Logo
শিরোনাম

ভেজাল ওষুধ উৎপাদনে ১০ বছরের জেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ভেজাল ও লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করলে ১০ বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘ওষুধ আইন, ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, খসড়া আইনে ওষুধ প্রশাসন কেমন হবে, ওষুধ বিক্রি ও আমদানির লাইসেন্স দেওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে তার শাস্তি কী হবে সেটাও খসড়া আইনে রয়েছে।

এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘দ্য স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ২০২২’ ও ‘জাতীয় শিল্পনীতি, ২০২২’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ভাঙ্গাড়ি দোকানের কর্মচারী হাজার কোটি টাকার মালিক নাজিম!

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন। এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগিদের অভিযোগ থেকে জানা যায় ,লক্ষীপুরের এক হত দরিদ্র পরিবারে নাজিম উদ্দিনের জন্ম, পিতা-আবু তাহের, জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । সন্তানদের বেশি লেখাপড়া করাতে না পারলেও ছোট বেলা থেকেই জামাতের আদর্শে বড় করেছেন।

পিতার অভাবের সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় চলে আসেন নাজিম । ভাষাণটেক বস্তিতে অবস্থানকালে মাসিক  তিন হাজার টাকা বেতনে ভাঙ্গারীর দোকানে চাকুরী নেন। ধীরে ধীরে নাজিম উদ্দিন এলকার বিভিন্ন নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ভাঙ্গারী দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রি করে কিছু টাকা পুজি করেন । পরবর্তীতে নব্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিনের সাথে সখ্যতা গড়ে  ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদি নামাপাড়ায় নেতার বাড়ির পাশেই নাজিম বাসা ভাড়া করে ।

আব্বাস উদ্দিনের নির্দেশে ও অর্থায়নে নাজিম উদ্দিন ভূইয়া শুরু করেন জমি কেনা বেচার ব্যবসা। নিউগিনি প্রপার্টিজ লি: নামে সাইন বোর্ড লাগিয়ে শুরু করেন জমি দখল । এলাকার নিরীহ দরিদ্র জমির মালিকদেরকে টার্গেট করে নাজিম উদ্দিন জোর পূর্বক জমি দখল ও জমি ভরাট শুরু করেন। নিজের ভাই সাইফুল, শামীম, তাজুল, রেজাউলকে রাজননৈতিক ছায়া ও শেল্টার দেন আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন । আর সন্ত্রাসী শাহীন, নয়ন, মিলনসহ শতাধিক অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী নিয়ে গড়ে তোলেন নাজিম বাহিনী । নামাপাড়ার জলাধার ধীরে ধীরে গিলতে থাকে নাজিমের নিউগিনি প্রপার্টিজ।

আওয়ামী নেতার ছত্রছায়ায় নাজিম বাহিনী রাতের আঁধারে শত শত ড্রাম ট্রাক ভরে বালু ফেলে এলাকার নিরীহ দরিদ্র লোকের জমি দখল করে ভূয়া দলিল সৃষ্টি করে শেয়ার আকারে ও প্লট আকারে  বিক্রি করতে থাকে । শত শত সেনা,নৌ,বিমান,পুলিশ বাহিনীর সদস্য সহ স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের শেষ সম্বল দিয়ে নাজিম উদ্দিনের নাম সর্বস্ব কোম্পানিতে জমি কিনতে ছুটে আসে। চটকদার বিজ্ঞাপন আর অল্প দামে প্লট/শেয়ার পাবার আশায় শত শত মানুষ নাজিমকে দেয় কোটি কোটি টাকা।

এভাবে অবৈধ টাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন । স্থানিয় বাসিন্দা এবং তার নিজ গ্রামের লোকজনের ধারনা নাজিমের হাতে আলাদিনের চেরাগ আছে নইলে এত অল্প সময়ে কি ভাবে এত টাকার মালিক হলেন । তার অবৈধ টাকা থেকে নামাপাড়ার ঐ আওয়ামী নেতাকে মাসিক দশ লক্ষ টাকা প্রদান করে । এর বিনিময়ে  সকল অপকর্ম হালাল করতে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় জমি দখল করে পাহারা দেয় ফলে দিন দিন ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন হয়ে উঠছে শক্তিশালী ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ার সাহারা মৌজার আরএস ৫৬১, ৫৬২, ৫৬৫ দাগের প্রায় ১০ বিঘা জমি দলিল ও নামজারী ছারা শুধুমাত্র অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিন দখল করে রেখেছেন। প্রকৃত মালিকগণ এসব জমির কাছে যেতে পারে না।

এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তার মুঠো ফোনের নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়। জোর পূর্বক দখল করা ১০ বিঘা জমিতে নাজিম বাহিনী অস্ত্র হাতে নিয়ে দিন রাত পাহারা দেয় । এলাকার সকল প্রকার নির্মাণ ও উন্নয়ন মূলক কাজে নাজিম উদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালিত সাপ্লায়ারদের নিকট থেকে বাজার মূল্যের বেশি মূল্যে মালামাল কিনতে বাধ্য হয় । নাজিম বাহিনীর বেধে দেওয়া চড়া দামে নির্মাণ সামগ্রী না কিনলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় । রাতের বেলায় নাজিম বাহিনীকে চাঁদা না দিলে কোন বালুর ট্রাক ঢুকতে পারেনা । এভাবেই চলছে নাজিম উদ্দিনের অপকর্ম। ক্যান্টনমেন্ট থানায় নাজিম বাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় দেড় ডজন ফৌজদারী মামলা। নামে বেনামে নাজিম উদ্দিনের রয়েছে অঢেল, সম্পদ।

 ভাঙ্গারীর দোকানের কর্মচারী থেকে নাজিম উদ্দিন  হাজার কোটি টাকার মালিক । জোয়ার সাহারা মৌজার ৬১০, ৬১১, ৬১২, ৬১৩, ৬১৪, ৬১৫, ৬১৬ ও ২৫৬ দাগে রয়েছে নাজিম উদ্দিনের প্রায় বিশ বিঘা জমি। বাউনিয়া মৌজার ২৫৭ নং দাগের ১০ বিঘা, মিরপুর ডিওএইচএস এ তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের ২টি ফ্ল্যাট। গ্রামের বাড়ীতে কিনেছে ২০ বিঘা জমি। দুবাইতে রয়েছে ২টি স্বর্নের দোকান ।

কয়েকমাস আগে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটেছেন নাজিম উদ্দিন। এ বিষয়ে অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল বলেন, সেনা বাহিনী থেকে অবসর গ্রহনের পর আমার উর্দ্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৩ নং দাগের ৫(পাঁচ) বিঘা জলাশয় জমি ক্রয় করি। নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করি। ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামীলীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছি।

প্রায় ১৫/২০ জন সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম বাহিনী জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। জমির কাছে গেলেই লাঠি সোটা নিয়ে আক্রমন করে। জীবন বাঁচাতে জমির মায়া ছেড়ে গৃহবন্ধী হয়ে আছি । পথ চলতে ভয় পাই। ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের নিকট নাজিম বাহিনী ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবী করলে বোরহান উদ্দিন দিতে অস্বীকার করলে নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমন করে ও তার জমি দখল করে নেয়। এতে বাধা দিলে নাজিম বাহিনী রাতে তার বাড়ীতে হামলা করে ও তাকে বেদম প্রহার করে। এছাড়া এলাকার বেশ কয়েকটি বিয়েল এস্টেট ও হাউজিং কোম্পানির প্রায় ১২ বিঘা সম্পত্তি নাজিম বাহিনী জোর পূর্বক দখলে নিয়েছে। 

সিআইডি অফিসে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে, দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও নাজিম উদ্দিনের অত্যাচার থেকে এলাকার নিরীহ এমন কি সরকার দলীয় লোকজনও রেহাই পায়নি। এক অদৃশ্য শক্তির বলে জামায়াতের অর্থযোগান দাতা আইনের উর্দ্ধে থেকে অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। সাধারণ জনগন নাজিম বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি চায় এবং ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিনের অবৈধ দখল থেকে তাদের জমি জমা ফেরত চায় ।  শফিকুল ইসলাম লালমিয়া, ক্যান্টনমেন্ট ১৫ নং ওয়ার্ডের একজন ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা ।

জামায়াত বিএনপির কর্মী নিয়ে চাঁদাবাজী ও ভূমিদস্যুতার ইন্দন দেবার প্রতিবাদ করায় নব্য আওয়ামী নেতা আব্বাস উদ্দিন লালমিয়াকে নিজে কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দিলে তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী লালমিয়াকে খাবার টেবিল থেকে ডেকে নিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। এ বিষয়ে লালময়িার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পিতা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।

২১ শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় জননেত্রীর জীবন বাঁচাতে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিজের শরিরে ধারন করে কিছুদিন আগে মৃত্যুবরন করেন । তার সন্তান হয়েও নব্যআওয়ামীলীগের হাতে মাইর খেয়ে পঙ্গু হতে চলেছি।  হামলাকারি নব্যআওয়ামীলীগ নেতার নাম বাদ দিয়ে মামলা নেওয়া হলেও আসামী না ধরায় মামলা তুলে নেবার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে । এতে আমার পরিবারের চলাফেরা সীমিত হয়ে গেছে । ছেলে মেয়ের লেখা পড়াব বন্ধ হয়ে গেছে । আব্বাস উদ্দিনের সহযোগীতায় বিএনপি জামায়াতের অর্থ যোগান দাতা জামায়াত নেতা নাজিম উদ্দিনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামীলীগ এখন দুটি ভাগে বিভক্ত। আব্বাস উদ্দিনের আশ্রয় প্রশয়ে জামায়াত নেতা নাজিম উদ্দিন অন্যের জমি দখল করে হাজার কোটি টাকার মালিক।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ঈদের চাল বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বিশেষ ভিজিএফ চাল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। 

রবিবার সকাল থেকে এ সব চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইফুল ইসলাম। ইউপি সচিব মো. সালাহউদ্দিন, ট্যাগ অফিসার মো.রিয়াজুল ইসলাম।

১৭৯৩ জন নারী পুরুষ সুবিধাভোগীরা নিচ্ছেন ১০ কেজি করে চাল।

এ চাল বিতরণকালে অন্যনোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুর রহিম মৃধা, আবু বকর ফরাজী, মো. কাওসার হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পারভীন বেগম।

চাল বিতরণকালে সকল সুবিধাভোগীদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য,  জন্য দোয়া চেয়েছেন।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বিভিন্ন সময় ভোক্তা অধিদপ্তর নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন কোনো কাজে আসছে না।

রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের নিজেদের মতো বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে করে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছু কিনতে গিয়েও থমকে দাঁড়ান মধ্যবিত্তরা।

তাছাড়া গত বছর রোজায় সাধারণ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনেছে। চালতি বছরের রমজানে তা বেড়েছে অনেক। ফলে খরচও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিটি জিনিসের দাম দফায় দফায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাড়ছে।

বাড়তি খরচের কথা চিন্তা করে সকল ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, রমজান আসলে আমাদের দেশে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জিনিসের দাম বাড়লেও কারো আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্থির হয়ে আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ যখন কাজে আসছে না। কারণ অতি মুনাফাখোর জোট বেঁধে সিন্ডিকেট করেছে। প্রতিটা পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত কোন না কোনোভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে স্বস্তির দেখা যাচ্ছে না ক্রেতারা।

রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কঠালবাগান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজাকে সামনে রেখে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। আমি গত সপ্তাহে যে-সকল দামে মালামাল কিনেছি আজ তা অনেকটাই বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে কথাটি ঠিক নয়। তবে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর দামই বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে ক্রেতা কমেছে আগের তুলনায় অনেক। আবার অনেকে দাম বেশির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম জিনিস কিনেছে।

একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মাহদীউজ্জামান কাঠাবাগান কাঁচাবাজারে আসেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত কিছু দিন আগে যে দাম ছিল আজ তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে।

আরিফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, রমজানে অন্য মাসের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের দামের বৃদ্ধির ফলে তা সম্ভব হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম রাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫০০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাছ বাজারে দেখা যায়, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে সুযোগ হিসাবে নিয়েছে। তাদের এক মাস ব্যবসা করে সারা বছরের লাভ করতে চায়। ব্যবসায়ীরা গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দাম বাড়ার পেছনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলছে। অথচ এসবই হচ্ছে ভিত্তিহীন অজুহাত। তারা অতি মুনাফা লাভের মনোভাব থেকেই দাম বৃদ্ধি করছে।

কিছুদিন আগে এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার পরপরই চিনির দামটি বেড়ে গেছে। সেখানে যে চিনি নষ্ট হয়েছে তার রিফাইন যোগ্য চিনি ছিল না। কিন্তু তারপরেও দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যখন অজুহাত পায় তখনই দাম বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

ক্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে সাথে দেশের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অথচ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে দাম বৃদ্ধির কোন নিয়ম নেই। ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে পণ্য যদি বেশি দামি কেনা হয়, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করবে। আর যদি কম দামে কেনা হয়, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে হবে। এসবের পেছনে ব্যবসায়ীরা মূল দায়ী। আমাদের দেশীয় পণ্যের সাথে ডলারের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ এই সকল জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এরজন্য ব্যবসায়ীর সাথে সাথে যারা তদারকি করছেন তাদের গাফিলতি রয়েছে। সঠিক আইনের প্রয়োগ করলে তখনই এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া সম্ভব। বিভিন্ন সময় অভিযান হলে সব জায়গায় হচ্ছে না। ফলে এর প্রভাব তেমন একটা নেই। মন্ত্রিপরিষদের বিরাট একটি অংশ ব্যবসায়ী শ্রেণি হওয়ার কারণে এসব দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা দাম বাড়ার পরও কমছে না বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের এই সহ-সভাপতি।


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে ছেলের লাঠির আঘাতে আহত বাবা নূর ইসলাম (৫২) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) ছেলে নাসিম (২০) তার বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। নিহত নূর ইসলাম উপজেলার জালালপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল থেকে বাবা ছেলে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। চলে বিকেল পর্যন্ত। বিকেল ৫ টার দিকে হঠাৎ করে ছেলে নাসিম ও তার বাবা নূর ইসলামের মধ্যে আবারো তর্ক শুরু হয়ে যায়। এর এক পর্যায়ে নাসিম ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবা নূর ইসলামের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এতে করে নূর ইসলাম আহত হয়ে পড়লে গ্রামবাসী তাকে প্রথমে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এব্যাপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত নূর ইসলামের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া এঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং নিহতের ছেলে পলাতক রয়েছে।


আরও খবর



র‌্যাংকিং এ শান্ত-লিটনের বিরাট অবনতি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত বুধবার শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। সে টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসির প্রকাশিত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, আশিতা ফার্নান্ডো এবং বাংলাদেশের খালেদ আহমেদ, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) আইসিসি র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে যাচ্ছেতাই ছিলেন লিটন কুমার দাস। নতুন বলে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে ওয়ানডে দল থেকে সিরিজের মাঝপথেই বাদ পড়েন। তবে টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। দলের প্রয়োজনে হাল ধরার চেয়ে অপ্রয়োজনে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলের বিপদটাই বাড়ান লিটন।

টেস্ট সিরিজে একই অবস্থা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ক্ষেত্রেও। তবে ওয়ানডে সিরিজে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। টেস্টে বাংলাদেশও ভুগেছে নিজেদের নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটারের অফফর্মের কারণে। প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে রেকর্ড হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে ১৯২ রানের ব্যবধানে।

এমন হারের পর আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমানে তাদের অবস্থান ৮ম স্থানে। এদিকে দলের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে ক্রিকেটারদের। যেখানে অবনমন দেখেছেন শান্ত এবং লিটন। আইসিসির সবশেষ প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে টেস্টে ৫ ধাপ নেমে ৬২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে লিটন এখন আছেন ২৯ নম্বরে। আর শান্ত ৮ ধাপ নেমে ৪৮৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছেন ৬১তম স্থানে।

এদিকে টেস্টে খারাপের জেরে ক্রিকেটারদের যেমন অবনমন হয়েছে তেমনি উন্নতিও হয়েছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। দ্বিতীয় টেস্টে ফিফটি করে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনধাপ উপরে উঠেছেন জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান করা এই ব্যাটার তিন ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছেন ৭৫তম স্থানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮১ রান করা মিরাজ ১১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৮৮ নম্বরে। আর চার ধাপ এগিয়ে ৪৬তম স্থানে উঠে এসেছেন মুমিনুল হক।

এদিকে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশ করেছেন দ্বিতীয় টেস্টে অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ছয় উইকেট নিয়ে ৯৫তম অবস্থানে রয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। চট্টগ্রাম টেস্টে ৬ উইকেট পেয়েছেন হাসান। ওই টেস্টে ৩ উইকেট নেয়া আরেক পেসার খালেদ আহমেদ ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৩ নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, বোলিংয়ে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান


আরও খবর