Logo
শিরোনাম

ভারতে নির্বাচন ঘিরে গুজবের ছড়াছড়ি, ফলাফলের অপেক্ষায় জনগণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image



সিনিয়র প্রতিবেদক:


ভারতের জাতীয় নির্বাচন শুরু হয় ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল। ছয় সপ্তাহ ধরে চলা এই নির্বাচন ছিল অন্য যেকোনো বারের তুলনায় অন্যরকম। 


ঘাত-প্রতিঘাত, সংঘাতের তথ্যও ছড়িয়েছিল বিভিন্ন মাধ্যমে। তবে, অনলাইন, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া গুজব ছিল অন্য যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত। 


এ সবকিছু ছাপিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে দেশটির জনগণ। আগামীকাল মঙ্গলবার জানা যাবে, ভারতের নতুন ভাগ্য নির্মাতার নাম। খবর এএফপির।


ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের নির্বাচন হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এই নির্বাচন ঘিরে অনলাইনে অনেক মিথ্যা সংবাদ, তাৎক্ষণিক বার্তা, বিকৃত ভিডিও ও মনগড়া ক্যাপশনের পাশাপাশি অসংগতিপূর্ণ ছবি পোস্ট করা হয়।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইন্ডিয়া হেট ল্যাব সংস্থাটি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং গুজব নিয়ে গবেষণা করে থাকে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ফ্যাক্ট চেকাররা ছয় সপ্তাহ ধরে সাত ধাপের ভোটদানের প্রক্রিয়াতে ৪০টিরও বেশি নির্বাচন সম্পর্কিত গুজব রটানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে, যা রাজনৈতিক বিভাজনকে বাড়িয়ে তোলে। 



সংস্থাটির রকিব হামিদ নায়েক জানান, ভারতের এই নির্বাচনে নজিরবিহীন গুজব ছড়াতে দেখা গেছে। এমনকি, এসবের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে উসকে দেওয়ার মতো ষড়যন্ত্রও ছিল বলে দাবি করেন তিনি। 


নির্বাচন ঘিরে মিথ্যা ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করা হয়েছে বলে জানানো হয়। বলা হয়, ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বলিউড তারকারা বিরোধী দলগুলোকে সমর্থন করছে এবং একজন ব্যক্তি একাধিক ভোট প্রদান করছে। তবে, তা মিথ্যা।



ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু-জাতীয়তাবাদী ঘরানার রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ভারতের ২০ কোটিরও বেশি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ভয় ও বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য সমালোচনার মুখে পড়ে।



 ভিডিওগুলোতে বেশিরভাগ মোদির নিজের বলা উসকানিমূলক বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়। যেখানে বলা হয়, বিরোধীদলগুলো, বিশেষ করে কংগ্রেস মুসলমানদের পক্ষে ভারতের সম্পদ বিতরণ করার পরিকল্পনা করছে।



ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের রকিব হামিদ নায়েক বলেন, এই ধরনের পোস্টের উদ্দেশ হলো—ধর্মীয় ভিত্তিতে ভোটারদের মেরুকরণ করা এবং মুসলমানদের প্রতি অন্যদের ভয় ও শত্রুতা সৃষ্টি করা। 


ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে জয় লাভের জন্য ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগানোর কৌশল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কেবল দুর্বলই করেনি, সমাজে বিভাজন ও ঘৃণার বিপজ্জনক বীজও বপন করছে।


নির্বাচনে প্রথম থেকে রাজনৈতিক প্রচারণায় গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর পিছনে প্রধান লক্ষ্য ছিলেন বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী। তার বক্তব্য, ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হতো অসম্পূর্ণ বা অপ্রাসঙ্গিক উপায়ে। 



আবার অনেক লেখায় দেখা যায়, রাহুল গান্ধী জনগণকে মোদিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, যা ছিল মিথ্যা তথ্য ও গুজব।গুজবের আরও কিছু উদাহরণের মধ্যে ছিল ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সদ্ভাব হওয়া।


এ সময় একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হিন্দু মন্দিরের ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং দাবি করা হয় মন্দিরটি ধ্বংসের জন্য রাহুল গান্ধী দায়ী, যা মূলত পাকিস্তানের একটি মন্দিরের ছবি ছিল।



আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় দুই বন্ধুর মৃত্যু,, আহত দুইজন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ড্রাম ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে 

মাহিন আহমেদ সাগর (২৭) ও আলভী রাব্বানী জিহান (৩২) নামের দু'জন বন্ধু'র মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

এদূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু'জন। সোমবার ৯ ডিসেম্বর বিকেলে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা উপজেলার শাহারপুকুর নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। 

নিহত মাহিন আহমেদ সাগর নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চৌধুরী পাড়া গ্রামের আঃ জব্বারের ছেলে ও নিহত আলভী রাব্বানী জিহান একই এলাকার এনামুল হকের ছেলে বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ অভিমুখি একটি প্রাইভেটকার ও একটি যাত্রীবাহী বাসকে রাজশাহীগামী একটি ড্রাম ট্রাক ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচরে যায় এবং বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঘটনা স্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা দু'জনের মৃত্যু হয় এবং দু'জন আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দু' জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



মূল্যস্ফীতির অভিঘাত খাদ্যে, ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের নভেম্বরে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যে এই মূল্যস্ফীতি হয়েছে বেশি। এর মারাত্মক অভিঘাত পড়েছে গরিবের ওপর। এতে সংসার চালাতে হিমমিশ খাচ্ছেন কম আয়ের মানুষ। এই উচ্চ দামের অভিঘাতে তাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। ক্রয় ক্ষমতা পেয়েছে হ্রাস। বাজার বিশ্লেষক দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত যাচাই এবং অর্থনীতিবিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ মাসে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে যা প্রায় ১৪ শতাংশ। বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, গত মাসে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অক্টোবরে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক পদক্ষেপ ও রাজস্ব নীতির সমন্বয়ের কারণে আগামী বছরের মে-জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নভেম্বরে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

দেউলিয়াত্ত থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি প্রায় তিন মাস ধরে ঋণাত্মক পর্যায়ে। কিন্তু বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য সংকোচন না হওয়ায় মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। গত বছরের একই সময়ে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৮৯ শতাংশ। এছাড়া, নভেম্বরে মজুরির হার কিছুটা বেড়েছে ৮.১০ শতাংশ হয়েছে যা অক্টোবরে ছিল ৮.০৭ শতাংশ।

নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, অক্টোবরে যা ছিল ১১ দশমিক ২৬ ভাগ। গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪১ ও ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। চলতি বছরের অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৭৫ ও ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং গত বছরের নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৬ ও ৮ শতাংশ। নভেম্বরে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ; অক্টোবরে যা ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। নভেম্বরে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৬৩ ও ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৫৩ ও ৯ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৫৮ ও ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

দেশে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের কাছাকাছি। বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেশের গড় চলন্ত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

বাজার তদারকি করা হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য আসছে না। প্রতিনিয়ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। উৎপাদন ও আমদানিকারক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে একটি বড় সরবরাহ চেইন রয়েছে। সেখানেও সংকট কাজ করছে। সবমিলিয়ে দ্রুত এসব পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মূল্যস্ফীতি টেনে ধরা যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শফিকুজ্জামান এ বিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির কারণে বাজারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এটাই মূল্যস্ফীতি। এতে খালি হয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের পকেট। তাদের প্রকৃত আয় কমেছে। এই মূল্যস্ফীতির মারাত্মক অভিঘাতে সংসারের খাবার জোগাতেই সর্বশান্ত হয়েছে বড় আয়তনের পরিবারগুলো। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। আমার সুদিনের আশা করছি।’

সর্বশেষ গত অক্টোবরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ আর অক্টোবরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার কয়েক দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। তাতে বেড়েছে ঋণ ও আমানতের সুদও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, অনেক দিন ধরে চলা উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে আইএমএফ মিশন উদ্বেগ জানিয়েছে। আইএমএফের পরামর্শে সুদহার বাড়ানো হলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আবার বাড়তে শুরু করে। এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন, অনেক আগেই মুদ্রানীতি আধুনিকায়নের পরামর্শ দেওয়া হলেও যথাসময়ে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিনিধি দলটি দ্রুত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি ও মুদ্রাবিনিময় হারের স্থিতিশীলতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএমএফ। এ ছাড়াও ব্যাংকে বেনামে শেয়ার ধারণ বন্ধ ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে প্রতিনিধি দল।

আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে প্রতিটি কিস্তি পেতে বেশ কিছু শর্ত পরিপালন করতে হচ্ছে। চতুর্থ কিস্তির জন্য গত জুনভিত্তিক দেওয়া বিভিন্ন শর্তের মধ্যে কর-রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়া সব শর্ত পূরণ হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক পদক্ষেপ ও রাজস্ব নীতির সমন্বয়ের কারণে আগামী বছরের মে-জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে। মূল্যস্ফীতি কমলে সংকোচনমূলক ব্যবস্থা থেকে সরে আসব, তখন সুদহার কমবে। গত মে থেকে বাংলাদেশে মুদ্রানীতির সংকোচন শুরু হয়। আর বর্তমানে যে অর্থনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে, সে আলোকে বলতে পারি, আগামী মে-জুনে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামতে পারে। তারপর কয়েক মাসের মধ্যে তা ৬ শতাংশের নিচে নামতে পারে। সেটি হলে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি থেকে সরে আসব।

আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমার লক্ষণ দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, দেশে খাদ্যবহির্ভূত (নন-ফুড) মূল্যস্ফীতি এরই মধ্যে টানা তৃতীয় মাসের মতো কমেছে। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি। এর কারণ এই সময়ের মধ্যে আমাদের দেশে দুটি বন্যা হয়েছে। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি ছিল। ফলে শীতকালীন সবজি ও অন্যান্য স্থানীয় খাদ্যপণ্য বাজারে আসতে দেরি হয়েছে। গভর্নর জানান, দেশে শ্রমিক বিক্ষোভসহ বিভিন্ন অস্থিরতার মধ্যেও রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি রয়েছে। গত চার মাসে ১০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। আর জুলাই থেকে নভেম্বরে প্রবাসী আয় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।


আরও খবর



রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :

বাংলার রূপকথা মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র কাজলরেখা। দেশে দর্শক হৃদয় জয় করে এবার অংশ নিচ্ছে প্রেস্টিজিয়াস নেদারল্যান্ডসের রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'কাজলরেখা' উৎসবের ৫৪তম আসরে লাইমলাইট বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে।

দেশে সিনেমাটি যা মুক্তি পায় গত ১১ এপ্রিল। বাণিজ্যের বিচারে না হলেও  সমালোচকরা ছবিটির প্রশংসা করেছে।


রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা’ নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘এই উৎসব বরাবরই এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্মগুলোকে প্রাধান্য দেয়, মৈমনসিংহ গীতিকার মতো প্রাচীন একটি রূপকথাকে এই সময়ে এসে লোকাল ফর্মে কীভাবে পর্দায় হাজির করলাম সেটাই ওদের আগ্রহী করেছে। এরজন্য সম্মানিত বোধ করছি।

রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে সরাসরি অংশ নেবেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।


আরও খবর

প্রেমে পড়েছেন পরীমনি

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪




বুধবার থেকে ট্রাকে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ট্রাকে করে সুলভ মূল্যে আলু বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামীকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টিসিবি জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উক্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি তেল, ডাল ও খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে সরবরাহকৃত চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

এ কার্যক্রমের সঙ্গে বুধবার থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোক্তাদের জন্য জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি আলুর দাম পড়বে ৪০ টাকা।

এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সকাল সাড়ে ৯টায় টিসিবি ভবন কারওয়ান বাজার থেকে আলু বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




স্বস্তি ফিরেছে তৈরি পোশাকশিল্পে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। সাম্প্রতিক সময়ে এই শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধসহ নানা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। এই অস্থিরতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে এসব অস্থিরতার ধকল অনেকটা কাটিয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের রপ্তানি খাত। এর ফলে বাড়ছে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। 


বাংলাদেশ থেকে শুধু নভেম্বর মাসে ৩৩০ কোটি ৬১ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় ৪৭ কোটি ডলার বেশি। আগের বছরের নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়ে ছিল ২৮৪ কোটি ৪০ ডলার। মাস হিসাবে চলতি বছরের নভেম্বরে এই রপ্তানি বেড়েছে ১৬.২৫ শতাংশ। তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য খাতের রপ্তানিও গত নভেম্বরে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। 

   

ইপিবি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত পাঁচ মাসে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানির ৮১ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় হয়েছেহাজার ৬১১ কোটি ৭১ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলহাজার ৪৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছে বেড়েছে ১২.৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু নভেম্বরেই ১৭৪ কোটি ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে গত মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৫৭ কোটি ডলারের। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ।


ইপিবি বলছে, গত পাঁচ মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৩৫৭ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জার্মানিতে রপ্তানি হয়েছে ২১০ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের পণ্য। এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি দেশ।

জানা গেছে, দেশের তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে চলেছে অস্থিরতা। এখনো এই অস্থিরতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন দাবিতে এখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ কর্মবিরতি। এসব সমস্যার পরও রপ্তানির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে পোশাক খাত। 

পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ গত ১৯শে অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অন্তত ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। 

ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্টে ব্যবসা-বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।


ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণ নিয়ে কাজ হচ্ছে। তবে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। নীতি সহায়তা ব্যবসার কিছু ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে বিভিন্ন খাতের রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভালো করছে। নিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের মধ্যেও শ্রমিক-মালিকরা উৎপাদন চালু রেখেছেন। মূলত তাদের কঠোর পরিশ্রমে রপ্তানিতে ভালো ফল এসেছে। তা ছাড়া এখন রপ্তানিরপিক সিজন সামনে খ্রিষ্টানদের বড়দিনসহ বিভিন্ন উৎসব রয়েছে। ছাড়া বিগত সময়ের ক্রয়াদেশগুলোও সময় সম্পন্ন হয়েছে। সব কারণে রপ্তানি বেড়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। শিল্প এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব উদ্যোগ রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। যদিও কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। 

নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এরপরও রপ্তানি আয় বাড়ায় আমরা খুশি। তবে আমাদের অর্ডার কিন্তু কমছে। জানি না আগামী মাসগুলোতে কী হবে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমাদের হিসাবে জুলাই মাসের মধ্যে এক সপ্তাহেই পোশাক শিল্পে ক্ষতি হয়েছেবিলিয়ন ডলারের উপরে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকায় তো রপ্তানির উপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই অস্থিরতা-অনিশ্চয়তা না থাকলে আমাদের রপ্তানি আরও বাড়তো। 

রিজার্ভ বাড়ছেরপ্তানি আয় রেমিট্যান্স বাড়ায় রিজার্ভও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১লা হাজার ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ (১১.১৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স এসেছে দেশে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬.৪৪ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৮.৭৩ বিলিয়ন ডলার।গ্রসহিসাবে ছিল ২৪.৪৫ বিলিয়ন ডলার।

এক সপ্তাহ আগে ২০শে নভেম্বর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৮.৫০ বিলিয়ন ডলার।গ্রসহিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৪.২৭ বিলিয়ন ডলার। দুই সপ্তাহ আগে ১৪ নভেম্বর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৮.৪৪ বিলিয়ন ডলার।গ্রসহিসাবে ছিল ২৪.১৭ বিলিয়ন ডলার। হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৩০ কোটি ডলার।

 


আরও খবর