Logo
শিরোনাম

থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। জেনেটিক আকারে শিশুরা তাদের বাবা-মার কাছ থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগ পেয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ না করায় শিশুদের শরীরে রক্তের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে ঘন ঘন রক্ত দিতে হয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে, গ্লোবিন প্রোটিন খুব কম উৎপাদিত হয়। যার কারণে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে শরীর অক্সিজেন না পাওয়ায় রোগীকে বারবার রক্তদেওয়ার প্রয়োজন হয়।

এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেট ফুলে যাওয়া (হালকা স্প্লেনোমেগালি), শিশুর দুর্বল শারীরিক বিকাশ, অ্যানোরেক্সিয়া, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, মুখের হাড়ের পরিবর্তন।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের হিমোগ্লোবিনের ত্রুটি থাকে, যা একটি মিউটেশনের কারণে ঘটে ও বি-চেইন উৎপাদনকে হ্রাস করে গুরুতর রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। এটি একটি জেনেটিক রোগ, যা প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে চলে যায়।

যদি বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া রোগ থাকে, তবে শিশুর থ্যালাসেমিয়া মেজর হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ, থ্যালাসেমিয়া মাইনর ৫০ শতাংশ এবং স্বাভাবিক ২৫ শতাংশ।

থ্যালাসেমিয়া মেজর শিশুদের চিকিৎসা

চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তসঞ্চালন (পিআরবিসি), আয়রন ক্যালেটিং ওষুধের ব্যবহারসহ কিছু শিশুদের নিয়মিত রক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় এবং গুরুতর স্প্লেনোমেগালিতে হাইড্রোক্সিউরিয়া ব্যবহৃত হয়। তবে থ্যালাসেমিয়া মাইনরের কোনো চিকিত্‍সার প্রয়োজন হয় না।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের যত্ন

লিউকোসাইট হ্রাসকারী ফিল্টার এবং বিকিরণকারী রক্তের পণ্য (পিআরবিসি) সর্বদা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হয়। অল্প বয়সে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যেতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজিসহ প্রচুর ফল খেতে হবে। এছাড়া আয়রন ক্যালেশন ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার, হালকা ব্যায়াম, ফোলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।

লিভার, হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গে আয়রন ওভারলোড পরীক্ষা করার জন্য প্রতি বছর গ্রোথ হরমোন এবং টি২ এমআরআই পরীক্ষাসহ সিরাম ফেরিটিন, থাইরয়েড প্রোফাইল, ভিটামিন-ডি এবং ভাইরাল মার্কার, যেমন- এইচআইভি, এইচবিএসএজি, এইচসিভি প্রতি তিন মাস পর পর পরীক্ষা করতে হবে। অবস্থা গুরুতর না হলে পুষ্টিকর খাবার এবং ব্যায়াম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত লোহিত রক্ত কণিকার বয়স ১২০ দিন হয়, কিন্তু এ রোগের কারণে সময়টি ২০ দিনে কমে যায়, যা হিমোগ্লোবিনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার কারণে রোগী কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত হয়।

 


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




চাকরি না পেয়ে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রতিবন্ধী যুবক

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image
  1. শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় চাকরি না পেয়ে মনের ক্ষোভে নিজের সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়েছেন প্রতিবন্ধী যুবক আল ইমরান হোসেন (২৬)। দীর্ঘ ৫ বছর চাকরির জন্য ঘুরে ঘুরে চাকরি না পেয়ে শেষে তার সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দেন তিনি। 

গত বৃহস্পতিবার ১ জুন সার্টিফিকেট পোড়ানোর ছবি সোস্যাল মিডিয়া তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করেন তিনি।

সার্টিফিকেট পোড়ানো প্রতিবন্ধী যুবক আল- ইমরান হোসেন নওগাঁ সদর থানার দুবলহাটি ইউনিয়নের বনগাঁ গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

তিনি তার ফেসবুক আইডিতে

ক্যাপশনে তিনি লেখেন, "এই সার্টিফিকেট দিয়ে কি আমি পুজা করবো"। এরপর তিনি লেখেন, আমি আল- ইমরান হোসেন। গ্রাম বনগাঁ পোস্ট দুবলহাটি। থানা জেলা নওগাঁ। ২০১৭ সালে গ্রাজুয়েশন শেষ করে এমা কোনো অফিস নাই যেখানে চাকরির জন্য আবেদন করিনি। অধিকাংশ জায়গায় টিকলেও তাদের চা খাওয়ানোর টাকা আমার পরিবারের না থাকায় প্রতিবার রিজেক্ট করে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমি গরীব ঘরের সন্তান, আমার মামা, খালু নাই এজন্য কোথাও চাকরি হয়নি। পরিবারে কর্মক্ষম কেউ নাই। আমি ও শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। তার পর ও বার বার বার ভাইভা পর্যন্ত টেকার পরও চাকরি দেওয়া হয়নি। ১৬ বছর শুধু মাত্র সার্টিফিকেট এর জন্য গাধার মতো পড়ে কি উপকার হলো আমার। ঘরে অসুস্থ মা আমি নিজেও অসুস্থ। যেই সার্টিফিকেট পেটের খাবারের জন্য একটা চাকরি দিতে পারে না সেই সার্টিফিকেট কোট ফাইলে রেখে কি আমি পূজা করবো নাকি। তাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলাম।


আল ইমরান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১১ সালে এসএসসি, ২০১৩ সালে এইচএসসি ও ২০১৭ সালে স্নাতক পাস করি। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়ে কোথাও কোথাও মেধা তালিকায় প্রথম হই। এরপরও আমার কোন চাকরি হয়নি। সেখানে ১৫ লাখ টাকার চা/বিরিয়ানি খেতে চায়। আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ (মেরুদন্ডের হাড় বাঁকা), বাবা একজন কাঠমিস্ত্রী। তিনি অনেক কষ্ট করে আমাকে লেখাপড়া করিয়েছেন এবং আমার ছোট ভাইকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। এতো টাকা দেওয়ার মত সামর্থ্য আমার বাবার বা আমার নেই তাই আমার চাকরি হয়নি। সে জন্য সার্টিফিকেট সেগুলো পুরিয়ে ফেলেছি।


আরও খবর



রাণীনগরের কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে এই বাজেট সভা অনুষ্ঠিত করা হয়।

কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব চাঁন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষনা করেন পরিষদের সচিব শাহাজুল ইসলাম। তিনি ১কোটি ৯১লক্ষ ৩২হাজার ২৬০টাকা আয় এবং ১কোটি ৮৯লক্ষ ৮৬হাজার ২৬০টাকা ব্যয় ধরে এই বাজেট ঘোষনা করেন। উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা শেষে পরিষদের সদস্য আব্দুল কাহার,রাণীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: ওহেদুল ইসলাম মিলন বক্তব্য রাখেন। এসময় পরিষদের পুরুষ ও নারী সদস্যবৃন্দ এবং হিসাব সহকারী ফারুক হোসেন ও পরিষদের উদ্যোক্তা রেজাউল ইসলাম, সাংবাদিকরা ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ধামরাইয়ে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে আহত ৭

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | ৮২জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন ( স্টাফ রিপোর্টার) :

ঢাকার ধামরাইয়ে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে ৭ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই সরকারি হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রের্ফাড করেন। আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পৌর শহরের লাকুরিয়া পাড়া মহল্লায়।এঘটনায় নাজমা বেগম বাদি হয়ে ধামরাই থানায় একটা মামলা করেছেন। 

জানা গেছে, ধামরাই পৌর মহল্লার লাকুরিয়া পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন একই মহল্লার আশিকুর রহমানের বাড়ির সামনে থুথু ফেলে। এসময় নাছির কেন থুথু ফেলও বলেই চরথাপ্পর শুরু করে আশিকুর রহমান। এখবর শুনে নাছিরের মা নাজমা বেগম ও ছোট ভাই নাজমুলসহ তাদের স্ত্রীররা এগিয়ে আসলে নাছিরসহ ৭ জনকে লোহার রট ও রাম দাঁ দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত থাকায় কর্তব্য চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতদের মধ্যে নাছির ও নাজমুলের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। 

এঘটনায় নাছির উদ্দিনের মা নাজমা বেগম বাদি হয়ে আশিকুর রহমান (৪৫),নিরব হোসেনসহ (২৪),আলভী হোসেনকে (২০) আসামী করে ধামরাই থানায় মামলা করেছেন 

পুলিশ আজ শুক্রবার সকালে এক নং আসামী আশিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। 

মামলার বাদি নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে থুথু ফেলাকে আসামীরা আমার দুই ছেলেসহ আমাদের হত্যার উদ্দেশ্য পিটিয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।

ধামরাই থানার ওসি অপারেশন নির্মল কুমার দাস বলেন,আমি বাহিরে রয়েছে থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফিকার জোহানেসবার্গ, আর রাজধানী ঢাকার অবস্থান সপ্তম। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এ তথ্য জানিয়েছে। সূচকে ঢাকার স্কোর ১৩৭। অর্থাৎ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

এ তালিকায় ১৬৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফিকার জোহানেসবার্গ। ১৫৪ স্কোর নিয়ে জাকার্তা দ্বিতীয়, ১৫২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি আর চতুর্থ স্থানে থাকা চিনের হাংহং শহরের স্কোর ১৫১। আর ১৪৯ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেরুজালেম।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে, ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।


আরও খবর



মা একটা শব্দ নয়, একটা অনুভূতির নাম

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

অধ্যাপক ড, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ :

পৃথিবীটা খুব অদ্ভুত | যে মানুষটা জানেনা তার জন্ম হয়েছে কার গর্ভ থেকে, সে মানুষটা হয়তো সারাজীবন মা নামের একজন মানুষকে খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু চরম সত্য হলো যে মা তাকে জন্ম দিয়েছে সেই তাকে একদিন ডাস্টবিনে ফেলে গিয়েছিলো, হয়তো মন চায়নি,, তারপরও এমনটা করতে হয়েছিল, কখনো কখনো বাস্তবতা খুব ভয়ংকর হয়  |  কে জানে কার অপরাধ? কার অসহায়ত্ব ? কি পরিস্থিতি ? দিন যায়, রাত যায়, সময় গড়িয়ে গড়িয়ে অনেকটা পথ পেরিয়ে যায় | রেখে যায় কিছু প্রশ্ন, রেখে যায় অন্ধকারে হাতড়ানো কিছু উত্তর | মা কি তার সন্তানের অনাগত ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে এমনটা করেছে, নাকি নিজের সুখের জন্য এমনটা করেছে ? সবটাই যে অমীমাংসিত, সবাই যে দোদুল্যমান | 

পৃথিবীর সবাই যার যার মতো ব্যস্ত  হয়ে পরে, সবাই ভুলে যায় সবকিছু, তবে পৃথিবীর দুই জায়গায় দুটি মানুষ জীবনকে টেনে টেনে অনেকটা দূর নিয়ে গেলেও আপনজনের অভাবটা অনুভব করতে পারে, অসীম শুন্যতায় খাঁ-খাঁ করা বুকটার স্পন্দন শুনতে পায়  কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে হাসিমুখে মানিয়ে নেয় আরেক নতুন জীবন, চোখের পানিকে বুকের ভিতর আটকে রেখে বলে, না, না, আমি অনেক সুখী, আমার চেয়ে সুখী পৃথিবীতে আর কেউ নেই  | 

পৃথিবীর যে মায়েরা অভাবের তাড়নায় সন্তানকে বিক্রি করে দেয়, পৃথিবীর সবার কাছে তারা নিন্দিত হয় |  কিন্তু এর পিছনের কারণটা কেউ হয়তো কখনো খুঁজে দেখেনা ?  সাদা চোখ যেভাবে দেখে মাথা থেকে চিন্তাটা সেভাবেই বেরিয়ে আসে | হয়তো সেখানে মনোবিজ্ঞানের কোনো থিওরি কাজ করে, যেটা অর্থনীতির থিওরির সাথে লড়াই করে কোনো একটা জায়গায় এসে থেমে যায়, তারপর অনেকগুলো প্রশ্ন সভ্য দুনিয়ার মানুষের মুখের সামনে ছুড়ে দিয়ে নির্বাক চলচিত্রের জন্ম দেয়  | পৃথিবীও অদ্ভুত, ভালোবাসার বন্ধন খুঁজেনা বরং এমন ঘটনা পেলে চলচিত্রের দামটা বাড়িয়ে দেয়  | 

কোথায় যেন একটা লেখা দেখেছিলাম, শরীর থেকে রক্ত ঝরলে কষ্ট লাগেনা, কিন্ত এক ফোটা চোখের জল বের হওয়ার আগে মনে হয় হৃদপিন্ডটা ছিড়ে যাচ্ছে | মায়ের হৃদপিন্ডটাও  কি সেদিন সেভাবে ছিড়েছিলো, যেদিন নিজে সন্তান বুকের ধন না হয়ে বাজারের পণ্য হয়েছিল?  কে জানে কোনটা সত্য,  কোনটা মিথ্যা | মা কি তার খাদ্যের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে সন্তানকে বিক্রি করেছিল, নাকি সন্তানকে অভাব থেকে মুক্ত করে নতুন জীবনের সন্ধান করে দিতে পাষানের মতো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল | সময় সব জানেনা, ওই দুটো মানুষ জানেনা, কারণ সময় যে তখন পৌঁছে গেছে আরেক সময়ে  | 

মা একটা শব্দ নয়, একটা অনুভূতির নাম | তারপরও চোখে দেখা সাধারণ পৃথিবীর বাইরে অন্য এক পৃথিবীতে এই সম্পর্কটা কখনো কখনো খুব দুর্বোধ্য হয়, খুব অচেনা মনে হয়, খুব বিচিত্র হয় যেখানে চাঁদ সূর্যের আলোয় রূপবতী  হলেও পরাধীনতার কলংক বয়ে বেড়ায়, কিন্তু চাঁদের যে কিছুই করার থাকেনা  | সব যে নিয়তি, সবটাই যে অসহায়ত্ব |


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩