Logo
শিরোনাম

উৎসব-আয়োজনে পাঞ্জাবির স্নিগ্ধতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাঙালি ছেলেদের পছন্দের পোশাক সাদা পাঞ্জাবির আভিজাত্য আর সৌন্দর্যের তুলনা হয় না। পাঞ্জাবি সবসময়ই ট্রেন্ডি, সময়ের সঙ্গে এর কদর কখনো কমে যায়নি। বিশেষত পাঞ্জাবি বা কুর্তার চিরাচরিত ছিমছাম স্টাইল সবসময় ট্রেন্ডি এবং ঐতিহ্যবাহীও বটে। বসন্তের আগমন, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদের আনন্দ এই সব আয়োজনে পাঞ্জাবির শুভ্র সৌন্দর্য ফ্যাশনে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।এবারের ঈদে বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছে 'বালুচর'।

ফ্যাশন ডিজাইনার শাহীন চৌধুরীর হাত ধরে বালুচরের যাত্রা শুরু ২০০৮ সালে। জগন্নাথ  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে। সমসাময়িক ফ্যাশনকে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরতেই ফ্যাশন ফর ক্রিয়েশন স্লোগান নিয়ে বালুচরের পথচলা। এরই মধ্যে পরিণত হয়েছে ছেলেদের ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি ও কুর্তার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে। 

শ্বেত শুভ্র কাপড়ের নিজস্ব সৌন্দর্য আর এর মধ্যে সুনিপুণ কারুকাজ- সবকিছু মিলিয়ে পাঞ্জাবি অনন্য। আর বসন্তের আবহাওয়ায় পাঞ্জাবির অন্য রকম আবেদন থাকে। হাতে সূক্ষ্ম সূচিকর্ম বা নকশার নিপুণ কাজ করা নান্দনিক সাদা রঙের পাঞ্জাবি পাওয়া যায় বিভিন্ন ধাঁচে। এসব পোশাক শুধু রুচিশীলতাই প্রকাশ করে না, ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবেও গুরুত্ব বহন করে। এই বিশেষ দিকটি পাঞ্জাবিকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়।

যেকোনো উৎসব আয়োজনেই বাঙালি ছেলেরা পাঞ্জাবিকে আপন করে নিতে পারে। প্রতিদিনের বাইরে ঘোরাঘুরি থেকে শুরু করে কোনো বড় অনুষ্ঠান- সব জায়গাতেই পাঞ্জাবি তার অনন্য সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয়। তবে পাঞ্জাবিকে ভিন্নভাবে স্টাইল করা যায় বিভিন্ন ধরনের প্যান্টের মাধ্যমে। যদি আপনি আরামদায়ক লুক চান, তবে সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে খাকি রঙের প্যান্ট পরতে পারেন। আর যদি ঐতিহ্যবাহী এবং ট্রেন্ডি লুক চান, তবে সাদা বা ক্রিম রঙের পায়জামার সঙ্গে পরতে পারেন। এভাবে একটি সাধারণ পাঞ্জাবিকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে পরা যায়।

এছাড়া রমজান মাস মানেই ইফতারের আয়োজন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ইফতার রমজান মাসের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এ সময় বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে ইফতারের আয়োজনে পাঞ্জাবি অন্য রকম স্নিগ্ধতা নিয়ে আসবে। সন্ধ্যার দাওয়াতের জন্য, একটু ভিন্নতা নিয়ে আসতে চাইলে, হালকা প্যাস্টেল রঙের ছোঁয়াযুক্ত বা হালকা নকশার সাদা পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। এর সঙ্গে একটি সাদা রঙের স্কার্ফ ব্যবহার করে পাঞ্জাবিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করুন।

বাঙালিদের ঈদ মানেই পাঞ্জাবি, পাঞ্জাবি ছাড়া যেন ঈদ হয় না। কলার এবং হাতায় সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি ঈদকে জমকালো করে তোলে। একটু জমকালো ভারি কাজ করা পাঞ্জাবি বা কুর্তা, সঙ্গে সুন্দর এক জোড়া জুতা বা স্যান্ডেল উৎসবের আমেজের জন্য মানানসই। তবে শুধু উৎসবের পোশাক হিসেবে পাঞ্জাবির সমাদর না করে যেকোনো জায়গাতেই পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। ডেনিম বা চিনোসের সঙ্গে পাঞ্জাবি পরলে এটি অন্যরকম এক ধরনের স্টাইল তৈরি করে। এ ছাড়া, বিয়ের অনুষ্ঠানে সাদা পাঞ্জাবি চুড়িদার বা ধুতির সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।

আবার যেকোনো উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন পাঞ্জাবি। অফ-হোয়াট শেডের ওপর সোনালি কাজ করা অথবা বিভিন্ন প্যাটার্নের নকশা করা পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। কলারের ওপর নীল রঙের এমব্রোয়ডারি করা শুভ্র পাঞ্জাবিও বেশ চমৎকার। এরকম ছোটখাটো বিষয়ের দিকে লক্ষ করে পাঞ্জাবি বাছাই করলে স্টাইলে যেমন আভিজাত্য আর সৌন্দর্য ফুটে উঠবে, তেমনি যেকোনো উৎসবে সবার আলাদাভাবে নজর কাড়বে।

এবার অনুষঙ্গের পালা। পাঞ্জাবির পুরো স্টাইলকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে ঠিকঠাক অনুষঙ্গ বাছাই করা ভীষণ জরুরি। ধাতব বা চামড়ার স্ট্র্যাপ যাই হোক না কেন, একটি চমৎকার ঘড়ি বেছে নিন পাঞ্জাবির সঙ্গে। এছাড়া, একটি স্টাইলিশ সানগ্লাসও ভুলবেন না, যা পাঞ্জাবির আভিজাত্য বজায় রেখেই এতে ফ্যাশনেবল ছোঁয়া যোগ করবে।

পাঞ্জাবি বাঙালি পুরুষদের ঐতিহ্য আবার একইসঙ্গে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে, যা সময় বা ট্রেন্ডের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় না। তাই পাঞ্জাবির নির্মল সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে এটির ছিমছাম ভাব বজায় রাখতে হবে। সৌন্দর্য এবং স্নিগ্ধতাই পাঞ্জাবির অনন্য বৈশিষ্ট্য।

বালুচরের বিভিন্ন ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে  ৯০/৯১ নিচতলা, আজিজ সুপার মার্কেট, লেভেল ৩, শাহবাগ, ঢাকা ও  ৮১-৮২, ১০২/এ, তৃতীয় তলায়।  আহমদ আলী টাওয়ার, জয়দেবপুর, গাজীপুর। আকুরটাকুর পাড়া, জেলা সদর রোড, টাঙ্গাইল। কমার্শিয়াল এরিয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট।

 


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




মার্চে ৪৪২ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের মার্চ মাসে ২৪৮ জন কন্যা ও ১৯৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন কন্যাসহ ১৬৩ জন। তার মধ্যে ১৮ জন কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২ জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ২ জন কন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ জন কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদনে (মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন পাঠায় মহিলা পরিষদ।

মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতি মাসে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১২ জন কন্যাসহ ১৬ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৮ জন, এর মধ্যে ৬ জন কন্যা। বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাসহ ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ছাড়া গত মাসে ৯ জন কন্যাসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২ জন কন্যাসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নারী ও কন্যা পাচারের শিকার হয়েছেন ২১ জন, এর মধ্যে ১০ জন কন্যা। ১ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন, এর মধ্যে ২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মার্চ মাসে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ১৭ জন, এর মধ্যে ২ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন। ২ জন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে ১টি। ৬ জন কন্যাসহ ৮ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়া ২ জন কন্যাসহ ১১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে। ৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৩টি। এছাড়া ৪ জন কন্যাসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।


আরও খবর



আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

শত বছরের প্রচলিত হাতে ঘুরানো তাঁতের চাকার বদলে এবার দেশে এসেছে আধুনিক মেশিন কোরিয়ার থেকে দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর জেলার এ প্রাচীন শিল্পটি ঘুরে দাঁড়ানোয় নতুন উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।ফলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি মিটছে চাহিদাও।

ঝালকাঠির সারাদেশে যেসব পণ্যে সুনাম আছে তার মধ্যে গামছা অন্যতম। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও সমাদৃত এ ঐতিহ্যবাহী তাঁতের গামছা। ৪০ বছর আগে শুরু হওয়া এ শিল্প এখনো টিকে আছে আজও।

ঝালকাঠির গনি মিয়ার গামছা সারাদেশেই একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে সেই গনি মিয়া এখন আর নেই। গনি মিয়ার মৃত্যুর পরে তার ছেলে নাসির উদ্দিন কয়েকবছর তাঁতে গামছা বুনে প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখছিলেন।

বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে নাসির উদ্দিন পৈত্রিক পেশার হাল ছেড়ে দেন। এক পর্যায়ে ওই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন গনি মিয়ার ভাইয়ের ছেলে খোকন মিয়া। এতদিন গামছা হাতে বোনা হতো। যার কারণে চাহিদা বেশি থাকলেও উৎপাদন হতো কম। এছাড়া হাতে বোনা তাঁতের সংখ্যাও এখন অনেক কম। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার ধরে রেখেছে পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য।পপরিস্থিতিতে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে গামছা শিল্প।

গামছা তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছে ঐতিহ্যবাহী গনি মিয়ার গামছা। প্রায় ৩/৪ বছর ধরে আধুনিক মেশিনে প্রস্তুত হচ্ছে গামছা।

পশ্চিম ঝালকাঠির কীর্ত্তীপাশা সড়কের রামনগরে গিয়ে দেখা যায়, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে গামছা তৈরি করছেন কারিগররা। প্রতিদিন এখন কারখানায় ২৫০টি গামছা উৎপাদন হচ্ছে।

কারিগররা জানান, ঝালকাঠির গামছা যাচ্ছে চট্টগ্রাম, নরসিংদী, চাঁদপুর, বরগুনা ও পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঝালকাঠির এ ঐতিহ্যবাহী গামছা দেশি-বিদেশি অতিথিদেরও দেওয়া হয় উপহার কিংবা উপঢৌকন হিসেবে। গামছা তৈরির কাঁচামাল আনা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজস্ব ডিজাইনাররা কারাখানায় বসেই ডিজাইন করছে বাহারি রঙের গামছার।

স্থানীয় ফয়সাল সঙ্গে কথা হলে , শৈশবে দেখেছি বাসন্ডা গ্রামে ঘরে ঘরে তাঁতে শাড়ি লুঙ্গি আর গামছা বোনা হতো। শতাধিক কারিগর পরিবারের প্রধান আয় ছিল এ শিল্প। তাঁতের খট খট শব্দে দিন-রাত মুখরিত ছিল। তবে তা এখন অতীত স্মৃতি। মাত্র দু-তিনটি পরিবার কেবল গামছা তৈরি করে বাপদাদার পেশা টিকিয়ে রেখেছে। দুই যুগে ধীরে ধীরে তাঁত বোনাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঝালকাঠির গামছা শিল্প। 

উদ্যোক্তা খোকন হোসেন বলেন, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় এ মেশিনে এখন প্রতিদিন কারখানায় ২৫০ গামছা উৎপাদন হচ্ছে খুব সহজেই। আর তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

পাকা রঙ এবং টেকসইসহ গুণগতমানে ঝালকাঠির গামছা দেশ সেরা দাবি করে উদ্যোক্তা খোকন আরও বলেন, দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এখানকার এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৮৫ টাকায় বিক্রি হয়।

ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. আল-আমীন বলেন , জেলার এ ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছিল। নতুন করে আধুনিক মেশিনের যাত্রায় তা আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আসলে মেশিনে উৎপাদন লাভজনক হয় ও সময় বাঁচায়। স্থানীয় এই প্রাচীন শিল্পটির প্রসারে উদ্যোক্তা ও কারিগরদের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


আরও খবর



গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলা জুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের সমর্থনে দিনব্যাপি জেলার ঝালকাঠির সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। ঝালকাঠির সদরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে জড়ো হন সাধারন মানুষ। এসময় এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি সেবা ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার সেক্রেটারি মাওলানা ইব্রাহিম আল হাদী বলেন, গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

অন্যদিকে নলছিটিতে সকাল ১১ টায় বাসস্ট্যান্ড থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নলছিটি উপজেলা শাখা ও বিকেলে মার্চেন্টস স্কুল সংলগ্ন থেকে হেফাজতে ইসলাম এর ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৃথক পৃথক স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এদিকে রাজাপুরে সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ মিনার চত্বরে রাজাপুর কামিল মাদরাসার ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ,বিকেল ৫ টায় রাজাপুর মডেল মসজিদ সংলগ্ন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজাপুর উপজেলা শাখা ও বাইপাস সংলগ্ন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এক‌ই সময় রাজাপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের  ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে সকাল ১০ ঘটিকায় সর্বস্তরের জনগণ ও বিকেলে ৫ ঘটিকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাঠালিয়া উপজেলা শাখার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৃথক পৃথক স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এসব বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একইসাথে ফিলিস্তিনের মানুষদের প্রতি সবাইকে সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী কর্তৃক নারী, শিশু, স্কুল, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে জঘন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এই বর্বরোচিত হামলা সারা বিশ্বে শান্তিকামী সাধারণ মানুষকে ব্যথিত করছে এবং তা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। আমরা এই প্রতিবাদী বিক্ষোভ থেকে বর্বরোচিত এই হামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানাই। 


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম,

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

নলছিটি উপজেলার পৌরসভা এলাকার সূর্যপাশা গ্রামে ধান কেনার নামে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীর তিন ছেলেকে ধারালো দা ও রড দিয়ে কুপিয়ে,পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে নগদ ৮৭ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।


ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সূর্যপাশা এলাকার মোনাই বাড়িতে।


এ বিষয়ে আহতদের পিতা বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।  এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সূর্যপাশার বাসিন্দা ও ধান ব্যবসায়ী মো. নুরে আলম হাওলাদারের তিন ছেলে তারেক, তুহিন ও তাহিন হাওলাদার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজে জড়িত। ঘটনার দিন আসামিরা তাদের মোনাই বাড়িতে ধান বিক্রির কথা বলে ডেকে নেয়। সেখানে গিয়ে ধানগুলো কাঁচা ও ভিজা দেখে তারা না নিতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।


পরে উত্তেজনার একপর্যায়ে আসামিরা তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন হিরন তালুকদার, হারুন তালুকদার, মজিবর তালুকদার, মাহফুজ তালুকদার, শরিফুল হাওলাদার ও রিয়াম।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হিরন তালুকদার দা দিয়ে তারেক হাওলাদারের মাথায় পরপর দুটি কোপ মারে, হারুন তালুকদার লোহার রড দিয়ে তার ডান হাতে আঘাত করে। অন্য দুই ভাইকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।


হামলার সময় তারেক হাওলাদারের পকেটে থাকা ধান কেনার নগদ ৮৭ হাজার টাকা এবং একটি রেডমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী পিতা মো. নূরে আলম হাওলাদার বলেন,আমার ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে ধান কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত। সেদিন ধান দেখেই না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তারা মারার জন্যই কুপিয়েছে। এমনকি টাকাও নিয়ে গেছে। আমি থানায় মামলা করেছি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন।


আরও খবর



ট্রাম্পের শুল্কে পোশাক খাতে শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তবে ওই আদেশে পণ্যভিত্তিক শুল্ক হারের তালিকা বা কাস্টমস গাইডেন্স দেওয়া হয়নি। এতে বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাতে এক ধরনের বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান শুল্কের বাইরে যদি ৩৭ শতাংশ শুল্ক যোগ করা হয়, তাহলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশের পোশাকের ওপর কার্যকর শুল্ক বর্তমান গড় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৮ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়াবে। অর্থাৎ ঢাকা থেকে ১০০ ডলারের টি-শার্ট বা জিন্সের চালানে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে আমদানি শুল্ক বাবদ প্রায় ৪৯ ডলার দিতে হবে, যা বর্তমানে মাত্র ১১ দশমিক ৫৬ ডলার।

দেশের অন্যতম বৃহৎ ডেনিম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীর বলেন, 'আমরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ ট্রাম্পের আদেশে পরিষ্কারভাবে এটিকে 'অতিরিক্ত' শুল্ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ৯ এপ্রিলের আগে আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না।'

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আদেশের দ্বারা নির্ধারিত শুল্কের হারগুলো প্রযোজ্য অন্য কোনো শুল্ক, ফি, কর বা চার্জের অতিরিক্ত। তবে তারা দেশ বা পণ্য অনুসারে আর কিছু জানায়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আমরা এখনো পরিষ্কার নই। এটি ৩৭ শতাংশ হতে পারে, কিংবা যদি বর্তমান মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) হারের সঙ্গে যোগ করা হয় তাহলে ৫২ শতাংশেরও বেশি হতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য ইতোমধ্যে অনেক পণ্যে ১৫ শতাংশের ওপরে আছে।'

অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির জানান, তার প্রতিষ্ঠান এখনো ক্রেতাদের কাছ থেকে হালনাগাদ ট্যারিফের তথ্য পায়নি।

'তবে বিভিন্ন সূত্র পরামর্শ দিয়েছে, বর্তমান হারকে প্রতিস্থাপন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে, অথবা বর্তমান হারের সঙ্গে যোগ হতে পারে।'

উচ্চ হারের সংকেত দিয়েছে ব্র্যান্ড

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি পোশাক ব্র্যান্ড ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নতুন শুল্ক ৪৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ হতে পারে।'

'সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করেই আমরা কৌশল প্রণয়ন করছি। আর নির্বাহী আদেশে স্পষ্টভাবে এটাকে বাড়তি শুল্ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শুল্ক সমন্বয় হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর মূলে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে বৃহত্তর উদ্বেগ।

তার ভাষ্য, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বাণিজ্য অর্থনীতি, যা আমদানির ওপর নির্ভর করে। এই পদক্ষেপ শুধু শুল্কের জন্য নয়, বরং তারা বাণিজ্য প্রবাহকে ওয়াশিংটনের অনুকূলে নিতে চায়।'

যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিটি অন্যান্য শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বৈশ্বিক সোর্সিং কীভাবে পরিবর্তিত হতে পারে তার একটি ধারণা দিয়েছেন।

চীনের পোশাকের শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যেখানে ভিয়েতনামের শুল্ক ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। ভারতের ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ও পাকিস্তানের ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বাজারের ৯ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে। এছাড়া বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ২৪ শতাংশই হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ২০২৪ সালে দেশটিতে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এতে চীন ও ভিয়েতনামের পরে তৃতীয় পোশাক সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এ খাতে ৪০ লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন এবং বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশেরও বেশি তৈরি পোশাক।

রপ্তানিকারক এবং নীতিনির্ধারকরা একমত যে, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার এখনই সময়।

অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির বলেন, 'আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো অবস্থান রয়েছে। কিন্তু অন্য দেশগুলো যদি শুল্ক হার কমিয়ে দেয়, তাহলে আমরা দ্রুত বাজার হারাব।'

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং রপ্তানিকারকরা অবিলম্বে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীর বলেন, 'অন্যান্য দেশ এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। আমাদেরও একই কাজ করতে হবে এবং তা দ্রুত করতে হবে। এখনও একটি কার্যকর ফলাফল খুঁজে বের করার সুযোগ আছে।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫