Logo
শিরোনাম

ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

আজহার মাহমুদ: মা অতি ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর গুরুত্ব এবং মর্যাদা কতটুকু তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন দয়ালু এবং মর্যাদাবান মানুষটিকে কখনো কি আমরা সবাই সঠিকভাবে মর্যাদা দিই? যে মানুষটি আমাদের ১০ মাস ১০ দিন সহস্র যন্ত্রণা সহ্য করে তার গর্ভে রেখেছে এবং প্রবল ব্যথা উপেক্ষা করে প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের এনেছে, আমরা সেই মানুষটিকে কতটা সম্মান দিই? তা ছাড়া সব ভালোবাসা এই এক দিনে কেন? মা দিবসে মাকে লোকদেখানো ভালোবাসবেন, বাকি ৩৬৪ দিন মাকে অসম্মান করবেন, এমন লোকদেখানো ভালোবাসার প্রয়োজন নেই।

মায়ের জন্য সন্তানের ভালোবাসাটা আসতে হয় হৃদয় থেকে। এই ভালোবাসার জন্য কোনো অভিনয় করার দরকার পড়ে না, কোনো নাটক করার প্রয়োজন পড়ে না। আর মায়েরা সব বোঝেন, কোনটা আপনার ভালোবাসা আর কোনটা আপনার অভিনয়।

আচ্ছা মাকে ভালোবাসতে কী লাগে? অনেকেই হয়তো মাকে হাত-ভর্তি টাকা দিচ্ছেন কিংবা ভালো ভালো খাবার খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু মা কী চান সেটা কি বুঝতে চেয়েছি? আমরা কী কখনো চিন্তা করে দেখেছি মা আমাদের জন্য কী করে বা মূলত আমাদের কী দেন। কজন মা তার সন্তানকে ভালো খাবার কিংবা প্রচুর টাকা দিচ্ছেন। কজন মা তার সন্তানকে দামি গাড়িতে করে দামি শপিং মলে নিয়ে যাচ্ছেন। সব মায়ই এসব তাদের সন্তানদের দিতে পারেন না। কিন্তু মায়ের ভালোবাসার কাছে সব দামি উপহার মামুলি এবং তুচ্ছ। কারণ মায়েরা যা দেন তা পৃথিবীর কেউ কখনোই তা দিতে পারবেন না। আমরা শপিং মলের দামি কাপড়টি কিংবা রেস্টুরেন্টের দামি খাবারটি পরে আবার পাব। কিন্তু মায়ের ভালোবাসা সেটা প্রতিবারই অমূল্য।

যাই হোক, মূল কথায় আসি, প্রতিটি সন্তান-ই জানে মা আমাদের জন্য কতটা কষ্ট করে এবং কতটা ভালোবাসে। কিন্তু আমরা আমাদের মাকে কতটা ভালোবাসছি কিংবা ভালোবাসা দিচ্ছি। আবার এই সমাজে এমনও কিছু সন্তান আছে যারা মাকে ভালোবাসতে পারে না আবার কষ্ট দিতে জানে।

সত্যি বলতে, এখন মায়ের প্রতি লোকদেখানো ভালোবাসা বেড়েছে, কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা কমেছে। মা দিবস আসলে লাফিয়ে লাফিয়ে বলি, মা আমি তোমাকে ভালোবাসি। ফেসবুকে মায়ের জন্য ভালোবাসার গল্প লিখে ভাসিয়ে ফেলি। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি করি সেটা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ বলতে পারবে না। আমরা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে বড় বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি মা তখন কি খাচ্ছেন, কার সঙ্গে খাচ্ছেন, কীভাবে খাচ্ছেন।

আমরা অসুস্থ হলে মা আমাদের জন্য পারে না জীবনটা দিয়ে দিতে। তখন মা আমাদের জন্য কী করে কিংবা কেমন করে সেটা আমরা ভালোভাবেই জানি। কখনো খেলায় কিংবা অন্য কোথাও আহত হলে মায়ের অবস্থা কেমন হয়, সেটাও আমরা নিজেরাই দেখেছি। কিন্তু আমরা মায়ের অসুস্থতার সময় কী করেছি? কখনো জানতে চেষ্টা করেছি মা তুমি কেমন আছো?। কখনো কি জানতে চেষ্টা করেছি মা তোমার শরীর ভালো আছে?। মায়েরা শরীরে অসুস্থতা নিয়েও রান্না করে যান আমাদের পছন্দের এবং প্রিয় খাবারটি। ঘরের সব কাজ নিশ্চুপে করে যান। বুঝতে দেন না কষ্ট হচ্ছে কিংবা আর পারছেন না।

আমরা যখন বুঝতে শিখি কিংবা একটু বড় হয়ে যাই, তখন আর মাকে মূল্যই দিই না। মায়ের সঙ্গে পরামর্শ কিংবা কোনো ধরনের কথা শেয়ারও করি না। একটা সময় নিজেরা মায়ের ভুল ধরতে শুরু করি। মাকে ধমক দিতে শুরু করি। আমরা বাবাকে যেমন-তেমন মান্য করলেও মাকে কখনোই মান্য করি না (অনেকেই করেন)। মা আমাদের কিছু বারণ করলেও আমরা সেটা তেমন তোয়াক্কা করি না। অথচ মায়ের সেই আদেশ, উপদেশ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্র্ণ ছিল সেটা পরবর্তী সময়ে ঠিকই টের পাই।

আমাদের সমাজে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা আজ মাকে ভালোবাসতে চাইলেও পারছে না। কারণ আজ তাদের মা নেই। যখন ছিল তখন হয়তো সেই সুযোগটি পাইনি। আজ সময় এসেছে কিন্তু মা নেই। কিন্তু যাদের আছে তারা মাকে কতটুকু সম্মান, ভালোবাসা দিচ্ছি। সমাজে এমনও কিছু সন্তান রয়েছে যারা তার জন্মদাত্রী মায়ের শরীরে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না। হয়তো ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করার বিনিময়ে এই সম্মানটুকু দিচ্ছে মাকে। আমার কথা হচ্ছে, সম্মান দিতে না পারলেও অসম্মান কেন করব?

শারীরিক কিংবা মানসিক সবভাবেই মাকে আমরা অনেকেই এখন আঘাত করে থাকি। এটাই কি প্রসব ব্যথা সহ্য করে আপনাকে-আমাকে জন্ম দেওয়ার পুরস্কার? শিশুকালে আমাদের লালনপালন করার পুরস্কার? নিজে না খেয়ে আমাদের খাওয়ানোর পুরস্কার?

এত কিছুর পরও সন্তানের জন্য মায়ের মনে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। আমরা অপরাধ করলে মা সব সময় আমাদের ক্ষমা করে দেন। মা শুধু চান আমরা যেন ভালো থাকি এবং সুন্দর থাকি। মা যদি না ফেরার দেশেও চলে যান সন্তানের মঙ্গল কামনা সেখান থেকেও করবেন। কারণ তিনি তো মা। সত্যি বলতে, আমরা যতটাই বড় হচ্ছি, ততটাই মায়ের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। এমনও সন্তান রয়েছে যাদের মা আজ বৃদ্ধাশ্রমে রাত কাটান। এর চেয়ে লজ্জা ও অপমানের আর কী আছে?

আসুন মাকে লোকদেখানো ভালো না বেসে প্রতিদিন মাকে ভালোবাসি। মাকে অন্তত তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিই। অবহেলা আর অযত্নে যেন কোনো মা দিন না কাটান সেদিকে নজর রাখি। নিজের মায়ের পাশাপাশি, অসহায় মায়েদেরও খোঁজ রাখি। বৃদ্ধাশ্রমে যেন কোনো মাকে রাত কাটাতে না হয়, সে প্রত্যাশা রাখি।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। ইমেইল : [email protected]

 


আরও খবর



ভারতের পশ্চিম সীমান্তজুড়ে হামলা চালাল পাকিস্তান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন ও অন্য গোলাবারুদ ব্যবহার করে ভারতের পুরো পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে একাধিক হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এসব হামলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় সেনাবাহিনী এ দাবি করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী আরো বলেছে, ড্রোন হামলাগুলো সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রয়টার্সের এক সাংবাদিক বলেন, বিস্ফোরণের সময় চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। শহরে শোনা যায় সাইরেনের শব্দ। এ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তবে পাকিস্তানই এ হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করছে ভারতের সামরিক বাহিনী। এ বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, পাকিস্তান থেকে জম্মু অঞ্চলের সাতওয়ারি, সাম্বা, রণবীর সিং পুরা ও আরনিয়া এলাকা লক্ষ্য করে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে সেগুলো ধ্বংস করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।


আরও খবর



সুন্দরবনের ১০ কিমির মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সুন্দরবন সংরক্ষিত বনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘোষিত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ বা প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

তবে, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণার আলোকে ওই অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম নেওয়া যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে গঠিত ইসিএ এলাকায় পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার। আজ সোমবার অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।


আরও খবর



আমরা চীনের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস চীনের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তির প্রেক্ষাপটে এই সাক্ষাৎকে দুদেশের সম্পর্কের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ইউনূস। কূটনৈতিক সৌহার্দ্যের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যুব বিনিময় ও বাণিজ্যসহ বহুবিধ খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি উঠে আসে আলোচনায়। একে শুধু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সম্পর্ক নয়, বরং জনগণের মধ্যে সম্প্রীতির সেতুবন্ধ গড়ে তোলার এক বাস্তব পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচনা করছেন উভয় পক্ষ।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি বলেন, এটা সবে শুরু। আমরা এত কাছাকাছি আছি, তবু এত দূরে। আসুন, আমরা এটি পরিবর্তন করি। আমরা আশা করি, আপনি শিগগিরই আবার আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন। আমরা ভালো প্রতিবেশী হতে চাই, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এ সময় গভর্নরকে বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা তার সাম্প্রতিক চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক টার্নিং পয়েন্ট। তিনি উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য চীনের প্রশংসা করেন এবং দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে উৎসাহমূলক বক্তব্যের জন্য রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

গভর্নর ইউবো উষ্ণ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আমার এই সফর। ইউনান দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের উন্মুক্ত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও গভর্নর যুব বিনিময়, স্বাস্থ্যসেবা সহযোগিতা, শিক্ষা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। গভর্নর ইউবো বৈঠকে জানান, প্রফেসর ইউনূসের প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা ইতোমধ্যে ইউনানের একটি চীনা ব্যাংক গ্রহণ করেছে।

দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন সামাজিক লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, চীনের অনেক মানুষ এই পদ্ধতির মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।

গভর্নর ইউবো বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল ও ভাষা শিক্ষায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সামুদ্রিক খাদ্য, আম ও কৃষি পণ্যের মতো খাতে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন।

ওয়াং ইউবো বলেন, আমাদের উচিত, মানুষে-মানুষে সম্পর্কের দিকে নজর দেওয়া এবং আমাদের অঞ্চলগুলোকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসা।

প্রধান উপদেষ্টা গভর্নরের পরামর্শকে সমর্থন করে বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে শুরু করে বাণিজ্য ও প্রশিক্ষণ– আপনি যা বলেছেন তার সবকিছুতেই আমরা একমত। আমরা এই বিষয়গুলো আগের চেয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা ঘনিষ্ঠ অংশীদার এবং সত্যিকারের বন্ধু হতে চাই।

বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিকে মূল ফোকাস হিসেবে তুলে ধরা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য কুনমিংয়ে চারটি হাসপাতালের সুনির্দিষ্ট করাসহ চিকিৎসা পর্যটন চালুর ক্ষেত্রে চীনের সহায়তার জন্য প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সহযোগিতা আমাদের অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায়।

উভয় পক্ষই শিক্ষা বিনিময় বৃদ্ধির গুরুত্বের বিষয়েও একমত হয়েছে। বর্তমানে চীনে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এবং প্রফেসর ইউনূস এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা আমাদের তরুণদের চীনে পড়াশোনা করতে এবং ভাষা শিখতে উৎসাহিত করবো।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সমৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মোচনে চীনের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। সভায় আরও ছিলেন সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ।


আরও খবর



ইউটিউবে যুক্ত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ডাবিং

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবেশ করেছে। এআই যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে প্ল্যাটফর্মটিতে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসা হবে। এমনকি ইউটিউবে যুক্ত হতে পারে স্বয়ংক্রিয় ডাবিংও। এভাবে এআই-এর হাত ধরে ইউটিউব, কীভাবে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে তার ওপর আলোকপাত করেছেন ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক বার্গেন। মিশরের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার ফারাহ মেধাতের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেন ইউটিউবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমজাদ হানিফ। মেধাতের ভিডিওগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার দর্শকের কাছেও জনপ্রিয়। হানিফ আশাবাদী, খুব শিগগিরই ইউটিউবের এআই প্রযুক্তি মেধাতকে কোরীয় ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলাতে সক্ষম হবে।

তিনি আশা করছেন- ভবিষ্যতে প্রতিটি ইউটিউব ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব ভাষায় অনুবাদ ও ডাব করা সম্ভব হবে, এমনকি ভিডিওতে কথা বলার সময় ঠোঁটও যেন ভাষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নড়ে। হানিফ জানান, ইউটিউব নির্মাতাদের জন্য এমন এআই টুল আনছে যা ভিডিও আইডিয়া তৈরি, সম্পাদনা, মার্কেটিং এবং অ্যানালিটিক্সেও সহায়তা করবে। ২০০৫ সালে সহপ্রতিষ্ঠাতা জাওয়েদ করিমের মাত্র ১৯ সেকেন্ডের এক ভিডিও দিয়ে যাত্রা শুরু করে ইউটিউব। আজ এটি বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের আয়ের উৎস, বিনোদনের মাধ্যম ও মিডিয়া পাওয়ার হাউস।


আরও খবর