Logo
শিরোনাম

ভূমধ্যসাগরে নিহত ১০, বাংলাদেশিসহ জীবিত উদ্ধার ৫১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ৬১ জন অভিবাসী নিয়ে যাত্রা করা একটি কাঠের নৌকা থেকে ১০ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটিতে গ্যাসোলিনের ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। জার্মান এনজিও রেসকিউশিপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জার্মান দাতব্য সংস্থা রিসকিউশিপ জানিয়েছে, ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে তারা একটি ডুবন্ত কাঠের নৌকা থেকে ৫১ জনকে উদ্ধার করেছেন। এ সময় নৌকার নীচের ডেকে ১০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

সংস্থাটি বলছে, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সোমবার সকালে ইতালীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে মৃতদের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে নেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নৌকাটি লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিল। এতে সিরিয়া, মিসর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিবাসীরা ছিলেন। তবে কোন দেশের কত যাত্রী ছিলেন, তা জানানো হয়নি।

একই দিনে পৃথক আরেক নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জনের মতো শিশু রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ ইতালির ক্যালাব্রিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১২৫ মাইল দূরে এই ঘটনা ঘটে। মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) নামে একটি সংগঠন এই তথ্য জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের সবাইকে তীরে নেয়ার পর একজন মারা যান বলে জানিয়েছে ইতালীয় কোস্টগার্ড।

ভূমধ্যসাগর বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাইগ্রেশন রুট হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে এই রুটে ২৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




মবে জড়িতদের সতর্ক করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে বেশ কিছুদিন ধরে মব তৈরি (সংঘবদ্ধ জনতার নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া) করে লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি মব তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে মারধরের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই ঘটনায় জড়িত ১২ জন আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) জনতা মব সৃষ্টিকারী দু'জনকে তৎক্ষণিক পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন এসে উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করেন।

গত শনিবার (০১ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পতেঙ্গা সি-বিচে ত্রাস সৃষ্টি করে এসআই ইউসুফ আলীকে হেনস্থা সহ মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত। এছাড়াও তারা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত।

জনগণকে সতর্ক করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মর্মে সবাইকে সতর্ক করছে যে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক

ঈদযাত্রায় গলার কাঁটা হতে পারে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। প্রতিবছর ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন, যা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। যার কারণে এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে, মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার চার লেনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়ায় গত বারের মতো এবারও ঈদযাত্রা ঘরমুখো মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

এদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে ও স্বস্তিদায়ক করতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও যমুনা সেতু সাইট অফিসের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঈদে মহাসড়ককে ৪টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মহাসড়কটিতে সাড়ে ৭০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের পাশাপাশি টাঙ্গাইল শ্রমিক ফেডারেশন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে।

পরিবহন চালকরা বলছেন, ঈদ এলেই মহাসড়কে তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয়। এতে গাড়ির গতি ঠিক থাকে না এবং দেবে যাওয়া রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৪ লেনের কাজ করছে। এর ফলে মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের সফটওয়ারে সমস্যার কারণে টোল আদায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ এবং সেতুর উপর দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকা থাকলে যানজটের সৃষ্টি হয়। যমুনা সেতু পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জ অংশে যদি গাড়ি ঠিক মতো পাস না হয় তাহলে যানজটের শঙ্কা রয়েই যায়। গত কয়েক ঈদেও সিরাজগঞ্জের প্রান্তের গাড়ি ঠিক মতো পাস হওয়ার কারণে যমুনা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকে। ফলে টাঙ্গাইলের অংশে দীর্ঘ যানজট হয়। ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর উপর দুর্ঘটনা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ১৯টি পদক্ষেপ নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, এলেঙ্গার পর থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গগামী লেনে পুরোদমে কাজ চলছে। বিশেষ করে ব্রিজের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।

আনালিয়াবাড়ী এলাকায় ব্রিজের কাজ করা শ্রমিক সেলিম মিয়া বলেন, ঈদের আগে ব্রিজের কাজ শেষ করার তাগিদ রয়েছে। আমরা আটজন শ্রমিক মিলে এখানে সার্বক্ষণিক কাজ করছি। আশা করছি যথা সময়ে কাজ শেষ করতে পারবো। আমরা যতটা সম্ভব দ্রুত কাজ করছি।

নীলফামারীর তয়েজ এন্টারপ্রাইজের চালক ইকবাল হোসেন বলেন, মহাসড়কে পুলিশের সঠিক তদারকি প্রয়োজন। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত কাজ করছে। কাজ শেষ না হলে এবারও মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করছি। গতবছরও এ মহাসড়কে যানজট হয়েছিল। প্রতিবছরই আমাদের যানজটের কবলে পড়তে হয়।

এ প্রসঙ্গে চার লেন বাস্তবায়ন প্রকল্পের আবদুল মোনেম লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেঞ্জার রবিউল আওয়াল জানান, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত মহাসড়কের সাড়ে ১৩ কিলোমিটারের ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে ঈদের আগেই মহাসড়কের এই অংশের উত্তরঙ্গগামী পুরো চারলেন চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘœ ও স্বস্তিদায়ক করতে ১৯টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যমুনা সেতু দিয়ে সার্বক্ষণিক টোল চালু রাখার চেষ্টা করা হবে। এবার সেতু পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। এর মধ্যে ৪টি করে উভয় প্রান্তে ৮টি বুথে ফাস্ট ট্রাক লেন এবং মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে আলাদা ৪টি বুথ থাকবে।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেলা পুলিশের সাড়ে ৭’শ সদস্য দায়িত্ব পালন করাসহ মোবাইল টিম ও প্রিকেট টিম কাজ করবেন।

তিনি আরও জানান, আগামী ২৫ মার্চ থেকে পুলিশ মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। ঈদের পরেও যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আশা করেন এবার মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হবে না।


আরও খবর



রমজানে ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

রোজা রাখায় অনেকের দেহে পানির ঘাটতি দিয়ে থাকে। পানিশূন্যতায় চরম ক্ষতি হয় ত্বকের। দেখা দেয় শুষ্কতা। পাশাপাশি ত্বক হারায় ঔজ্জ্বল্য। একজন রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিটি ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করেছেন, তার ওপর। অর্থাৎ তিনি রোজা থাকা অবস্থায় কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং তিনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার আবহাওয়ার ওপর। পানি ও খাবারের স্বল্পতা, দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতিতে রমজান মাসে আমাদের শারীরিক ও মানসিক এক ধরনের চাপতৈরি হয়। ক্লান্তিহীনতা দেখা দেয়। এ ছাড়া চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ কালো দাগ পড়ে। শরীর পানিশূন্য হলে চোখের ক্লান্তি ফুটে ওঠে।

লক্ষণ : রোজা থাকা অবস্থায় যদি শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তা হলে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, চোখ গর্তে চলে যাওয়া, প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা ও ঝিমঝিম, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। পানির অভাব দেখা দিলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। অর্থাৎ শরীরে তরলরূপে থাকা বিভিন্ন লবণ, যেমন- সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, পটাসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থা আরও বেড়ে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

যা খাবেন : পানিশূন্যতা রোধে রমজানে শুধু পানি পরিমাণমতো পান করলেই চলবে না। বেশি বেশি অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে, যাতে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স না হয়। ডাবের পানি, চিনির শরবত, গুড়ের শরবত, লাচ্ছি, দুধ, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা খাবার দিয়েও পূরণ করা যায়। মাছের ঝোল, ডাল, দুধ খেতে হবে। এতে কিছুটা পানির চাহিদা পূরণ হবে। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে ঠিক রাখতে পানির চাহিদা পূরণে ফলের রস পান করা যায়। এটি ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে সাহায্য করবে। তরমুজ, বাঙি, কমলা, বেলসহ মৌসুমি ফল খেতে পারেন। তবে ফলের জুস ইফতারের সময় সরাসরি খাওয়া যাবে না। পানি মিলিয়ে খেতে হবে। সারা দিন রোজা রেখে খালি পেটে ফলের রস খেলে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।

ত্বক সতেজ রাখতে : একজন রোজাদার ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শর্করা, লবণাক্ত খাবার, ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস পুরোপুরি বাদ দিন। বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল খান। আট ঘণ্টার মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফেইস-সিরাম ও হায়ালুরনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। ইফতারের আধঘণ্টা পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন বা শারীরিক ব্যায়াম করুন।

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

পুরোনো সংবিধান এবং শাসন কাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, শুধু সরকার পরিবর্তন করে প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজাতন্ত্র গড়ার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধান প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে নাগরিক পার্টি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক বলেন, নিবন্ধন নিতে শর্তাবলী পূরণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগাবো। গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজ চলছে।

এ সময় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা রাজধানীর রায়েরবাজারে সকাল ১০টায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করবেন।

দুটি কর্মসূচিতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের রাজনৈতিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। পরে ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।


আরও খবর



ভারতকে দুঃসংবাদ দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারতীয় পণ্যের ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ তথ্য জানান তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, আগামী ২ এপ্রিল থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু ভারত নয়, চীন, ব্রাজিল, কানাডা, মেক্সিকো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রয়েছে। মার্কিন পণ্যে এসব দেশের শুল্ক আরোপের প্রতিশোধ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের নতুন নীতির আওতায় বিদেশি দেশগুলো মার্কিন পণ্যের ওপর যে হারে শুল্ক আরোপ করবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ওই সব দেশের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করবে।

ভাষণে ট্রাম্প বলেন, অন্যান্য দেশ কয়েক দশক ধরে আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করে আসছে, এখন আমাদের পালা তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করার।

তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো এবং কানাডা মার্কিন পণ্যের ওপর অত্যন্ত উচ্চ শুল্ক আরোপ করছে, যা অন্যায়।

ট্রাম্প বলেন, ভারত আমাদের গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করে।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাণিজ্য নীতি মোকাবিলা করতে হবে এবং তার প্রশাসন শিগগিরই ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভারত এই নতুন শুল্ক নীতির আওতায় থাকবে এবং কোনো ছাড় পাবে না।

ট্রাম্প বলেন, এ নিয়ে কেউ আমার সঙ্গে তর্ক করতে পারবে না I


আরও খবর