Logo
শিরোনাম
কথাসাহিত্যিক ইজাজ আহমেদ মিলনের লেখা

ভাওয়াল বীরের জন্মদিনে ‘জীবনালেখ্য’

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শ্রমিক নেতা ও গাজীপুর-টঙ্গী-২ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭২তম জন্মদিনে তার যাপিত জীবন নিয়ে কথা সাহিত্যিক ইজাজ আহাম্মদ মিলনের লেখা ‘জীবনলেখ্য’ বইটি প্রকাশ হয়েছে।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বইটির মোরক উন্মোচন করেন।

৯ নভেম্বর ১৯৫০ সালে জন্ম নেওয়া আহসান উল্লাহ মাস্টার ২০০৪ সালের ৭ মে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ঘাতকের বুলেটে নিভে যায় তার জীবন প্রদ্বীপ। 

শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ‘ভাওয়াল বীর’ খ্যাত আহসান উল্লাহ মাস্টার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে মানুষের ভালোবাসাকে পুঁজি করে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে দুবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য থাকাকালেই ঘাতকরা তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।

জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে ’৬৬-এর ৬ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচনে ভূমিকা রাখা, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণসহ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি আন্দোলনেই সরাসরি অংশ নিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আশীর্বাদ পাওয়া আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আজীবন আন্দোলন করেছেন। তাদের পক্ষে কথা বলেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন ’৯০-এর দশকের গোড়ার দিকেই। তুমুল জনপ্রিয় এক নেতৃত্বে পরিণত হন তিনি।

রাজনীতির মাঠে আহসান উল্লাহ মাস্টারের আলোয় আলোকিত হয়েছিল গাজীপুর। কিন্তু কেমন ছিল আপদমস্তক এ রাজনীতিকের জীবন? গ্রাম থেকে উঠে এসে কীভাবে জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন? তার জন্ম, শৈশব, কৈশোর, যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসা- এমন নানা অজানা অধ্যায় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক ইজাজ আহমেদ মিলন লিখেছেন ‘আহসান উল্লাহ মাস্টার : জীবনালেখ্য’। এই বইটি তরুণ প্রজন্মের কাছে আহসান উল্লাহ মাস্টারের আদর্শকে তুলে ধরতে সহায়ক হবে মনে করেন লেখক ও সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর

নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় জীবন যুদ্ধে জয়ী আদিবাসী নারী জগবতি টপ্পো

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

“আদিবাসী সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই, তারা নিজেরাই সমান মর্যাদা ও অধিকার ভোগ করেন” এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থাকে সম-অধিকারের সমাজ ব্যবস্থা হিসেবেও চালিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করা হয়। আদিবাসীরা যেন সমাজে এক ছোটজাতের জনগোষ্ঠির মানুষ। সেই ধারণাকে বদলে দিতে প্রতিনিয়তই নিজের গোষ্ঠির মানুষদের সম-অধিকার নিশ্চিত করতে ও সমাজের মূলধারায় যুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন আদিবাসী নেত্রী শ্রীমতি জগবতি রানী টপ্পো।

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ২নং মথুরাপুর ইউনিয়ন এর লক্ষীকুল গ্রামের মৃত জয়নাত সরদার টপ্পো ও তরুবালা রানী টিপ্পোর মেয়ে আদিবাসী গোষ্ঠির সংগ্রামী নারী হচ্ছেন শ্রীমতি জগবতি রানী টপ্পো। সাত বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে জগবতী রানী টপ্পো ৪র্থ। অভারের সংসারে বেড়ে ওঠা জগবতি গরীব বাবার ঘরে খেয়ে না খেয়ে জীবন জাপন করেছেন। 

সে সময় গ্রামে-গঞ্জে নারী শিক্ষার হার ছিল খুবই কম। তিনি ১৯৯৯ ইং সালে এসএসসি পাশ করেন। দারিদ্রতার কারনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০০০সালে একই গ্রামের শ্রী জতীন্দ্রনাথ তির্কীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। স্বামীর অনুপ্রেরনায় সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হন তিনি। 

জগবতি রানী টপ্পো বলেন, বিয়ের পর স্বামীর অনু প্রেরনায় তিনি ২০০৫ সালে বিএ পাশ করেন। পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে স্বপ্ন দেখেন ইউনিয়ন পরিষদের “মহিলা মেম্বার” হওয়ার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে শত বাধা আর বিপত্তিকে উপেক্ষা করে তিনি ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে বিজয়ী হতে পারেন না। পরে ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারো সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন তিনি  কিন্ত আবারো শত ষড়যন্ত্রের কাছে তাকে হার মানতে হয়। 

এরপর ২০১৯ সালে জগবতি রানী টপ্পো অপরাজিতা নামক এক প্রকল্পের সাথে যুক্ত হোন। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহন করে তার জ্ঞান ও দক্ষতার প্রসার ঘটান। তিনি জনগনের মাঝে সম্পৃক্ততা বাড়াতে সমাজ সেবা মূলক কাজের সাথে লেগেই থাকতেন সব সময়। বাল্য বিবাহ বন্ধ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, চিকিৎসার জন্য আদিবাসী নারী-শিশুকে উপজেলা থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে দেয়া, আদিবাসী প্রতিবন্ধী শিশুদের ভাতায় নিবন্ধিত করতে সাহায্য করাসহ নানা ধরণের সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেকে সব সময় নিযুক্ত রাখেন তিনি। এই সব কাজের মাধ্যমে তিনি নিজের গোষ্ঠিসহ এলাকার সকল মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। 

পুনরায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার হওয়ার সপ্ন নিয়ে নতুন উদ্যোমে ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে “তালগাছ” প্রতিক  নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। নির্বাচনের আগে তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থার শিকার করা হয়, পোষ্টার ছিড়ে ফেলা, প্রচার মাইক ভেঙ্গে ফেলা, ভোটের দিন কেন্দ্রে সমর্থকদের মারপিট করা, জোর করে ভোট দেওয়া ইত্যাদি কর্মকান্ড চালানো হয়। এক পর্যায়ে ৩টি কেন্দ্রে ভোট গণনা বন্ধ রাখা হয়। পরে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহায়তায় ভোট গণনার পরে ২২ হাজার ২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হোন জগবতী রানী টপ্পো। 

লড়াকু জগবতি রানী টপ্পো সব সময় নিজের মোটরবাইকের মতো ছুটে চলেন। একজন প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসি জনগোষ্ঠির নারী তার অদম্য ইচ্ছে শক্তি দিয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী ঠিকানা গড়তে দিন-রাত গ্রামে গ্রামে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সমতলের একজন আদিবাসী লড়াকু জগবতি রানী প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিশেষ করে সকল স্থানে আদিবাসী নারীর দুরবস্থাকে আড়াল করা  হয়। জগবতি রানী সেই চিরায়ত ধারাকে ভেঙ্গে সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পুরুষ তান্ত্রিকতাকে পরাজিত করে সামাজিক অনুশাসন, ধর্ম, অর্থ ও পেশীশক্তিকে মোকাবেলা করে নিজের গোষ্ঠির মানুষসহ দেশের পিছিয়ে পড়া সকল মানুষদের সমাজের মূলধারায় যুক্ত করে তাদের সমঅধিকার নিশ্চিত করা পর্যন্ত জগবতি রানী টপ্পো তার জীবনের শেষ দিনও এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা বলেন, জগবতি রানী টপ্পো সত্যিই সকলের জন্য এক দৃষ্টান্তর। এমন ব্যক্তিদের জন্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ার দুয়ার সব সময় খোলা আছে। এছাড়া জগবতি রানী টপ্পোর পাশে জেলা প্রশাসন রয়েছে। তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার কথাও জানান জেলা প্রশাসক। 


আরও খবর



নওগাঁয় প্রতিবন্ধীকে নিজ উদ্যোগে দোকান করে দিলেন ইউএনও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর আদিবাসী পরিবারের শারীরিক প্রতিবন্ধী বালককে আত্ম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেন, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার দুপুরে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার বিন্নাকুড়ি আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা  নগেন মাস্টারের পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী বিমল কে আত্ম কর্মসংস্থানের  লক্ষে বিন্নাকুড়ি মোড়ে  দোকান ঘর ও  নিজস্ব অর্থায়নে মুদিখানা দোকানের পুঁজি হিসেবে যাবতীয় (দোকানের মালামাল) ক্রয় করে দিয়ে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। 

উল্লেখ্য যে, প্রতিবন্ধী বালকের ঘুমটি দোকান ঘর তৈরির জন্য মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদারের পক্ষ হতে  ৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী বিমল   সংশ্লিষ্ট  সকলের প্রতি  কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী পরিবারের কর্মসংস্থানের ফলে একটি পরিবার সচ্ছলতার সংন্ধান পেতে পারে। এ ধরনের মানবিক কাজ তিনি অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান।


আরও খবর



এনার্জি ড্রিংকস : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি আড্ডা, পার্টি, পিকনিক কিংবা বাসাবাড়ির যে কোনো অনুষ্ঠানে অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এনার্জি ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস (কোমল পানীয়)। কেউ কেউ ভাত-মাংস, এমনকি পানির মতো গ্রহণ করেন এগুলো। স্কুলের টিফিনে শিশুদের খাবার কিংবা কোমল পানীয় দিয়ে অতিথিকে আপ্যায়ন যেন মানুষের রীতি বা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়দের জন্য এগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, অথচ শিশুদের ক্ষেত্রে? এটি নিয়ে কেউ কি চিন্তা করেছেন?

এসব পানীয়ের প্রতি আসক্তির বিষয়টি উঠে আসে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে (২০২২)। সেখানে দেশের ৩০ হাজার ৩৭৫টি পরিবারের কাছ থেকে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। খাদ্য গ্রহণসংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হয় ছয় থেকে ২৩ মাস বয়সী দুই হাজার ৫৭৮টি শিশুর কাছ থেকে। জরিপের ফলে উঠে আসে, ৩২ শতাংশ শিশু তথ্য সংগ্রহের আগের দিন কোমল পানীয় পান করেছেন। ৪৯ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত চিনি ও লবণজাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছেন।

গবেষণায় কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকসে এর মাত্রা আরও বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইনের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও একটি এনার্জি ড্রিংকসে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৩২১.৭ পিপিএম। এ ছাড়া এক বোতল (২৫০ মিলি) কোমল পানীয়তে সিসার মাত্রা মিলেছে যথাক্রমে ০.০৫৩ ও ০.০৪৮ মিলিগ্রাম

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণাতেও কোমল পারীয় ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণায় কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকসে এর মাত্রা আরও বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইনের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও একটি এনার্জি ড্রিংকসে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৩২১.৭ পিপিএম। এ ছাড়া এক বোতল (২৫০ মিলি) কোমল পানীয়তে সিসার মাত্রা মিলেছে যথাক্রমে ০.০৫৩ ও ০.০৪৮ মিলিগ্রাম।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, নমুনার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানীয়ের পিএইচ (পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন) ও অ্যাসিটিক মাত্রা আসে ৩-এর নিচে, যা দাঁতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২৫০ মিলিলিটারের (মিলি) কোমল পানীয়তে চিনির পরিমাণ ২০.৮ থেকে ২৮.৮ গ্রাম এবং এনার্জি ড্রিংকে তা ২২.৬ থেকে ৩৭.০ গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা পূরণের সমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দিনে সর্বোচ্চ চিনি গ্রহণের মাত্রা ২৫ গ্রাম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলিলিটার (মিলি) ক্যানে অন্তত ৮০ মিলিগ্রাম (মিগ্রা)। যেখানে ৩৩০ মিলির একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২ মিগ্রা। সেখানে ৬০ মিলির একটি এনার্জি ড্রিংকসের বোতলে ১৬০ মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।

এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলিলিটার (মিলি) ক্যানে অন্তত ৮০ মিলিগ্রাম (মিগ্রা)। যেখানে ৩৩০ মিলির একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২ মিগ্রা। সেখানে ৬০ মিলির একটি এনার্জি ড্রিংকসের বোতলে ১৬০ মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন  ধরনের কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকস বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু আছে কার্বনেটেড ওয়াটার, কিছু কার্বনেটেড ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস। এগুলোর ক্ষতির মাত্রাও ভিন্ন। এসব পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। চিনির কারণে বাচ্চাদের ওজন দ্রুত বেড়ে যায়।

ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে বাচ্চাসহ বয়স্ক ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়ারেটিকস  দ্রুত বাড়ে। এমনকি কোমল পানীয় বাচ্চাদের মধ্যে এক ধরনের আসক্তিও তৈরি করে। ঠিক তামাকের নিকোটিনের মতো। এ কারণে বাচ্চারা একবার অভ্যস্ত হলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কেমিক্যাল-কাঁচামালে নকলের ছড়াছড়ি

ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত যেসব ড্রিংকস বা জুস আছে, সেগুলোতে ফলমূলের ব্যবহার খুবই কম থাকে। ব্যবহার হয় মূলত কেমিক্যাল, সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে চিনি। তাও আসল চিনি নয়। চিনির নামে ফ্রুক্টোজ, যা সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এগুলোতে খুবই উচ্চমাত্রার ক্যালরি থাকে, যা শরীরে মেটাবলিক প্রবলেম (বিপাকীয় সমস্যা) তৈরি করে।

বেশি ক্ষতি শিশু-কিশোরদের

দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ  বলেন, কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসে কোনো পুষ্টিকর উপাদান নেই। বরং দেহের জন্য ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে। বেশকিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, কোমল পানীয় দাঁতের ক্ষয়রোগ সৃষ্টি করে, মাড়ি দুর্বল করে। এমনকি এর প্রভাবে হাড়, পেশি ও লিভারে জটিল রোগ দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় শিশু-কিশোররা।

গবেষকরা বলেন, কোমল পানীয়ের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ক্যাফেইন। এটি অত্যন্ত আসক্তিকর মাদক। এটি শুধু স্নায়ুতন্ত্র নয় দেহকেও কৃত্রিমভাবে উত্তেজিত করে। হৃৎস্পন্দন ও সাময়িক বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়, অবসন্ন ভাব বা ক্লান্তি-শ্রান্তি দূর করে। ছোটরা তাই একবার খেলে আবারও খেতে চায়।


আরও খবর



ইউক্রেনের নজর এবার ক্রিমিয়ায়

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

দক্ষিণে জাপোরিজ্জিয়া ও পূর্বে বাখমুত রণক্ষেত্রে পাল্টা আক্রমণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাফল্য পাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। এই সাফল্যের মধ্যেই তারা রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় আক্রমণ জোরদার করেছে।

রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দপ্তরে হামলার পর দিন শনিবার ক্রিমিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে শেয়ার করা ছবিতে আকাশে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

সেভাস্তোপলের রাশিয়াপন্থি গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রামে বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনীয় হামলায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে তিনি শুধু বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ শহরের বিভিন্ন স্থানে পড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের বিপদ শিরোনামে পরবর্তী পোস্টে সতর্ক করে তিনি বলেছিলেন, বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখতে হবে। অন্য এক বার্তায় তিনি বলেন, আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শঙ্কা রয়েছে।

টেলিগ্রামের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটিতে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে।

টানা দুদিনের হামলায় স্পষ্ট হচ্ছে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রিমিয়া ও রাশিয়া কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ জোরদার করেছে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। এখানে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। মস্কোর এই দখলকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রুশ সেনাদের দখল থেকে ভূখণ্ডটি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সূত্র : নিউজউইক।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মরক্কোর কাছে হারল ব্রাজিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলে মরক্কো রূপকথা চলছেই। কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল হাকিমি-ইয়াসিন বুনোরা। এরপর গেল মার্চে মুখোমুখি দেখায় ব্রাজিলকে হারিয়েছিল দেশটি। সর্বশেষ নারী বিশ্বকাপেও চমক দেখিয়েছেন মরক্কোর মেয়েরা। 

আবারো ব্রাজিলকে হারাল আফ্রিকান দেশটি। তবে এবার জাতীয় দল নয়, বয়সভিত্তিক টিমে। শুক্রবার ব্রাজিলিয়ান অনূর্ধ্ব-২৩ দলটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে মরক্কোর যুবারা।

প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ সালের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আফ্রিকান দেশটিতে দুটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়েছে ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল। মরক্কোর ফেজ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে হেরে সিরিজ শুরু করেছে জুনিয়র সেলেসাওরা।

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে তেমন জোরালো আক্রমণ শানাতে পারেনি দুই দলের কেউই। ফলে গোলের গেরোও খোলা যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। ফের ম্যাচ শুরু হলে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ব্রাজিল। 

 ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণের মুখে পাল্টা অ্যাটাকে লিড নেয় স্বাগতিকরা। ৭৩ তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জাকারিয়া এল ওউহাদি বল জালে জড়ান। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো মরক্কো। তবে বরাত মন্দ। ম্যাচের ৮১ মিনিটে সালিম এল জাবেরির গোলটা অফসাইড ঘোষণা করে রেফারি। 

শেষদিকে খেলায় ফেরার বেশ চেষ্টা করেও সমতা আনতে পারেনি ব্রাজিল। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে মরক্কো এবং ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২৩ দল।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩