Logo
শিরোনাম

টিকার ট্রায়ালে সহযোগিতা করবে সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করা এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ রোধে ট্রায়াল পর্যায়ে থাকা টিকাকে আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই টিকার দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ বা আইসিডিডিআরবি। এখন তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল দরকার। সেই ট্রায়ালে সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

২ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির কার্যক্রম চলছে। আমাদের দেশে যে টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে তা এখনো ট্রায়াল অবস্থা চলছে। আইসিডিডিআরিবি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এর আগেও কলেরা টিকা আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এই ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়েও যে সহযোগিতা চাইবে তা আমরা করব।

জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ইপিআইয়ের মাধ্যমিক ১৩টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আর এই কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। জরায়ুমুখের ক্যানসারের এই টিকাদানের মাধ্যমে আমরা দেশে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করছি। এই জরায়ুমুখ ক্যানসার নীরব ঘাতক। প্রতি বছর দেশে পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। সারাবিশ্বের তিন লাখের মতো নারী এই রোগের কারণে মারা যায়। যেহেতু একটি ভাইরাস দ্বারাই এই ক্যানসার হয়ে থাকে, তাই এই ভ্যাকসিন নারীদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। সাইড ইফেক্ট নেই। এই ভ্যাকসিন নিয়ে সারাজীবনের জন্য ক্যানসার থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। তবে তার মানে এই না যে স্ক্রিনিং করা লাগবে না। নারীদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন।

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে সারাদেশে এক কোটি কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নয় থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে পুরো কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিক অবস্থায় রাজধানীতে দেওয়া হবে। পরে অন্যান্য জেলায় দেওয়া হবে। এই টিকা দিয়েছে গ্যাভী।

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়েছে। এমনকি সেগুলোতে আন্তর্জাতিকমানের সেবা পাওয়া যাচ্ছে, ফলে দেশের বাইরে থেকেও অনেকেই সেবা নিতে আসছে।

জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন ৭০ হাজারের বেশি শয্যা, যা আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ৪০ হাজারও ছিল না। শুধু শয্যাই বাড়াইনি, অক্সিজেন সাপ্লাইসহ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। যে কারণে সরকারি চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা এসেছে এবং তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। আমরা চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজগুলোতে সিট সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজে সিট আছে পাঁচ হাজারের বেশি, যা আগে ছিল তিন হাজারের মতো।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




পেটের দায়ে পেশা বদলাচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : চলমান অবরোধ-হরতালে যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্কে নিরূপায় হয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাসের শ্রমিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। জীবন বাঁচাতে বহু শ্রমিক ইতোমধ্যেই পরিবহণের চাকরি ছেড়ে হোটেলে, গার্মেন্টস, গ্যারেজ ও কৃষি কাজে যোগ দিয়েছেন। অনেকে দিনমজুরের কাজও করছেন। অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়া শ্রমিকদের সংখ্যা হাজারো হতে পারে। পরিবহণের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনালে শিপন (২৩) নামের এমনই এক পরিবহণ শ্রমিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বলেন, অভাবের তাড়নায় বাসের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করি। দুই মাস আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী সৌখিন পরিবহণের হেলপার হিসেবে যোগ দেই। দিনে একটি ট্রিপ দেওয়া যায়। আবার রাতে আরেকটি ট্রিপ দেই। দুটি ট্রিপে ৮০০ টাকা পাই। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য খরচ আছে। সব শেষে কোনো কোনো দিন ৩০০ বা ৪০০ টাকা থাকে। সবদিনই রোজগার সমান হয় না। প্রতিমাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকে। এই দিয়েই সংসার চলে।

এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের হরতাল অবরোধ শুরু হলে একেবারে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে না বললেই চলে। আর বাস না চললে টাকা রোজগার বন্ধ। কারণ পরিবহণ শ্রমিকরা দিন হাজিরা অনুযায়ী টাকা পায়। ট্রিপ নাই, টাকাও নাই। অবরোধ-হরতালে মালিকরা গাড়ি বের করেন না। উল্টো গাড়ি ভালোভাবে পাহারা দিতে বলেন। অথচ দিন হাজিরার কোনো টাকাও দেন না। শুধু সামান্য দুই বেলা খাওয়ার জন্য মানবিক কারণে টাকা দেন। আবার কোনো কোনো মালিক তাও দেন না বলে পরিচিত অনেক হেলপারের কাছে শুনেছি।

হরতাল-অবরোধ শুরুর আগে গাড়ি যদি টার্মিনালের ভেতরে নিরাপদ জায়গায় পার্কিং করে রাখা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। মালিক একেবারে নিশ্চিন্ত থাকেন। কোনো কোনো মালিক সত্যি সত্যিই গাড়ি ভেতরে রাখা হয়েছে কিনা, তা এসে দেখে যান। মালিক বুঝে যান, তার গাড়ি যেহেতু নিরাপদ জায়গায় আছে, সেহেতু গাড়িতে ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগের কোনো সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মালিকই গাড়ি তালা দিয়ে চাবি নিয়ে শ্রমিকদের বাড়ি চলে যেতে বলেন। কারণ হেলপার, সুপারভাইজার ও চালক থাকলে মানবিক কারণে তাদের টাকা দেয়ার বা হাত খরচ দেয়ার বিষয় থাকে। মালিকরা গাড়ি বন্ধ তো সবই বন্ধ। অর্থাৎ পরিবহণ শ্রমিকদের পেছনে বাড়তি টাকা খরচ করতে রাজি নন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে অন্য গাড়িতে করে ভেঙে ভেঙে বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন। এছাড়া আর কোনো উপায়ও থাকে না। কারণ থাকলেই খরচ।

 সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, পেটের দায়ে অনেক পরিবহণ শ্রমিক হোটেলের বয় হিসেবে কাজ নিয়েছেন। অনেকেই গ্যারেজে কাজ নিয়েছেন। এছাড়া যেসব শ্রমিকের গ্রামের বাড়িতে জমি আছে, তারা কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই আবার দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। এমন অনেক সুপার ভাইজার ও চালককে দেখেছি এই পেশা ছেড়ে আপাতত গ্রামে গিয়ে কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই দিনমুজুর বা অটো চালাচ্ছেন। কারণ অনেকের সঙ্গেই পেশাগত কারণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। তারা কে কোথায় কেমন আছে বা কি করছে তা কথা প্রসঙ্গে জানা যায়।

সুপার ভাইজার ও চালকদের এছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই। কারণ একজন সুপার ভাইজার সিঙ্গেল দুই বার আপ-ডাউন করলে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পায়। আর চালক পায় ১৪শ টাকা। গাড়িই যেহেতু চলে না, সে ক্ষেত্রে পরিবহণ শ্রমিকদের রোজগার বন্ধ। এজন্য তাদের অনেকেই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ ঢাকায় বিভিন্ন বাসের ভেতরে থাকার সুযোগ থাকায় টাকা লাগে না। তবে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক টাকা ।

হানিফ খোকনের ভাষ্য মতে, বহু শ্রমিক পরিবহণ সেক্টরের পেশা ছেড়েছেন। কারণ একদিকে রোজগার নেই। আরেক দিকে প্রাণের মায়া। সম্প্রতি যাত্রাবাড়িতে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের ভেতরে থাকা হেলপার জীবন্ত পুড়ে মারা যান। সবারই প্রাণের মায়া আছে। দূরপাল্লার বাসে ভয় আরও বেশি। কারণ রাতে বাস চলাচল করে। কে কোথা থেকে অন্ধকারের মধ্যে বাসে আগুন বোমা ছুড়ে মারবে, তার কোনো হদিস নেই। বাস মালিকের বাস পুড়ে যাবে। আর যাত্রী, হেলপার, সুপারভাইজার ও চালকের জীবন যাবে। চোরাগোপ্তা হামলা করে বাসে আগুন দেওয়ার কারণে পরিবহণ মালিকরা রাস্তায় বাস বের করতে চান না। আর শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় যানবাহন চালানোর সাহস পাচ্ছেন না।

অনেকটা কষ্টেই হানিফ খোকন বলছিলেন, সবারই তো জীবনের মায়া আছে! যাত্রীরা প্রাণের ভয়ে বাসে উঠেন না। বেঁচে থাকলে কিছু না কিছু করে জীবন পার করতে পারবে। ঘরে পিতা-মাতা ভাই বোন আছে।

পরিবহণ শ্রমিক লীগের তথ্য মতে, সারা দেশে পরিবহণ শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটির উপরে। দূরপাল্লার প্রতিটি বাসে কমপক্ষে তিনজন করে শ্রমিক থাকেন। চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। তবে মালবাহী যানবাহনে শ্রমিকের সংখ্যা আরও বেশি। আর লেগুনা, হিউম্যান হলারে দুজন করে শ্রমিক থাকেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাবেশে ব্যাপক নাশকতার ঘটনা ঘটে। ওইদিন অনেক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে। এরপর থেকে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে যানবাহনে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা ঘটছে। যাত্রীবাহী বাস বা মালবাহী কাভার্ড ভ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন হামলাকারীদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়েছে। হতাহত হয়েছেন যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, হেলপারসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কারণে অবরোধ বা হরতালের দিন দূরপাল্লার বাস বা অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে না বললেই চলে। যেসব যানবাহন চলাচল করছে, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিতান্তই পেটের দায়ে যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন।

পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ ও র‌্যাবের তরফ থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিলেও পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। আতঙ্কে পরিবহণ মালিকরা যেমন রাস্তায় যানবাহন বের করছেন না, তেমনি পরিবহণ শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য মতে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৫৭ লাখ ৪২ হাজার। অনিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা লাখ লাখ। যার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। যদিও ২০২১ সালে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ। সারা দেশে ১১ হাজার ৭০৮ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা ২১ লাখের বেশি।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ঘনীভূত হতে পারে লঘুচাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় যে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরো ঘনীভূত হতে পারে। আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ৩৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন সৌদি আরবে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরকারি সাধারণ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা।

তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন। এছাড়া বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনের কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার জন।

হজ প্যাকেজের মূল্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি সাধারণ প্যাকেজ মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় গত বছরের তুলনায় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম।

এ ছাড়া বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বিমান ভাড়া কমানোর কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিমান ভাড়া ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, সরকারি মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসরকারি মাধ্যমে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন (হাব)।

২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ্জ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে। আর হজ ফ্লাইট শুরু হবে ৯ মে থেকে


আরও খবর

হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় অর্থ সংকটে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ, দুর্ভোগের শিকার রোগীর স্বজনরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :                                                                    

নওগাঁয় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায়, অর্থ সংকটে সচল অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ করা হয়েছে। ১০ লাখ টাকা বকেয়া পড়ায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী সহ তাদের স্বজনরা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দফায় দফায় পত্র দিয়েও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি কোন অর্থ। এ কারণে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া পড়েছে ফিলিং স্টেশনে। বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ জ্বালানি সহায়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। উপায়ান্ত না থাকায় বুধবার ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম।

রাজশাহীর নওহাটা এলাকায় অবস্থিত রুচিতা ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাঁকিতে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছিল নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটিতে। সময় মতো কোন টাকাই পরিশোধ করা হয়নি।  বর্তমানে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া পড়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও বকেয়ার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। এই কারণেই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি সূত্র জানায়, ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। এছাড়া ২৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে মহাসড়ক। রয়েছে কয়েকটি আঞ্চলিক সড়ক। এসব সড়কে প্রায় ঘটে থাকে ছোটবড় নানারকম দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগীদের নিতে হয় নওগাঁ সদর হাসপাতালে। এ ছাড়া জরুরি সহ বিভিন্ন ঘটনার রোগিদেরও রাজশাহী রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়। এ কারণে প্রতিদিন বেশ কয়েক বার রাজশাহী যাতায়াত করে অ্যাম্বুলেন্সটি।

সূত্রটি আরো জানায়, মান্দা উপজেলা সংলগ্ন নিয়ামতপুর ও মহাদেবপুর উপজেলার একাংশের বাসিন্দারাও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের এ হাসপাতালের মাধ্যমে রাজশাহীতে নিয়ে থাকেন। এসব কারণে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবহার নওগাঁর অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু জ্বালানির জন্য জেলার ছোট উপজেলাগুলোর সাথে একইহারে বরাদ্দ পাওয়া যায়। যা এ উপজেলার জন্য প্রয়োজনের  তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আসলাম হোসেন বলেন, অর্থের অভাবে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমন সংবাদ শুনে আমি হতবাক হয়েছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে জরুরি রোগি পরিবহনে মাইক্রোবাস কিংবা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের দ্বারস্থ হতে হবে।   

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা সিদ্দিকা রুমা সাংবাদিকদের বলেন, অর্থ সংকটে জরুরী রোগীদের জন্য  অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যাবে না এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতে মুমূর্ষু ও  জরুরি রোগী পরিবহনে চরম বেকাদায় পড়তে হবে রোগীর স্বজনদের। সৃষ্টি হবে জনদুর্ভোগের। জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধানের জোর দাবি জানান তিনি।

রুচিতা ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার পঞ্চম রায় বলেন, মান্দা হাসপাতালের কাছে বর্তমানে ১০ লাখ টাকার ওপরে পাওনা রয়েছে। তাগাদা দেওয়ার পরও তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বিজয় কুমার রায় বলেন, জ্বালানি বাবদ বছরে দুইবার যে টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের চেয়ে খুবই অপ্রতুল। এ কারণে বাঁকিতে জ্বালানি কিনে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল রাখা হয়েছিল। কিন্তু বাঁকির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। অধিদপ্তরে বারবার পত্র দেওয়া হলেও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাদের কোন বিকল্প উপায় ছিল না।  এ  জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের আপাতত কিছুই করার নেই। 

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্স থেকে আয়ের টাকা ১০দিন পর পর সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। এ কারণে আয়ের টাকা দিয়ে জ্বালানির টাকা সমন্বয় করা যায় না। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন ও স্থানীয় প্রশাসনকে মুঠোফোনে অবহিত করা হয়েছে।


আরও খবর



চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরের বহুল আলোচিত শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত নিপেন চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভুট্টু (৪০) আটক করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। 

সোমবার সকাল ১১টায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মধ্য-বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন মহাদেবপুর থানা পুলিশ। আটকের পর সোমবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তকে নওগাঁ জেল- হাজতে প্রেরন করেছেন পুলিশ।

আটককৃত নিপেন চন্দ্র বর্মন ওরফে ভুট্টু মহাদেবপুর উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের রাজেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের ছেলে।

মামলা ও স্থানিয় সুত্রে জানা যায়, চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঐ শিশু শিক্ষার্থীকে গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে ধর্ষণ চেষ্টার এ ঘটনাটি ঘটে। এরপর ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এজাহার দায়ের করলে গত ২ নভেম্বর মামলাটি রেকর্ড করেন থানা পুলিশ।

অভিযুক্তকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, মামলার পর থেকে সে পলাতক ছিল। অবশেষে তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর