
শনিবার সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে ঢাকার
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ছেড়ে
যাওয়ার সময় ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করাও যেন এক
যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে পাশ কাটিয়ে তাই অনেকে প্রবেশ করেন জানালা দিয়ে। শেষ পর্যন্ত
দরজায় যাত্রী ঝুলিয়ে নিয়েই স্টেশন ত্যাগ করে একতা এক্সপ্রেস।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে
দেখা যায় ঈদ যাত্রার এই চিত্র। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষেরা দরজায় ঝুলেই রওনা
হয়েছেন নিজ গন্তব্যে।
এসময় কথা হয় একতা
এক্সপ্রেসের যাত্রী আল আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদ আসছে, বাড়ি তো যেতেই হবে। আমি
সিটে বসেই যেতে পারছি, অনেকে দাঁড়িয়েই যাচ্ছে। আসলে সবাই নিজের বাড়ি যাওয়া জন্য
অপেক্ষা করছিলেন। তাই দাঁড়িয়ে বা বসে যেভাবেই হোক বাড়ি যাওয়াটাই তাদের কাছে
গুরুত্বপূর্ণ।
আরেক যাত্রী মো.
আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ আগেই। তিনি বলেন, আমি স্ট্যান্ডিং
টিকিট কেটেছিলাম। তাই দাঁড়িয়েই যেতে হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে যে পরিমাণ মানুষ তাতে
দাঁড়ানোর জায়গা পেলেই হলো।
পঞ্চগড়গামী একতা
এক্সপ্রেস (৭০৫) ট্রেনটি ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ১০টা ১৫
মিনিটে। কোনও বিলম্ব ছাড়াই নির্ধারিত সময়েই ট্রেনটি ঢাকা ত্যাগ করে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের
স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল থেকে ঢাকা স্টেশন থেকে
সবগুলো ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়। কোনও বিলম্ব ছাড়াই।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা
উপলক্ষে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত ১৬২টি যাত্রীবাহী কোচ
যুক্ত করার কথা জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেন ছাড়ার ১২ ঘণ্টা আগে এসব কোচের টিকিট
অনলাইনে কেনা যাচ্ছে। এছাড়া অন্য ট্রেনগুলোতে মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট
স্টেশন থেকে ছাড়া হচ্ছে ট্রেন যাত্রা শুরুর আগে আগে।এর বাইরে বুধবার (১২ জুন) থেকে
১০ জোড়া (২০টি) ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু করছে। ঈদযাত্রার ভিন্ন ভিন্ন দিনে
চলাচল করবে এসব ট্রেন।