Logo
শিরোনাম

ভারত যাচ্ছে তিন হাজার টন ইলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অবশেষে ইলিশ যাচ্ছে ভারতে। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশটিতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন রফতানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্ত পূরণসাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হলো

সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রফতানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন নং ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো

তবে উল্লিখিত সময়ের পর প্রাপ্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া যারা এরই মধ্যে আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঢাকার বাতাসে বিষ, মাস্ক পরার পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে পর্যাপ্ত পানি ছিটানো ও কার্যকর পদক্ষেপ নেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের । রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিষাক্ত বাতাস। বায়ুদূষণের এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থায় জনসাধারণকে মাস্ক পরিধানসহ বাইরে না যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রতিবছরই বায়ুদূষণ তালিকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এবারও শীতের শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা যায় যেন ধুলার রাজ্য। ধুলাবালির কারণে সড়কের পাশের গাছগাছালিও ধসর রঙ ধারণ করেছে। অথচ পর্যাপ্ত পানি ছিটিয়ে এ ধুলাবালি কমাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া যারা চলাচল করে নগরীতে তাদের অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা এমন পরিস্থিতিতে বাইরে যেতে শঙ্কিত হন। এমন পরিস্থিতিতে ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে পানি ছিটানোর উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তবে পানি ছিটানোর এ কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়।

 নামেমাত্র ছিটানো পানি ২০ মিনিট পর শুকিয়ে যায়। পরে আবার উড়তে থাকে ধুলা। ঢাকার দুই দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বায়ুদূষণ রোধে পানি দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। গাড়িতে করে পানি ছিটানো হয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় ছিটানো পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। অনেক এলাকার সড়ক ছোট হওয়ায় পানি ছিটানো গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে বৃষ্টি না থাকায় দূষণ বাড়ছে। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।


পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সাত বছরে পরিবেশ দূষণ মাত্রায় দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেখানে বায়ুদূষণ মাত্রার বার্ষিক গড় মান ৩৫ এর কাছাকাছি থাকার কথা; সেখানে প্রতিবছরই ঢাকায় এ মান থাকে ৮০ এর উপরে। গতবছর ঢাকায় এ দূষণের মান ছিল ৮৩.৯। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণের মাত্রা যে হারে বাড়ছে তাতে পূর্বের বছরগুলো ছাড়িয়ে যেতে পারে। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা ২০২৪ থেকে ২০৩০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ইটভাটা বন্ধসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

আইকিউএয়ারের মান অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তসত্তা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। গত বুধবার সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ছিল ৪১৪। যা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত।

বাংলাদেশে বছরে প্রায় এক লাখ দুই হাজার ৪৫৬ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। ছোট শিশুরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতি বছর পিএম ২.৫ সংশ্লিষ্ট লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশনে পাঁচ হাজার ২৫৮ শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালে বিশ্বের দূষিত দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বালু কণার বার্ষিক গড় মান ছিল ৭৯ দশমিক নয় মাইক্রোগ্রাম; যা বার্ষিক জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রামের দ্বিগুণের বেশি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। সিআরইএর মতে, বাংলাদেশের জাতীয় বায়ুমানের মান (৩৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) পূরণ করা সম্ভব হলেও মৃত্যুহার ১৯ শতাংশ, আয়ুষ্কালজনিত সমস্যা ২১ শতাংশ এবং অক্ষমতা নিয়ে বসবাসের বছর ১২ শতাংশ কমতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হলে প্রতি বছর ৮১ হাজার ২৮২ মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে।

ক্যাপস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এটি শুধু মানবদেহকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই, এ মুহর্ত থেকেই দূষণ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ এবং নীতিমালা গ্রহণ করা না হলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বায়ুদূষণের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সরকারের উন্নয়ন দর্শনে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এজন্য আইন সংস্কারসহ এর কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। সরকার বায়ুদূষণের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই নিচ্ছে না। শুধু পানি ছিটিয়ে দায় ছাড়ছে। সরকার যদি বায়ুদূষণকে গুরুতর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করত, তাহলে ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হতো। ঢাকার অপরিকল্পিত উন্নয়নই বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। গাছ কমে যাওয়া, নদী দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার মতো ধ্বংসাত্মক কাজ চলছে। এসবের কারণেই বায়ুদূষণ হয়। বায়ুদূষণের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত না করে সরকার শুধু দায় এড়ানোর জন্য পানি ছিটানোর আশ্রয় নিয়েছে।


আরও খবর

যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারতের সাথে অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের সাথে সম্পাদিত সীমান্ত সংক্রান্ত সকল ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লীতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ২০১১ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিন বিঘা ও দহগ্রাম করিডোর নিয়ে একটি অসম চুক্তি হয়েছে। তাছাড়া মহিষাশন (ভারত)-কুলাউড়া (বাংলাদেশ) আন্তঃদেশীয় রেলপথের কুলাউড়া রেল স্টেশন সীমান্ত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত। আমরা তাদেরকে আমাদের বর্ডারের তিন কিলোমিটার ভিতরে আসতে দেবো না। সেখানে সীমান্তের সন্নিকটে কাস্টমস-সহ একটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট নির্মাণের প্রস্তাব করা হবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে হলে দুই পক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এগুলো একপক্ষে করার নিয়ম নাই। উন্নয়নমূলকভাবে একটা মসজিদ বা মন্দির করতে হলে দুই দেশের সম্মতি নেয়া প্রয়োজন৷ আগামীতে কিছু করতে হলে যেন তারা সম্মতি নেয় এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হবে৷

ভারতের সাথে সম্পর্কের আস্থা বাড়াতে বাংলাদেশ কোনো ছাড় দিবে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শুধু ছাড় দিয়ে কিন্তু আস্থা বাড়ানো যায় না। আলোচনার মাধ্যমেও আস্থা বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয়রা অনেক সময় ফেন্সিডিল-সহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করে আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দেয়। যদিও তারা বলে ফেন্সিডিলগুলো ওষুধ হিসেবে তৈরি করছে। আসলে এটা মাদক হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বৈঠকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার বন্ধের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ খুবই সোচ্চার।

৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক/ভারতীয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক সীমান্ত হত্যা/সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বা কাউকে আহত করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া বা আটক করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন বা অবৈধ পারাপার অথবা অনুপ্রবেশ বন্ধ; ভারত হতে বাংলাদেশে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হয় এরূপ চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপন; বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীসমূহের পানির সুষম বণ্টন, নদী হতে পানি উত্তোলন, পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং রহিমপুর খালের মুখ পুনঃউন্মুক্তকরণ; বিতর্কিত মুহুরীর চর এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিভিন্ন এলাকায় বর্ডার পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য 'কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা' কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন; দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানী শনিআখড়ায় প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। দীর্ঘ চার ঘন্টা সড়ক অবরোধে সব ধরনের সড়ক পরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়ক জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে  পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাসের পরে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। 

নিহত মিনহাজের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  সাকরাইন উড়াতে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসলে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে ছুরিকাঘাত করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে পথচারীদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। তিনি বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামে। মিনহাজ বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। 

কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। তার বাবা হাফেজ কারী মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জানায়,নিহত মিনহাজ তাদের সহপাঠী ছিলেন। আগষ্টে ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকার পরিবর্তনের পরে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত থেকে চাঁদা নেয় মাহফুজ গংরা। কয়েকদিন আগে চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় হত্যাকারীদের সাথে বিবাধ হয় মিনহাজের। পরে অভিযুক্ত মাহফুজসহ করেকজন তাকে হুমকী দেয়। এর পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।

যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওয়ারী জোনের ডিসিসহ  উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এসময় তারা হত্যা কারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা কথা বলেন। এ হত্যার ঘটনায় বুধবার নিহতর ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০৬।


আরও খবর

যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল একদিনে ৪ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড করেছে। বর্তমানে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে উভয় পথে যাত্রী পরিবহন করছে।

এর আগে একদিনে সাড়ে ৩ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে মেট্রোরেল।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোরেল যাত্রী সেবায় প্রথমবারের মতো ৪ লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এই মাইলফলক অর্জনে মেট্রো পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল, সম্মানিত যাত্রী, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীজনদেরকে মেট্রোরেল পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।

আরও বলা হয়, এ মহতি লক্ষ্য অর্জনে সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব জনাব মো. এহছানুল হককের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সম্মানিত মেট্রো যাত্রীদের সেবায় আমরা নিবেদিত। আগামীর পথচলায় আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল এন্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ৮২ হাজার প্যাসেঞ্জার সর্বোচ্চ মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। সেটা অবশ্য শুরুর দিকে ছিল ১৫-২০ হাজার। আমাদের টার্গেট হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। এটি ব্রেক ইভেন্ট পর আমাদের হবে। আমরা যদি হেডওয়ে কমাই, তাহলে এটি আর বেশি দিন দূরে নয়। আমরা যদি টঙ্গী পর্যন্ত চালু করতে পারি তাহলে আমাদের যাত্রী আরো বাড়বে।


আরও খবর

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আইনি দলিল ও জনগণের ইচ্ছা দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত ও বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার দ্বারা গঠিত বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট খারিজের পূর্ণাঙ্গ আদেশে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চান। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রেফারেন্স ও মতামতের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহসীন রশিদ। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৩ জানুয়ারি রিটটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশ বুধবার প্রকাশিত হয়।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত নয় বলে রিট আবেদনকারীর (আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ) বক্তব্যে এসেছে। উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এক অনন্য পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী উপদেষ্টামূলক মতামত গ্রহণ করেন। মতামত অনুযায়ী কাজ করেছেন। তাই এটি আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার দ্বারা সমর্থিত।

পূর্ণাঙ্গ আদেশে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, তা আমাদের ইতিহাসের অংশ এবং আশা করি আগামী বহু বছর ধরে জনগণ যত্নে থাকবে।’

রিটটি ভ্রান্ত ধারণা, বিদ্বেষপ্রসূত ও হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে তা সরাসরি খারিজ করা হয়।

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ারের বিষয়ে বলা আছে। অনুচ্ছেদটি বলছে, যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয়, আইনের এরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহলে তিনি (রাষ্ট্রপতি) প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করতে পারবেন। ওই বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করতে পারবেন।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫