Logo
শিরোনাম

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কারসাজির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সিন্ডিকেট সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। দেশে বিভিন্ন পণ্যের মজুদ ও সরবরাহের ওপর সরকারের নজরদারি রয়েছে। এই মুহূর্তে ভোজ্যতেলের বাজারে যে অস্থিরতা রয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বাংলাদেশ পাটকল কর্পো‌রেশনের খুলনার দৌলতপুর জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামে বন্ধ থাকা সরকারি টেক্সটাইল মিল বেসরকারি খাতে লিজের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লিজ গ্রহীতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এ সপ্তাহে ৩টি পাটকল লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালুর ক্ষেত্রে কেবল হাজার কোটি টাকা লোকসান ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ কিছুই হয়নি। তাই সরকারের মালিকানায় থাকা জুট ও টেক্সটাইল মিলগুলো ব্যক্তিগতখাতে ছেড়ে দেওয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে বিদ্যমান সব পাটকল চালু রাখতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পাটের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পাটের উৎপাদন কেবল ১২ লাখ মেট্রিক টন। সারাবিশ্বে বার্ষিক পাটের উৎপাদন মাত্র ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে কেবল পাট দিয়ে এতোগুলো প্রতিষ্ঠান চালু রাখা বাস্তবসম্মত নয়। তাই পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে পাটভিত্তিক শিল্পের পাশাপাশি অন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, খুলনার দৌলতপুর জুট মিলটি বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়ায় প্রায় ৭০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এখানে আরো ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ধরনের সফল উদ্যোগ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে। মিলটিতে বেসরকারি উদ্যোগে পাটপণ্য এবং জুতার উৎপাদন একসঙ্গে চালু রেখে ইতিবাচক ও লাভজনক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ততটা ফলপ্রসূ হয় না।


আরও খবর



নির্বাচনের জন্য দোয়া চাইলেন শাজাহান খান

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

কারাজীবন থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং আগামী নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন এজন্য দোয়া চেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। কারাগারে থেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক এই প্রভাবশালী মন্ত্রী।

বুধবার (৫ মার্চ) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীক যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির আগে আদালতে তোলার আগে একথা বলেন তিনি।

এদিন সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় আনিসুল হক, শাহজাহান খান, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম, সোলায়মান সেলিমসহ অন্য আসামিদের। এসময় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও পিছনে হাত রেখে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের করা হয় তাদের।

এসময় শাজাহান খানের কাছে কেমন আছেন জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে তিনি বলেন, আছি তোমাদের দোয়ায়। দোয়া করবা আমার জন্য।

তখন ওই সাংবাদিক বলেন, কী দোয়া করবো?

উত্তরে শাজাহান খান বলেন, দোয়া করবা যেন তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কিভাবে ফিরিয়ে আনা এবং আগামী নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারি.. এ সমস্ত বিষয়ে দোয়া করবা। তখন ওই সাংবাদিক আবার বলেন, সবাই বলছে আপনারা দেশের বারোটা বাজিয়েছেন। তখন শাহজাহান খান বলেন, আমরা বারোটা বাজিয়েছি না কারা বারোটা বাজিয়েছে এটা সামনে প্রমাণিত হবে।

পরে তাদের কাঠগড়ায় ওঠানো হয়। এসময় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ, মাথার হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর ১০টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠলে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। পরে আদালত এক এক করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এরপর তাদের আদালত থেকে নামিয়ে সিএমএম আদালতের হাজতখানার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। এসময় আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, আপনি এত হাসেন কেন। তখন শাহজাহান খান বলেন, আমি সবসময় হাসি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসতে থাকবো। কারাগারে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে বলেন, খুব ভালো আছি। কারাগারে থেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি। এরপর তাকে এজলাস থেকে অন্যান্য আসামির সাথে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।


আরও খবর



রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখবে যে শরবত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

রমজানে সারা দিনের তৃপ্তি মেটে ইফতারের সময়েই। তখন অন্য খাবারের চেয়ে শরবত পানেই ক্লান্তি দূর হয়। আর তাই তো ইফতারে থাকে নানা ধরনের শরবত। আজ আপনাদের জন্য এমনই কয়েকটি শরবতের রেসিপি নিয়ে এসেছি, যেগুলো রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করবে।

 

রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখতে শরবত

১) খেজুরের শরবত

বানাতে যা যা লাগবে

নরম খেজুর ১/২ কাপ

দুধ (ঘন হলে ভালো) ১ কাপ

বাদাম কুচি ১ চা চামচ

চিনি পরিমাণমতো (না দিলেও অসুবিধা নেই)

পানি পরিমাণমতো


যেভাবে বানাবেন

খেজুরগুলো ভালোভাবে ধুয়ে বিচি ফেলে দিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। বরফ কুচি না দিলে খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজে রেখেও ঠান্ডা করে নিতে পারেন।

২) দুধ তোকমার শরবত

বানাতে যা যা লাগবে

দুধ ১/২ লিটার (মানুষ বেশি হলে পরিমাণ বাড়বে)

তোকমার দানা ১ টেবিল চামচ

চিনি ১ টেবিল চামচ

রুহ আফজা ১/২ চা চামচ



যেভাবে বানাবেন

দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। এবার এই তোকমা দানা দুধে মিশিয়ে নিন। চিনি ও রুহ আফজা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে বরফকুচি দিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

৩) তেঁতুলের শরবত

বানাতে যা যা লাগবে

তেঁতুল ১/২ কাপ

বিট লবণ ১/২ চা চামচ

কাঁচা মরিচ কুঁচি ১ টেবিল চামচ

ধনিয়া পাতা কুঁচি স্বাদমতো

চিলি ফ্লেক্স ১ টেবিল চামচ

ঠাণ্ডা পানি

 

যেভাবে বানাবেন

বিচি ছাড়িয়ে তেঁতুল কিছুক্ষণ একটি পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন। এর সাথে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে দিন। এবার সবগুলো উপকরণ এতে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মিশ্রণটি ছেঁকে নিন আরেকটি পাত্রে। খাওয়ার আগে বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার তেঁতুলের শরবত।

৪) পুদিনা পেস্তার লাচ্ছি

বানাতে যা যা লাগবে

মিষ্টি দই ১ কাপ

পুদিনা ২ টেবিল চামচ

পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ

কাঁচা মরিচ ১ টেবিল চামচ

চিনি ২ টেবিল চামচ

বরক কয়েক টুকরো



যেভাবে বানাবেন

সবগুলো উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে ছেঁকে নিতে পারেন। এবার পরিবেশনের জন্য পছন্দের গ্লাসে ঢেলে তার উপর ছড়িয়ে দিন কয়েক টুকরো পুদিনা পাতা।

৫) তরমুজের শরবত

বানাতে যা যা লাগবে

তরমুজ কুঁচি ২ কাপ

চিনি ২ টেবিল চামচ

বিট লবণ ১/২ চা চামচ

লেবুর রস ২ চা চামচ

বরফ কুঁচি

যেভাবে বানাবেন

সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ছেঁকে নিলে তরমুজের দানাদার বিচিগুলোর স্বাদ মুখে লাগবে না। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন বরফ কুঁচি দিয়ে।

রমজানে সারাদিন পর তৃষ্ণা মেটানোর জন্য শরবত বেশ উপকারি। দুধ ও বিভিন্ন ফলের আলাদা আলাদা উপকার থাকায় শরীরকে অল্প সময়ে চাঙ্গাও করে তোলে এই শরবতগুলো। তাইতো রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখতে শরবতের জুড়ি নেই। এই রমজানে এই রেসিপিগুলো থেকে


আরও খবর

শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শেষ পাতে ফিরনির রেসিপি

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪




নওগাঁয় পুলিশের ধাওয়া, ট্রাক উল্টে এক ডাকাত নিহত, দু'জন আহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০25 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ডাকাতী করে পালিয়ে যাওয়ার সময় থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের ধাওয়ায় ডাকাতবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে একজন ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দু'জন ডাকাত। পুলিশের তারা খেয়ে পালাতে গিয়ে ট্রাক উল্টে ডাকাত নিহত ও আহতের ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টারদিকে নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর নামক এলাকায়। এরপূর্বে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ডাকাতী করে পালিয়ে যাবার সময় মহাদেবপুর থানা ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ডাকাতবাহী ট্রাকের পিছু নেয়। এমনকি রাত সারে ৩টারদিকে চৌমাশিয়া বাজারে সড়কের উপর পুলিশ বালুবাহী ট্রাকদিয়ে বেরিকেট দিলে ডাকাতবাহী ট্রাকটি সেই বেরিকেট পারিদিতে গিয়ে একটি বিদ্যুতের পোল ভেঙ্গে ও ফুটপাতে থাকা ৪ দোকানের উপর দিয়ে ট্রাকনিয়ে দ্রুত গতিতে নওগাঁর দিকে পালাতে থাকে। এসময় তাদের পিছু নেয় মহাদেবপুর থানা পুলিশ পাশাপাশি নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ সহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। পুলিশের তারার মুখে দ্রুত গতীতে পালাতে গিয়ে নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর নামক এলাকায় ডাকাতবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ডাকাত নিহত হয়। এছাড়া দু'জন ডাতাত আহত হয়। আহত দু'জন ডাকাতকে পুলিশ আটক করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। নিহত ডাকাতের নাম পরিচয় সংবাদ সংগ্রহকালে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আহত দু'জন ডাকাতের নাম হলো, মাছুম (৩২) ও রুবেল (৩১)। তারা দু'জন পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর হাসপাতালের আর,এম,ও ডাক্তার আবুজার গাফফার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতীর চেষ্টাকালে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে গ্রামবাসী বেরিয়ে এলে ডাকাতরা ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এখবর পেয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশ, নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ এবং নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ ডাকাতদের বহনকারী ট্রাকটিকে ধাওয়া করে এবং চৌমাশিয়া বাজার সহ ৬টি স্থানে বেরিকেট দেয়। কিন্তু ডাকাতবাহী ট্রাকটি সব বেরিকেট ভেঙ্গে পালিয়ে যাবার সময় নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় পৌছার পরই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জন ডাকাতকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক জনের মৃত্যু হয়।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই মহাদেবপুর ও নওগাঁ সদর থানা ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ যৌথ অভিযানে নামেন। অভিযানে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাও অংশ নেয়।হতাহতদের নাম পরিচয় এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তারা কৌশল হিসেবে একে অপরকে চিনিনা বলছিল। আহত দু'জন ডাকাত কে পুলিশি হেফাজতে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে এছাড়া নিহত ডাকাতের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন রেজা বলেন,

যেহতু ডাকাতীর ঘটনাস্থল মহাদেবপুর থানা এলাকায় এজন্য মহাদেবপুর থানাতেই মামলা হবে। তিনি আরো বলেন, যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। ডাকাতদের ওই ট্রাক থেকে একটি গরু ও দুটি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ  প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



জরিপে এগিয়ে বিএনপি, জামায়াতের পরে তরুণদের দল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

এখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি সর্বোচ্চ ৪১.৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের জরিপে উঠে এসেছে।

রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে জানানো হয়, জরিপ কাজে সহযোগিতা করেছে ব্রেন (BRAIN) এবং মুক্তচিন্তার প্ল্যাটফর্ম ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’। চলতি বছরে সারাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি জেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৯৬ জন এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, এখনই ভোট হলে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতে ইসলামী পাবে ৩১.৬ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে আওয়ামী লীগ ১৩.৯ শতাংশ। আর ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাবে ৫.১ শতাংশ ভোট।

এ ছাড়া, জরিপের ফল অনুযায়ী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২.৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ১ শতাংশ, গণঅধিকার পরিষদ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, গণসংগতি আন্দোলন শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং অন্যান্য দল ৩.৩ শতাংশ ভোট পাবে।

জরিপের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেনারেশন এক্স ও বুমার প্রজন্মের ৪৭ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন করছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ৩৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দলটি জেনারেশন জি-এর ৩৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল দল হিসেবে পরিচিত হলেও জামায়াত তরুণদের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জরিপ থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, গ্রাম ও শহরের ভোটারদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের জনপ্রিয়তায় কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপি গ্রামাঞ্চলে ৪২ শতাংশ এবং শহরে ৪০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। অন্যদিকে, জামায়াত গ্রামে ৩২ শতাংশ ও শহরে ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপির সমর্থন পুরুষ ও নারীদের মধ্যে প্রায় সমান। দলটি পুরুষ ভোটারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ এবং নারী ভোটারদের মধ্যে ৪১ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। তবে, জামায়াতে ইসলামী পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয়, যেখানে দলটি ৩৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩০ শতাংশ নারী ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

জরিপের অংশ নেওয়া ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোটার ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চান। তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার জুনের মধ্যে এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে। ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আর ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

কাকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি যে তারা কাকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ বলছেন যে তারা প্রার্থী সম্পর্কে জানার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। আর ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান। এক্ষেত্রে নারী ভোটারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বেশি (৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন ইনোভিশন কনসালটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ স্পিকসর প্রধান মো. রুবাইয়াৎ সারওয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনোভিশন কনসালটিং বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী শাহেদ এইচ ফেরদৌস, ইনোভিশনের প্র্যাকটিস এরিয়া লিড আবদুর রব ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর।


আরও খবর



একাত্তর ও জুলাই শহীদদের প্রতি এনসিপির শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যরা মঙ্গলবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় এনসিপি নেত্রী আখতার হোসেন সারাদেশের সর্বস্তরের জনগণ, সকল পেশাজীবি, ছাত্রসহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "একাত্তর সালে লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, সেই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ। তবে ৫৪ বছর ধরে তা অধরা রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, "আমরা, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ এবং সারাদেশের আমাদের নেতাকর্মীরা একাত্তরের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী। এনসিপি এই বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাবে, যেখানে জনগণের অধিকার, সাম্য এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

এসময় আখতার হোসেন আরো বলেন, "বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর মতো একটি দেশ হিসেবে দেখতে চাই, ঢাকা শহরকে গ্লোবাল সাউথ-এর প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই এবং আমরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছি।

তিনি জানান, "বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্বাস করি নতুন একটি সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে, আমরা গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাবনা দিয়েছি। এ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদের দলের সদস্যরা ভূমিকা রাখবেন।

আখতার হোসেন দেশের জনগণের কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, "আমরা আমাদের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে জাতির পাশে থাকতে চাই।


আরও খবর