্রহণ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।


আরও খবর