Logo
শিরোনাম

ট্রাম্পকে আবারও হত্যাচেষ্টা, সন্দেহভাজন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

দুই মাসের মাথায় আবারও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় অবস্থিত একটি গলফ ক্লাবে নিজের মালিকানাধীন মাঠে গলফ খেলার সময় তার ওপর হামলা হয়। ঘটনার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার প্রচারণা দল।

জানা যায়, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্পের গলফ কোর্সে তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে

একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প গলফ খেলার সময় ঘটনাস্থলে একাধিক গুলির শব্দ শোনা গেছে। ওই সময় তার সঙ্গে সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা দল ছিল। তারা বন্দুকধারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এফবিআই বলেছে, আপাতদৃষ্টিতে এটি ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে

ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভয় পাবেন না। আমি ভালো আছি এবং কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হননি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। তবে দুনিয়ায় এমন মানুষ আছে যারা আমাদের থামাতে যেকোনো কিছু করতে পারে। আমি আপনাদের জন্য লড়াই থামাবো না। আমি কখনো আত্মসমর্পণ করবো না। আমাকে সমর্থনের জন্য আপনাদের সবসময় ভালোবাসবো। আমাদের একতার মাধ্যমেই আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করব

এফবিআই, সিক্রেট সার্ভিস এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গলফ কোর্সে ট্রাম্পের কাছাকাছি ছিলেন একজন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট। তিনি রিসোর্টের সীমানার কাছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে দেখতে পান এবং তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান

পরে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রায়ান ওয়েসলি রুথ নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব একজনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে থেকে ‘একে-৪৭’ সদৃশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা

আটক রুথের সম্পর্কে বিস্তারিত খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ইউক্রেনের পক্ষে বিদেশি যোদ্ধা সংগ্রহের কাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে

ট্রাম্পকে পুনরায় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট অক্ষত রয়েছেন জেনে আমি স্বস্তি পেয়েছি।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলেও জানান তিনি

একই কথা বলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী কমালা হ্যারিসও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, আমি খুশি যে তিনি (ট্রাম্প) নিরাপদে আছেন। আমেরিকায় সহিংসতার কোনোও জায়গা নেই।’

গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট


আরও খবর



নারী অধিকার দুর্বল হয়েছে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ দেশে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ দেশে নারীর অধিকার দুর্বল হয়েছে গত এক বছরে। নারীর অধিকার দুর্বল হওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে গণতন্ত্র পিছিয়ে যাওয়ার মতো রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন উইমেন (ইউএন উইমেন)। ইউএন উইমেন কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউএন উইমেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতার সঙ্গে লিঙ্গসমতায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এছাড়া অধিকারবিরোধীরা নারী অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে দীর্ঘদিনের ঐকমত্যকে সক্রিয়ভাবে ক্ষুণ্ন করছে।

১৯৯৫ সালের বিশ্ব নারী সম্মেলনের নথির উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রায় এক-চতুর্থাংশ দেশ জানিয়েছে, লিঙ্গসমতার ওপর প্রতিক্রিয়া বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে ১৯৯৫ সালের পর থেকে নারী প্রতিনিধি দ্বিগুণ রয়েছে। তবে এখনো সংসদ সদস্যদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ। ২০১০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। তবে ২০০ কোটি নারী ও মেয়েশিশু এখনো এমন জায়গায় বাস করে, যাদের এ ধরনের সুরক্ষা নেই।

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে যেসব দেশযুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে যেসব দেশ

লিঙ্গভিত্তিক কর্মসংস্থানের বৈষম্য কয়েক দশক ধরে স্থবির হয়ে আছে। ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ৬৩ শতাংশ নারীর বেতনভুক্ত কর্মসংস্থান রয়েছে, যেখানে একই জনসংখ্যার ৯২ শতাংশ পুরুষের কর্মসংস্থান রয়েছে।

প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ মহামারি, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো উদীয়মান প্রযুক্তিগুলোকে লিঙ্গসমতার জন্য নতুন সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউএন উইমেন উপস্থাপিত তথ্যে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন সহিংসতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ৯৫ শতাংশই শিশু বা তরুণী। ২০২৩ সালে ৬১ কোটি ২০ লাখ নারী সশস্ত্র সংঘাতের ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) মধ্যে বাস করতেন, যা ২০১০ সালের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি।

ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার ১২টি দেশে, কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ নারী অনলাইনে এক বা একাধিক ধরনের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে অব্যাহত রয়েছে। জীবদ্দশায় প্রায় তিনজনের মধ্যে একজন নারী তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হন অথবা তার সঙ্গীর বাইরের কারও দ্বারা যৌন সহিংসতার শিকার হন।

প্রতিবেদনে লিঙ্গবৈষম্য মোকাবিলায় একটি বহুমুখী রোডম্যাপ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে; যাতে এআইয়ের মতো নতুন প্রযুক্তিতে ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য ব্যবস্থা, দারিদ্র্য মোকাবিলায় বিনিয়োগ এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী সংগঠন হিযবুত তাহরীর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পুলিশ সদর দফতর। জানিয়েছে, হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ সংগঠন। আইন অনুযায়ী তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।৭ মার্চ এক ক্ষুদে বার্তায় এই হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশ সদর দফতরের বার্তায় বলা হয়, হিযবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় সরকার ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকে সংগঠনটির যেকোনো কার্যক্রম বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর যেকোনো প্রচারণামূলক কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তা দমনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ কর্মসূচি ঘোষণা করায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে হিযবুত তাহরীরের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। তারা হলেন- মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)।

সিটিটিসি সূত্র জানায়, রাতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সেক্টর-১১ ও সেক্টর-১২ এলাকায় হিযবুত তাহরীরের কতিপয় সক্রিয় সদস্য ৭ মার্চ বায়তুল মোকাররাম মসজিদ এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ নামক একটি সমাবেশ পালনের বিষয়ে গোপন পরিকল্পনা করছে। এমন খবরে সিটিটিসির টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে।

সিটিটিসি সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত আলামত থেকে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



পতিত স্বৈরাচারের বিপুল বিনিয়োগে দেশে নৈরাজ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পতিত স্বৈরাচার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, সম্প্রতি নারীদের ওপর যে জঘন্য হামলার খবর আসছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এই ‘নতুন বাংলাদেশে’ নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা আমাদের সব শক্তি প্রয়োগ করে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।

দেশের সব মানুষকে নিয়ে নারীবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নারীবিরোধী যে শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে আমরা দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই মোকাবিলা করব। তাছাড়া, আমাদের সমাজে এখনও এমন বহু মানুষ আছে যারা নিপীড়িত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাদের খাটো করে দেখে, অবজ্ঞার চোখে দেখে। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে, বৈষম্যহীন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীর পাশে দাঁড়ানোর, তাদেরকে সমর্থন জানানোর, কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সমাজে নারীকে খাটো করে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। তা না হলে আমরা জাতি হিসেবে এগোতে পারব না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সাথে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।

সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ‘নতুন বাংলাদেশ’-এ আমরা আমাদের প্রত্যাশী পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মা’র, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনও অনেকক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুঃস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ নানান ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।


আরও খবর



তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

সোমবার থেকে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



দমনপীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় দমনপীড়নে অংশ না নিতে জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।, তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধের সতর্ক বার্তা দিয়েছিল জাতিসংঘ।

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (৫ মার্চ) বিবিসির ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠানের এই পর্ব প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে জানান বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার। জবাবে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমনপীড়ন চালিয়েছিল। তাদের (ছাত্ররা) জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি।

‘আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।’ বলেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই হাইকমিশনার বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটছি, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম। এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল।

ভলকার তুর্ক আরও বলেন, আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেওয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।

২০২৪ সালের জুলাইতে শুরু হওয়া সরকারি কোটা সংস্কারের আন্দোলন সংহিসতার জেরে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলন ঠেকাতে ব্যাপক দমন পীড়ন চালায় আওয়ামী লীগ সরকার। তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দল অনুসন্ধান চালায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই তথ্যানুসন্ধানের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগের মতো ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন, বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছিল।

বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার পর জেনেভায় বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ভলকার তুর্ক।

সেখানে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমাতে শেখ হাসিনাসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন বলে জানান তিনি।


আরও খবর