Logo
শিরোনাম

টিকার ট্রায়ালে সহযোগিতা করবে সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করা এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ রোধে ট্রায়াল পর্যায়ে থাকা টিকাকে আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই টিকার দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ বা আইসিডিডিআরবি। এখন তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল দরকার। সেই ট্রায়ালে সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

২ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির কার্যক্রম চলছে। আমাদের দেশে যে টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে তা এখনো ট্রায়াল অবস্থা চলছে। আইসিডিডিআরিবি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এর আগেও কলেরা টিকা আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এই ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়েও যে সহযোগিতা চাইবে তা আমরা করব।

জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ইপিআইয়ের মাধ্যমিক ১৩টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আর এই কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। জরায়ুমুখের ক্যানসারের এই টিকাদানের মাধ্যমে আমরা দেশে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করছি। এই জরায়ুমুখ ক্যানসার নীরব ঘাতক। প্রতি বছর দেশে পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। সারাবিশ্বের তিন লাখের মতো নারী এই রোগের কারণে মারা যায়। যেহেতু একটি ভাইরাস দ্বারাই এই ক্যানসার হয়ে থাকে, তাই এই ভ্যাকসিন নারীদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। সাইড ইফেক্ট নেই। এই ভ্যাকসিন নিয়ে সারাজীবনের জন্য ক্যানসার থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। তবে তার মানে এই না যে স্ক্রিনিং করা লাগবে না। নারীদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন।

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে সারাদেশে এক কোটি কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নয় থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে পুরো কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিক অবস্থায় রাজধানীতে দেওয়া হবে। পরে অন্যান্য জেলায় দেওয়া হবে। এই টিকা দিয়েছে গ্যাভী।

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়েছে। এমনকি সেগুলোতে আন্তর্জাতিকমানের সেবা পাওয়া যাচ্ছে, ফলে দেশের বাইরে থেকেও অনেকেই সেবা নিতে আসছে।

জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন ৭০ হাজারের বেশি শয্যা, যা আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ৪০ হাজারও ছিল না। শুধু শয্যাই বাড়াইনি, অক্সিজেন সাপ্লাইসহ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। যে কারণে সরকারি চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা এসেছে এবং তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। আমরা চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজগুলোতে সিট সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজে সিট আছে পাঁচ হাজারের বেশি, যা আগে ছিল তিন হাজারের মতো।


আরও খবর



ছয় ব্যাংককে এস আলমের ঋণ দেওয়ার সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্রিয় ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণে সীমা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংককে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও সীমাতিরিক্ত ঋণ আছে, তা নগদ আদায় ছাড়া নবায়ন করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্যাংক ছয়টিকে চিঠি দিয়েছে। ব্যাংক ছয়টি হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংক। এর আগে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
বির্তকিত এস আলম গ্রুপ এই ছয় ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ টাকা তছরুপ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর আত্মগোপনে যান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তার সময়ে ব্যাংক ছয়টিকে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে ধার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব টাকাও লুটে নিয়েছে গ্রুপটি। গত বুধবার গভর্নর হিসেবে যোগ দেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। এরপরই নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক অবস্থার অবনমন রোধ ও আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা উন্নতি ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংক কোম্পানি আইনে অর্পিত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশ দেওয়া হলো।
নির্দেশনাগুলো হলো- কৃষি বিনিয়োগ, চলতি মূলধন এবং সিএমএসএমই খাতে ঋণ, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেওয়া ঋণ, নিজ ব্যাংকে রক্ষিত স্থায়ী আমানতের বিপরীতে ঋণ সুবিধা ও শতভাগ নগদ মার্জিনের বিপরীতে ঋণ ও অন্যান্য পরোক্ষ ঋণসুবিধা ছাড়া অন্য কোনো ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না। এসব ঋণ ও ঋণ সুবিধা পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ বা সীমাতিরিক্ত বকেয়া ঋণের স্থিতি নগদ আদায় ছাড়া কোনো গ্রাহকের বিদ্যমান ঋণ সুবিধা নবায়ন বা বর্ধিত করা যাবে না। অন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান বিনিয়োগ অধিগ্রহণ করা যাবে না। এ ছাড়া প্রতিটি ব্যাংককে শীর্ষ ২০ ঋণ গ্রাহকের ঋণ আদায়ের তথ্য মাসিক ভিত্তিতে জমা দিতে হবে।
আওয়ামীলীগ সরকারের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় এস আলম গ্রুপ নিয়ম বর্হিভূতভাবে একাধিক ব্যাংক দখল করে নেয়। গ্রুপটি ২০১৭ সালে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড দখল করে নেয়। বর্তমানে শুধু এই ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের ৭৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সুনামগঞ্জে ড্রেজার ব্যবসার নামে ব্যবসায়ী জনতার সাথে প্রতারক হাবিবের প্রতারনা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
 সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

সুনামগঞ্জে ড্রেজার ব্যবসার নামে ব্যবসায়ী জনতার সাথে একের পর এক প্রতারনা করে যাচ্ছে প্রতারক হাবিবুর রহমান। জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও কোন প্রতিকার পাচ্ছেননা প্রতারিত ব্যবসায়ী রুপক তালুকদার ও রতন তালুকদার ভ্রাতৃদ্বয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার যাত্রাপুর গ্রামের মোঃ শহিদ মিয়ার পুত্র ড্রেজার ব্যবসায়ী প্রতারক হাবিবুর রহমান। 

গত ২৪ জুলাই উক্ত প্রতারকের বিরুদ্ধে প্রতারিত ব্যবসায়ী দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের এলংজুড়ি গ্রামের মৃত রঞ্জিত তালুকদারের পুত্র রুপক তালুকদার উক্ত হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে জেলা পুলিশ সুপার এম এন মোর্শেদ আলম বিষয়টি দুপক্ষকে নোটিশ করে জেলা পুলিশ সুপারের কক্ষে ঢেকে এনে সালিশ বিচারে নিস্পত্তি করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাসকে নির্দেশ দেন। 

কিন্তু রাজন কুমার দাস দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেননি। এ সুযোগে প্রতারক হাবিবুর রহমান পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন গডফাদার মহলকে কাজে লাগিয়ে দিরাই-মদনপুর রাস্তার পাশে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্পস্থানে থাকা দুটি ড্রেজার মেশিন সুকৌশলে সরিয়ে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে।  

অভিযোগে প্রকাশ,৩ শত টাকার নন জুডিসিয়েল স্টাম্পে যথাক্রমে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে ব্যবসায়ী রুপক তালূকদার ও তার বড় ভাই দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রতন তালুকদার ড্রেজিং ব্যবসা শুরু করেন। 

ব্যবসার শুরুতে গত ২০২১ ইং সনের ১৩ মে হতে ৯ জুন পর্যন্ত পৃথক ৭টি নির্ধারিত তারিখে হাবিবুর রহমান,রুপক ও তার ভাই রতন তালুকদারের কাছ থেকে আগাম হিসেবে মোট ১৩ লক্ষ ৪০ চল্লিশ হাজার টাকা নগদ ও বিকাশ মাধ্যমে গ্রহন করে। পরবর্তীতে দিরাই-মদনপুর রাস্তা সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে মাটি ভরাটের কাজ চলমান অবস্থায় একই বছরের ৫ জুলাই হতে  ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে হাবিবুর রহমান এবং তার ম্যানাজার মোঃ মোক্তার হোসেন ও সবুজ মাহমুদ, ব্যবসায়ী ২ ভাই রুপক তালুকদার ও রতন তালুকদারের নিকট হতে নগদ ১ কোটি ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ১ শত ৫০ টাকা গ্রহন করে। টাকা গ্রহনের এ হিসাব নির্ধারিত খাতায় প্রতারক হাবিব ও তার ২ ম্যানাজারের প্রাপ্তি স্বীকারসূচক স্বাক্ষরও রয়েছে। চুক্তি সম্পাদনের পর মালিকপক্ষের দেয়া ডিজিটাল ম্যাজারমেন্ট এর মাধ্যমে মোট ৩৪ লাখ ঘনফুট মাটি কাটা হয়েছে বলে তাদেরকে বিল প্রদান করা হয়। প্রতি ঘনফুট ২.৩০ টাকা হিসেবে মোট  ৩৪ লক্ষ ঘনফুট মাটির মূল্য বাবত হাবিবুর রহমান পায় ৭৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। 

কিন্তু প্রতারক হাবিবুর রহমান হাবিব,মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে ঠিক করতে হবে এবং পাম্প নষ্ট হয়ে গেছে ইত্যাদি মিথ্যা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার ১ শত ৫০ টাকা বেশি গ্রহন করে। যাহা হাবিবুর রহমানের নিকট ঐ দুই ভ্রাতার পাওনা রয়েছে। উক্ত পাওনা মোট ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার ১৫০ টাকা পরিশোধের জন্য তারা সদর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদের বিষয়টি সমাধানের জন্য সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতকে অনুরোধ করেন।

২০২৩ইং সনের ১৪ আগস্ট সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময়,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে মেয়র নাদের বখত,উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশে বসলে মেয়র, রতন গংদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য নির্দেশ দিলে প্রতারক হাবিবুর রহমান ১৫ দিনের সময় প্রার্থনা করে। নির্ধারিত ১৫ দিন পরে প্রতারিত ভ্রাতারা মেয়রের কাছে পুনরায় গেলে প্রতারক হাবিবুর রহমান হাবিব,ঢাকায় চিকিৎসাধীন বলে নানা মিথ্যা অজুহাতে সময় ও কালক্ষেপন করে। ইতিমধ্যে প্রতারিত ভ্রাতাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা থেকে বিরত থেকে অন্য একটি প্রভাবশালী পক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে মাটি না কেটে গোপনে অতিরিক্ত টাকা রেটে অন্যত্রে চোরাই পন্থায় মাটি কেটে চোরাই ব্যবসা পরিচালনা করে ঐ প্রতারক।

রতন ভ্রাতাদ্বয় চোরাই মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে হাবিবুর রহমান তাদের সাথে চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে। পরে ২০২৩ইং সনের ৩রা অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার সময়ে শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিগন প্রতারিত রতন কুমার তালুকদার ও প্রতারক হাবিবুর রহমানকে নিয়ে  সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডস্থত এসএ পরিবহনের অভ্যন্তরে ২য় দফায় সালিশে বসেন। উক্ত সালিশে হাবিবুর রহমানের কাছে ২ ভ্রাতার ৩৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ১ শত ৫০ টাকা পাওনা রয়েছে বলে হাবিব অকপটে স্বীকার করে। সালিশে সিদ্বান্ত হয় যে, প্রতারিত দুই ভ্রাতার পাওনা টাকা পরিশোধ না করার পূর্ব পর্যন্ত হাবিব অন্য কোথায়ও তার ২টি ড্রেজার মেশিন সরিয়ে নিতে পারবেনা। বিদ্যমান ড্রেজার দুটি দিরাই-মদনপুর রাস্তা সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ঘাটেই থাকবে। সালিশে দুই ভ্রাতার পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য ৫ নভেম্বর তারিখে নগদ ১ এক লক্ষ টাকা,১২ লক্ষ টাকা  করে  দুটি ২৪ লক্ষ টাকার ব্যাংক চেক ও ৩০০ টাকা মূল্যের ৩টি নন জুডিসিয়েল স্টাম্পে লিখিত প্রদানের জন্য হাবিবুর রহমানকে রায় প্রদান করা হয় এবং যাবতীয় পাওনা ২০২৩ইং সনের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করবে মর্মে নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রতারক হাবিবুর রহমান হাবিব পাওনা টাকা দেই দিচ্ছি বলে এখন পর্যন্ত সময় কালক্ষেপন করার পাশাপাশি অত্যন্ত সুকৌশলে সালিশের রায় অমান্য করে বিদ্যমান দুটি ড্রেজারের মধ্যে ১টি ড্রেজার অন্যত্রে সরিয়ে ফেলে।

পরবর্তীতে সালিশীরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রতারিত দুই ভ্রাতাকে অবগত করলে সালিশের নির্দেশে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা ও দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ গণকে অবহিত করে এবং সুনামগঞ্জ ২ আসনের তৎকালনি সংসদ সদস্য ড.জয়াসেন গুপ্তার মাধ্যমে চরনারচর ইউপি সদস্য বকুল তালুকদারের জিম্মায় স্থানীয় শ্যামারচর বাজারে একটি ড্রেজার আটকিয়ে রাখা হয়। হাবিবুর রহমানের স্বীকারোক্তিসহ সালিশের অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড সহকারে  জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরও এখন পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাননি প্রতারিত দুই ভ্রাতা রুপক তালকুদার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার তালুকদার।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে সেদিনকার ঐ সালিশে প্রতারিত দুই ভাই রুকপ তালুকদার ও রতন তালুকদারের আপন  মামা মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস,শান্তিগঞ্জ থানার শিবপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম শিপন,জয়কলস গ্রামের সালিশী মোশাহিদ আহমদ,জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালাগুজা নিবাসী আবু হানিফ,দক্ষিণ আরপিননগর নিবাসী মমিনুল হক কালারচান ও জামতলা নিবাসী রাকিবুল ইসলাম দিলু ও উজানীগাও গ্রামের নজরুল ইসলামসহ শহরের গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত থাকলেও দফায় দফায় সালিশের সিদ্বান্ত অমান্য করে ড্রেজার ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান এখন পর্যন্ত পাওনাদারগনের পাওনা পরিশোধ করা থেকে বিরত রয়েছে।

 এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমানের বক্তব্য জানতে চেয়ে কল করলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন,আমি কাউকে ঠকাইনি প্রতারনাও করিনি। হাবিবের ম্যানাজার মোঃ মোক্তার হোসেন ও সবুজ মাহমুদ জানান,হাবিবুর রহমানের কাছে রুপক ও রতন এ দুই ভ্রাতার পাওনার বিষয়টি সঠিক। 

আশুগঞ্জ থানার সাংবাদিকরা বলেন,হাবিবুর রহমান গত ২ যুগ ধরে এলাকাতে নেই। সে সিলেট এলাকায় স্বপরিবারে অবস্থান করে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে সালিশী মোশাহিদ আহমদ বলেন,বাটপার হাবিবুর রহমান শুধু বাটপারই না বরং একজন ভয়ংকর বাটপার সে। পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধ না করে সে নানান জায়গায় মিথ্যা কথা বলে আরো অনেক লোকজনকে প্রতারিত করে যাচ্ছে। অবিলম্বে প্রতারক হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন প্রতারিতরা। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকে দৃষ্টি এখন সকলের। 


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জাতির পিতার শোক দিবস পালন করায় ঢাবি অধ্যাপক ড. জামালের অফিস কক্ষ ভাঙ্গচুর ও তালাবদ্ধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক::


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শোক দিবস পালন করায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের শিক্ষক, সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.আ.ক.ম.জামাল উদ্দীনকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে তার অফিস কক্ষ বুধবার সকালে (২১ আগস্ট) ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে তালা মেরে দেয়।


এতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র, মার্কস, বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ফাইনাল ও মিট-টার্মের উত্তরপত্র, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরপত্র, মার্কস, ব্যাক্তিগত সার্টিফিকেট সমূহ, ব্যাংক ডকুমেন্টস কার্ড, টাকা-পয়সা ও ল্যাপটপ সহ মূল্যবান ব্যবহার্য্য সামগ্রী খোয়া যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।


তারা বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবীতে তার কক্ষেও তালা মেরে দেয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ৪ দফা দাবীতে বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বিভাগীয় অফিস থেকে বের করে দিয়ে সকল কলাপসিবল গেটসমূহ তালাবদ্ধ করে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করে।


উল্লেখ্য,  গত ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ই আগস্ট রাত ৯টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে মোমাবাতি প্রজ্জলনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের মাথায় পৌছালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অতর্কিত হামলা চালায়।


আনুমানিক রাত ৯টা ১০ মিনিটে তাদের হাত থেকে প্রানভয়ে বাঁচার জন্য অধ্যাপক জামাল দৌড় দেন। সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তাকে ধাওয়া করে কয়েক দফা মারতে মারতে রাসের স্কয়ারের সামনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে চতুরদিক থেকে অধ্যাপক জামালকে ঘিরে আবারও উপর্যুপরি মারতে থাকে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন এবং কাছে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে অধ্যাপক জামালকে ফেলে যায়। 


এসময় স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে রিক্সায় করে পশ্চিম রাজা বাজারের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই বাড়ির দারোয়ান প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে জ্ঞান ফেরান।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ইতোমধ্যেই এই ঘৃণিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। 



আরও খবর

এইচএসসির ফল নির্ধারণ হবে যেভাবে

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক দুই আইজিপি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় এই তথ্য করা হয়। তবে কোন মালায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।



উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপি জানিয়েছে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করায় রাতে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক দুই আইজিপিকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। আর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আইজিপি ছিলেন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ৬ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত। এরআগে তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।



ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) রেজাউল করিম মল্লিক বাসস’কে জানিয়েছেন, সাবেক দুই আইজিপি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


আরও খবর

লিগ্যাল নোটিশ

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সহায়তা করতে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ঋণ প্রদান বাড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নতুন এ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে

আবদুলায়ে সেক জানান, সরকারের সংস্কার, বন্যা, উন্নত বায়ুর গুণমান এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বব্যাংক এই অর্থ বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের নতুন অর্থায়ন জোগাড় করতে পারে

আমরা যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব আপনাকে সমর্থন করতে চাই। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক চাহিদাগুলোতে সহায়তা করতে চায়

নতুন প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি, মাল্টিল্যাটারাল ঋণদাতা প্রায় এক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন করবে যা বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে পুনর্বিন্যস্ত করা হবে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই অর্থায়ন করা হবে। এই পদক্ষেপটি প্রধান উপদেষ্টার উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বানের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ

আবদুল্লাহ সেক বলেন, অতিরিক্ত ঋণদান বাংলাদেশকে দেওয়া সফট ঋণ এবং অনুদানের পরিমাণ এই অর্থবছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবে যখন বিদ্যমান প্রকল্প থেকে অর্থ পুনর্বিন্যস্ত করা হবে। সংস্কারগুলো সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশ এবং এর তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে প্রতিবছর প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ শ্রমবাজারে যোগ দেয়

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি হেডকে বলেন, বিশ্বব্যাংককে অবশ্যই বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে নমনীয়তা রাখতে হবে এবং ১৫ বছরের চরম দুর্ব্যবস্থাপনার পর একটি নতুন যাত্রা শুরু করতে সহায়তা করতে হবে। এই ধ্বংসস্তূপ থেকে আমাদের নতুন কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আমাদের বড় একটি ধাক্কার প্রয়োজন, এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমি প্রস্তাব করব, আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের দলে অংশ নিন

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া কোটি কোটি ডলার পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে চুরি করা সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশকে শূন্য দুর্নীতি সমৃদ্ধ একটি দেশ গড়তে বিশ্বব্যাংকের দক্ষতা প্রয়োজন হবে

এ সময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বাংলাদেশকে চুরি যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি। ব্যাংকের তথ্য স্বচ্ছতা, ডেটা অখণ্ডতা, ট্যাক্স সংগ্রহের ডিজিটালাইজেশন ও আর্থিক খাতের সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চাই

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার ও বড় ধরনের সংস্কার করার জন্য জীবনে একবার এই সুযোগ হারাতে পারে না। আমরা একবার এটি হারিয়ে ফেললে, আর ফিরে আসবে না

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমার ক্যারিয়ারের ৩০ বছরের মধ্যে এটি কোথাও দেখিনি। আমাদের তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে

 


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪