Logo
শিরোনাম

ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে মারা গেছেন চারজন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সকালে, উখিয়ার হিজলিয়া এলাকায় ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশার তিন যাত্রী। আর আহত একজনকে নেয়া হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সিএনজি অটোরিকশাটি উখিয়া থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বড়বিলের, হলদিয়াপালং এর সলিমা খাতুন এবং একই এলাকার আনোয়ারুল ও রামুর বিটু ধর। 


আরও খবর



৩৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের ৩৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে। এরমধ্যে ৩০টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য না থাকায় শিক্ষার্থীদের সনদে সাক্ষর করার বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া অবৈধভাবে ক্যাম্পাস ও অবৈধ শিক্ষা কাযক্রমে পরিচালনার জন্য দায়ে ৩টি, নির্ধারিত সময় স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় একটি এবং সাময়িক অনুমতির মেয়াদ উত্তীর্ণ ও আদালতে মামলা থাকায় আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত ১ এপ্রিল সাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন সতর্কতা জারি করে ইউজিসি। যদিও চিঠি সোমবার (৩ এপ্রিল) ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে দেখে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন। বাকি ৩০টি বৈধ কোনো উপচার্য নেই।

ইউজিসি জানিয়েছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত/অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষরকারী হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে তার দায় কমিশনের উপর বর্তাবে না।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও শিক্ষাকাযক্রম চালাচ্ছে তিন বিশ্ববিদ্যালয়

ইউজিসি বলছে, অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে রেড এলার্ড জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো-ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপারে ইউজিসির রেড এলার্ডে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

এ বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ, কৃত কোনো ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভাসিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি একটি

এছাড়াও ভিক্টোরিয়া ই্উনিভাসিটি ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে।

স্থায়ী সনদ নবায়ন নেই একটির

স্থায়ী সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া, শুরু থেকে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মামলা, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগে বৈধ ভিসি-প্রো-ভিসি ও ট্রেজারায় না থাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোনো অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট না করার কারণে মিরপুরে অবস্থিত সেন্ট্রাল ইউনিভাসিটির অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি নাসেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান মঞ্জুরি কমিশনের।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ওমর ফারুক বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা যেন সচেতন থাকেন এবং জেনে-শুনে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাতে পারেন সেজন্য প্রতি সেমিস্টারের আগে এ ধরনের সতর্কতা বা গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপচার্য, প্রো-উপচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অভিহিত করা হয়। সবাইকে ইউজিসির সার্কুলার ও ওয়েবসাইট দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


আরও খবর



গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে গম সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গেল ২০২৩ সালে সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সেই সময়ে এক কেজিও গম সংগৃহীত হয়নি। ফলে গমের বাজার এখন প্রায় পুরোটায় আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটার দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেলেও দেশের বাজারে এই দুটি পণ্যের দাম এখনও চড়া রয়েছে।


কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অন্য দিকে বেসরকারি পর্যায়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম।


জানা গেছে, বর্তমানে দেশে গমের চাহিদা রয়েছে ৮৫-৮৬ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রতি বছর গম উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন এবং সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গম আমদানি হচ্ছে ৭৪-৭৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশের উৎপাদন দিয়ে বড় জোড় ১০ শতাংশ চাহিদা মিটছে।
সূত্র জানায়, দেশে গমের উৎপাদন আগের তুলনায় কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি বছর একটু একটু করে গমের উৎপাদন বাড়ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে ১১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গমের সরকারি মজুদ হচ্ছে ৩ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিকূল বাজার মূল্যের কারণে গত বছর (২০২৩ সাল) সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ অভিযানে ১ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো গম সংগৃহীত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, আমদানি নির্ভরতা বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার মূল্য অধিকাংশ সময়ে ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা প্রতি কেজি গমের দাম ছিল ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা এবং খোলা আটার দাম ছিল ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। চলতি বছরের (২০২৪ সাল) গত মার্চে এর দাম ছিল যথাক্রমে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ৪২ টাকা ৮৯ পয়সা।


খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত গমের আন্তর্জাতিক বাজার দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ (মার্চ ২০২০-মার্চ ২০২৪) বছরের মধ্যে গমের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২২ সালের মার্চে। ওই সময় প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য ছিল- ইউএসএ লাল নরম ৪২৫ ডলার, ইউক্রেনের গম ৪৩৮ ডলার, রাশিয়ার গম ৪১০ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ৪০৮ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ৩৯৩ ডলার। ওই সময়ে দেশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গম ও খোলা আটার দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৩৪ টাকা ৮৫ পয়সা।


বর্তমানে (২০২৪ সালের মার্চের হিসাবে) প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য হচ্ছে- ইউএসএ লাল নরম ২৩২ ডলার, ইউক্রেনের গম ১৯৭ ডলার, রাশিয়ার গম ২০৪ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ২২২ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ২৫০ ডলার। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অনেক কম হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার দাম ২০২২ সালের তুলনায় বেশি।


জানা যায়, স্বাধীনতার আগে দেশে গম উৎপাদিত হতো ১ লাখ মেট্রিক টনের মতো। স্বাধীনতার পর এক দশকে বেড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন হয়। গত ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনে রেকর্ড হয়, ওই সময় গম উৎপাদিত হয়েছিল ১৯ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এরপর আর গমে উৎপাদন সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



সংকটে হজযাত্রীরা, ভিসা জটিলতায় তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

গত ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল হজ ভিসা আবেদনের সময়। এই সময়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় 

হজ করতে ইচ্ছুকদের অনেকেই ভিসার আবেদন করতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ সৌদিতে হাজিদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে না পারা। তবে এই সংকটের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। এ অবস্থায় বিশালসংখ্যক হজযাত্রীর হজ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল সৌদি সরকারের কাছে ভিসার জন্য আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হজের ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে ৯ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে হজ ফ্লাইট।

 

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক বলেন, কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, সেজন্য অংশীজন ও হজের সাথে সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা হয়েছে। তিনটি এয়ারলাইন্স থেকে বিমান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।

ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন,


বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে ইচ্ছুক হজযাত্রীদের বেশির ভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা এর 

অন্যতম কারণ। অল্প কয়েক দিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও 

সম্ভব না।

তিনি বলেন, সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ 

করা হয়েছিল। পাশাপাশি হজ এজেন্সিগুলো এ সময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা 

আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করতে 

হবে।

তবে অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, এখনো যেহেতু অনেক হজযাত্রীই ভিসার আবেদন করতে পারেননি- 

তাই এ অবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করা প্রায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ হজযাত্রীর সবাই ভিসা পাবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

হজ এজেন্সিগুলোর মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন ২৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার বাড়ি ভাড়ার টাকা সরকারের কাছে জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় সে অর্থ আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। একই সঙ্গে মোয়াল্লেম ভিসাও অনুমোদন করা হয়নি। এসব চ্যালেঞ্জের মুখে এবার হজ ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাড়ি ভাড়ার টাকা জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় এখনো সবার অর্থ 

সৌদি আরবের আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। ফলে মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানের জন্য মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলরকে তাগিদ দেওয়া হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তাই এ জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ই দায়ী।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন অবস্থানে মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত 

এজেন্সিগুলোর বিষয়ে বেশ কঠোর অবস্থায় মন্ত্রণালয়। তাই হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময়ই বলা হয়েছিল, এ বছর ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসার আবেদন করা যাবে। কিন্তু এই সময়ে অর্ধেকের বেশি হজযাত্রী ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এ ছাড়া অনেক এজেন্সি নির্দিষ্ট সময়ে টাকাও জমা দেয়নি। ফলে শেষ সময়ে এই বিপুলসংখ্যক টাকা ট্রান্সফার করতেও সময় লাগছে।

এজেন্সিগুলোকে দোষারোপ করে মন্ত্রণালয় বলছে, হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে গত বছরের ৩০ জুন 

এজেন্সিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এই ইস্যুকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়েছে। এখন শেষ সময়ে তারা বাড়ি ভাড়া করতে পারছে না বলে মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছে। প্রতিবারই তারা এ কাজগুলো করে মন্ত্রণালয়কে চাপে রাখে। এ ছাড়া সৌদি আরবে হাজিদের থাকা-খাওয়ায় কোনো সমস্যা হলে দায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি 

দিয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি হজ ও ওমরা হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিয়ম পরিবর্তন করেছে সৌদি সরকার। এর অংশ হিসেবে 

এখন থেকে যেকোনো ভিসায় ওমরাহ পালন করা যাবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল দেশটির 

হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তায় বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে ওমরাহ পালন করা যাবে। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে ওমরাহ করতে কোনো বাধা নেই।

 অবস্থায় ওমরাহ করতে ইচ্ছুক অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সিকে টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ 

উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এজেন্সি মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন বলেন, নতুন নিয়মের কারণে হঠাৎই ওমরা ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। তবে হজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আবার ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করবে তারা। এ ক্ষেত্রে হজ প্রত্যাশীরা চাইলে এজেন্সির কাছ থেকে টাকা ফিরিয়ে নিতে পারেন অথবা ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করলে আবেদন করতে পারেন।

উল্লেখ্যচাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ বা ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



পুরো এপ্রিল জুড়ে থাকবে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

চৈত্রের শুরুর দিকে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলেও মাঝামাঝি সময়ে এসে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে দিনভর তীব্র দাবদাহ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে রাজধানীবাসী তবে রাজধানীতে এখনোকাঠফাটাগরম না পড়লেও দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপপ্রবাহের দেখা পাচ্ছে মানুষ

এদিকে সামনের দিনগুলোতে গরম আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকায় গরমে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলেও সংস্থাটির দেওয়া এক পূর্বাভাসে জানানো হয়। রাজধানী ঢাকায় আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করে হয়েছে ৩৭ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ উঠেছে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে বাগেরহাটের মোংলায়। এই দুই এলাকায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ১৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল সুনামগঞ্জের নিকলিতে। সময়ে সিলেটে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নীলফামারী দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া জেলার সংখ্যা বাড়তে পারে

বৃষ্টির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। ছাড়া অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে

থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়

এপ্রিল মাসে দুচারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট থাকবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা রয়েছে। ফলে এই মাসটিতে প্রকৃতি পরীক্ষা নেবে মানুষের


আরও খবর



২০২৪ কোপায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল প্রতিপক্ষ কে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন : কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে গ্রুপ পর্বে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিলি ও পেরুকে পেয়েছেন লিওনেল মেসিরা। গ্রুপের অপর দল  কানাডা।

আর ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েকে। সঙ্গে যোগ দেবে কোস্টারিকা । আজ মায়ামিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ড্রয়ে এই গ্রুপিং চূড়ান্ত হয়।জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টের ৪৮তম এ আসরে খেলবে ১৬টি দল। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০ সদস্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের (কনক্যাকাফ) ৬ দল।


ড্রয়ে দলগুলোকে এমনভাবে ভাগ করা হয়েছে, যাতে একটি গ্রুপে চার দলই কনমেবলের না হয়, আর কনক্যাকাফের ৩ দল না হয়। গ্রুপিংয়ে আর্জেন্টিনা সঙ্গে পেয়েছে কনমেবলের পেরু ও চিলিকে। এ দুটি দলই ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে খারাপ সময় পার করছে। ১০ দলের মধ্যে ৬ ম্যাচ শেষে চিলি ৮ নম্বরে ও পেরু ১০ নম্বরে অবস্থান করছে। 

এ ছাড়া উরুগুয়ে ‘সি’ গ্রুপে এবং ব্রাজিল ‘ডি’ গ্রুপে হওয়ায় এ দুটি দলের বিপক্ষে ফাইনালের আগে দেখাও হবে না আর্জেন্টিনার। গ্রুপে চতুর্থ দল হিসেবে কনক্যাকাফের কানাডা কে পাবেন মেসিরা। এখানকার ফেবারিট মেক্সিকো প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা ও জ্যামাইকাকে। ‘সি’ গ্রুপে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। উরুগুয়ে ও বলিভিয়ার সঙ্গে আছে কনক্যাকাফের পানামা। ‘ডি’ গ্রুপে কিছুটা কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে ব্রাজিলও। 

এখানে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে। কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। এ মুহূর্তে আঞ্চলিক বাছাইয়ে ব্রাজিল ৬ নম্বরে, কলম্বিয়া ৩ নম্বরে। অন্য গ্রুপসঙ্গী প্যারাগুয়ের অবস্থান সাতে। ব্রাজিলের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে যুক্ত হয়েছে কোস্টারিকা ।

২০ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে কানাডার বিপক্ষে। মায়ামিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুলাই।


আরও খবর