Logo
শিরোনাম

উচ্চভিলাষী মানুষেরা সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্ন হয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ :


পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ স্রোতের অনুকূলেই গা ভাসায়, সেই স্রোতে ভাসার বিষয়টিকে মানুষ সত্য বলে মানুক আর নাইবা মানুক, বিশ্বাস করুক আর নাইবা করুক | অন্তত: সাধারণ মানুষ এটুকু বিশ্বাস করে স্বস্তি অনুভব করে যে স্রোতের অনুকূলে নিজেকে ভাসিয়ে দিলে নিরাপদ থাকা যাবে, বাড়তি ঝামেলায় পড়ার মতো বিপত্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে | উচ্চভিলাষী মানুষেরা এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষদের থেকে একটু ভিন্ন হয় | এই শ্রেণীর মানুষেরা ইচ্ছে করেই স্রোতের অনুকূলে গা ভাসায়, কারণ এর পিছনে তাদের অনেক ধরণের লোভ কাজ করে | সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো তাদের এই সুবিধাবাদী চরিত্র প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়, তাদের লোভগুলো পূরণ হয় | একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, স্রোতের অনুকূলে চলা মানুষেরাই প্রায় সব জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে, স্রোতের প্রতিকূলে চলা মানুষেরা অনেক জ্ঞানী-গুণী হওয়া সত্ত্বেও ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে, অনেক ক্ষেত্রে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে | সময় যত এগুচ্ছে, স্রোতের অনুকূলে চলা মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে, প্রতিকূলে চলা মানুষদের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে কমছে |

 

মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষাগুলোতেও এর প্রমান মিলছে | মনোবিজ্ঞান বলছে, স্রোতের অনুকূলে বেশিরভাগ মানুষ থাকে বলে স্রোতের প্রতিকূলে চলা মানুষেরা একদিন তাদের বিশ্বাস হারিয়ে স্রোতের অনুকূলে অবস্থান নিচ্ছে | আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এটা আর কি এমন, এমনটা তো হতেই পারে ! অথচ এটা একধরণের আত্মঘাতী প্রবণতা, যা সমাজ থেকে ক্রমাগত ভিন্ন চিন্তার মানুষের সংখ্যাকে খেয়ে ফেলছে, চিন্তার বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে, অনেক ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীল চিন্তাধারার উপর আরোপিত চিন্তাধারা প্রভাব বিস্তার করছে | এই ধরণের সামাজিক পরিবর্তন ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, যেখান থেকে পদলেহনকারী, লোভী, মেধাহীন ও ভীতু প্রজন্ম তৈরী হতে পারে | যা সমাজের কাঠামোকে নাড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস স্তুপে পরিণত করতে পারে |

 

একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, একসময় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর, রাজা রাম মোহন রায়ের মতো মানুষেরা স্রোতের প্রতিকূলে চলে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছিলো | স্রোতের প্রতিকূলে থাকা এই মানুষেরা স্রোতের অনুকূলে থাকা বিশাল সংখ্যার মানুষেরদের সাথে প্রায় একাই দাঁড়িয়ে লড়েছিল | জয়টা শেষ পর্যন্ত স্রোতের প্রতিকূলে চলা মানুষদেরই হয়েছিল | স্রোতের অনুকূলে চলা মানুষেরা কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে, স্রোতের প্রতিকূলে চলা মানুষেরা তাদের কর্মের মাধ্যমে আজও বেঁচে আছেন |

 

স্রোতের অনুকূলে পঙ্গপালের মতো চলার পরিবর্তে স্রোতের প্রতিকূলে চলতে শিখুন, তাহলেই দেখবেন পৃথিবীর ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো আপনার মাধ্যমেই ঘটছে | মনে রাখবেন, সবাই যে পথে চলে সে পথে নেতার জন্ম হয়না, সেখানে সবাই নেতা হতে গিয়ে কেউ প্রকৃত নেতা হতে পারেনা, সবাই যে পথে চলেনা, সেই পথ যদি ইতিবাচক হয় , সেই পথ যদি সত্যের হয়, সেই পথ যদি নিঃস্বার্থ হয়, সেই পথে যদি আপনি ডাক দেন তবে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিংদের মতো আপনিও ইতিহাসের কিংবদন্তি নেতা হয়ে উঠতে পারবেন | পতঙ্গরা মোমবাতির আলো দেখে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে অস্তিত্ব হারায়, আপনি আলোর মধ্যে না ডুবে অন্ধকারে ডুবে সেখানে একটু একটু করে আলো জ্বালান, তবেই দেখবেন আপনি আপনার অজান্তেই হয়ে উঠবেন সত্যিকারের একজন আলোকিত মানুষ |

 


আরও খবর

আত্মহননের সাংবাদিকতা

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24




স্যানিটারি ন্যাপকিন এখনো বেশিরভাগ নারীর সামর্থ্যের বাইরে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশে নারীদের মাত্র ১৭ দশমিক ৪ ভাগ স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। এর ফলে শুধু তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিই বৃদ্ধি পাচ্ছে না, অনেক কিশোরী শিক্ষা ও সামাজিক সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

এছাড়া অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ে এবং সুগন্ধিযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের কারণে নারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি সংক্রমণের হারও আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে নারীর শারীরিক সুরক্ষা ও মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে ‘ইনসিওরিং সেইফ মেন্সট্রুয়াল হাইজিন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ওজিএসবি এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড সেনোরা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে অর্গানাইজেশন অব গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর সভাপতি প্রফেসর ডা. ফারহানা দেওয়ান, দেশের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, ওজিএসবি-এর সদস্য এবং স্কয়ার গ্রুপের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিশদভাবে উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, ক্যান্টার-এর ২০২৪ সালের হাউসহোল্ড পেনিট্রেশন ডেটা অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে মাত্র ১৭.৪% নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন।

আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে পিরিয়ডের সময় পুরনো কাপড়, তুলা কিংবা রাসায়নিক সুগন্ধিযুক্ত ভ্যাজাইনাল প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে ৯৭% নারী তাদের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময় সার্ভিকাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হন।

এছাড়া, দেশে ৬৮% কিশোরীর প্রথম পিরিয়ড শুরুর মাত্র চার বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়, যা তাদেরকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়। একইভাবে, ৪০% স্কুলছাত্রী মাসিকের সময় গড়ে তিনদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, যা তাদের শিক্ষাজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ৬০ লাখ নারী কর্মী পিরিয়ডের সময় গড়ে ছয় দিন কাজে অনুপস্থিত থাকেন, যা শুধু তাদের আর্থিক অবস্থার উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না, বরং শিল্পখাতের উৎপাদনশীলতাকেও ব্যাহত করে।

সেনোরা গত ৩০ বছর ধরে নারীদের জন্য ১০০% স্টেরিলাইজড, রাসায়নিক ও সুগন্ধিমুক্ত এবং বিভিন্ন মূল্যস্তরের স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করে আসছে, যা সকল আর্থ-সামাজিক শ্রেণির নারীর জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য। কেবল পণ্য বিতরণই নয়, মাসিক স্বাস্থ্যবিধান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্কুল, গার্মেন্টস কারখানা এবং শহরাঞ্চলে স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় যন্ত্র (ভেন্ডিং মেশিন) স্থাপনসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মালিক মোহাম্মদ সাঈদ উল্লেখ করেন যে সেনোরা ও ওজিএসবি-এর যৌথ লক্ষ্য হালো, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৬০% নারীকে নিরাপদ মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আনা। এই মহৎ উদ্যোগে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা একটি সুস্থ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে কাতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কুয়েতের মতো কাতারও বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। কাতারের দোহাতে আর্থনা সামিটের সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে একথা কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, গালফ যুদ্ধের সময় থেকেই কুয়েতে আমাদের সৈন্যরা (বাংলাদেশের) দায়িত্ব পালন করছেন। কাতার আমাদের জানিয়েছে, তারাও বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে। স্থায়ীভাবে প্রতি ৩ বছর পরপর একটা ব্যাচ আসবে। আমরা চাইছি যেন এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬০০ বা আরও বেশি যাতে করা যায়। আমাদের সামরিক সচিব এবং এসএসএফ প্রধান আমাকে আজ সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে একজন সৈন্যের প্রারম্ভিক বেতন আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার মতো। আমরা আশা করি, দুই মাসের মধ্যে পাঠাতে পারবো। এছাড়া আরও ইস্যু আছে, আমরা কাতারে আরও বেশি শ্রমিক পাঠাতে চাই। আজকে আরেকটা বড় মিটিং আছে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে। কাতার হচ্ছে পৃথিবীতে এলএনজি’র জন্য এক নম্বর দেশ। কাতারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি কিন্তু আমরা চাইছি আরও অনেক বেশি এলএনজি আমদানি করতে। কারণ প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগকারী আমাদের জানাচ্ছে যে, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে থাকা ৬০০ প্রতিষ্ঠানই নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস তো কমে যাচ্ছে।

সরকার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুন্দর করতে চাইছে, যাতে করে এলএনজি আরও ভালো মূল্যে পাওয়া যায়, জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘কাতারের কাছে পতিত স্বৈরাচার প্রচুর টাকা দেনা রেখে গেছে। কয়েকশত মিলিয়ন দেনা তারা দেয়নি। এতে দেখা গেছে, কাতারের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। আমাদের সরকার এসে পুরো টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখন বোধহয় ৩৭ মিলিয়ন ডলারের মতো দেনা আছে। কালকে (বুধবার) বা এই সপ্তাহের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করা হবে।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




ল্যাপটপের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ল্যাপটপের সঠিক যত্ন নিলে তা অনেক দিন ভালো থাকে। তবে আমরা অনেকেই কাজের পর ল্যাপটপ বন্ধ করি না, একগাদা অ্যাপ্লিকেশন খোলা রাখি, কিংবা বিছানায় রেখে কাজ করি। এসব কারণে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যায় এবং এর আয়ু কমে যায়। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে আপনার ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারে।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ল্যাপটপের যত্ন নেবেন।

নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন: ল্যাপটপে অতিরিক্ত ধুলা জমলে তা গরম হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন এবং ময়লা জমতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করুন: নরম সুতির কাপড় দিয়ে ল্যাপটপ মুছুন। কিবোর্ড পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করুন, কিন্তু কখনো পানি বা গ্লাস ক্লিনার দিয়ে ল্যাপটপ পরিষ্কার করবেন না।

উষ্ণ জায়গা থেকে দূরে রাখুন: গরম জায়গা, হিটার, রান্নাঘরের কাছে ল্যাপটপ রাখা উচিত নয়। গাড়িতে ল্যাপটপ ফেলে রাখা ও বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করবেন না। এতে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যেতে পারে এবং ক্ষতি হতে পারে।

তরল পদার্থ থেকে সাবধান থাকুন: চা, কফি বা ঠান্ডা পানীয় ল্যাপটপের কাছে রাখবেন না। তরল পদার্থ পড়ে গেলে যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে।

সঠিকভাবে সরান: ল্যাপটপ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিসপ্লে ধরবেন না। ল্যাপটপের নিচের অংশ ধরে সাবধানে সরান। ডিসপ্লে ধরে নিলে জয়েন্ট আলগা হয়ে যেতে পারে।

ল্যাপটপ কভার ব্যবহার করুন: ল্যাপটপ কভার ও উপযুক্ত ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করুন। এতে ধুলা, ময়লা ও আঘাত থেকে ল্যাপটপ নিরাপদ থাকবে।

বার্ষিক সার্ভিসিং করুন: প্রতি বছর একটি নির্ভরযোগ্য সার্ভিস সেন্টারে ল্যাপটপ সার্ভিসিং করিয়ে নিন। এতে ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।


আরও খবর

তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫




বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বড় ধাক্কা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি জোগান দেয় ও প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এ ছাড়া দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ এ শিল্প থেকে আসে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নতুন শুল্ক দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের এ বিপর্যয় ভারতের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।

বৃহস্পতিবারের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, যা এশিয়ার এ স্বল্পোন্নত দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাতকে কঠিন সংকটে ফেলতে পারে।

সকালে এ ঘোষণা শুনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শাহিদুল্লাহ আজিম বলেন, আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু এত বড় ধাক্কা আসবে তা কল্পনাও করিনি। এটি আমাদের ব্যবসার জন্য ও হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ংকর খবর।

শাহিদুল্লাহ আজিমের প্রতিষ্ঠান উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের জন্য পোশাক সরবরাহ করে।

তিনি জানান, এ নতুন শুল্কের কারণে বিদেশি ক্রেতারা বিকল্প বাজারের দিকে ঝুঁকতে পারে, যা বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করবে।

বাংলাদেশের বাজার ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের এ শুল্কনীতির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) একজন প্রতিনিধি বলেছেন, আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ও তারা বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশকে এখন কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার আগে প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা বাড়ানো। সেই সঙ্গে বিকল্প বাজার খোঁজা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি বাড়ানোর কৌশল নিতে হবে। আবার রপ্তানিকারকদের জন্য সরকারকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করতে হবে, যাতে তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নেতারা বলছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার, ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় প্রয়োজন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি ও আশা করছি যে আলোচনা এ শুল্ক ইস্যু সমাধানে সহায়ক হবে।

পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইভিন্স গ্রুপের প্রধান আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, গত বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকেই মার্কিন ক্রেতারা ভারতকে বিকল্প হিসেবে দেখছিল। এখন নতুন শুল্কের কারণে এ প্রবণতা আরও বাড়বে।

ভারতীয় পোশাক রপ্তানির ওপর ট্রাম্পের শুল্ক হার ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের তুলনায় কম।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৩০টি পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে ভারতমুখী হওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির মাত্র ৬-৭ শতাংশ আসে ভারত থেকে, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় কম। তবে নতুন পরিস্থিতিতে ভারত এই বাজারে আরও বড় অংশ দখল করতে পারে।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় সরকার ব্যর্থ

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গাজা ও রাফায় বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সমস্ত পণ্য বর্জন করব, তার মানে এই না আমরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করব। গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এখানে সরকাররে ব্যর্থতা লক্ষণীয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয়। তাদের উচিত ছিল, আগে থেকে এখানে সতর্কতা অবলম্বন করা। তাহলে বাংলাদেশকে আজ এই বদনাম নিতে হতো না।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত সকল রাষ্ট্রে গমনের’ কথাটি সরিয়ে দিয়েছিল। অথচ তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য মায়াকান্নাও করেছিল। তারা আড়িপাতার যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক দলের বিরুদ্ধে যে নির্যাতনের সূচনা করেছিল, সেই যন্ত্র পেগাসাস ইসরায়েল থেকে কিনেছিল।

সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার মানুষ ইসরায়েলের গণহত্যায় নিহত হয়েছে। যারা অপুষ্টিতে ভুগে নিহত হয়েছে, যারা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে, তাদেরকেও এই গণহত্যার শিকার হিসেবে গণ্য করতে হবে।

ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে সামনে বিএনপির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে অতি দ্রুত সারাদেশে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় গণহত্যা দেখেও যেসব রাষ্ট্র নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, তাদেরকে ধিক্কার জানাই। মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন হওয়ার পরও অনেক মানবাধিকার সংগঠন কিছুই করছেন না। গাজায় লাখো মানুষকে নির্বিচার হত্যা করার পরও জাতিসংঘ কিছুই করছে না। যেখানে ইসরায়েলের পণ্য থাকবে, সেখানেই বয়কট করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ইসরায়েলের নৃশংসতাকে ব্যাখ্যা করা যায়, এমন কোনো শব্দ নেই। ২০২৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত তারা ৫১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এর বিরুদ্ধে সারাবিশ্বের ছাত্রজনতা এরই মধ্যে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে শামিল হয়েছেন।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় সম্প্রতি পাঁচ বাংলাদেশিসহ চার শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান ছাত্রদল সভাপতি। এছাড়াও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি সমাবেশ থেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার নিন্দা জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সরকারের এত এত বড় ব্যর্থতা মেনে নেওয়া যায় না। এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে মুসলিম সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধনের ওয়াকফ বিল পাসের নিন্দা জানান তিনি এবং দ্রুত এটি বাতিল করার দাবি জানান।


আরও খবর