Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এখনো বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে, বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। জনজীবনের নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করেন, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার প্রশ্নটিই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদেরকে সফল দেখতে চায় কিনা, মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান, সহ প্রচার আসাদুল করিম শাহীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।


আরও খবর



তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না!

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে ইতিহাসের জঘন্যতম নৃশংসভাবে। বিএনপি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বলেছেন, দেশে তো সরকার আছে, প্রশাসন আছে, তারা কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না?


বিএনপি দাবি করছে, তারা আইন প্রয়োগে কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না। অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।


এর আগেও, বিএনপি নানা অপরাধে জড়িত নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করেছে। হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কিন্তু কিছুতে কিছু হয়নি, হচ্ছে না। পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে। অপরাধ বেড়েছে, নৃশংসতা বেড়েছে। এর অর্থ হলো, বিএনপি'র বহিষ্কার বা হুঁশিয়ারি কাজ করছে না।


কেনো বিএনপি দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারছে না? ঘাটতি কোথায়?


ফ্যাসিনার আমলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেনি। তখন অপকর্ম করার সুযোগ ছিলো না। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা ভিন্ন। দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের পর নেতাকর্মীরা সুযোগ পেয়ে অনেকেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সুবিধাবাদীরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এই অবস্থার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, বিএনপিতে কার্যকর নেতৃত্বের অভাব।


সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরলেই বিএনপি দায়মুক্ত হবে না। জনগণ তা গ্রহণ করবে না। জনগণ বলতে শুরু করেছে, যে দল নিজের নেতাকর্মীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনা, সেই দল দেশের নিয়ন্ত্রণ কিভাবে রক্ষা করবে?!


দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে- তারেক রহমানকে দেশে আসতে হবে। সরকারের সাথে প্রশাসনের সাথে এসব বিষয়ে আন্তরিক বৈঠক করতে হবে।


তিনি কেনো দেশে ফেরেননি বা ফিরতে পারছেন না- তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। 


অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদ বিরোধী যারা বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন, তারা ভুল করছেন।


আরও খবর



গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভর্তি শুরু২২ জুন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২২ জুন। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমসহ আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১২ জুন।

‎সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে  গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

‎গুচ্ছের আহ্বায়ক আরো জানান , গুচ্ছের প্রাথমিক ভর্তি (নন-প্রাকটিক্যাল বিষয়) শুরু হবে ২২ জুন এবং চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। অপরদিকে বিশেষায়িত বিষয়গুলির (চারুকলা, সংগীত, নাট্যকলা ও পরিবেশনা‌ বিদ্যা, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান) প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ও কোটার ভেরিফিকেশন শুরু ২১ জুন থেকে ২৮ জুনের মধ্যে।

‎ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে ৩০ জুনের মধ্যে। তিনি আরো বলেন, চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত‌ এবং ক্লাস শুরু করার সম্ভাব্য দিন নির্ধারিত হয়েছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে।

‎এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবছরও দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে।  বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য—এই তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হয়, যার ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।

‎গুচ্ছ পদ্ধতির এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‎ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি সংক্রান্ত নোটিশ এবং অন্যান্য নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ও গুচ্ছের অফিশিয়াল পোর্টালে প্রকাশ করা হবে।

‎বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ যাতে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও জটিলতা-মুক্তভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ময়মনসিংহের পর্নোগ্রাফি মামলায় ঝালকাঠির যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের পাগলা থানায় দায়ের করা একটি  পর্নোগ্রাফি মামলার ঝালকাঠির লোকমান হোসেন হৃদয় ওরফে রাফানকে (২৫) নামে এক যুবক গ্রেফতার।

গ্রেপ্তারকৃত লোকমান ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের দিবাকরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তাকে ঝালকাঠির নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৮। বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারের পরে তাঁকে ঝালকাঠি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে একপর্যায়ে অভিযুক্ত যুবক ওই ছাত্রীকে ভিডিও কলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। সেই ভিডিও লোকমান তাঁর বন্ধুর কাছে পাঠান। এরপর তাঁরা দুজন মিলে ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করেন এবং চার লাখ টাকা দাবি করেন, না দিলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার মাকে জানালে তাঁরা অভিযুক্তদের কাছে ভিডিও মুছে ফেলার অনুরোধ করেন। কিন্তু টাকা না দিলে ভিডিও মুছবে না বলে জানান।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝালকাঠিতে অভিযুক্তের অবস্থানের তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর ২৫ জুন র‍্যাব-৮-এর সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠান। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এবিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান,  ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ময়মনসিংহের পাগলা থানায় দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় আসামিকে র‍্যাব-৮ গ্রেপ্তার করে রাতে থানায় হস্তান্তর করেছে। যেহেতু মামলাটি পাগলা থানায় করা হয়েছে, তাই ওখানকার থানা-পুলিশ তাকে নেওয়ার জন্য ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।


আরও খবর



পাঁচ ইসলামী ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে শিগগিরই একীভূত করা হবে। একত্রিত হলেও এসব ব্যাংকের কর্মীরা চাকরি হারাবেন না।  বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

গভর্নর বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি যথাযথ কিনা। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (অল্টারনেটিভ ডিসপুট রেজুলেশন বা এডিআর) প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন।

তিনি জানান, কোন পথে এগোনো হবে... আদালত নাকি এডিআর সেটি নির্ধারণ করবে সরকার। আর সরকারের নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।

গভর্নর বলেন, দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনা করতে হবে। এই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




তেহরানের কাছে মোসাদের ড্রোন কারখানা গুঁড়িয়ে দিল ইরান

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী তেহরানের উপকণ্ঠে একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ পরিচালিত একটি গোপন ড্রোন ও বিস্ফোরক তৈরির কারখানার খোঁজ পেয়েছে।

ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভির এক খবরে এমনটা দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত রবিবার ইরানি পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে ড্রোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, যেমন পাখা ও কাঠামোর অংশ আর ধাতব সরঞ্জাম রয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।

ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ওই বাড়ির ভেতরেই ড্রোন তৈরি হচ্ছিল। সেখানে যন্ত্রাংশ তৈরির সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ড্রোন কারখানার সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের আগের একটি স্বীকারোক্তি মিলে যায়।

পশ্চিমা গণমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, মোসাদ কর্মকর্তারা আট মাস ধরে ইরানে ড্রোন পাচার করছিলেন, যাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোয় হামলা চালানো যায়।

যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটির আশপাশে মোসাদ এজেন্টরা অবস্থান করছিলেন, যেন সমন্বিতভাবে নাশকতা ও ড্রোন হামলা চালানো যায়।

এই অভিযানে পাওয়া এসব প্রমাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইসরায়েল ও গাজার চলমান যুদ্ধের মধ্যেই মোসাদ ইরানের মাটিতে সক্রিয়ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।

একই দিন গত রবিবার তেহরানের রাস্তায় নাটকীয় কায়দায় একটি ট্রাক ধাওয়া করার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ে। একজন ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা একটি ট্রাকের পেছনে ছুটে যাচ্ছিলেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই ট্রাকে উন্নত মানের ইসরায়েলি ড্রোন বহন করা হচ্ছিল।

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরপর দুটি গুলি চালিয়ে ওই ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ট্রাকটি থামান। ওই গাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মজুত পাওয়া যায়।

এর আগে ওই দিনেই ইরানি গোয়েন্দারা ওই ড্রোন তৈরির গোপন কারখানা ধ্বংস করে। ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোন তৈরি ছাড়াও গুপ্তচরবৃত্তি বা নাশকতার উদ্দেশ্যে ওই বাড়িকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

তবে ইরানি কর্তৃপক্ষ এখনো সব তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে জোর দিয়ে বলেছে, বিদেশি হুমকির বিরুদ্ধে তারা কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রয়েছে। তারা ইরানের মাটিতে থাকা সন্দেহভাজন ইহুদিবাদী নেটওয়ার্কগুলো ভাঙতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।


আরও খবর