Logo
শিরোনাম
কথাসাহিত্যিক ইজাজ আহমেদ মিলনের লেখা

ভাওয়াল বীরের জন্মদিনে ‘জীবনালেখ্য’

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৪১৯জন দেখেছেন

Image

শ্রমিক নেতা ও গাজীপুর-টঙ্গী-২ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭২তম জন্মদিনে তার যাপিত জীবন নিয়ে কথা সাহিত্যিক ইজাজ আহাম্মদ মিলনের লেখা ‘জীবনলেখ্য’ বইটি প্রকাশ হয়েছে।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বইটির মোরক উন্মোচন করেন।

৯ নভেম্বর ১৯৫০ সালে জন্ম নেওয়া আহসান উল্লাহ মাস্টার ২০০৪ সালের ৭ মে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ঘাতকের বুলেটে নিভে যায় তার জীবন প্রদ্বীপ। 

শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ‘ভাওয়াল বীর’ খ্যাত আহসান উল্লাহ মাস্টার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে মানুষের ভালোবাসাকে পুঁজি করে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে দুবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য থাকাকালেই ঘাতকরা তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।

জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে ’৬৬-এর ৬ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচনে ভূমিকা রাখা, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণসহ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি আন্দোলনেই সরাসরি অংশ নিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আশীর্বাদ পাওয়া আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আজীবন আন্দোলন করেছেন। তাদের পক্ষে কথা বলেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন ’৯০-এর দশকের গোড়ার দিকেই। তুমুল জনপ্রিয় এক নেতৃত্বে পরিণত হন তিনি।

রাজনীতির মাঠে আহসান উল্লাহ মাস্টারের আলোয় আলোকিত হয়েছিল গাজীপুর। কিন্তু কেমন ছিল আপদমস্তক এ রাজনীতিকের জীবন? গ্রাম থেকে উঠে এসে কীভাবে জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন? তার জন্ম, শৈশব, কৈশোর, যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসা- এমন নানা অজানা অধ্যায় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক ইজাজ আহমেদ মিলন লিখেছেন ‘আহসান উল্লাহ মাস্টার : জীবনালেখ্য’। এই বইটি তরুণ প্রজন্মের কাছে আহসান উল্লাহ মাস্টারের আদর্শকে তুলে ধরতে সহায়ক হবে মনে করেন লেখক ও সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



দশমিনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল বিদায় সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) :

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের আয়োজনে শুক্রবার  সকালে এক বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও দশমিনা  সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন এর সভাপতিত্বে উপজেলা বদলীকৃত নির্বাহী অফিসারকে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী নির্বাহী অফিসার  মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল।, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার খান ডলি,ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমা,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডঃ সিকদার গোলাম মোস্তফা,  বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আইনজীবী সমিতির সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান,দশমিনা বনিক সমিতির সদস্য, ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদোক্তগন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় দিনব‍্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

“স্মার্ট লাইভষ্টক স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁয় দিনব‍্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সংলগ্ন মাঠে  এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস‍্য ব‍্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ  ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগিতায় জেলা ও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মহির উদ্দিন।  অন‍্যান্যের মধ্য সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম‍্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম‍্যান শাহনাজ আকতার নাইস,  সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল প্রমুখ। প্রদর্শনীতে ৩৬টি ষ্টলে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি, পশু পাখির খাদ‍্য, দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাদ‍্য প্রদর্শন করা হয়।


আরও খবর



দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়া'র ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার:

সুনামগঞ্জে দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়া'র

নিজস্ব জায়গায় ইকবালনগর পয়েন্টে একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।২৪মার্চ শুক্রবার দারুল উলূম দরগাহপুর মাদ্রাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা নুরুল ইসলাম খান ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

শহরের ইকবালনগর পয়েন্ট সংলগ্ন জলিলপুর রোডের পাশে ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে  সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টা পরিচালক মাওলানা নুরুজ্জামান আলমগীরের সভাপতিত্বে ও দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়ার নির্বাহী পরিচালক ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরীর 

সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠিত হয় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল। দারুল হিকমায় বিশেষ অবদানের জন্য  জাকারিয়া জামান ও শামসুজ্জামানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন শায়খ আব্দুল মুক্তাদির মহনপুরী,মাওলানা ফখর উদ্দিন বিশ্বম্ভরপুরী,

 জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী,মাওলানা শায়খ হাম্মাদ আহমদ গাজিনগরী ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধি মুফতি তাফাজ্জুল হক ও ক্বারী আহমদ শফী, যুব জমিয়ত নেতা এনাম উদ্দিন ও  ইমদাদুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ।

হাফিজ দুলাল আহমদ,হাফিজ মনিরুল ইসলাম,শিক্ষক হাফিজ মাওলানা নুরুল হক,মাওলানা তামীম আহমদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য ২০২১ সালে ২৩ মে প্রতিষ্ঠিত হয়ে 

ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষার সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়া। 

সুশীল সমাজ এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়  শিক্ষা ও আর্ত মানবতায় অবদান রাখায় অল্প সময়ের মধ্যে এ প্রতিষ্ঠান ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছে দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়া।

আরও জানা যায়  প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় রয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী শায়খ হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরী ও লন্ডন প্রবাসী মাওলানা মখলিছুর রহমান চৌধুরী এবং নির্বাহী পরিচালক মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী।


আরও খবর



রাজধানীতে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে ৯ লাখ ভবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মুন্সি মো আল ইমরান:রাজধানী ঢাকায় নতুন ভবন করতে হলে এখন থেকে সাধারণ নকশার পাশাপাশি কাঠামোগত নকশাও জমা দিতে হবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) আর ভূমিকম্প সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজউককে সহায়তার জন্য নতুন একটি সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে।

এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন সংস্থাটি হবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং এটি পরিচালিত হবে মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে।

একই সাথে রাজউক দুটি টাস্কফোর্স গঠন করবে ঢাকার ভবনগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য। মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ভবনগুলো পরিদর্শন করা হবে যার তত্ত্বাবধানে থাকবে ওই দুই টাস্কফোর্স।

রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও মন্ত্রণালয় বা রাজউক আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়ে কিছু জানায়নি।

মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভূমিকম্প বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী। তিনি ও বিডিটুডেসকে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নতুন সংস্থা গঠনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত আজ হলো। সংস্থাই ভূমিকম্প সংশ্লিষ্ট সব বিষয় অর্থাৎ অ্যাসেসমেন্ট, মাটি পরীক্ষাসহ যাবতীয় কাজে রাজউককে সহায়তা করবে। আর রাজউক জানিয়েছে যে তারা এখন থেকে ভবন নির্মাণের জন্য সাধারণ নকশার পাশাপাশি কাঠামোগত নকশাও বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে,’ বলেন তিনি।

কাঠামোগত নকশা আসলে একটি ভবনের বিস্তারিত নকশা, যেখানে ফাউন্ডেশন, পিলার, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ ভেতরের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো কেমন হবে তার নকশাও থাকবে।

মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, এই নকশা থেকেই ধারণা পাওয়া যাবে যে নতুন ভবনটি ভূমিকম্প সহনীয় হবে কি-না।

ভূমিকম্প ঝুঁকি এবং ঢাকায় সম্প্রতি কয়েকটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক এক জরিপে বিপুল সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তথ্য উঠে আসার প্রেক্ষাপটে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

থার্ড পার্টি যাচাই করবে বিদ্যমান ভবন


ঢাকা শহরের ভবনগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা হবে যে এগুলো কতটা নিয়ম মেনে করা হয়েছে বা ভূমিকম্প বা আগুনের ঝুঁকি থেকে এগুলো কতটা নিরাপদ।

তবে এগুলো কিভাবে করা হবে তা নিয়ে খুব শিগগিরই একটি নীতিমালা তৈরি হবে বলে জানিয়েছে রাজউক।

যদিও সম্প্রতি নগর উন্নয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবনগুলো পরিদর্শন পর্যবেক্ষণ করা হবে মূলত থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে।

রাজউক বলেছে, নীতিমালা হওয়ার পর থার্ড পার্টি দিয়ে তারা কাজটি করবে। এটি হলে শহরের সব ভবন সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। তখনই আমরা বলতে পারবো যে শহরটি আসলে কতটা ঝুঁকির মধ্য আছে,’ বলছিলেন আনসারী।

উল্লেখ্য, রাজউকের হিসাবে এখন সংস্থাটির আওতায় থাকা এলাকায় প্রায় ২১ লাখ ভবন বা ধরনের স্থাপনা আছে।

সম্প্রতি প্রায় ৩০০০ ভবনের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে ৪২টি ভবনকে অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে থাকার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।

নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা বলেন, এসব ভবন ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কিভাবে ভাঙ্গা হবে সেটি রাজউক ঠিক করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে দুমাস সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, সামনে রোজার পর বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

তবে তার আগে এসব ভবনের মালিকদের চিঠি দেয়া হবে। তারা ভবন খালি করে দেবে। এরপর ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু হবে

ঝুঁকিতে লাখ ভবন


রাজউকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকার কাছে টাঙ্গাইল এলাকায় মাটির নিচে যে ফল্টলাইন আছে সেখানে সাত মাত্রার কাছাকাছি ভূমিকম্প হলে সাড়ে আট লাখেরও বেশি ভবন ধসে পড়বে।

সমীক্ষাটি গত চার বছর ধরে করা হয়েছে, যার রিপোর্ট সম্প্রতি কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে।

সমীক্ষার সাথেও জড়িত ছিলেন অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী। তিনি বলেন, এই সাড়ে আট বা নয় লাখের মধ্যে ছোটোখাটো ভবনও আছে।

আমরা সমীক্ষাটি করেছি আসলে নীতিনির্ধারকদের পরিস্থিতি এর গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। আজকের সভায় সেটি তাদের বলা হয়েছে। তারাও অনুধাবন করেছেন,’ বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।

আনসারী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে অনেক একতলা বা দোতলা ভবন আছে।

তবে ৪২টি ভবনকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগে থেকেই বলে আসছেন যে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের কাতারে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

তবে ঘনবসতির এই শহরটির ঝুঁকি কমাতে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও তার বেশিরভাগই আলোর মুখ দেখেনি।

আর্থ অবজারভেটরি সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং মিয়ানমার- এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান, যা বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

তবে সাধারণত প্রতিবারই কোনো ভূমিকম্প হওয়ার পরই ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়, যা ধামাচাপা পড়ে থাকে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানার আগ পর্যন্ত।

এর আগে ২০০৯ সালে সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিডিএমপি) জাইকার যৌথ জরিপে জানা গিয়েছিল যে ঢাকায় সাত বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হলে শহরের ৭২ হাজার ভবন ভেঙ্গে পড়বে এবং লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৈরি হবে সাত কোটি টন কনক্রিটের স্তূপ।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরাবরই বলে আসছে যে ঢাকা শহরের ৭৬ শতাংশ রাস্তা সরু হওয়ায় ভূমিকম্প হলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে যাবে।

এছাড়া ৬০ শতাংশ ভবন মূল নকশা পরিবর্তন করে গড়ে ওঠায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের সময় এই অপরিকল্পিত ভবনগুলো সাথে সাথে ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সেইসাথে গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

তবে অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ভূমিকম্প বিষয়ক নতুন সংস্থাটি তৈরি হলে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া সহজ হবে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিরোধী ব্যবস্থা কিংবা প্রশিক্ষণ সবকিছুই ওই সংস্থাটি দেখভাল করবে। ফলে সমন্বিত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এটা আসলেই খুব জরুরি ছিল,’ বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।

 


আরও খবর

মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩




নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর দক্ষিণ সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস তুহিন রেজা। শনিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের এস,এম,সির সহ-সভাপতি আবু হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হেদায়েতুল্লাহ, রানির প্রধান নির্বাহী ফজলুল হক খান, এটি এন বাংলা ও এটিএন নিউজের নওগাঁ প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক রায়হান আলম, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষাথী ফোরামের সভাপতি মাসুদ রানা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম, এম মাসুদ রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ী ও বিজিতদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন।


আরও খবর