Logo
শিরোনাম

তরিকা সমূহের বর্ণনা, তরিকা কি ?

প্রকাশিত:শনিবার ০১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবেষক

বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ :

কাদেরিয়া তরিকা
চিশতিয়া তরিকা
নকশবন্দিয়া তরিকা
মোজাদ্দেদিয়া তরিকা
মাইজভান্ডারীয়া তরিকা

তরিকা কি?
তরিকা শব্দটি আরবী তারিক শব্দ হইতে পরিগৃহীত হইয়াছে, ইহার বাংলা অর্থ হইল পথ, রাস্তা ইত্যাদি। কিন্তু অবশ্যই বুঝিতে হইবে যে, এই পথ কোন সাধারণ পথ নয় বরং মহান আল্লাহ্র নৈকট্য হাসিল করার নিমিত্তে যে পথ অতিক্রম করা হইয়া থাকে মূলত সেই পথকেই তরিকা বলা হইয়া থাকে। ইসলামী আধ্যাত্মিক পরিভাষায় তরিকা হইল বেলায়েতের জ্ঞান অর্জন করিতে আল্লাহর অলিগণের প্রবর্ত্তিত বিভিন্ন সাধন পদ্ধতি আর সে পথটির সিলসিলা হইতেছে নিম্নরূপ:

পবিত্র কোরআনের দিক নির্দেশনা এবং রাসূল সা. ও তাঁহার পবিত্র আহ্লে বাইত আ.- এর দিক নির্দেশনার আনুগত্য করাই হইতেছে- মহান আল্লাহ্র নৈকট্য হাসিল অর্থাৎ পরিপূর্ণতায় পৌঁছানোর পথ।
পবিত্র কোরআনে বলা হইয়াছে:

লাকাদ কানা লাকুম ফি রাসুলিল্লাহ্ উসওয়াতুন হাসানাহ্…”

অর্থ: আল্লাহ্ রাসূলের মধ্যেই রহিয়াছে তোমাদের জন্য সকল সুন্দরের আদর্শ।

রাসূল সা. কর্তৃক মদিনা মোনওয়ারাহ্তে তৌহিদ বা এলাহিয়্যাতের শিক্ষা তথা মারেফাত অর্জনের যে শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহার পথ চলা শুরু হইয়াছিল পবিত্র কোরআন ও রাসূল সা.-কে আনুগত্যের মাধ্যমে। হযরত আলী রা. যেহেতু রাসূল সা.-এর একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত এবং গোপন ভেদের আমিন ছিলেন তাই তাঁহার পরে তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি এই শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন। তিনি স্বীয় জীবদ্দশায় বহু শিষ্য তৈরী করিয়াছিলেন এবং রাসূল সা.- এর পরে তাঁহার সকল শিষ্যই হযরত আলী রা.-এর শিষ্যে পরিণত হইয়াছিলেন।

হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সা.- কে সূফীগণ প্রথম ও শ্রেষ্ঠ পীর বলিয়া অভিহিত করেন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের মূল উৎস বলিয়া মনে করেন। সেই জন্য হযরত রাসূলে করীম সা. হইতেই সমস্ত তরিকার উদ্ভব।

হযরত নবী করীম সা. তাঁহার বিশেষ কিছু সাহাবীকে মিনহাজ বা তাসাওউফ বা তত্ত্ব দর্শন শিক্ষা দান করিয়াছেন। তাঁহাদের উল্লেখ যোগ্য হইলেন - হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা., হযরত ওমর ফারুক রা., হযরত আলী রা., হযরত সালমান ফারসী রা., হযরত আবু জর গিফারী রা., হযরত আবু হোরায়রা রা., হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রা., হযরত মিকদাদ রা., হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রা., হযরত মাআজ রা. প্রমুখ।

হযরত আবু বকর রা.-এর মাধ্যমে বর্তমানেও দুইটি তরিকার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

এই তরিকা দুইটি হইল: নকশবন্দিয়া ও মুজাদ্দেদিয়া।

হযরত ওমর রা.-এর মাধ্যমে প্রচারিত তরিকার বর্তমানে কোন অস্তিত্ব নাই। হযরত সালমান ফারসী রা. ইয়ামেন অঞ্চলে তরিকত প্রচার করিতেন। নকশবন্দিয়া ও মোজাদ্দেদিয়া তরিকার শাজারা মোবারকেও তাঁহার নাম রহিয়াছে।

হযরত আলী রা.-এর মাধ্যমে প্রচারিত তরিকার উপর ভিত্তি করিয়াই কাদেরিয়া, চিশতিয়া ও মাইজভান্ডারীয়া তরিকা  সহ বিভিন্ন তরিকা ও উপ-তরিকা বর্তমানে বিদ্যমান রহিয়াছে। তাঁহার প্রচারিত তরিকা প্রধানতঃ তাঁহার পুত্রদ্বয় হযরত ইমাম হাসান রা. ও হযরত ইমাম হোসাইন রা. এবং বিশিষ্ট তাবেঈন হযরত হাসান বসরী রহ.-এর মাধ্যমে প্রচারিত হইয়াছে।  

বিভিন্ন তরিকার নিয়ম-কানুন, আধ্যাত্মিক সুলুক ও তালিম সু-সংগঠিত ও সু-সংবদ্ধ হয় খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর দিকে। ইহার পূর্বে সূফীগণের আধ্যাত্মিক অনুশীলন মুখে মুখে চলিয়া আসিতেছিল। এই সময় (১০ম শতাব্দীতে) আধ্যাত্মিক সাধনার সু-বিখ্যাত কুতুব ও প্রৌজ্জ্বল পীর-মোর্শেদগণ বিভিন্ন তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সকল সূফী-পীর স্বীয় তরিকার ইমাম ও কুতুব হিসাবে পরিগণিত। কাল-কালান্তরে হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা., হযরত আলী রা.ও হযরত ওয়াইস করনী রহ.-এর তরিকার উপর ভিত্তি করিয়াই উল্লেখযোগ্য সূফী-সাধকগণের মাধ্যমে অনেক তরিকা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তাঁহাদের সাধন পদ্ধতির পার্থক্যের কারণেই তরিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাইয়াছে। তরিকা সমূহের সংখ্যা নির্দিষ্ট করিয়া বলা দুষ্কর। কাহারো মতে, তিন সহস্র বা ততোধিক। এই সকল তরিকার মধ্যে বহু সংখ্যক তরিকা অবলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। প্রায় চারশত তরিকার সন্ধান পাওয়া যায়।

বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণঃ

ভারত বর্ষে তিন শতাধিক তরিকার মধ্যে বহুল পরিচিত তরিকা গুলি হইল - কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, মোজাদ্দেদিয়ামাইজভান্ডারীয়া । 


( চলবে ...........)


আরও খবর



বিনিয়োগকারীদের ৩০০% নগদ লভ্যাংশ দেবে ওয়ালটন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। অর্থাৎ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা লভ্যাংশ বাবাদ এ মুনাফা দেওয়া হবে। জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পূর্ব ঘোষিত পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

একই সভায় উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের শেয়ার প্রতি ৯ টাকা করে মুনাফা দেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা। সেখান থেকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ টাকা আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯ টাকা করে মুনাফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগের বছর ২০২২ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। সে বছর শেয়ার সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগের বছর ২০২১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ডিজিটাল মাধ্যমে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ অক্টোবর।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১১১ টাকা ৮৪ পয়সা। যা আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৭ টাকা ৯১ পয়সা।

২০২০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ‍্যা ৩০ কোটি ২৯লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। বৃহস্পতিবার সেই শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায়।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




টিকার ট্রায়ালে সহযোগিতা করবে সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করা এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ রোধে ট্রায়াল পর্যায়ে থাকা টিকাকে আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই টিকার দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ বা আইসিডিডিআরবি। এখন তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল দরকার। সেই ট্রায়ালে সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

২ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির কার্যক্রম চলছে। আমাদের দেশে যে টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে তা এখনো ট্রায়াল অবস্থা চলছে। আইসিডিডিআরিবি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এর আগেও কলেরা টিকা আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এই ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়েও যে সহযোগিতা চাইবে তা আমরা করব।

জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ইপিআইয়ের মাধ্যমিক ১৩টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আর এই কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। জরায়ুমুখের ক্যানসারের এই টিকাদানের মাধ্যমে আমরা দেশে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করছি। এই জরায়ুমুখ ক্যানসার নীরব ঘাতক। প্রতি বছর দেশে পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। সারাবিশ্বের তিন লাখের মতো নারী এই রোগের কারণে মারা যায়। যেহেতু একটি ভাইরাস দ্বারাই এই ক্যানসার হয়ে থাকে, তাই এই ভ্যাকসিন নারীদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। সাইড ইফেক্ট নেই। এই ভ্যাকসিন নিয়ে সারাজীবনের জন্য ক্যানসার থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। তবে তার মানে এই না যে স্ক্রিনিং করা লাগবে না। নারীদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন।

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে সারাদেশে এক কোটি কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নয় থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে পুরো কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিক অবস্থায় রাজধানীতে দেওয়া হবে। পরে অন্যান্য জেলায় দেওয়া হবে। এই টিকা দিয়েছে গ্যাভী।

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়েছে। এমনকি সেগুলোতে আন্তর্জাতিকমানের সেবা পাওয়া যাচ্ছে, ফলে দেশের বাইরে থেকেও অনেকেই সেবা নিতে আসছে।

জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন ৭০ হাজারের বেশি শয্যা, যা আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ৪০ হাজারও ছিল না। শুধু শয্যাই বাড়াইনি, অক্সিজেন সাপ্লাইসহ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। যে কারণে সরকারি চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা এসেছে এবং তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। আমরা চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজগুলোতে সিট সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজে সিট আছে পাঁচ হাজারের বেশি, যা আগে ছিল তিন হাজারের মতো।


আরও খবর



বিশ্বকাপ ভাবনায় নতুন পেসার তানজিম

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দিনে দিনে আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেনরা গড়ে তুলেছে সমীহ করার মত এক লাইনআপ। এশিয়া কাপের শুরুতেই অবশ্য ছিটকে গিয়েছিলেন এবাদত। তার বদলে ডাক পেয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবকে। তবে সুযোগ যখন পেয়েছেন, সেটা দুহাতেই লুফে নিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা।

নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন তানজিম সাকিব। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার রোহিত শর্মাকে। এরপরেই জুনিয়র সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সাজঘরে ফিরেছেন তিলক ভার্মা।

ম্যাচ শেষে আলাদা করে কথা উঠলো নতুন এই পেসারকে নিয়ে। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতে সে বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি রাখল, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়ে তানজিম বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি তুলেছে।

হাথুরুসিংহে বলেছেন, এটা বলতে পারি, এই ম্যাচ দিয়ে সে বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি তুলল। আমরা চাইছি বিশ্বকাপে ইনজুরিমুক্ত চার পেসার। কারণ, এবাদত চোটে পড়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না।

এবাদতের শূন্যতা পূরণের মতো সামর্থ্য তানজিমের আছে, এমনটাই বিশ্বাস করেন কোচ হাথুরু, আমার বিশ্বাস, আমরা যদি বিশ্বকাপে তার ওপর আস্থা রাখি বা দল নির্বাচনের সময় তার কথা ভাবি, সেটা ভুল হবে না। ও দেখিয়েছে ও কী করতে পারে। সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে থাকবে সে। এ ছাড়া সে ভালো ব্যাটিংও করতে পারে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সাইফার মামলায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরানের !

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই মামলায় ইমরান খান ও কোরেশির মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

০১ অক্টোবর দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে সাইফার মামলার বিচারের লক্ষ্যে একটি বিশেষ আদালত গঠিত হয়েছে। এফআইএ-এর কর্মকর্তারা এই আদালতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশি ছাড়াও এই মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিষয়টির সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র। চার্জশিটে কয়েকজনকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এফআইএ-এর কর্মকর্তারা চার্জশিটে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৫ ও ৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ১৪ বছরে কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ এই চার্জশিটকে অস্বীকার করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে।

এদিকে তদন্ত সংস্থা এই মামলায় সব মিলিয়ে ২৭ জনকে সাক্ষী করেছে। তাদের মধ্যে প্রায় সবাইকে এই মামলায় আদালতে এসে সাক্ষ্য দেওয়ানো হবে। এরই মধ্যে মামলার প্রধান সাক্ষী আজম খান ইমরান খানে বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ইমরান খান সে সময়ে পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরানোর জন্য ওই গোপন নথির বিষয়টিকে সামনে এনেছিলেন।

আজম খান বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ইমরান খান আজম খানকে বলেছিলেন যেতিনি জনসাধারণের সামনে ওই গোপন নথিটি প্রকাশ করবেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, তিনি ইমরান খানকে সেই নথি দিয়েছিলেন এবং পরে বারবার ফেরত চাইলেও ইমরান খান সেটি ফেরত দেননি।


আরও খবর



হাসিনা-মোদি বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও একান্ত বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মোদি।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় এবং একান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৈঠক শেষে মোমেন জানিয়েছেন, হাসিনা-মোদি বৈঠকে তিস্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। কিছুক্ষণ তারা একান্তে আলোচনা করেছেন।

এই একান্ত বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কিনা- সে বিষয়ে কিছুই জানেন না মোমেন।

মোমেন বলেন, মোদির আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা দিল্লি সফর করছেন। তিনি দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছান। সাড়ে ৫টায় মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়। একান্ত বৈঠকও হয়।

মোমেন আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন। জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

গ্লোবাল সাউথের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে জি-২০তে তুলে ধরার জন্য তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদিও জি-২০তে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য হাসিনাকে সাধুবাদ জানান।

মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেন, ভারত হলো বাংলাদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম  অংশীদার। ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধও তিনি মোদিকে করেছেন।

জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিনটি সমঝোতাপত্র সই হয়েছে। কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প ২০২৩ থেকে ২৫ এবং দুই দেশের মুদ্রার বিনিময় সহজতর করা নিয়ে।

এদিকে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় টুইট করে বলেন, আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’

মোদি বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত নয় বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩