Logo
শিরোনাম

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

এবার বছর জুড়েই উত্তাপ ছড়িয়েছে ভোগ্যপণ্যে অস্বাভাবিক দাম। ডিসেম্বরে এসেও যা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর বাজারে এ মাসেও যথারীতি চড়াই রয়েছে আটা-ময়দা, চিনি, ডাল, আলু ও পেঁয়াজের দাম। এর মধ্যে আমদানি পণ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশীয় পণ্যের বাজার চড়া, ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে।

তবে বছরের শেষ মাসে এসে কিছুটা স্বস্তি ডিম ও সবজির বাজারে। এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে ডিম এবং ৫০ টাকায় মধ্যে বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। তবে বছর জুড়েই এ দুই পণ্যের অস্বাভাবিক দামও ভুগিয়েছে ক্রেতাদের।

গত মাসের শুরুতে বেড়ে যাওয়া আটা-ময়দা, চিনি ও মসুর ডালের দাম এ মাসেও অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়তি দামেই বিক্রি হয়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত আটা-ময়দা। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো নতুন রেটে ২ কেজির আটা ও ময়দার প্যাকেট সরবরাহ করেছে। তবে দাম এক লাফে ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দামে ২ কেজির আটা ১২০ টাকা এবং ময়দা ১৪০ টাকা করা হয়েছে। যা নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১শ ও ১২০ টাকা দরে। ফলে বাজারে খোলা আটা ও ময়দা প্রতি কেজি ৫০ ও ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একই অবস্থা চিনি ও মসুর ডালসহ বেশিরভাগ আমদানি পণ্যের দরেও। এদিন বাজারে প্রতি কেজি চিনি এবং ছোট দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকার উপরে। অন্যদিকে গত ৪ মাস ধরে উত্তাপ ছড়ানো পেঁয়াজের বাজার এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকার উপরে। এর আগে এত দীর্ঘ সময় পেঁয়াজে এমন দাম দেখা যায়নি।

এদিকে বাজারে নতুন আলু আসতে শুরু করলেও দাম স্বস্তি পাচ্ছে না ক্রেতারা। এখনো বাজারে ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে পুরানো আলু। অন্যদিকে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ বছরের শেষ মাসে এসে ডিম ছাড়া অন্য কোনো পণ্যে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।

অন্যদিকে বছর শুরুতে খাদ্য পণ্যে ৭.৭৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থাকলেও শেষ হচ্ছে প্রায় ১৪ শতাংশে। বিশেষ করে শেষ চার মাসে গড়ে প্রায় ২ শতাংশ হারে বেড়েছে এর হার। এর ফলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মতো দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৪০ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বছরের শুরুতে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে খাদ্য উৎপাদন ও পরিবহণে বাড়তি খরচ খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তা সার্বিক মূল্যস্ফীতির থেকে তা ছিল। তবে জুন-জুলাইয়ে পর রিজার্ভ সংকট ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান হ্রাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে যেতে থাকে। মূলত বাজার সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে এখাতে মূল্যস্ফীতির এমন অস্বাভাবিক প্রবণতা দেখা গেছে। অর্থাৎ অন্য যে কোনো পণ্যের থেকে খাবারে ভোক্তার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ।

তবে গত দু-সপ্তাহ ধরে বাজারে কমতির দিকে ডিমসহ পোল্ট্রি পণ্যের দাম। এদিন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা মধ্যে। সে হিসেবে প্রতি পিস ডিমের দাম ১০ টাকার কম। যা সরকার নির্ধারিত দামের থেকেও প্রতি পিসে প্রায় আড়াই টাকা কম। ফলে ডিম আমদানির অনুমতি নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে ডিম আনছেন না। এছাড়াও বাজারে প্রতি সপ্তাহেই কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। এদিন প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা ও সোনালি ২৯০ টাকা দরে।

অন্যদিকে বাজারে শীতের সবজির ব্যাপক সরবরাহ দেখা গেছে। যদিও হরতাল-অবরোধে সবজি পরিবহণ কমছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত দু-সপ্তাহ ধরে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। ফলে সবজির কম এলেও তা ক্রেতা চাহিদার থেকে বেশি। ফলে দামও কমতির দিকেই রয়েছে। এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি।

অন্যদিকে, প্রায় অপরিবর্তিত দাম রয়েছে মাছের বাজারে। এদিন মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪শ, বড় কাতল ৪শ, বড় পাঙ্গাশ ২শ, চাষের কই (ছোট) ৩২০, তেলাপিয়া আড়াইশ ও শিং মাছ ৬শ, শোল মাছ ৮শ টাকা, পাবদা ৫শ থেকে ৬শ, ট্যাংরা মাছের কেজি আকার ভেদে ৬শ থেকে ৭শ, মলা মাছ ৫শ, বাইলা ১ হাজার টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ, মাঝারি আকারের বোয়াল ৫শ থেকে ৬শ, গুড়ামাছ ৩শ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শ টাকা, গলদা ৭শ এবং বাগদা ৮শ থেকে ৯শ ও রূপচাঁদা ৯শ টাকা দরে।

 


আরও খবর



ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ভাসমান আমড়ার বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ঝালকাঠি, রাজাপুর প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির এর আগে পেয়ারার সুখ্যাতি ছিল এবার যোগ হলো আমাড়ার নাম।আমড়ায় আছে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন সি,এ, ক্যলসিয়াম,ফসফরাস অনেক পুষ্টিগু।আশ থাকায় আমড়া হজমে সহায়তা করে এছাড়াও রয়েছে আমড়া খাওয়ায় নানা উপকারিতা। 

দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির  প্রভাবে  ঝালকাঠির ভিমরুলী ভাসমান হাটে পেয়ারার দরদামে ধস নেমেছিল। সেই অস্থিরতা কাটিয়ে মৌসুমের শুরুতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে আমড়ার হাট। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে জমজমাট থাকে ভিমরুলীসহ আশপাশের বাজার। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি মৌসুমে ৩০ কোটি টাকারও বেশি আমড়া বিক্রি হবে। যা গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে।

শুধু ভিমরুলীই নয়, সদর উপজেলার শতদশকাঠি, ডুমুরিয়া, আতাসহ আশপাশের কমপক্ষে দশটি গ্রামে আমড়ার ভাসমান বাজারের বিস্তার ঘটেছে। সাধারণত ভাদ্র মাসের শুরুতেই জমতে থাকে আমড়ার বাজার। চলে টানা দুই মাস।

ভাসমান আমরা বাজার সম্পর্কে স্থানীয় ও চাষিদের সাথে  কথা বল্লে তারা জানান, "এ বছর পেয়ারা বিক্রি করে কোনো লাভই তুলতে পারিনি। তারচেয়ে বর্তমানে আমড়ার বাজার সন্তোষজনক। প্রতিমণ আমড়া বিক্রি করছি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা দরে। এই দাম সামনে আরো বাড়তে পারে।

 পেয়ারায় ফলন ভালো পাচ্ছি না। পাতায় ছত্রাক ধরেছে। ফল সাইজে ছোট হয়ে গেছে। এজন্য পেয়ারা গাছ কেটে আমড়া চাষ করেছি বছর পাঁচেক হলো। ইতোমধ্যে ফলন পেতে শুরু করেছি।

চাষীরা জানান, পেয়ারার চেয়ে আমড়ার ভালো দিক হলো– এই ফল দ্রুত পঁচে যায় না। ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। যে কারণে পঁচে যাওয়ার ভয়ে চাষীদের বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয় না।

ভাসমান বাজারে কর্মসংস্থান হয়েছে একাধিক শ্রমিকের। দূর দূরান্ত থেকে এসে কাজ করেন তারা। তাদের সাথে কথা বল্লে তারা বলেন,, বড় বাগান থেকে আমড়া পড়তে লোক লাগে। আমাদের কারও বাড়ি পিরোজপুর করাও বাড়ি  আরও দূরে  হলেও পেয়ারা-আমড়ার মৌসুমে ভিমরুলী, আটঘরম কুড়িআনা এলাকায় থাকি। দৈনিক মজুরিতে ফল পেড়ে দেই গাছ থেকে।

এদিকে,  বাজারের পাইকারী ক্রেতাদের সাথে কথা  বল্লে, পেয়ারার বাজার এ বছর তুলনামূলক কমে গেছে। কিন্তু আমড়ায় চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। পরিপক্ব ভালো সাইজের আমড়ার মণ ১৪/১৫শ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না। এত দাম দিয়ে কিনে পরিবহন খরচ দিয়ে আমরা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করে কীভাবে লাভ করবো?

আবুল কালাম নামে এক চাষী বলেন, "অন্য ফসলের তুলনায় আমড়া চাষে খরচ কম। একবার গাছ টিকে গেলে ৫/৭ বছর ধরে ভালো ফলন আসে। তখন শুধু পরিচর্যা করলেই হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আরও সহজ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের আমড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে।তিনি বলেন, সারাদেশেই দক্ষিণাঞ্চলের আমড়ার চাহিদা খুব বেশি।

এবিষয়ে  ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে বলেন , আমড়ার চাষ ঝালকাঠিতে দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ বছর জেলায় ৬০২ হেক্টর জমিতে আমড়ার আবাদ হয়েছে। আবাদি জমি থেকে ৪ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন আমড়া উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ফসল হচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া। এই জেলার ভাসমান বাজারকে ঘিরে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দ্বার খুলেছে তাতে আমড়া চাষ ভালো ভূমিকা রাখছে। কিছুদিন আগে পেয়ারা ছিল।


আরও খবর



গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জন শহীদের পরিচয় জমা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে

এতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে (২০২৪) সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় হতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে

এতে বলা হয়েছে, তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো

প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে-

(ক) শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে

(খ) রেজিস্ট্রেশনের পর শহীদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে

(গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে

(ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে

(ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণকৃত ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন

(চ) দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কি না তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে

গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শহীদদের মধ্যে যদি কারো নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/সিভিল সার্জন/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো


আরও খবর



ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিরসনে জাতীয় মানবাধিকারে কমিশনের পদক্ষেপ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ওষুধ একটি নিত্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। দেশে কয়েক মাস পরপরই ওষুধের দাম বৃদ্ধি যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং বিশেষতঃ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ওষুধের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিতে উদ্বেগ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নজরদারিসহ রাষ্ট্রকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে মর্মে কমিশন মনে করে। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উপরে স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। 

প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনাপূর্বক সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, গত কয়েকদিনে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ট্যাবলেট, ভিটামিন, গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিকসের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশনের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। অপরদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের অভিযানে ভাটা পড়েছে। এই সুযোগে ওষুধের দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। রাজধানীর গোপীবাগ, শাহবাগ, মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার কয়েকটি ফার্মেসিতে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা। জানা যায়, দেশে উৎপাদিত মোট ওষুধের মাত্র ৩ শতাংশের দাম নির্ধারণ করতে পারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বাকি ৯৭ ভাগের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছে মতো ওষুধ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। এক্ষেত্রে বরাবরই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ওষুধের কাঁচামাল, মার্কেটিং খরচ ও ডলারের দাম বাড়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। ওষুধের দাম বৃদ্ধি রোধে গত ২৯ এপ্রিল উচ্চ-আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয় কিন্তু সেটিও কার্যকর হচ্ছে না। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। 

এ অবস্থায়, গৃহীত সুয়োমটোতে জীবনরক্ষাকারী সকল ওষুধের তালিকা করাসহ সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রেখে ওষুধের দাম নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করতে মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি জ্ঞাতার্থে সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।   


আরও খবর



লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জনাব মো: তোজাম্মেল হোসেন, পিতা আকবর আলি ব্যাপারি, গ্রাম: চর সাহেবনি, পোস্ট, রসুলপুর, থানা: গজারিয়া, জেলা: মুন্সিগঞ্জ

আপনাকে ৭০ লক্ষ টাকা পাওনা বাবদ লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হইলো :

জনাব, মো: মোখলেসুর রহমান মিয়াজি, পিতা : হোসেন আহমেদ, গ্রাম: বৈদ্দার গাও, পোস্ট :উত্তর শাহপুর, থানা: গজারিয়া, জেলা: মুন্সিগঞ্জ। 

ধন্যবাদ, 

অ্যাডভোকেট :

আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট