Logo
শিরোনাম

ভেঙে যাচ্ছে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

এনামুল হক,খুলনা: ভেঙে যাচ্ছে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা অনিরাপদ হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

 জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উচ্চ জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মনুষ্যসৃষ্ট দূষণসহ নানা ধরনের সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাদাবন (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্যকে।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে ১৩৪টি মৃত হরিণ ও চারটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, সুন্দরবন বন বিভাগের মতে, বন্যপ্রাণী মৃতের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি হবে। 

কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ গহীন সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বন এলাকায় বন বিভাগের কর্মীরা যেতে পারেনি। 

তাদের মতে, গত ২৬ মে ভোরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর অংশে ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। এতে বহু হরিণ সাগরে ভেসে গেছে। যার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

 ওগুলো পচে-গলে পানিতে মিশে গেছে। উদ্ধার করা মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত-সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীর চর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী-খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। 

এর আগে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর একটি বাঘ ও ২৭টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তিনটি হরিণ ও একটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খতিয়ান নেই। 

বনজীবীরা জানান, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবারই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি বেশি হয়েছে।

বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে পশুপাখির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। সুন্দরবনের যেসব জায়গা উঁচু তা সর্বোচ্চ আট ফুট। অথচ সেখানে পানি উঠেছিল ১০-১২ ফুট। টানা ৩৬-৩৭ ঘণ্টা পুরো সুন্দরবন লবণপানির নিচে ছিল। এর আগে এ রকম জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে কখনো হয়নি। যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ আজিজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এখন যে অভিঘাত হচ্ছে, এগুলো ধীরে ধীরে বাড়বে। উচ্চ জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও আমরা যে অসুবিধাগুলো দেখছি, সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। 

বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলের সুন্দরবন। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়ী হয়ে দুবলারচর, কটকা পর্যন্ত অনেক এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। এটা সুন্দরবনের জন্য দৃশ্যমান ক্ষতি হচ্ছে। ঐ অঞ্চলে ভেঙে গিয়ে বন কমে যাচ্ছে। তবে সুন্দরবনের বলেশ্বরের দিকে কিছু কিছু চর জাগছে।

 সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় গত ১০-১২ বছর ধরে ভাঙন অনেক বেশি হচ্ছে। এই ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে এই ক্ষতি বাড়ছে। হয়তো এখন ক্ষতিটা অত নজরে আসছে না; নজরে আসে যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন। 

তিনি বলেন, গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখি, দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরবন জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে থাকা এবারই প্রথম দেখা গেল। জলবায়ুর যে অভিঘাতগুলো আনপ্রেডিক্টেবল (অপ্রত্যাশিত)। যা আমরা আগে থেকে প্রেডিক্ট (প্রত্যাশা) করতে পারি না। ফলে বাঘ ও বন্যপ্রাণীসহ জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ লবণাক্ততা বাড়ছে।

সুন্দরবনের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আগের তুলনায় ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণেই এবার উচ্চ জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। স্বাভাবিক জোয়ারের সময় এখন পানি অনেক উঁচু হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সুন্দরবন একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লোনাপানিতে প্লাবিত ছিল, যা আমরা আগে ধারণাও করতে পারিনি। 

সুন্দরবনে এবারের দুর্যোগ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক কারবারি কে আটক করেছে।

জানাযায়,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ এর নেতৃত্বে, থানা পুলিশের এস আই,রাকিব ও শাহানুর সহ মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম বুধবার ২৫ (ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের চন্দ্র খানা মৌজার কদম তলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক কারবারি অটো চালককে হাতে নাতে আটক করে। আটক ওই মাদক কারবারি নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণা নন্দ বকসি গ্রামের মৃত: বজলে রহমানের ছেলে, হাবিবপুর রহমান (২২)।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় মাদক নির্মূলে থানা পুলিশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আগামীকাল কাল সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের জিডিপি ছাড়িয়ে যাবে সুইজারল্যান্ডকে

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ২০৩৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি হবে বিশ্বে ২১তম। একই সময়ে সুইজারল্যান্ড ও সুইডেনের অবস্থান হবে বিশ্বে যথাক্রমে ২২ ও ৩০তম।

বর্তমানে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৪৩৪ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৭তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ফলে ২০৩৯ সাল নাগাদ জিডিপির দিক থেকে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ এগিয়ে যাবে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০২৫ শীর্ষক নামের ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩৫তম, ২০২৯ সালে ২৭তম, ২০৩৪ সালে ২৩তম অর্থনীতির দেশ হবে।

তবে অর্থনৈতিকভাবে বড় অগ্রগতি হলে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ২০৩৯ সালের মধ্যে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে মাত্র ৮ হাজার ৬১ ডলার। এর ফলে মাথাপিছু জিডিপিতে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ১২৩তম।

এর ফলে মাথাপিছু জিডিপির বৈশ্বিক তালিকায় শেষদিক থেকে ৬৬তম অবস্থানে জায়গা হবে বাংলাদেশের।

অন্যদিকে ২০৩৯ সালেও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে চীন। তবে এক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখবে ভারত। কারণ ২০৩৯ সালের মধ্যে দেশটি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে। বর্তমানে ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ।

পোশাকশিল্পের বাইরেও ওষুধ ও ইলেকট্রনিক্স খাতে সফল বহুমুখীকরণের সুবাদে ২০৩৯ সালের মধ্যে বিশ্বের ২১তম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অবকাঠামোতে ব্যাপক বিনিয়োগ এবং ক্রমবর্ধমান জনমিতিক লভ্যাংশের (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) সুবিধার কারণে দেশের অর্থনীতির এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০২৫ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান মার্কিন ডলারে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ভিত্তিতে এই র‍্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




‘তথ্য গোপন’ মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

‘অর্থের বিনিময়ে তথ্য গোপন’ করার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে বিচারক তাকে কোনও শাস্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

মূলত রায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তার ওপর কোনও রকম জেল-জরিমানার দণ্ড না থাকায় তিনি কোনও সমস্যা ছাড়াই হোয়াইট হাউসে ফিরে যেতে পারবেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ভয়েস অব আমেরিকা।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্পকে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের অভিযোগে প্রায় দুই মাস ধরে বিচার করা হয় এবং প্রত্যেকটিতে বিচারকরা তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করেন। তবে এরপরও ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প কোনও ধরনের ক্ষতির শিকার হননি এবং তারাই ভোট দিয়ে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করেছেন।

নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের বিচারক হুয়ান এম মার্চান ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতাকে চার বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারতেন। তা না করে তিনি বিতর্কিত সাংবিধানিক বিষয়গুলো এড়িয়ে কার্যত মামলাটির পরিসমাপ্তি টানেন। তবে ট্রাম্প হবেন এমন একজন প্রেসিডেন্ট যিনি অপরাধ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত।

মার্চান বলেন, যে কোনও আসামির ক্ষেত্রে শাস্তি আরোপ করার আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যে আইনি সুরক্ষা পাবেন, “সেই বিষয়টি অন্য সব বিষয়কে ছাড়িয়ে গেছে”।

অন্যদিকে ট্রাম্প তার ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন। আদালতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তার অপরাধের বিচার ও শাস্তি “অত্যন্ত ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা”। তিনি জোর দিয়ে দাবি করেন, তিনি কোনও অপরাধ করেননি।

ট্রাম্প বলেন, “এটি হচ্ছে রাজনৈতিক হয়রানি। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা করা হয়েছিল যাতে আমি নির্বাচনে হেরে যাই এবং দেখা গেল, সেই কৌশল কাজে লাগেনি।”

ট্রাম্প এই মামলাটিকে “সরকারের অস্ত্রীকরণ” এবং “নিউইয়র্কের জন্য অস্বস্তিকর” বলেও অভিহিত করেছেন। রিপাবলিকান ট্রাম্প হচ্ছেন এমন প্রথম ব্যক্তি যিনি গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েও প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে নীল ছবির এক তারকাকে ঘুষ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এতে গত বছরের মে মাসে তাকে অভিযুক্তও করা হয়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেন ট্রাম্প। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ২০১৬ সালে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দেন তিনি। সে সময় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার তথ্যটি নিজের ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন ট্রাম্প।

তবে ট্রাম্প এসব অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, জো বাইডেন ও তার প্রশাসন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে। এমনকি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এ মামলা তুলে নিতে বিচারকের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তার সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করা হয়।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে টিই বিভাগের অ্যাপ্যারেল ডিজাইন এর ভবিষ্যৎ" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)তে পোশাক ডিজাইনের ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি ) সকাল ১০টায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ারুল আজিম আখন্দ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথির হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মোঃ ইকবাল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন  এবং স্বাগত বক্ততৃতা করেন  সেমিনার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম আয়াতুল্লাহ হোসেন আসিফ। 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন

বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন ও অ্যাপ্যারেল শিল্প একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল খাত। প্রযুক্তি, টেকসই উন্নয়ন, এবং ভোক্তাদের চাহিদার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ডিজিটালাইজেশন, যেমন ৩ডি ডিজাইন সফটওয়্যার এবং এআই-চালিত ট্রেন্ড প্রেডিকশন, এ খাতকে আরও গতিশীল করে তুলছে।

তিনি আরও বলেন,  টেকসই ফ্যাশন এখন সময়ের দাবি। আমরা জানি, পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ফ্যাশন শিল্পের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই, পরিবেশ-বান্ধব উপাদান ব্যবহার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফ্যাব্রিক এবং ন্যায্য শ্রম নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা এই খাতকে আরও নৈতিক ও স্থায়িত্বশীল করতে পারি।

আজকের সেমিনারে নতুন প্রজন্মের ডিজাইনাররা তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে কীভাবে বৈশ্বিক মানচিত্রে বাংলাদেশকে আরও উজ্জ্বল করতে পারে, সে সম্পর্কে আলোচনা হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, এবং শ্রমশক্তি আমাদের এই শিল্পকে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিবে। 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে  তিনি বলেন,  এখান থেক ডিগ্রি নিয়ে শুধু নিজেকে নিয়ে না ভেবে দেশ ও দেশের অর্থনীতির কথাও চিন্তা করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষার পাশাপাশি  মানবিক গুণের অধিকারীও হতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন তেজগাঁও এপিলিয়ন গ্রুপের 

সিনিয়র ডিজাইনার বদরুল হুদা এবং সম্মানিত বক্তা ছিলেন ডিজিটাল ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড এর 3D ফ্যাশন ডিজাইনার এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেদওয়ানুল ইসলাম।

এছাড়া অনুষ্ঠানে  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক,  শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




খরচ কমিয়েও বাড়ছে না হজযাত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগের বারের মতোই ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ করার সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব, তবে এবার খরচ কমিয়েও বাড়ছে না হজযাত্রী।

খরচা বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালে প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি, হজে গিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এবার প্রাথমিক নিবন্ধনই সেরেছেন ৮৩ হাজার ৫২৭ জন, যা চূড়ান্ত নিবন্ধনে আরো কমতে পারে। তার মানে এবার হজযাত্রী কমছে অন্তত ১ হাজার ৭৩০ জন।

আগামী বছরের হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এর আগে দফায় দফায় সময় বাড়ানো হলেও নতুন করে আর সেই সুযোগ দিচ্ছে না ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ অনুবিভাগের উপসচিব মামুন আল ফারুক বলেন, ২০২৫ সালের জন্য হজের প্রাক, প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়সীমা আর বাড়ছে না। আমাদের শিগগির সৌদি সরকারকে কোটা (নিবন্ধিতদের তালিকা) পাঠিয়ে দিতে হবে।

হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, এবারের হজের জন্য যে ৮৩ হাজার ৫২৭ জন প্রাথমিক নিবন্ধন সেরেছেন, তার মধ্যে সরকারি মাধ্যম বেছে নিয়েছেন ৪ হাজার ৯৮০ জন। বাকি ৭৮ হাজার ৫৪৭ জন বেসরকারি মাধ্যমে হজে যেতে চান।

গত ২৫ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, হজের প্রাথমিক নিবন্ধন ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এর মধ্যে সময়সীমা কমিয়ে-বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত তা ২৬ ডিসেম্বর বলে ঠিক করা হয়।

যারা প্রাথমিক নিবন্ধন সেরেছেন, তাদের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে বলেছে সরকার।

হজের কোটা পূরণ না হওয়ার বিষয়ে হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব  ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, হজে মূলত তারাই যান, যার জন্য ফরজ, যার সঙ্গতি আছে। সেক্ষেত্রে এরকম লোক যদি কম হয়, সেটা তো আর বাড়ানোর সুযোগ থাকে না।

তিনি বলেন, তবে এ বছর হজযাত্রী যা আছেন, তারা সবাই প্রকৃত হজযাত্রী। কেননা অন্যবারের মতো পলিটিক্যাল হাজি নেই এবার। তারপর যারা অবৈধভাবে টাকা-পয়সা কামিয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকে বারবার হজে যেতেন, তারা এবার যাচ্ছেন না। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাই বলে।

খাবার খরচ যুক্ত করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ঘোষিত সাধারণ হজ প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা আর বিশেষ হজ প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এর সঙ্গে কোরবানি বাবদ ৭৫০ রিয়ালের সমপরিমাণ অর্থ সঙ্গে নিতে হবে।

অন্যদিকে এবার উড়োজাহাজ ভাড়া প্রায় ২৭ হাজার টাকা কমিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের মূল্য কমানো হয়েছে। তবে এবার খাবার খরচ হজ প্যাকেজে ধরা হয়নি।

সরকারিভাবে এবার প্যাকেজ-১-এর সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর যারা সাধারণ প্যাকেজ-২ নেবেন, তাদের সর্বনিম্ন খরচ দিতে হবে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।

এর সঙ্গে খাবার বাবদ আরো ৪০ হাজার টাকা এবং কোরবানি বাবদ ৭৫০ সৌদি রিয়ালও গুনতে হবে। সেই হিসাবে হজ প্যাকেজের খরচ আগের চাইতে খুব একটা হেরফের হয়নি। তা ছাড়া প্যাকেজ-১-এ খরচ কমানো হলেও আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে মক্কা ও মদিনা থেকে অনেকটা দূরে।

এভাবে সুবিধা কমিয়ে প্যাকেজমূল্য কমানোর বিপক্ষে হাবের মহাসচিব  ফরিদ আহমেদ মজুমদার। তার ভাষ্যে, হজের বিমানভাড়া একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে আরো যৌক্তিক করা যেত। ভাড়া কমানো গেলে হয়তো আরো কিছু হজযাত্রী বাড়ার সুযোগ থাকত।


আরও খবর