Logo
শিরোনাম

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image


বিডি টুডে রিপোর্ট:



ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


আজ শনিবার (২২ জুন) ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। খবর এএনআইয়ের।



অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে দুই নেতা উভয় দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা, রাজ্যের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ও কীর্তি বর্ধন সিং উপস্থিত ছিলেন।




বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার বিকেলে দ্বিপাক্ষিক সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। ১৫ দিনের কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে গেলেন তিনি। গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।



শেখ হাসিনা ও মোদির মধ্যে আজ ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হবে এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া দুই নেতা উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের উপস্থিত থাকবেন।



এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। 


সন্ধ্যায় তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।



আরও খবর



ভিসা ছাড়াই যে ৪১ দেশে ভ্রমণ বাংলাদেশিদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কেবল পাসপোর্ট থাকলেই বাংলাদেশের নাগরিকরা ঘুরে আসতে পারবেন ৪১টি দেশে। যেখানে লাগবে না কোনো ভিসা। যদিও এর আগে ভিসা ছাড়া ৩৮ দেশে যেতে পারতেন। এখন সেটি বেড়ে ৪১ দেশ হয়েছে। তবে ২০২০ সালে কোনো পরিবর্তন না আসায় ৪১ দেশেই যেতে পারবেন। ২০১৯ সালেও ৪১ দেশেই যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল।

বিশ্বের ১০৪টি দেশের ওপর প্রতি বছরই জরিপ চালিয়ে একটি মূল্যায়ন সূচক তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘দ্যা হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) ভ্রমণ তথ্যভাণ্ডারের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবছরের মতো এ সূচক তৈরি করেছে তারা। এতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স বলছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যাবে। তাদের তালিকা নিচে দেয়া হলো।

এশিয়ার মধ্যে রয়েছে- ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পূর্ব তিমুর।

আফ্রিকার মধ্যে রয়েছে- বেনিন, কেপ ভার্দ, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গাম্বিয়া, গিনি বিসাউ, কেনিয়া, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সিসিলি, সোমালিয়া, টোগো ও উগান্ডা।

আমেরিকার মধ্যে রয়েছে- বলিভিয়া

ওশেনিয়া অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে- কুক আইল্যান্ডস, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নিউই, সামাউ, ত্রিভালু ও ভানুয়াতু।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে- বাহামা, বার্বাডোজ, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডস, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো, হাইতি, জামাইকা, মন্টসেরাত, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও সেন্ট ভিনসেন্ট।


আরও খবর



নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যের বিকল্প নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। দেশ আজ ক্রান্তিলগ্নে। কিছু কুচক্রীমহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। পাচার করা টাকায় বিদেশে তারা বাংলাদেশের ভাবমুর্তি বিনষ্টে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আজ শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেম-ওলামাসহ সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যারন তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে আগামী প্রজন্মের জন্য দেশকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মতবিনিমিয় সভায় উপরোক্ত বক্তব্য দেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্ত্বরে মিঞা মো. শফিকুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা. মোখলেসুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান গোর্কী, পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন, কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সভায় উপজেলার সকল স্তরের শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেম-ওলামা, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী অংশগ্রহন করেন।


আরও খবর



চার মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৩৫%

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশের রফতানি বেড়েছে শতাংশের বেশি। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবুও সময়ে অব্যাহত থেকেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয়। সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে প্রায় দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিদেশী হিসাবে (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) ডলার স্থিতি কমেছে প্রায় দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে মোট রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে বিলিয়ন ডলারের বেশি।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রিজার্ভে হাত না দিয়েই সরকার প্রায় বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন ধরনের স্বল্প দীর্ঘমেয়াদি দায় পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে জ্বালানি আমদানির দায়, আদানির বিদ্যুৎ বিল এবং সার খাদ্য আমদানির মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার রিজার্ভে হাত না দেয়ার কথা বললেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার বহির্মুখী অন্তর্মুখী প্রবাহ বিশ্লেষণেই প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। আর বিদেশী ঋণের প্রবাহ কমে এলেও আগের বিভিন্ন দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। আবার দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধি কমে আসার প্রভাবও পড়েছে রিজার্ভের ওপর। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় গত আগস্ট আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ ডিসেম্বর তা নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে। সে অনুযায়ী চার মাসের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত চার মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভও ক্রমাগত কমে এসেছে। গত জুলাইয়ে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডলার রিজার্ভ ছিল দশমিক শূন্য বিলিয়ন। কিন্তু অক্টোবর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ চার মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট রিজার্ভ হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে।

দেশের সার্বিক অর্থনীতি এখন স্বস্তির পর্যায়ে আছেএমনটা বলা যাবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ . মুস্তফা কে মুজেরী। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে। তাই প্রবৃদ্ধিও শ্লথ হয়ে এসেছে। অর্থনীতি সচল না হলে বৈদেশিক হিসাবের চিন্তা থেকেই যাবে। একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত। তাই সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থায় যাবে না।

এদিকে রিজার্ভ পতন অব্যাহত থাকলেও রফতানি রেমিট্যান্স প্রবাহ ক্রমেই বাড়ছে। রেমিট্যান্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। আর গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী, চার মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের তুলনায় এবার রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

একইভাবে রফতানির ক্ষেত্রেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ রফতানি খাতে গত চার মাসে দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যেখানে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক শতাংশ।

রফতানি রেমিট্যান্স বাড়লেও বিদেশী উন্নয়ন সহায়তার গতি কমে আসায় রিজার্ভে টান পড়ছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ . মুস্তফা কে মুজেরী। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি যেসব বাজেট সহায়তা আসার কথা সেগুলোও এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু সরকারকে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের আগের দায় মেটাতে হচ্ছে। তাই রিজার্ভে হাত না দেয়ার কথা বলা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের অন্তর্মুখী বহির্মুখী প্রবাহের হিসাবটাই আসল কথা।

এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে যে পরিমাণ বিদেশী ঋণ এসেছে, পরিশোধ করতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি। অন্যদিকে সময়ে নতুন করে বিদেশী সহায়তার প্রতিশ্রুতিও তেমন একটা মেলেনি বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ইআরডির তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বাংলাদেশের অনুকূলে ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলারের বিদেশী ঋণের অর্থ ছাড় করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম। আবার চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের বিদেশী ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে গত বছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ১১০ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সময়ে বিদেশী ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ অর্থছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি পরিমাণে। চলতি অর্থবছরের পুরো সময়েই ঋণ পরিশোধের চাপ বজায় থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়লেও তা সরাসরি রিজার্ভে যোগ হয় না। ব্যাংকগুলোয় এটা আসে। তারা একটি নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার বিক্রি করে, তখন তা রিজার্ভে যুক্ত হয়। তাই রেমিট্যান্সের ডলার রিজার্ভে যুক্ত হতে সময় লাগে। আর রফতানি আয় থেকেও ব্যাংকের নিজস্ব ডলারের অনেক চাহিদা থাকে, সেগুলো মেটায় তারা।

রিজার্ভ কমার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত দেড় বিলিয়ন ডলারের একটি বড় দায় পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে। সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আগের দায় পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ কিছুটা কমে গেছে। আমরা রিজার্ভ থেকে অন্য কোনো ব্যয় করিনি। তাহলে তা আরো কমত। দায় পরিশোধের পর থেকে রিজার্ভ আর না কমে বরং কিছুটা বাড়ছে।

ডিসেম্বরের পর রিজার্ভ আরো বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা।

প্রতি দুই মাস পর পর আকুর দায় পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দেড় বিলিয়ন ডলারের দায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধ করা হয়েছে। আর নভেম্বর-ডিসেম্বরের দায় পরিশোধ হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




বিচার বিভাগের সুফল পেতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিচার বিভাগের সুফল পেতে হলে রাজনৈতিক সংস্কার আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

টিআইবি'র আয়োজিত অনুষ্ঠানে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।


আরও খবর



শপথ নিলেন সিইসি ও চার কমিশনার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ গ্রহণ করেছেন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সিইসি ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করান।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করে। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাসের মধ্যে এই পদত্যাগ ঘটে। এরপর আড়াই মাস পেরিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।

নতুন কমিশনের সদস্যরা হলেন— সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠনের পর রাষ্ট্রপতি সেই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা থেকে এই নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেন। সংবিধান অনুযায়ী নবনিযুক্ত এই কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন।


আরও খবর