Logo
শিরোনাম

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। লাইনচ্যুত ও বিধ্বস্ত হওয়া বগির মধ্য থেকে এখনও ভেসে আসছে কান্নার আওয়াজ। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮ জনে। আহত হয়েছেন ৯ শতাধিক।

কর্মকর্তারা শনিবার (০৩ জুন) বলেছেন, ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি ভারতের সবচেয়ে মারাত্মক রেল দুর্ঘটনা। খবর এএফপির

শুক্রবার (২ জুন) স্থানীয় সময় রাত ৭টা ২০ মিনিটে বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। উড়িষ্যায় মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেছেন, বালাসোর জেলায় ২ শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের পর বিশ্বে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা।

রাতে হাওড়া এবং শালিমার স্টেশনে ভিড় করেছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের উদ্বিগ্ন স্বজনরা। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।

শনিবার ভোর হওয়ার সাথে সাথে উদ্ধারকর্মীরা ভয়াবহ দুর্ঘটনার পুরো চিত্র দেখতে সক্ষম হন। ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সুধাংশু সারঙ্গি বলেছেন যে, মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮ জনে। তিনি বলেন, উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। অনেকে গুরুতর আহত।

ভারতে রেল দুর্ঘটনার জন্য অপরিচিত নয় এবং বেশ কয়েকটি বিপর্যয় দেখেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ছিল ১৯৮১ সালে, যখন বিহারে একটি সেতু পার হওয়ার সময় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং নদীতে পড়ে যায়। এতে ৮০০ থেকে ১০০০ লোক মারা যায়। তবে শুক্রবারের দুর্ঘটনাটি ১৯৯০ এর দশকের পর সবচেয়ে খারাপ বলে মনে করা হচ্ছে।

ওড়িশা রাজ্যের মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা নিশ্চিত করেছেন যে রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দূরত্বে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরে প্রায় ৮৫০ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার এখন (যাত্রীদের) উদ্ধার করা এবং আহতদের স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা।

ভারতীয় রেলওয়ের নির্বাহী পরিচালক অমিতাভ শর্মা বলেছেন যে, দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত।

এরই মধ্যে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় উচ্চ মাত্রার তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া ওড়িশায় এক দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিতে বাংলাদেশি যাত্রী থাকতে পারে। চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি এই ট্রেনে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেন। দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের তথ্য জানতে হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।


আরও খবর



বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নিউইয়র্ক শহর

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শক্তিশালী ঝড়ের প্রভাবে অতিবৃষ্টি এবং সেখান থেকে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যার কারণে নিউইয়র্ক শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শহরের কয়েকটি সাবওয়ে সিস্টেম, রাস্তা ও হাইওয়েতে পানি উঠে গেছে। অতিরিক্ত পানির কারণে শুক্রবার লা গার্ডিয়ান বিমানবন্দরের অন্তত একটি টার্মিনাল বন্ধ করে দেয়া হয়।

আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার শহরের কিছু কিছু অংশে ৮ ইঞ্চি/২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি পড়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর শুক্রবার নিউইয়র্ক শহরসহ কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স যেটি আগে টুইটার হিসেবে পরিচিত ছিল নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল পোস্ট করেন - এই ঝড় ভয়াবহ, জীবনের জন্য হুমকি স্বরুপ। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় নিউইয়র্ক, লং আইল্যান্ড ও হাডসন ভ্যালিতে জরুরি অবস্থা জারি করছি।

এসব এলাকার মানুষের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় কখনোই যাতায়াত না করার জন্য। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মৃত্যু অথবা বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। হাডসন নদীর তীরে অবস্থিত নিউ জার্সির হোবোকেন শহরেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারি করার নিউইয়র্ক শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস শহরের মানুষকে সতর্ক থাকারা পরামর্শ দিয়েছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলনে, পানি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের কিছু সাবওয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের ভেতর যাতায়াত করা হঠাৎ করে খুবই কঠিন হয়ে গেছে। নাগরিকরা যেন অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে চলে সেদিকে জোর দিয়েছেন তিনি। নিউইয়র্ক শহররে যাতায়াত সেবা প্রদানকারী সংস্থা মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন এজেন্সি জানিয়েছে পানি উঠে যাওয়ায় কয়েকটি সাবওয়ে লাইনে চলাচল পুরোপুরি বাতিল করে দেয়া হয়। অনেক স্টেশনও বন্ধ করে দেয়া হয়।

শহরের উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঐ অঞ্চলে উদ্ধার কর্মীরা বাতাস দিয়ে ফুলানো নৌকা ব্যবহার করে অনেক মানুষকে উদ্ধার করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স। ঘটনাস্থলের ছবি আর ভিডিওতে দেখা যায়, তুমুল বর্ষণের মধ্যে হাঁটু পানিতে হাঁটছে মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা অনেক ভিডিওতে দেখা যায় যে সাবওয়ে স্টেশনের দেয়াল ও ছাদ থেকে পানি চুঁয়ে পড়ছে। 

এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্কের জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা রোহিত আগারওয়াল জানান যে শহরের পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঘণ্টায় ১.৭৫ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টি সামাল দিতে পারে না। ব্রুকলিন নেভি ইয়ার্ড থেকে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার এক ঘণ্টায়ই ২.৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তিনি মন্তব্য করেন, ব্রুকলিনের কিছু অংশ যে এই বৃষ্টিতে ভুগবে, তা স্বাভাবিক।

ব্রুকলিনের সাউথ উইলিয়ামসবার্গ অঞ্চলেও হাঁটু পানিতে ড্রেন পরিষ্কার করার ভিডিও দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোয়োনুস এলাকার কেলি হেইস বিবিসিকে বলেন যে এই বৃষ্টির কারণে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার ডলার সমমূল্যের ক্ষতি হয়েছে। লা গার্ডিয়া বিমানবন্দরের টার্মিনাল এতে পুরোপুরি পানি উঠে যাওয়ার আগেই সেটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

সব যাত্রীকে পরামর্শ দেয়া হয় যেন তারা ভ্রমণ করার আগে তাদের এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করে নেয়। নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে ন্যাশনাল গার্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ মাসে নিউ ইয়র্ক শহরে আনুমানিক ১৪ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৮৮২ সালের পর থেকে এই প্রথমবার সেপ্টেম্বর মাসে এই পরিমাণ বৃষ্টি হল বলে জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অধিদপ্তর, ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস।

 সূত্র: বিবিসি


আরও খবর



টিজারেই বাজিমাত অক্ষয়ের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : ১৩ নভেম্বর, সালটা ছিল ১৯৮৯। রাণীগঞ্জের কয়লা খনির নিচে আর পাঁচদিনের মতোই কয়লা উত্তোলনে নেমেছিলেন খনি শ্রমিকরা। আচমকাই জলে ভরে গিয়েছিল ৩৫০ ফুট গভীর খনিতে নামার সেই সুরঙ্গটি। আটকে ছিলেন ৬৫ জন শ্রমিক।

সেদিন তাদের সকলেরই প্রাণ যেতে পারত। তবে সকলের ত্রাতা হয়ে, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকলকে খনি থেকে উদ্ধার করেন যশবন্ত সিং গিল। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকার্য চালান তিনি। স্টিলের ক্যাপসুলে এক এক করে শ্রমিকদের সেখান থেকে বের করে আনেন তিনি। আর সে কারণেই যশবন্ত সিং গিল ক্যাপসুল গিল নামেও পরিচিত।

এই গল্পকেই পাথেয় করে আসছে অক্ষয় কুমারের সিনেমা। যেখানে যশবন্ত সিং গিলের ভূমিকায় দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকে। ছবির নাম প্রথমে রাখা হয়েছিল ক্যাপসুল গিল। পরে নাম বদলে 'মিশন রাণীগঞ্জ : দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান রেসকিউ' রাখা হয়। তবে চলতি ‘ইন্ডিয়া’-'ভারত' নাম বিতর্কের মাঝে ছবির নাম থেকে ইন্ডিয়া শব্দটি বদলে ভারত করেছেন আক্কি ও ছবির নির্মাতারা। ৬ সেপ্টেম্বর এই বদলের কথা জানানোর পর ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ছবির টিজার।

এটি প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় অক্ষয়। জওয়ান ঝড়ের মধ্যেই সমালোচকরা টিজারের প্রশংসা করছেন। নেটিজেনদের আশা, গত কয়েক বছরের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিতে অক্ষয়ের এ সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এই ছবিতে অক্ষয়ের বিপরীতে দেখা যাবে পরিণীতি চোপড়াকে। ছবিতে অক্ষয় ছাড়াও রয়েছেন কুমুদ মিশ্র, পবন মালহোত্রা, রবি কিষাণ, বরুণ বাদোলা, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, রাজেশ শর্মা, শিশির শর্মা, সুধীর পান্ডে, জামিল খান, বচন পাচেরা, বীরেন্দ্র সাক্সেনা সহ আরও অনেকে। ছবি পরিচালনা করেছেন রুস্তম খ্যাত টিনু সুরেশ দেশাই। বাশু ভাগনানি, জ্যাকি ভাগনানি, দীপশিখা দেশমুখ প্রযোজিত এই ছবি আগামী ৬ অক্টোবর মুক্তি পাবে।

প্রসঙ্গত, একসময় যশবন্ত সিং গিল খনি শ্রমিকের প্রাণ বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সেরা জীবন রক্ষাকারীর পদক পেয়েছিলেন। এছাড়াও পেয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ অ্যাওয়ার্ড অব এক্সিলেন্স, প্রাইড অব দ্য নেশন পুরস্কার। ১৯৯৮ সালে বিসিসিএল ধানবাদ রেসকিউ স্টেশন থেকে অবসর নেন যশবন্ত গিল। ২০১৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ধামরাইয়ে ৫৮৪ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ধামরাই উপজেলার ৫৮৪ জন এস.এস.সি ও সমমান পরীক্ষায় A+ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৭ তম জম্মদিন উপলক্ষ্যে গোয়ালদী কাশিপুর ঈদগাহ্ মাঠে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় অতিথিদের ক্রেষ্ট প্রদান,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্রেষ্ট এবং বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বই দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা ২০ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ মালেক।

আরো উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধামরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন,,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান আফছার উদ্দিন জিন্নাহ,ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম,ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান,ধামরাই পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সুজন,ধামরাই সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব,যুবলীগ নেতা শাহিনুর ইসলাম শাহিন প্রমুখ।


আরও খবর



নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাট, স্বজন প্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না থাকা সহ ডজন খানেক অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম এর বিরুদ্ধে। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

কলেজ এর সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জাারি (ডিএইচএমএস) পেশাজীবী পরিষদের ২৫ সদস্যের স্বাক্ষরিত ঐ লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কলেজের অনুমোদনের পর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৮শ' ৪৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ও মাসিক বেতন বাবদ জমা নেওয়া টাকা থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এছাড়া কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ও প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে ২ লাখ করে টাকা আদায় করা টাকা ও শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নামে সংগ্রহ করা প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেন আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত। কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাটের বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্বেও কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বজন প্রীতির অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াতের বিরুদ্ধে। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অনুমোদিত নিয়োগ পেলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়া বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। তার স্বজন ও পছন্দের শিক্ষক কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেলেও অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ৪৪ থেকে ৫৭ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বেতন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও ঐসব শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুতি করা ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগকারী ও কলেজ সংলগ্ন নওগাঁ পৌর সভার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, স্বজন প্রীতি আর অনিয়ম কাকে বলে তার চূড়ান্ত উদাহরণ হলো নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার বাবা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা হলেও এবং কলেজের নামে এক খন্ড জমি দান না করলেও তাকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া তার শালিকা হাফিজা আক্তার ও ভায়রা রুহুল আমিন কে প্রভাষক হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া তার চাচা শ্বশুরের ছেলে কামরুল ইসলাম কলেজ এর প্রশাসনিক শাখার একটি পদে চাকরি করেন। বলা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। অহিদুজ্জামান নামে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রভাষক অভিযোগ করেন, কলেজ এর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি ঐ কলেজে প্রভাষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কলেজ অনুমোদনের পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৬৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তার। বার বার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেও তা পাননি। উপরোন্তু চলতি মাসের জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে জানান, তাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। তার কলেজে আসার প্রয়োজন নেই। অহিদুজ্জামান বলেন, আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কাগজ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। অথচ আমাকে কলেজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৭ লাখ টাকার উপরে বকেয়া বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না। এ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অহিদুজ্জামানের মতো আরো ৪ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত শামীম  বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কলেজ এর কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় কলেজ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাদের বহিষ্কার করেছেন। 

বহিষ্কৃত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম জাকির হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



আখেরি চাহার শোম্বা আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা আজ। এই দিনে নবিজি (স.) শেষবারের মতো রোগ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর শোকর আদায় করেছিলেন বলে প্রতিবছর মুসলমানরা শুকরিয়ার দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে থাকেন।

এ উপলক্ষ্যে আজ বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোহা. বশিরুল আলম।

আখেরি চাহার শোম্বা মূলত ফার্সি পরিভাষা। ফার্সি শব্দ আখেরি অর্থ শেষ। চাহার অর্থ সফর মাস এবং শোম্বা অর্থ বুধবার। অর্থাৎ সফর মাসের শেষ বুধবারে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সাময়িক সুস্থতাকে স্মরণ করে মুসলমানরা যে ইবাদত করেন, তাই আখেরি চাহার শোম্বা।

এ বিষয়ে ইসলামী শরিয়তে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। জানা গেছে, ২৩ হিজরির শুরুতে হজরত মোহাম্মদ (সা.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইমামতি পর্যন্ত করতে পারেননি। ২৮ সফর মহানবী (সা.) সুস্থ হয়ে ওঠেন।

২৯ সফর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মাত্র কয়েক দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইহকাল ত্যাগ করেন মানবতার মুক্তিদূত হজরত মোহাম্মদ (স.)।

পৃথিবীর সব মুসলিম যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে এই দিনটি স্মরণ না করলেও বাংলাদেশসহ ভারত উপমহাদেশের মুসলিমরা এই দিন বিশেষভাবে পালন করেন। পারসিক প্রভাবিত এই এলাকার ইসলাম ও মুসলিম সংস্কৃতির অন্যতম বিষয় আখেরি চাহার শোম্বা। কারণ, এ অঞ্চলের সুফিরা এবং দিল্লির শাসকরা রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দিনটি পালন করতেন। ফলে ধীরে ধীরে দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করা এই এলাকার মুসলিমদের ধর্মীয় জীবনের অংশ হয়ে ওঠে।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩