Logo
শিরোনাম
নওগাঁয় দুদু

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর দাবি আদায়ে সারা দেশে আন্দোলন আরো জোরদার করতে হবে বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আরো বলেছেন, শিগগির নতুন আন্দোলনের ডাক আসবে। সেই আন্দোলন কে আমরা আগামী জুনের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।

শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে তিনি নওগাঁয় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, নির্যাতন, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি'র প্রতিবাদ সহ সরকার পতনের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলা বিএনপির আয়োজনে নওগাঁ জেলা শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, আমাদের নেতা নতুন করে আন্দোলন শুরু করছেন। এর আগে পরীক্ষা হিসাবে বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহী, খুলনা, ঢাকাসহ সব বিভাগে সমাবেশ হয়ে গেছে। এবার কিন্তু নতুন পর্যায়ের আন্দোলন হবে। এটা হচ্ছে শেষ আন্দোলন। শিগগির নতুন আন্দোলন কর্মসূচি আসছে। এই আন্দোলনকে আমরা আগামী জুনের মধ্যে একটা যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার সব করা হবে।

তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, আমরা বলেছি, বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে। কিন্তু তারা সেটা করেনি। আমাদেরকে আইন ভাঙতে বাধ্য করবেন না। প্রয়োজন হলে জেল ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসব। এখনো সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। সম্মান থাকতে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যান। এরপর যদি যান বেইজ্জতি হবে। তখন বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে মাফ করবে না।

এসময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষমতা নেই। এখন প্রশাসনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। পুলিশ ও প্রশাসন সহায়তা না করলে আপনারা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিদায় নেবেন। পুলিশ যদি একটুখানি বিশ্রামে যায় আর প্রশাসনের লোকজন যদি আওয়ামী লীগকে চিনতে না পারে তাহলে তাদের বিদায় নিতে বেশি সময় লাগবে না।

নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কর্নেল (অবঃ) আব্দুল লতিফ খান, কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জোহা খান, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌর সভার মেয়র নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আব্দুল মতিন প্রমুখ।


আরও খবর



রূপগঞ্জে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চির মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের গুলিতে আহত হোটেল কর্মচারী বিল্লাল হাওলাদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।

    নিহত বিল্লাল হাওলাদার বরিশালের মুলাদী থানাধীন বোয়ালিয়া গ্রামের হাকিম হাওলাদারের ছেলে।

  হামলাকারীরা সবাই রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজীর মাহমুদ রিয়াজের কর্মী বলে জানান গেছে।

রূপগঞ্জ থানার ওসি/তদন্ত আতাউর রহমান জানান,গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বরপা এলাকায় একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী রিফাতের মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগলে প্রাইভেটকারের চালকের সাথে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য তারাব পৌর যুবলীগের ত্রান বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ স্থানীয় প্রিন্স হোটেলে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশী বসে। সালিশীতে একপর্যায়ে বায়েজীদের সাথে তর্ক হয় রিফাতের। এর জের ধরে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রিফাত ও তার সহযোগীরা।  সেখানে হামলাকারীরা এলোপাধারী গুলি ছুড়লে প্রিন্স হোটেলের বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।      

      হামলার ঘটনায় বুধবার  বাবুর্চির স্ত্রী সাজেদা বেগম থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত  মামুন ও অপু সাউদ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।

     এদিকে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার। 

     এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি/ তদন্ত আরো জানান।

    তারাবো পৌর যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বায়োজিদ অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক হামলা ও গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন তার ব্যাপারে সর্বদা উদাসীন।

এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 


আরও খবর



মোখা’ থেকে ফসল রক্ষায় ১০ পরামর্শ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ১২ মে অতি প্রবল আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে ধান ও অন্যান্য ফসল রক্ষায় বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা (বামিস)।

আগামী ১৪ মে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ঝোড়ো হাওয়া এবং হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য জরুরি কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের জন্য বিশেষ এই পরামর্শের কথা বলা হয়।

১. বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন।

২. সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে মাঠে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখুন যেন ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতি না হয়।

৩. দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল সংগ্রহ করে ফেলুন।

৪. সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।

৫. দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।

৬. নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।

৭. খামারজাত সব পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখুন।

৮. আখের ঝাড় বেঁধে দিন, কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।

৯. পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দিন যেন ভারী বৃষ্টিপাতের পানিতে মাছ ভেসে না যায়।

১০. গবাদি পশু ও হাঁসমুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




এক সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে সিলগালা

ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন ১৭তলা ভবন ডি-ব্লকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি বিভাগের মধ্যে অনেক বিভাগও এ ভবনেই। অথচ ভবনটি রয়েছে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকিতে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুটি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবন এক সপ্তাহের মধ্যে সিলগালা করার নির্দেশনা দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পরে ভবনগুলো ভেঙে ফেলতেও বলা হয়েছে। রাজউক থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্স প্রদানের জন্য ঢাকায় ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর আইপিজিএমআরকে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল সংসদীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রূপান্তর করা হয়। আইপিজিএমআর থেকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. তাহির। ওই সময় ডি-ব্লক নির্মাণ করা হয় এবং এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ছিলেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হুমায়ুন কবির।

জানা গেছে, বর্তমানে বিএসএমএমইউতে ৫৬ বিভাগের অধীন ১ হাজার ৯০৪ শয্যা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৯টি ভবন। এ ছাড়া গত বছর সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিএসএমএমইউর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভবন ডি-ব্লক। ১৭তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠান ও রাজউকের যৌথ গবেষণায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভবনটি ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ বিএসএমএমইউর ভিসির কাছে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন জাহানের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন কারিগরি কমিটির গবেষণাকালে ৪২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। তাই কারিগরি কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিএসএমএমইউর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি ভবন আগামী সাত দিনের মধ্যে সিলগালা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অতিব গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠির বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মোবারক হোসেন বলেন, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে দেখা গেছে, রাজউকের আওতাধীন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ২২৯টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৪২টি ভবন রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়, যেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। আর ১৮৭টি ভবন কম ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোকে রেক্ট্রোফাইটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। এসব ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা বাইরের প্রকৌশলীদের নিয়ে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন ভবনটি ঠিক আছে। এটি কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হলো, তা জানতে রাজউককে চিঠি দিয়েছি। রাজউক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভবনটিতে অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এত যন্ত্রপাতিসহ একটি ভবন ভেঙে ফেলা সহজ নয়। রাজউক যদি বুয়েটের টিম দিয়ে ফের পরীক্ষার কথা বলে থাকে, তাহলে আমরা পরীক্ষা করাব। তারপরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, ১৭ তলা বিশিষ্ট ডি-ব্লক নামের ভবনটি নতুন হলেও নকশা অনুযায়ী হয়নি। ভবনটির ভেতরে অপ্রশস্ত করিডোর, জরুরি নির্গমন না থাকা, লিফট স্থাপনও সঠিকভাবে হয়নি। ভবনটি চরম অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনটি গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মাণ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছে। আমরা বলেছি, ভবনটি বিধিবিধান মেনে নির্মাণ হয়নি। এখন তারা যদি আমাদের গবেষণা রিপোর্ট মানতে না চায়, তাহলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাধ্যমে ফের পরীক্ষা করাতে পারে। সে সুযোগ তো তাদের আছে। ভবনটি এখনই ভেঙে ফেলত হবে, এমন নয়। তবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ভবনটি খালি করে সিলগালা করা উচিত।

গবেষণা দলের একজন সদস্য বলেন, ১৭ তলা ভবনটি একবারে নির্মাণ করা হয়নি। প্রথমে কয়েকতলা নির্মাণ করা হয়েছে। এর কয়েক বছর পর আবার কয়েক তলা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশা অনুযায়ী গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবনটি নির্মাণ করে। ভবনটিতে দুটি ফায়ার এক্সিট রাখার দরকার হলেও একটিও রাখা হয়নি। ভবনের ভেতরের করিডোর একেবারে চিকন। সিঁড়ি দুটি এমনভাবে করা হয়েছে, আগুন লাগলে মানুষ সেগুলো দিয়ে বের হতে পারবে না। ভবনটি একটি বাক্সের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। কত সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি। এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হাজারো মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

রাজউকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্লান (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আওতাধীন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ করতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গবেষণার দায়িত্বে ছিল জেভি অব এনকেওয়াই (তুর্কি)। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ঢাকার শেলটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডিএমডিপি এলাকার ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের রেপিড ভিজ্যুয়াল অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএ) এবং প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) করে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণ করে। গবেষণাকালে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর কম ঝুঁকির তালিকায় আছে ১৮৭ ভবন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদন আকারে রাজউকে দাখিল করা হয়েছে।

রাজউকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গবেষণা প্রতিবেদনে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ৪২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদরাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন। এ ছাড়া প্রতিবেদনে সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৮৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রেক্ট্রোফাইটিং করে মজবুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের চারটি, মাদরাসা বোর্ডের ছয়টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

ভারতের ওডিশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানা গেছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল। এ থেকে দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই মহলের মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। যে ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে ওডিশার বালেশ্বরে জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশন পেরিয়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। মূলত মেইন লাইন ধরে ভুবনেশ্বরের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল করমন্ডল এক্সপ্রেসের। সেই ভুলের কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ উঠে এসেছে, সেই ভিডিওটি ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস হাতে পাওয়ার দাবি করেছে। ওই ভিডিওতে নাকি দেখা গেছে যে, দুটি মেইন লাইন এবং দুটি লুপ লাইন আছে।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস, তখন সেটি ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল, যা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের সাধারণ গতিবেগ। সেইসময় লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমন্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইন থেকে কয়েকটি বগি ছিটকে মেইন লাইনে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেই মেইন লাইন দিয়ে আসে এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি করমন্ডলের ছিটকে যাওয়া কোচে ধাক্কা মারে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় ওই ট্রেনেরও কয়েকটি বগি।

তবে চালকের ভুলে নাকি অন্য কারও ভুলে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও কিছু বলতে চাইছেন না ভারতীয় রেলের কর্তারা। ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে প্রযুক্তিগত কারণে নয়, বরং মানুষের ভুলেই সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি ১৪ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন। এবার সকাল ও দুপুর- দুই শিফটে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অঞ্চল ভেদে অনলাইনে টিকিট পাওয়া আগের চেয়ে নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ২৪ জুন যাত্রার টিকিট ১৪ জুন, ২৫ জুন যাত্রার টিকিট ১৫ জুন, ২৬ জুনের টিকিট ১৬ জুন, ২৭ জুনের টিকিট ১৭ জুন এবং ২৮ জুনের টিকিট ১৮ জুন বিক্রি করা হবে। ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২৯ ও ৩০ জুন এবং ১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।

এছাড়া যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। রেলমন্ত্রী বলেন, এবারও ঈদে ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

তিনি জানান, দুই শিফটে টিকিট বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট এবং দুপুর ১২টায় বিক্রি হবে পূর্বাঞ্চলের টিকিট।

মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গামী আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হবে ২৯ হাজার। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩