Logo
শিরোনাম

ভারতে ভোট গননা চলছে, এগিয়ে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



বিডি টু ডে  রিপোর্ট:


বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের জাতীয় নির্বাচনে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। 


আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল আটটায় ভোট গণনা শুরু হয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ২৭০ আসনে এবং বিরোধী দলগুলোর জোট ইন্ডিয়া ১৭৮ আসনে এগিয়ে রয়েছে। 



দেশটিতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। ছয় সপ্তাহ ধরে চলা সাত ধাপের এই নির্বাচন শেষ হয়েছে গত শনিবার (১ জুন)। আজ চলছে ভোট গণনা। খবর আলজাজিরার।



ভোট গণনা শেষে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে শেষ হাসি হাসবে কে? মোদি রয়ে যাবে নাকি ভারত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখবে নতুন মুখ।


এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এর অনলাইন জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট (এনডিএ) ৪১১ আসন পেতে পারে। সরকার গঠন করতে হলে কোনো জোটকে ৫৪৩ আসনের বিপরীতে অন্তত ২৭২টি আসনে জয় লাভ করতে হবে।


ইতোমধ্যে বিভিন্ন জরিপে তৃতীয় মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থাকছেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার অনলাইন সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোদির রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি লোকসভায় ৩৫০ থেকে ৩৮০টি আসন পেতে পারে।


 ২০১৯ সালের নির্বাচনেও ভারতীয় জনতা পার্টি ৫৪৩ আসনের বিপরীতে ৩০৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু, বিরোধীদলগুলো আশা করছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদ নিয়ে রাজনীতি করা বিজেপি সরকারের পতন সন্নিকটে।


ভারতীয় নির্বাচন কমিশন বলেছে, ‘এই বছর মোট ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৬৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় এক শতাংশ কম। অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় এ বছর ভোট পড়েছে ৬৪ কটি ২০ লাখ। এটি ভারতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে ভোটের সর্বোচ্চ রের্কড বলেও জানায় কমিশন।  



বিরোধী দলগুলো বলেছে, ভোট গণনা কীভাবে হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের কিছু জানায়নি। এ নিয়ে বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দলগুলো।


যদি অনলাইন সমীক্ষাগুলো বাস্তবে রূপ নেয়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকার ইতিহাস তৈরি করবে। যদি এমনটি হয় তাহলে নরেন্দ্র মোদি হবেন ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে যাচ্ছেন। এর আগে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু তিন মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন।



এদিকে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশমনের ফল ঘোষণা করা প্রথম আসন গুজরাটের সুরাট। সেখানে জয়লাভ করেছে বিজেপি। এই জয় দিয়ে বিজেপির স্বপ্নযাত্রার শুরু।


অন্যদকি, অধিকাংশ মূলধারার সংবাদমাধ্য়মে যে বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখানো হয়েছে তাতে বলা হচ্ছে, বিপুল সংখ্য়াগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে মোদি সরকার। বস্তুত, অধিকাংশ সংবাদমাধ্য়মের সমীক্ষা বলছে, বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ ৩৫০ এর বেশি আসন পেতে চলেছে। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় ২৭২ ম্য়াজকি ফিগার। 


যে দল ২৭২টি আসন পাবে, সে দলই সরকার গঠন করতে পারবে। ২০১৯ সালে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩টি আসন। এনডিএ পেয়েছিল ৩৩০ এর বেশি আসন। এবার সেই রেকর্ড ভাঙবে বলে বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত।



তবে বিজেপি বুথ ফেরত সমীক্ষাকে স্বাগত জানালেও কংগ্রেস ইতোমধ্যে এর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস হাইকমান্ড কর্মীদের জানিয়েছে, ভোটগণনার আগে বিরোধী শক্তিকে মানসিক চাপে ফেলতেই গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে বিজেপি। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভোটগণনার দিন কর্মচারীদের শেষ পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রে থাকার হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস। 


তৃণমূলসহ ইন্ডিয়া জোটের একাধিক দল একই কথা বলছে। তাদের বক্তব্য, বুথ ফেরত সমীক্ষার ক্ষেত্রেও বিজেপি মিডয়াকে ব্যবহার করেছে। যে ফলাফল দেখানো হচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই।



আরও খবর



সংস্কার সংস্কারের মতো, নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস নয়। সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এ ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

প্রধান উপদেষ্টার সদ্য সমাপ্ত চীন সফর প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে চীন একতরফাভাবে একটা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। তবে এখন তারা চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন করে সব দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। চীন বাংলাদেশে উৎপাদনে ও উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটা দেশের জন্য আশাবাদের কথা। ’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে বিষয়ে মতের ঐক্য হবে, সেগুলো মেনেই নির্বাচন হবে। যারাই নির্বাচিত হবে, সে-ই সংস্কার করবে’।

পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



জন্মদিনে দুই ছেলের সঙ্গেই সময় কাটালেন শাকিব খান

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের জন্মদিন ছিল গতকাল শুক্রবার। দিনটিকে ঘিরে ছিল নানা আয়োজনও। আর বিশেষ এদিনে বড় ছেলে আব্রাম খান জয় ও ছোট ছেলে শেহজাদ খান বীরের সঙ্গেই কেক কেটে উদযাপন করলেন সিনেমার এই সুপারস্টার। আর সেসব ছবি গতকাল রাতেই ফেসবুক শেয়ার করেছেন অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী।

অপুর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ছেলে আব্রামের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠেছেন শাকিব খান। নায়কের জন্য আনা হয়েছে একটি সুন্দর লাল কেক। সেখানে আব্রামের তরফ থেকে লেখা- হ্যাপি বার্থডে, মাই কিং-পাপা।

বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ শুধু কেকের ওপরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। নিজের হাতে একটি ক্যানভাসে বিশেষ উক্তি লিখে রাখে আব্রাম। সঙ্গে থাকে ছোট্ট হাতের আঁকিবুঁকি।

ছবিগুলো শেয়ার করে অপু লিখেছেন, সন্তানের কাছে তার বাবা সুপারস্টার কিংবা সেলিব্রিটি না। বাবা ছেলে এই এক অন্যরকম বন্ধন যাকে বলে আত্মার বন্ধন। শুধুমাত্র দোয়া আর ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। বাবা ছেলে খুনসুটিতে মেতে ছিল জন্মদিনের সারাটা দিন।

এদিকে, বুবলীর পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, বীরের সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত শাকিব খান। বীরকে নিয়ে একটি নীল-সাদা রঙের সুন্দর কেক কাটেন শাকিব। কেকের ওপরে বীরের তরফ থেকে লেখা- হ্যাপি বার্থডে ড্যাডি, আওয়ার মহারাজা।

বিশেষ এই মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে বুবলী লিখেছেন, পুরো মার্চ মাসটাই বাবা ছেলে নিয়ে নিয়েছে জন্মদিনের সেলিব্রেশনে, মনে হয় যেনো এস কে মাস।

অন্যদিকে, জন্মদিনে শাকিব খানের প্রশংসা করে শুভেচ্ছা জানিয়ে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনেই। অপু যেখানে প্রাক্তন স্বামীকে তুলনা করেছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের সঙ্গে, সেখানে বুবলীর কাছে শাকিব মহারাজা


আরও খবর



দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন জনতা। এসময় সমাবেশ ও বিক্ষোভ থেকে দেশে ইসরায়েলি পণ্য সরবরাহকারী গ্রুপ ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে কেএফসি, পিৎজা হাট, পেপসি ও সেভেন আপের মতো কিছু পণ্যের আউটলেটে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে।

সোমবার সারা বিশ্বে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচি হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সিলেট

সিলেট নগরের মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসিতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে সেখানে দুই দফা হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এসময় কেএফসিতে থাকা কোমল পানীয় দুতলা থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। পরে সেগুলো ফাটানো হয়।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে সিলেটে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে সোমবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। এসব সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। এসময় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকায় পিৎজা হাট ও কেএফসিতে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে প্রতিষ্ঠান দুটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া মিছিল থেকে রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে থাকা কোকা কোলা ও পেপসিকো কোম্পানির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।

এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মিছিলটি নাসিরাবাদ অতিক্রম করার পরপরই সানমার ওশান সিটির পাশে থাকা কেএফসিতে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করে তারা। এতে রেস্তোরোর কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় থাকা পিৎজা হাটের একটি শাখার সামনের কাঁচাও ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভে আসা মানুষজন। এরপর জিইসি মোড়ে অবস্থিত হোটেল জামানে কোকা কোলার সাইনবোর্ড থাকায় সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে হোটেলটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে তারা পিৎজা হাটেও ভাঙচুর চালায়।

অন্য আরেক মিছিল থেকে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় স্পোর্টস ব্র্যান্ড পুমার সাইনবোর্ড, বাটার সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া নগরীর কাজির দেউড়ী মোড় থেকে জামালখান অভিমুখী আরেকটি মিছিল থেকে রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে থাকা কোকা কোলা ও পেপসিকো কম্পানির ফ্রিজ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্রিজে থাকা পেপসি, সেভেন আপসহ বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ছিটিয়ে দেয়।

কক্সবাজার

‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি রেখে কক্সবাজার শহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সাগর পাড়ের হোটেল-মোটেল জোন সড়কের কাছে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার মালিক ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএফসি ও পিৎজা হাটের আউটলেটে ভাঙচুর চালায়।

বিক্ষুব্ধ জনতা ‘এগুলো ইসরায়েলের দোসর’ বলে উল্লেখ করেন। এসময় সেভেন আপের সাইনবোর্ড দেখেও ভাঙচুর চালানো হয়।

মিছিল শেষে কলাতলি গোল চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা এখন থেকে ইসরায়েল ও ইসরায়েলের দোসরদের পণ্যসামগ্রীও বয়কটের ঘোষণা দেন। কেএফসি, পিৎজা হাট, পেপসি, সেভেন আপের মতো কিছু ইসরায়েলি পণ্যের বাংলাদেশি সরবরাহকারী ট্রান্সকম গ্রুপ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ইসরায়েলের এমন অমানবিক কর্যক্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদের চুপ থাকা লজ্জাজনক। আজ থেকে ইসরায়েল সম্পৃক্ত সব পণ্য বয়কট করা হবে।

তারা আরো বলেন, ‘সেই সঙ্গে যত দিন পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে না, তত দিন নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে কক্সবাজারের সর্বস্তরের জনতা।

বগুড়া

বগুড়ায় ইসরায়েলি পণ্য বাটা শো-রুমসহ দেশটির কোমল পানীয় রাখা দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার শহরের সাতমাথা এলাকায় ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে সকালে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় ফুঁসে ওঠে তৌহিদি ছাত্র-জনতা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদিন জানান, বিক্ষোভ মিছিল থেকে দু-একজন বাটার শো-রুমের কাচে ঢিল ছুড়ে মারে। এতে কিছু কাচ ভেঙে যায়। তবে সার্বিক পরিবেশ শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বরিশাল

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বরিশালে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা দেওয়া কেএফসির বরিশাল ব্রাঞ্চে ভাঙচুর চালান। ছাত্র-জনতা কেএফসির কার্যক্রম বরিশাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায়।

সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচি শুরু হয়। সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কে কেএফসির সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা অবস্থান নেয়। তারা অভিযোগ করেন, কেএফসি ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা করে। যে অর্থের একাংশ যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনতা কেএফসি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা কেএফসির সামনের সড়কে জোহরের নামাজ আদায় করেন। একইস‌ঙ্গে মোনাজাতে গাজাবাসীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

বিকাল সোয়া ৩টার দিকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী প্রতিষ্ঠানটির ছাদে উঠে কেএফসির লোগো ভেঙে ফেলেন। পাশাপা‌শি ব্যানার নিয়ে যান। এছাড়া দেয়ালে বয়কট কেএফসি লিখে দেন তারা।

তারা রেস্টুরেন্টটির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বরিশালে কেএফসির একমাত্র শাখাটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধরা কেএফসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। কেএফসির লোগো ভেঙে ফেললেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

খুলনা

খুলনায় ইসরায়েল বিরোধী মিছিল থেকে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের কেএফসি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কেএফসি থেকে ইসরায়েলি পণ্য ও বিভিন্ন কোমল পানীয় বের করে রাস্তায় এনে ভেঙে ফেলে। পরে মিছিলকারীরা আবারো শিববাড়ির দিকে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ময়লাপোতাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল যেতে থাকে শিববাড়ি মোড়ের দিকে। এ সময় ময়লাপোতা থেকে একাধিক মিছিল যাওয়ার সময় কে বা কারা কেএফসিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে অন্যান্যরাও হামলা করে। এ সময় মিছিলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা চেষ্টা করেও হামলা থেকে কেএফসিকে রক্ষা করতে পারেননি। এক পর্যায়ে কেএফসির মধ্য থেকে কোমল পানীয় বের করে এনে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় রাস্তা পানিময় হয়ে যায়। পরে মিছিলকারীরা আবারো শিববাড়ির দিকে যেতে থাকে।


আরও খবর



যাত্রী চাপও কম, ট্রেন ছাড়ছে সময় মতো

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ করতে সড়ক রেল ও নৌপথে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির যে চিত্রের সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষ পরিচিত এবার তার কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে।

ঈদের সময় ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হওয়ার সঙ্গে ট্রেনযাত্রীদের কমবেশি পরিচয় থাকলেও এবার ট্রেন বিলম্ব হচ্ছে না। আজ (শনিবার) সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের কমলাপুর স্টেশন ছাড়তে বিলম্ব হয়নি। আবার দিনের বেলায় এই স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদেও উঠতে পারছেন না কেউ। তবে ট্রেনগুলোর প্রতিটি কোচে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে তারা গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।

শনিবার সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে ট্রেন ছাড়ার অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগেই যাত্রীরা স্টেশনে চলে আসছেন।

যাত্রীদের অনেকে মনে করছেন এবারের ঈদ যাত্রা এতটাই নির্বিঘ্ন হচ্ছে, যেটা এর আগে বাংলাদেশে কখনো দেখা যায়নি। এ ছাড়া ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা এর আগের চেয়েও অনেক কম। স্টেশন এলাকাতে ভিড়ের সংখ্যাও কম।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মনিরুজ্জামান বলেন, ট্রেন ছাড়বে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে। আগের অভিজ্ঞতায় সিটে যেতে না পারার শঙ্কায় এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে এসেছি। তবে এসে তেমন ভিড় পেলাম না। ট্রেনে ওঠার কিছু সময় পরে সিটগুলো ভর্তি হওয়ার পর কিছু লোক দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তবে সেটি অন্যান্যবারের তুলনায় নগণ্য।

এদিকে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে সকাল ৯টা থেকেই। যদিও ট্রেনটি ছাড়ার নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা। ট্রেনের যাত্রী রেদোয়ান ইসলাম বলেন, এ বছর ঈদ যাত্রা অনেক সুন্দর হচ্ছে। টিকিট কাটতে অনেকটা বেগ পেতে হলেও ট্রেনে কোনো বিলম্ব নেই, এর থেকে ভালো সংবাদ আর হতে পারে না।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। কোনো ট্রেনই স্টেশন ছাড়তে বিলম্ব করেনি। সকালের দুই তিনটি ট্রেনে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি ছিল। এখন কিছুটা কমে এসেছে।


আরও খবর



রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম সৃষ্টি”

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রহমতে আলম,নূরে মুজাস্সাম, হুজুর পূরনুর (ﷺ) হলেন সর্বপ্রথম সৃষ্টি, যাঁকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না।

★২৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-কে বলেছেন,ওহে ঈসা! মহানবী (ﷺ)-এঁর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো।রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-না হলে আঁমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না,বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”

📚*দলিল

*১. আল মোসতাদরেক’ হাকিম: ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭

*২.আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২

*৩. ইমাম ইবনে সাদ : তানাকাতুল কোবরা

*৪.ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী : ‘শিফাউস্ সিকাম ৪৫

*৫. শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী : ফতোওয়ায়ে সিরাজিয়া ১/১৪০

*৬.ইবনে হাজর রচিত ‘আফদালুল কোরা

*৭.আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,

*৮. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী :

জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪ ও ৪/১৬০

*৯. ইবনে কাসীর : কাসাসুল আম্বিয়া : ১/২৯ পৃ:

*১০.ইবনে কাসীর : সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০

*১১. ইবনে কাসীর :মুজিযাতুন্নবী (দরুদ ) : ১/৪৪১

*১২. ইবনে হাজর আসকালানি : লিসানুল মিযান : ৪/৩৫৪,রাবী, ১০৪০।

*১৩.ইবনে হাজর আসকালানী রচিত ‘আফদাল আল-কুরআন’; ১/১৮৯।

ইমাম কুস্তালানী : মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া; ১/১৮

ইবনে হাজার হাইসামী : শরহে শামায়েল, ১/১৪২।

*১৩. ইমাম যাহাবী : মিজানুল ইতিদাল : ৫/২৯৯, রাবী নং ৬৩৩৬

*১৪. ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/৪২

*১৫. ইমাম যুরকানী :শরহে মাওয়াহিব : ১/১২/২২০

*১৬. আবু সাদ ইব্রাহীম নিশাপুরী : শরহে মোস্তফা : ১/১৬৫

*১৭. খাসায়েসুল কুবরা : ১/১৪ : হাদিস ২১

*২৮. ইমাম ইবনে হাইয়্যান : ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী : ৩/২৮৭

*২৯. কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২

*৩০.মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১

*৩১. মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১/২৯৫, হাদিস : ৩৮৫

*৩২. ইবনে শামী সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩

✅হাদিসের মান পর্যালোচনা✅

*১.ইমাম হাকিম তাঁর ‘মোসতাদরেক’ গ্রন্থে তাঁর তাহকিকে হাদিসটিকে সহিহ্ সাব্যস্থ করেছেন।

আল মোসতাদরেক’ হাকিম: ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭

*২.ইমাম দায়লামী : হাদিসটির মান সনদের দিক থেকে হাসান।

আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২

*৩.অারও অসংখ্য ইমাম, ইমাম হাকিম রহ. এঁর রায়কে গ্রহণ করেছেন।অপরদিকে, কেবলমাত্র ইমাম যাহাবী (রহ:) উক্ত রায়ের বিপরীত বলেছেন।তিনি বিপরীত বলার কারন স্বরুপ বলেন :উক্ত হাদিসের একজন রাবী ‘আমর ইবনূ আউস আল আনসারী’ ‘অপরিচিত’।

একজন রাবী অপরিচিত হওয়াতে একটি হাদিস জাল কোনভাবেই হতে পারে না।উক্ত রাবী ইমাম যাহাবী (রহ:)এর দৃষ্টিতে অপরিচিত।অথচ তাঁর চেয়ে উঁচু স্তরের ইমামগণ উক্ত হাদিসকে সহিহ্ ও উক্ত রাবী (আমর ইবনূ আউস) কে সিকাহ্ বলেছেন।

*৪.বিশ্ববিখ্যাত রিযাল গ্রন্থ ‘তাহযিবুল কামাল ফি আসমাউর রিযাল’ এ বলা হয়েছে, উক্ত রাবী সিকাহ্ বা বিশ্বস্থ।

*৫. ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম বুখারি, ইমাম আবু নুআইম (রহ:)ও তাঁকে সিকাহ্ বলেছে।

[ইমাম মিযযী : তাহযিবুল কামাল ফি আসমাউর রিযাল; ১৪/১৭৭, রাবী নং : ৪৯১৩]

*৬. তদুপরি,আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (রহ:) উক্ত রাবীকে সিকাহ্ বা বিশ্বস্থ বলেছেন।

[ইবনু হাজর আসকালানী : তাকরীবুত তাহযীব; ১/৪৩৬]


বুঝা গেল ইমাম যাহাবী (রহ:) এর নিকট উক্ত রাবী অপরিচিত হলেও আর কারো নিকট পরিচিত হবেন না এমন নয়।আর ইমাম যাহাবী (রহ:) উক্ত রাবীকে মিথ্যাবাদী বলেন নি; বলেছেন,অপরিচিত।


✌সুতরাং হাদিসটি নি:সন্দেহে সহিহ্ এর মান রাখে। আর হাদিসটি যেহেতু আমল ও আহকাম সম্পর্কিত নয়, সেহেতু ‘হাসান’ বলে মানতে ও বিশ্বাস করতে সমস্যা নেই।

★৩০. এবার আমি তাবলীগ জামাতের ‘ফাজায়েলে আমল’ গ্রন্থ থেকে একটি প্রমান দিব।সেখানে একটি শিরোনাম দেওয়া হয়েছে কোন ‘আমালে আদাম (আ:)-এঁর তাওবাহ কবূল হলোঃ

“হযরত ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হুজুরে পাক (ﷺ) বলেন, যখন হযরত আদম (আঃ) হইতে কিছুটা পদস্খলন হইয়া গেল যাহার দরুণ তিনি বেহেশত হইতে দুনিয়াতে প্রেরিত হইলেন,তখন তিঁনি সব সময় কান্নাকাটি ও এস্তেগফার করিতে থাকেন।একদিন তিঁনি আসমানের দিকে মুখ উঠাইয়া আরজ করিলেন হে আল্লাহ! মোহাম্মাদ (ﷺ)-এঁর উছিলায় আঁমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।ওহী নাজিল হইল, মোহাম্মদ (ﷺ) কে? যাহার উছিলায় তুমি ক্ষমা চাহিতেছ? হযরত আদম (আঃ) বলিলেন- যখন আঁপনি আমাকে সৃষ্টি করেন তখন আমি আরশের উপর লিখিত দেখিয়াছিলাম ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ’, তখনই আমি বুঝিতে পারিয়াছিলাম মোহাম্মদ(ﷺ) হইতে অধিক মর্যাদাশীল আর কেহই হইবে না,যেহেতু আঁপনি তাহার নাম নিঁজের নামের সঙ্গে রাখিয়াছেন।ওহী হইল হে আদম! তিঁনি আখেরী নবী এবং তিঁনি তোমার আওলাদভূক্ত হইবেন অথচ তিনি না হইলে তোমাকেও পায়দা করতাম না”-।

📚দলিল

মৌ:মোহম্মদ জাকারিয়া,ফাজায়েলে আমল; খণ্ড ‘ফাজায়েলে জিকির’, পৃষ্ঠা ৩১৫ (বাংলা), পরিবেশনায় তাবলিগী কুতুবখানা / ফাউণ্ডেশন।

তাবারানী; সাগীর,২/৮২,২০৭।


★৩১. ইবনে আসাকির (রহ:) উদ্ধৃত করেন হযরত সালমান ফারিসী (রা:)-কে, যিনি বলেন: “হযূর পূর নূর (ﷺ)-এঁর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী, ‘(হে রাসূল) আঁপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আঁমি সৃষ্টি করিনি।আঁমি বিশ্বজগতও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আঁপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে। আঁমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না, যদি আঁপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”

📚দলিল

*১.ইবনে আসাকির : তারিখে দামেস্ক : ৩/৫১৭

*২. মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১

৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৮২

৪. ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/২৮৯

*৫.কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ২/১০৫


★৩২.তাবেয়ী হযরত কাবুল আহবার (রা) থেকে বর্নিত,(বিশাল বর্ননার পর)…. যদি তিঁনি [রাসুল (ﷺ)] না হতেন তাহলে আঁমি না তোমাকে [আদম (আ:)] সৃষ্টি করতাম, না আসমান,জমীন সৃষ্টি করতাম।

📚দলিল

*১.ইমাম কুস্তালানী : আল মাওয়াহেব : ১/৩৩

*২.ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৫২

*৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/৭৮

*৪. আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩১

*৫.ইমাম তুগরিব : আল মাওলুদ শরীফ : ১৪২

★৩৩. হাদিস শরীফে অপর একটি বর্ননায় এসেছে।

عن ابن اباس رضي الله عنهما انه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم اتاني جبريل عليه السلام فقال يا رسول الله صلي عليه و سلم لولاك ما خلقت الجنة ولولاك ما خلقت النار

অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্নিত, নিশ্চয়ই হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আঁমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক তিঁনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, আঁপনি যদি না হতেন তবে আঁমি জান্নাতও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না। ”

📚দলিল

*১.কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২

*২.ইমাম দায়লামী: ‘মুসনাদ আল- ফিরদাউস, ২/২৪২

*৩. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী : যাওয়াহিরুল বিহার; ৪/১৬০।

*৪.আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫।

🌹সনদের মান যাচাই🌹

*(ক.) ইমাম দায়লামী বলেন, হাদিসটি সনদের দিক থেকে ‘হাসান’।

[দায়লামী; মুসনাদ আল ফিরদাউস, ২/২৪২]

*(খ.) বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মোল্লা আলী ক্বারী বলেন,একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ।

[আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫]

★৩৪. ইবনে আসাকির উদ্ধৃত করেন হযরত সালমান ফারিসী (রা:) থেকে।তিনি বলেন : “হযূর পূর নূর প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী : ‘আঁমি যদিও ইব্রাহিম (আঃ) কে খলিল বানিয়েছি, কিন্তু আঁপনাকে বানিয়েছি ‘হাবীব’।আঁমি যদিও মূসা (আঃ) এঁর সাথে দুনিয়াতে কথা বলেছি, আঁপনার সাথে কথা বলেছি আসমানে।আঁমি ঈসা (আঃ) কে রুহুল কুদ্দুস থেকে সৃষ্টি করলেও আঁপনাকে করেছি সমগ্র সৃষ্টিজগতের ২০০০ হাজার বছর পূর্বে।আঁপনার কদম এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আঁপনার পূর্বে কারো কদম পৌঁছেনি, ভবিষ্যতেও পৌঁছবে না।আঁমি আদম (আঃ) কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করলেও আঁপনার মাধ্যমে ঘটিয়েছি নাবুয়্যাত ক্রমধারার পরিসমাপ্তি।(হে রাসূল) আঁপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আঁমি সৃষ্টি করি নি।

ক্বিয়ামাত দিবসে আঁমার আরশের ছায়া আঁপনার উপর প্রসারিত হবে। প্রশংসার জয়মুকুট আঁপনার নূরানী মস্তকে শোভা পাবে। আঁমি আঁপনার নাম আঁমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি।আঁমি বিশ্বজগতও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আঁপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে।আঁমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না,যদি আঁপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”

📚দলিল

*১. ইবনূ আসাকির : তারীখে দামেস্ক; ৩/৫১৭।

*২. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী : মওদ্বুআতুল কবীর; পৃষ্ঠা ১০১।

*৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব; ১/১৮২।

*৪. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী : যাওয়াহিরুল বিহার; ১/২৮৯।

*৫. ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরিফ; ২/১০৫।


আরও খবর