Logo
শিরোনাম

ট্রেজারি বিল ও বন্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



বিডি টুডে রিপোর্ট:



ব্যাংকগুলো ক্রমবর্ধমান সুদের হার থেকে বেশি মুনাফা পেতে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই ও ২৯ মে সময়ে সরকার বিল ও বন্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ৭৮ হাজার ১১৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের ১৭ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকার চেয়ে ৩৩৭ শতাংশ বেশি।



মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেওয়া কমালে বিল ও বন্ডের মাধ্যমে সরকারের ঋণ নেওয়া বাড়তে থাকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।


এদিকে ক্রমবর্ধমান সুদহারের কারণে ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়ার চেয়ে বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী। কারণ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ নিরাপদ, কিন্তু ঋণ মন্দ হওয়ার আশংকা থাকে।



কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ডের ব্যাপারে আগ্রহী। তারা তাদের উদ্বৃত্ত তারল্যের একটি বড় অংশ এসব উপকরণে বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিলের সুদের হার বর্তমানে ১১.৬০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে আছে। 


অথচ গত বছরের জুনে তা ছিল ৬.৭৫ শতাংশ থেকে ৭.৭৫ শতাংশ। এছাড়া সম্প্রতি বন্ডের সুদের হার ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২.৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। টেজারি বিলগুলোর স্বল্পমেয়াদী ম্যাচিউরিটি ও বন্ডগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ম্যাচিউরিটি সময়কাল রয়েছে।


 এদিকে সরকারি সিকিউরিটিজে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বেশি হওয়ায় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উদ্বৃত্ত তারল্য বেড়েছে, যার মধ্যে ট্রেজারি বিল ও বন্ডসহ নগদ ও নগদ অর্থের সমতুল্য সম্পদ রয়েছে।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল শেষে উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২০৫ কোটি টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।


ব্যাংকাররা জানান, বিল ও বন্ডকে লিকুইড অ্যাসেট হিসেবে বিবেচনা করা হলেও সেকেন্ডারি মার্কেট এখনো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেনি। তাই তাত্ক্ষণিকভাবে এগুলো নগদে পরিণত করা যাবে না। সুতরাং, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখানো উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ প্রকৃত তারল্য পরিস্থিতি নয়। তার প্রমাণ বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংক তারল্যসংকটে ভুগছে।



 অন্যদিকে গত ছয় মাসে ব্যাংকগুলো রেপো ও তারল্য সহায়তার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রতি কর্মদিবসে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।


ব্যাংককাররা জানান, ব্যাংকিং খাতে তারল্যসংকট রয়েছে। কোনো কোনো ইসলামি ব্যাংক এক বছরের বেশি সময় ধরে তারল্যসংকটে ভুগছে। 


এর প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে। এছাড়া ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো বর্তমানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




জানুয়ারিতে পাঁচ দফা শৈত্যপ্রবাহের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জানুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৫টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে শীত বাড়বে এবং তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। বুধবার (১ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, ‘জানুয়ারিতে একটি থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং একটি থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। বুধবার থেকে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, সিলেট বিভাগে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়বে। ধীরে ধীরে মধ্যাঞ্চল হয়ে দেশের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত এর বিস্তার হতে পারে।

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, এই দফাতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা শুক্রবার পর্যন্ত থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিন কুয়াশার ব্যাপ্তিও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরা হিমেল হাওয়ার প্রভাবও বাড়তে থাকবে। পুরো মাসজুড়েই শীতের অনুভূতি বেশি থাকবে।

এদিকে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।


আরও খবর



তারেক রহমানের আরও চার মামলা বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিলই থাকবে।

রবিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন শুনানি শেষে তা খারিজ করে এ রায় দিয়েছেন। এর ফলে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় চাঁদাবাজির চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওয়ান ইলেভেনের ওই সময় দায়ের করা এ চার মামলা গত বছরের ২৩ অক্টোবর খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ চার মামলা বাতিল করেন।

মামলা বাতিলসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাষ্ট্রপক্ষের এসব আবেদন শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, মামলা বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা সঠিক হয়নি।

২৩ অক্টোবর আদালত চত্বরে ব্রিফিংয়ে তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই দিন জানান, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মামলার সুরাহা করতে চান তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৮০টির মতো মামলা রয়েছে। যেগুলো আইনিভাবেই মোকাবিলা করা হবে।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া সব রাজনৈতিক মামলা নিষ্পত্তির পরই তারেক রহমান নিজের মামলার নিষ্পত্তির ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছেন। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




শহীদ জিয়া সৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



আরও খবর



শীতার্তদের পৌনে সাত লাখ কম্বল দেবে সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশেই জেঁকে বসেছে শীত। পৌষের শুরু থেকেই সারা দেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এ পরিস্থিতিতে ৬ লাখ ৭৯ হাজার কম্বল দেওয়া হবে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে।

এসব কম্বল কিনতে আট বিভাগের ৬৪টি জেলার ৪৯৫টি উপজেলা ও সব পৌরসভার জন্য ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এবার শীত মৌসুমের শুরুতেই মন্ত্রণালয় থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলায় শীতার্তদের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যে ১৫ হাজার ২৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ করা কম্বল যথাযথভাবে বিতরণ এবং মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের। একই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে কম্বল ক্রয় করে দুস্থদের মাঝে বিতরণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



কুবিতে তিন দপ্তরে 'বিশৃঙ্খলার' অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গত ১২ জানুয়ারি গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা অর্ণব সিংহ রায়কে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। উক্ত ঘটনায় 'বিশৃঙ্খলার' অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দপ্তরে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে, উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দপ্তর প্রধানরা মন্তব্য করতে নারাজ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তর, প্রক্টর দপ্তর এবং ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরে এই অভিযোগপত্র জমা দেন তারা। অভিযোগপত্রের বিষয় জানতে দপ্তর প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা 'এ বিষয় কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না' বলে জানান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১২ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের মাহফুজ অন্তর, মার্কেটিং বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শাহাদাত তানভীর রাফি, ফার্মেসী বিভাগের ১৫তম আবর্তনের সাদী, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১৬তম আবর্তনের মোহাম্মদ রাফি দ্বারা 'গণিত বিভাগের টিচার্স রুম ভাঙচুরের হুমকি, সাংবাদিকদের পা চাটা গোলাম বলে আখ্যায়িত এবং তাদের প্রাণনাশের হুমকির' মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন।

এছাড়া অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্বেও হলের সামনে জ্বালাও পোড়াও, প্রশাসনিকভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি, সিনিয়র পেটানোর মনোভাব, গণিত বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের খেলায় মারামারির মূল হোতাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

পাশাপাশি অভিযোগপত্রে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানায় তারা।

অভিযোগপত্রের বিষয় গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী হুজাইফা হামিম বলেন, 'জুলাই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্য দূর করা। আইনের সুসংহত প্রয়োগ করা। কিন্তু এই ঘটনার পর মনে হচ্ছে নতুন করে একটি দল সাধারণ ছাত্র নাম ধরে সেই পুরনো ক্ষমতা প্রয়োগের খেলায় মেতে উঠেছে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে যেরকম ঔদ্ধত্য দেখা গেল, এর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যাবস্থা না নিলে সামনে আরও খারাপ কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে। বিচার নিশ্চিত করার নামে একটা মব জাস্টিস বলি বা এটাক বলি, আমরা যেন তারই প্রতিচ্ছবি দেখলাম। যা হতাশাজনক।

গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ফরহাদুল ইসলাম নাঈম বলেন, 'গতকাল যে ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর সুষ্ঠু বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কখনো শিক্ষার্থীদের অনুকূলে থাকবে না। আমরা এখানে মারামারি দেখতে আসি নাই। কেউ যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তার বিচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। নিজের হাতে আইন তুলে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বেও কেউ মেনে নেয়নি, বর্তমানেও কেউ মেনে নিবে না।

গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, 'গতকাল বাইরের বিভাগ থেকে কয়েকজন গণিত বিভাগের অভ্যন্তরে টিচার্স রুমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে। এমনকি নানান পোস্টে শিক্ষকদের নাম ধরে উনাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। একজন গণিত বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং যারা এই স্পর্ধা দেখিয়েছে তাদের বিচার এর আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, 'আমার কাছে একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছে। এটা যদি শৃঙ্খলা বিরোধী কিছু হয় তাহলে প্রক্টর স্যারের কনসার্ন লাগবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ঐরকম মন্তব্য করতে পারব না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা একটা মিটিং করব তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিব।

 উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'আমি এখন ঢাকায় আছি। এই মূহুর্তে অভিযোগপত্র না পাওয়ায় আমি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। আগামীকাল অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্র দেখে মন্তব্য করতে পারব।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫