
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনস্থ লোহাকুচি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৯২১ হতে ৯২২ পর্যন্ত একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। গত বছরে উক্ত এলাকায় একটি সীমান্ত দুঘর্টনা সংগঠিত হয়েছিল। বর্ণিত ঘটনার পর হতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে সম্পৃক্ত করে জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ করা সহ এছাড়াও বিওপিতে জনবল বৃদ্ধি করে উক্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করে আসছে। তার পরেও বিজিবি টহলদল গুলির শব্দ শুনতে পায় কিন্তু টহলদল উক্ত এলাকা তল্লাশী করে কাউকে খুঁজে পায়নি। পরবর্তীতে আনুমানিক ০৪০০ ঘটিকায় লোহাকুচি বিওপি কমান্ডার স্থানীয় সুত্রে জানতে পারে টহলরত বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে একদল চোরাকারবারী গরু চোরাচালানের চরকিসহ অন্য এলাকা দিয়ে সীমান্ত পিলার ৯২১/৬-এস হতে ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে চরকি স্থাপন করে গরু পারাপারের চেষ্টা করলে ৭৫ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ এর কৈমারী ক্যাম্পের টহল দলের গুলিতে ০২ জন বাংলাদেশী নাগরিক গুরুত্বর আহত হয়। আহত চোরাকারবারীদের সাথে থাকা অন্য চোরাকারবারীরা তাদেরকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে নিজ বাড়ীতে অবস্থানকালে মৃত্যুবরণ করে। নিহতরা হলেন লালমনিরহাট জেলার (১) মোঃ ওয়েস কুরনী (৩৫), পিতা-মৃত সানোয়ার হোসেন, গ্রাম-মহিষতলী (২) মোঃ আয়নাল হক (৩৫), পিতা-সাদেক আলী, গ্রাম- তালুক দুলালী গ্রামে । সংবাদ পেয়ে বিজিবি টহলদল নিহতদের বাড়ীতে আসে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনায় কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহবান করা হয়েছে এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে প্রতিবাদলিপি প্রেরণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে মোবাইল ফোনে ৭১ টিভিকে নিশ্চিত করেন ১৫ বিজিবির হাবিলদার মেজবা উদদীন । এ বিষয়ে ১৫ বিজির সিও লে: কর্নেল তৌহিদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে আর কোন কথা হয়নি। তবে আদিতমারি থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে লাশ দুটি ময়না তদন্তের জন্য আদিতমারি থানা নিয়ে যান ।ওসি মোক্তারুল জানান, ময়না তদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।