Logo
শিরোনাম

ভোট কেন্দ্র ফাঁকা, পাবনায় চার ঘণ্টায় ২৬ ভোট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image


চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা:


পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।


 উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের কুয়াবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৬টি। 


প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাপস রঞ্জন তলাপাত্র বলেন, সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি বেশ কম। এই কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৮১ জন ভোটার। তাদের মধ্যে ভোট শুরুর পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ২৬টি।



মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম দেখা গেছে। এক দুজন করে ভোটার আসছেন।

 

উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ২২৮টি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৫৭৯ জন। প্রিসাইডিং অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান। 


একই ইউনিয়নের মহেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রেসাইডিং অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৯২টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২৭ জন। 

বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এস এম শামীম এহসান।


 তিনি জানালেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ১১৭ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২১৮টি। 


মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ২০ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ৩০৭টি। বিষয়টি জানালেন প্রিসাইডিং অফিসার মাহবুবুল ইসলাম। 


চাটমোহর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। অনেকের অভিমত হয়ত ১০ ভাগ ভোটার ভোট দিতে পারেন। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রই ছিল ফাঁকা। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা বসে বসে অলস সময় পার করেছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদেরও তেমন তৎপরতা ছিল না। 


বাহাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোটারবিহীন এমন নির্বাচন আগে কখনও দেখিনি। সকাল থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ঘুরে দেখছেন। বিজিবি ও র‌্যাবের টহল ছিল।

 

চাটমোহর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. রেদুয়ানুল হালিম বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। দিন শেষে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। 


এ জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে  ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবি তাদের দায়িত্ব পালন করছে।


চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার।


আরও খবর



বিশ্বমানবতার শান্তি ও মুক্তি কামনায় শেষ হলো মাইজভাণ্ডারে কর্মসূচি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দাতাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে... 

-ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী 

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল, শায়খুল ইসলাম, হুজুর গাউছুল ওয়ারা, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৮৮তম ৫দিনব্যাপী বার্ষিক খোশরোজ শরীফ সোমবার বাংলা ২৭শে মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারী) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে বিশ্ব মানবতার শান্তি ও মুক্তি কামনায় আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার খোশরোজ শরীফের সমাপনী দিবসের কর্মসূচিতে ছিল, বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল ওয়ারা শায়খুল ইসলাম হযরত শাহসুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রাতে মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া দরসে নেজামী আলিম মাদ্রাসা ও হেফজখানার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে এ বছর হেফজ সমাপ্তকৃত ১১জন হাফেজে কুরআন কে পাগড়ি পরানোর মাধ্যমে দস্তারে ফজিলত ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি বক্তব্যে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী বলেন, যুগে যুগে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন নবী-রাসূল এবং আউলিয়ায়ে কেরামগণ। অথচ বর্তমানে অন্যায় অবিচার হঠকারিতা উগ্রবাদিতা অন্যের সম্পদ ভাঙচুর লুটপাট মব জাস্টিসের নামে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা করা এসব নিত্যদিনের খবরের কাগজের শিরোনাম হচ্ছে। কোন কোন বিপথগামী ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী এসব ফৌজদারী অপরাধ সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এসব বে-ইনসাফি কর্মকাণ্ডকে উস্কে দেয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, ইসলামী শরিয়ত আইন প্রয়োগের ক্ষমতা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেয়নি। এমনকি কোনো মসজিদের ইমাম, মুফতি ও সমাজপতিদের ওপর আইন প্রয়োগের ক্ষমতা অর্পণ করেনি। কোনো মানুষ অপরাধ করলে তার বিচার রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেই হবে। সব ইসলামী আইনজ্ঞ এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে যিনি আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন, তিনি হলেন রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ইসলামী শরিয়ত অপরাধের শাস্তি বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে দিয়ে শেষ করেনি; এর সঙ্গে সন্দেহাতীতভাবে তা প্রমাণিত হওয়ারও শর্ত দিয়েছে। সুতরাং কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তা প্রমাণের আগে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, রাষ্ট্রও তাকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখে না। ইসলামী দণ্ডবিধির একটি মূলনীতি হলো, সন্দেহ শাস্তি রহিত করে। ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট বিধান অনুসারে, সাধারণ মানুষের জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অতএব, প্রচলিত গণপিটুনির কারণ যা-ই হোক না কেন, ইসলামী শরিয়তে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (ক.) আজীবন ইনসাফের আলোকে সমতা ভিত্তিক সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই করেছেন। খোশরোজ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। খোশরোজ শরীফে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়।আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে খোশ রোজ  শরীফের কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়  । খোশরোজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, সাংবাদিক কামরুজ্জামান হারুনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হুজুর কেবলার জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী,অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর



নওগাঁয় হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন পূর্বক ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যার ঘটনা। অবশেষে হত্যা রহস্য উদঘার্টন সহ ৩ জন কে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন পুলিশ। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান, নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।

হত্যাকান্ডের শিকার জাহিদুল ইসলাম (৪১) নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে। আটককৃতরাও হলেন একই গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জাহিদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার পর মৃতদেহটি পত্নীতলা উপজেলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্ট ব্রীজের নিচে ফেলে রেখে যায় আসামিরা। এসময় মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিলো। এঘটনায় পরে নিহতের স্ত্রী থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন এবং গত সেমাবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকান্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করেছিলেন। এছড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একটি মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর আসামীরাই ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতাও করেছেন যাতেকরে তাদেরকে কেউ যেন সন্দেহ না করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত আলীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।


আরও খবর



মির্জাগঞ্জে ভবন নির্মান না হওয়ায় বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কামরুজ্জামান বাঁধন, মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

ঠিকাদারের গাফলতির কারনে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ। নির্মান সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির অযুহাতে বছরের পর বছর পরে আছে ভবন নির্মানের কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার এমনই অভিযোগ। মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ করে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও ঠিকাদারের কাছে বারবার ধরনা দিলেও কাজ হচ্ছে না। শ্রেনীকক্ষের সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তাই বাধ্যে হয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান করাচ্ছেন। বেশি সমস্যায় পড়ের বৃষ্টির মৌসুমে। 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার ২০২১ সালে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বরাদ্ধের পরিমাণ ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ফাউন্ডেশন চারতলা থাকলেও এখন নির্মাণ করা হবে একতলা। তবে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদার বারবার কাজের সময় বাড়ানোর আবেদন করে সময় ক্ষেপন করেন। কাজে বিলম্ব হওয়াতে ভোগান্তিতে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে আরো জানা যায়, বিদ্যালয়ে একটি মাত্র পুরোনো পাঁকা ভবন রয়েছে। এতে তিনটি কক্ষ আছে, ওই সব কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ। পাঠদান চলার সময় গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দশম শ্রেনীর কক্ষে সিলিং ফ্যান পড়ে দু’জন শিক্ষার্থী আহত হয়। ক্লাস পরিচালনার জন্য শ্রেনী কক্ষের সংকট রয়েছে। 

শিক্ষার্থীর বলেন, ‘নবম ও দশম শ্রেনীর মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার ক্লাস করার সময় অতিরিক্ত কক্ষের প্রয়োজন হয়। তখন আমাদের বাধ্যে হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠেও ক্লাস করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’ 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এ এলাকার মধ্যে ঐতিহ্য বহন করেন। বিদ্যালয়ে শ্রেনীকক্ষ সংকটের কারনে নতুন ভবন নির্মানের কাজ শুরু হলে ঠিকাদার ভবনের ৬০ শতাংশ কাজ করে বন্ধ রেখেছেন বছরের পর বছর। আমি শ্রেনী কক্ষের সংকটের জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও ঠিকাদারকে বলা হলেও তিনি কাজ করছেন না। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাই যাতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয় এবং বিদ্যালয়ের শ্রেনী সংকট কেটে যায়। 

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে, সেই পরিমাণ বিল উত্তোলন করতে পারিনি। এখন যথাযথ বরাদ্ধ নেই। তবে কাজ ফেলে রাখলে ঠিকাদারেরই লস হয়। তবে অফিসে কাজের পে-অর্ডার দিয়ে রাখা হয়েছে। আমি দুই তিন দিনের নতুন ভবনের বাকী কাজ শুরু করবো।’

পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোশফিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হবে।


আরও খবর



রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বললেন, রমজানজুড়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেল চালু থাকবে।খুলনার শিববাড়ী মোড়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় সব বিভাগীয় সদর ও ১৩টি এলাকায় ১২ লাখ পরিবারের মাঝে ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে টিসিবি। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। এ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে বাকি কার্ড অ্যাক্টিভেশন শেষ হবে। এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে।

এই সংখ্যা আরও বাড়াতে অতিরিক্ত ১২ লাখ পরিবারের জন্য রমজান মাসের শেষদিন পর্যন্ত ট্রাকসেল কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, এর বিনিময়ে বাজারে পণ্যের মূল্য সহনশীল হবে। অতিরিক্ত নয় হাজার টন পণ্য ট্রাকে সেল করা হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজার নিম্নগামী হবে, সহনশীল হবে। প্রান্তিক মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন দিনের স্বপ্ন দেখি, যেদিন টিসিবির কার্যক্রম আর চালাতে হবে না। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। সেটা হয়তো একটু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তারপরও আমরা সেটা অর্জন করতে চাই।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ।


আরও খবর

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নাশকতার চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।

তিনি বলেছেন, হরতালসহ যেকোনো নাশকতা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ কেউ যদি হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার জানান, ডিএমপির বাইরেও র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। এবার টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর সড়ক সারাদিনই বন্ধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকাও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ঢাবি এলাকায় মেলাচলাকালীন এক মাস কোন ভারী যানবাহন চলবে না।

এক প্রশ্ন উত্তরে তিনি বলেন, উস্কানিমূলক কোনো বই যেন বইমেলায় না থাকে এর জন্য বাংলা একাডেমিকে বলা হয়েছে।

এসময় সড়কে আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনার।

বিভিন্ন অপরাধে জামিন পাওয়া আসামিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন ঘটনা এখন পর্যন্ত জামিন নিয়ে বের হয়েছে আমরা তাদের খেয়াল রাখব।

নিষিদ্ধ বই মেলায় আসা ও আগামীতে কি ধরনের নিয়ম হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় সভা করেছিলাম, আমরা বাংলা একাডেমির সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি তাদের অনুরোধ করেছি এমন ধরনের বই জন্য স্টলে না আসে। কোনো বইয়ে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কিছু আছে কিনা তা যেন স্ক্রিন করে তারপর মেলার স্টলে তোলা হয়। আমরা আশা করি তারা তাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করবে।

এসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের আহুত কর্মসূচি নিয়ে কমিশনার বলেন, আমরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছি, তারা এখন কারাগারে আছেন। তারা যদি কর্মসূচি দিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালায় তবে আমরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে আপাতত দৃষ্টিতে আমরা তেমন কোনো আশঙ্কা দেখছি না।

নগরীতে আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা বড় ভঙ্গুর, নাজুক, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আমি নিজেও কষ্ট পাই। আমি অনেকবার অনুরোধ করেছি, আপনারাও করুন। আপনাদের দাবি থাকলে রাস্তা নয়, ফুটপাতে করুন। বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

এদেশের লোক আমরা। আমরা কারো গায়ে হাত তুলতে চাই না। কাউকে মারতে চাই না। আমি কোনো ব্রিটিশ কমিশনার না। আমার ডানে-বামে আমার সহকর্মীরা ব্রিটিশ না। আমরা ব্রিটিশ থেকে আসি নাই। আমরা কোনোলিয়ান পুলিশ না। আমি ক্রোমোলিয়ন পুলিশ কমিশনারের মতো আচরণ করতে পারব না। আমি আমার লোককে লাঠি দিয়ে পেটাতে চাই না।

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আমার সহকর্মীদের বলেছি টোটালিভাবে কোনো লাঠিচার্জ করা যাবে না। আমি প্রতিদিন আমার লোকজনকে ট্রেইন আপ করছি। তাদের ট্রেইন আপ করা আছে, আমি এদেশের মানুষ, আমি এদেশের মানুষের উপর লাঠিচার্জ করব না।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী বছর থেকে বইমেলায় যেসব বই তোলা হবে সেগুলোর পাণ্ডুলিপি আগেই বাংলা একাডেমির কাছে জমা দিতে হবে বলে এমন প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তারা সেই লেখাগুলো যাচাই-বাছাই করবেন। যাতে এমন কোনো কনটেন্ট বইয়ের স্থান না পায় যেটা আমাদের সোশ্যাল লাইফকে বিতর্কের মাঝে ফেলে। আমাদের দেশদ্রোহী কোনো ধরনের প্রকাশনা যেন না তোলা হয় এটা আমরা অনুরোধ করেছি। বই প্রকাশের আগে পাণ্ডুলিপি তাদের জমা দিতে হবে। তারা অনুমতি দিলে তবেই সেই বই মেলায় উঠবে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫