Logo
শিরোনাম

ভারতে মন্দিরে কুয়ার ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ৩৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে একটি মন্দিরে পূজা দেওয়ার সময় কুয়ার ছাদ ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ দাড়িয়েছে। রাজ্যটির ইন্দোরের শ্রী বালেশ্বর মন্দিরে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। কুয়ার ছাদের ওপর মন্দির ছিল। রামনবমীর কারণে অতিরিক্ত মানুষ উঠে পড়ায় কুয়ার ছাদ ধসে পড়ে। 


পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে শ্রী বালেশ্বর মন্দিরে কয়েকশ পুণ্যার্থী হাজির হয়েছিলেন। পুজো চলাকালীন বেশ কিছু পুণ্যার্থী মন্দিরের ভেতরেই একটি পুরনো কুয়ার ছাদে উঠে পড়েন। সেটির মুখ কংক্রিটের ছাউনি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। সেই ছাউনির ওপর পুণ্যার্থীরা উঠে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।


ইন্দোরের কালেক্টর ইলায়ারাজা টি বলেন, মোট ৩৫ জন মারা গেছেন, একজন নিখোঁজ আছেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ জনকে। চিকিত্সার পর দুইজন নিরাপদে বাড়ি ফিরেছে। নিখোঁজের সন্ধানের জন্য অভিযান চলছে।


তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ১৮ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল, তা এখনও চলছে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জন বলেছেন, ভেঙে পড়া কুয়ার ছাদের নিচে কিছু লোক চাপা পড়েছেন। তাদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ, দমকল এবং রাজ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী।


এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

হিন্দু দেবতা ভগবান রামের জন্মদিন রামনবমী উপলক্ষে ভারতজুড়ে মন্দিরগুলোতে পুণ্যার্থীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়।


আরও খবর



বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি খাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এবারের বাজেটে কৃষি খাততে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। বিনামূল্যে না হলেও অনেক সহযোগিতা দিয়ে কৃষির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কম্বাইন হারভেস্টার আমরা দিচ্ছি। গ্রামীণ ও পল্লী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এ বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর রাণী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজেট বিষয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গত ১৪ বছর যাবতই বলেন এটা উচ্চ বিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনা ভিত্তিক বাজেট। প্রতি বছরই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলাদেশ করার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট দিয়েছি। সেই লক্ষ্যে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা বলে অদম্য বাংলাদেশ। সেই অদম্য বাংলাদেশে অপ্রতিরোধ্য গতি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে। এই গতিকে আমরা আরও বেগবান করবো। এই বাজেটের মাধ্যমে উন্নয়নকে আর গতিময় করবো।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিরোধী দল বলে উচ্চ বিলাসী, শেখ হাসিনা উচ্চ বিলাসী। বাংলাদেশের মানুষকে আরও উন্নত করতে চায়। আমরা বলছি, এই বাজেট বাস্তব সম্মত। অতীতেও আমরা সফল হয়েছি। আগামী দিনেও বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সফল হবো। আগে বাংলাদেশের চার লাখ ৮৪ কোটি টাকা ছিল জাতীয় আয়। সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪ লাখ কোটি। আগামী বছর আরও বেশি হবে। বাংলাদেশের আয় আমরা নয় গুণ বৃদ্ধি করেছি। বাজেট প্রণয়ন হলে এটি আরও বৃদ্ধি হবে।

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মোটেই বিচলিত নয়, কোনো স্যাংশন দিয়ে এ উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারেব না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। আপনারা যত ধরনের স্যাংশনই দেন তা মোকাবেলা করার মতো যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।


আরও খবর



এক সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে সিলগালা

ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন ১৭তলা ভবন ডি-ব্লকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি বিভাগের মধ্যে অনেক বিভাগও এ ভবনেই। অথচ ভবনটি রয়েছে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকিতে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুটি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবন এক সপ্তাহের মধ্যে সিলগালা করার নির্দেশনা দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পরে ভবনগুলো ভেঙে ফেলতেও বলা হয়েছে। রাজউক থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্স প্রদানের জন্য ঢাকায় ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর আইপিজিএমআরকে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল সংসদীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রূপান্তর করা হয়। আইপিজিএমআর থেকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. তাহির। ওই সময় ডি-ব্লক নির্মাণ করা হয় এবং এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ছিলেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হুমায়ুন কবির।

জানা গেছে, বর্তমানে বিএসএমএমইউতে ৫৬ বিভাগের অধীন ১ হাজার ৯০৪ শয্যা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৯টি ভবন। এ ছাড়া গত বছর সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিএসএমএমইউর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভবন ডি-ব্লক। ১৭তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠান ও রাজউকের যৌথ গবেষণায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভবনটি ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ বিএসএমএমইউর ভিসির কাছে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন জাহানের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন কারিগরি কমিটির গবেষণাকালে ৪২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। তাই কারিগরি কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিএসএমএমইউর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি ভবন আগামী সাত দিনের মধ্যে সিলগালা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অতিব গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠির বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মোবারক হোসেন বলেন, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে দেখা গেছে, রাজউকের আওতাধীন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ২২৯টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৪২টি ভবন রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়, যেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। আর ১৮৭টি ভবন কম ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোকে রেক্ট্রোফাইটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। এসব ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা বাইরের প্রকৌশলীদের নিয়ে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন ভবনটি ঠিক আছে। এটি কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হলো, তা জানতে রাজউককে চিঠি দিয়েছি। রাজউক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভবনটিতে অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এত যন্ত্রপাতিসহ একটি ভবন ভেঙে ফেলা সহজ নয়। রাজউক যদি বুয়েটের টিম দিয়ে ফের পরীক্ষার কথা বলে থাকে, তাহলে আমরা পরীক্ষা করাব। তারপরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, ১৭ তলা বিশিষ্ট ডি-ব্লক নামের ভবনটি নতুন হলেও নকশা অনুযায়ী হয়নি। ভবনটির ভেতরে অপ্রশস্ত করিডোর, জরুরি নির্গমন না থাকা, লিফট স্থাপনও সঠিকভাবে হয়নি। ভবনটি চরম অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনটি গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মাণ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছে। আমরা বলেছি, ভবনটি বিধিবিধান মেনে নির্মাণ হয়নি। এখন তারা যদি আমাদের গবেষণা রিপোর্ট মানতে না চায়, তাহলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাধ্যমে ফের পরীক্ষা করাতে পারে। সে সুযোগ তো তাদের আছে। ভবনটি এখনই ভেঙে ফেলত হবে, এমন নয়। তবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ভবনটি খালি করে সিলগালা করা উচিত।

গবেষণা দলের একজন সদস্য বলেন, ১৭ তলা ভবনটি একবারে নির্মাণ করা হয়নি। প্রথমে কয়েকতলা নির্মাণ করা হয়েছে। এর কয়েক বছর পর আবার কয়েক তলা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশা অনুযায়ী গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবনটি নির্মাণ করে। ভবনটিতে দুটি ফায়ার এক্সিট রাখার দরকার হলেও একটিও রাখা হয়নি। ভবনের ভেতরের করিডোর একেবারে চিকন। সিঁড়ি দুটি এমনভাবে করা হয়েছে, আগুন লাগলে মানুষ সেগুলো দিয়ে বের হতে পারবে না। ভবনটি একটি বাক্সের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। কত সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি। এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হাজারো মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

রাজউকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্লান (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আওতাধীন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ করতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গবেষণার দায়িত্বে ছিল জেভি অব এনকেওয়াই (তুর্কি)। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ঢাকার শেলটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডিএমডিপি এলাকার ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের রেপিড ভিজ্যুয়াল অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএ) এবং প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) করে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণ করে। গবেষণাকালে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর কম ঝুঁকির তালিকায় আছে ১৮৭ ভবন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদন আকারে রাজউকে দাখিল করা হয়েছে।

রাজউকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গবেষণা প্রতিবেদনে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ৪২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদরাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন। এ ছাড়া প্রতিবেদনে সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৮৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রেক্ট্রোফাইটিং করে মজবুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের চারটি, মাদরাসা বোর্ডের ছয়টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




কাজী রাইয়ানকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪০০জন দেখেছেন

Image

নুরুল্লাহ খান শাজাহান, নিজস্ব প্রতিনিধি:

লিকুমিয়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ৫ বছরের শিশু কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন যা পরিবার এবং সাংবাদিক পিতার পক্ষে মেটানো অসম্ভব। সুস্থভাবে সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ ঢাকার দোহার উপজেলার ঘাটা গ্রামের সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ ও রাশেদা আক্তার দম্পত্তির ছেলে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে মাত্র ১১ মাস বয়সে প্রথম লিকুমিয়া (all) ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে রূপের। এর দীর্ঘ ৪ বছর চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠে সে। তবে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্বপ্রায় রূপের বাবা। হঠাৎ গতমাসে আবারো গুরুতর অসুস্থ হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রূপকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে শিশুটির। বর্তমান রুপ বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান তত্বাবধানে রয়েছে রূপ।

প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান জানান, বর্তমানে রূপের অবস্থা আশংকাজনক। তার লিভার ও স্প্রিন্ট বড় হয়ে গেছে। এছাড়া সে নিউমনিয়ায় আক্রান্ত, পাশাপাশি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ছে না।

ডাক্তার আরো জানান, রূপের বনমেরু পরিবর্তন করা গেলে ৮০% সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে এ চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। ভারতে নিয়ে করতে খরচ হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

রূপের সাংবাদিক পিতার পক্ষে এ টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। এ অবস্থা ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল মানুষের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের সুদৃষ্টি কামনা করেন পরিবারটি।

যোগাযোগের ঠিকানা: ০১৭১৬৫৫৯১৯০ (বিকাশ), রূপের বাবা সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ

মো. জোবায়ের আহমেদ

একাউন্ট নাম্বার: ০০১২১০০০৩১১৪৭

সাউথইস্ট ব্যাক, জয়পাড়া শাখা, দোহার


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে রেল ট্রেন চলবে জুনে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন সফলভাবে চালানোর পর এখন দ্রুতগতিতে চলছে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের চূড়ান্ত ধাপের কাজ। কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী জুনের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো উপযোগী করা সম্ভব। এর আগে গত ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক চালানো হয় ট্রেন। সফলভাবে অতিক্রমের পর দ্রুত এগোচ্ছে চূড়ান্ত ধাপের কাজ।

জানা গেছে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির উপযোগী লাইনে লাগবে না কোনো জোড়া। তাই সেতুর স্লিপার ও স্টিলের ট্রেনলাইন যুক্ত করার ক্লিপ খুলে জোড়া যুক্ত করা হচ্ছে সূক্ষ্মভাবে। এ ছাড়া অত্যাধুনিক সিবিআই সিগন্যালিং সিস্টেম চালু করতে রেললাইনের পাশ দিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে শক্তিশালী অপটিক্যাল ফাইবার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী জুনের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো উপযোগী করা সম্ভব হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১-এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, গুণগত মান ও সুরক্ষাব্যবস্থা ঠিক রেখে কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ট্রেন চলাচলে যাত্রীদের কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৭২ কিলোমিটার রেলের কাজ শেষ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশের সম্পূর্ণ রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, গত ৪ এপ্রিল আমরা গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করেছি। এ পথে ডিজাইন-স্পিড ১২০ কিলোমিটার থাকলেও আমরা ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে পরীক্ষামূলক টেস্ট-রান চালাই। ওই পরীক্ষামূলক কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এই প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। তিন অংশের কাজই দ্রুত এগিয়ে চলছে।

প্রকল্প সূত্রে আরো জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি সাড়ে ৯৩ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৭জন দেখেছেন

Image

ঘূর্ণিঝড় মোখার পর এবার আসতে যাচ্ছে তেজ। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এটি তৈরি হলে আছড়ে পড়ার সময় বিধ্বংসী আকার ধারণ করতে পারে।

আরব সাগরে ৮ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তেজ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৭ জুনের মধ্যে একটি নিম্নচাপে তৈরি হবে আরব সাগরে। যা কেরালা উপকূলবর্তী এলাকায় নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে সেটি। পরবর্তীতে তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে তার নাম হবে তেজ।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। তারপর আরব সাগরের এই ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে গভীর থেকে গভীরতম নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুরু হবে প্রবল বৃষ্টিপাত।

খবরে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তরদিকে অগ্রসর হতে পারে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমঘাটে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভাসতে পারে কেরালা।

ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বর্ষার পথে এই সাইক্লোন কোনোভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। ইতোমধ্যেই কেরালার আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। রবিবার (০৪ মে) কেরালায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফরকাস্ট এবং গ্লোবাল ফরকাস্ট সিস্টেমের তরফে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় উৎপন্ন হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের বিজ্ঞানী ডি. শিবানন্দ পাইও বিষয়টিতে সম্মতি জানিয়েছেন। এর প্রভাব বিধ্বংসী হতে পারে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনো পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরের তীরবর্তী রাজ্যগুলোতে এই ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে। সঠিক সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে আরব সাগরের পাড়ে। তাণ্ডব চালাতে পারে ভারতের মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ এবং কেরালাতে।

সূত্র: এই সময়


আরও খবর