Logo
শিরোনাম

যাকাতের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাবলম্বী করার আহ্বান

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

ব্যবসায়ীদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গরিব প্রতিবেশী ও নিকট আত্মীয়-স্বজনকে জাকাত প্রদানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার (২৮ মার্চ) সংগঠনের সাধারণ পরিষদ সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান।

মাহফিলে অংশ নেওয়ায় সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এসময় জাকাত প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জাকাতের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত আয়ের একটি অংশ সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে বিতরণ করি। এক্ষেত্রে প্রত্যেকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে গরীব প্রতিবেশী কিংবা নিকট আত্মীয়-স্বজনকে জাকাতের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারি।

এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি রমজানে নিত্যপণ্যের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা অর্জনের মানসিকতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিজনেস সামিট সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতার জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।

ইফতার মাহফিলে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম এ রাজ্জাক খান রাজ, এফবিসিসিআইর পরিচালকরা এবং সাধারণ পরিষদ সদস্য ছাড়াও দেশের ব্যবসায়িক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে রেল ট্রেন চলবে জুনে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন সফলভাবে চালানোর পর এখন দ্রুতগতিতে চলছে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের চূড়ান্ত ধাপের কাজ। কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী জুনের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো উপযোগী করা সম্ভব। এর আগে গত ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক চালানো হয় ট্রেন। সফলভাবে অতিক্রমের পর দ্রুত এগোচ্ছে চূড়ান্ত ধাপের কাজ।

জানা গেছে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির উপযোগী লাইনে লাগবে না কোনো জোড়া। তাই সেতুর স্লিপার ও স্টিলের ট্রেনলাইন যুক্ত করার ক্লিপ খুলে জোড়া যুক্ত করা হচ্ছে সূক্ষ্মভাবে। এ ছাড়া অত্যাধুনিক সিবিআই সিগন্যালিং সিস্টেম চালু করতে রেললাইনের পাশ দিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে শক্তিশালী অপটিক্যাল ফাইবার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী জুনের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো উপযোগী করা সম্ভব হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১-এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, গুণগত মান ও সুরক্ষাব্যবস্থা ঠিক রেখে কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ট্রেন চলাচলে যাত্রীদের কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৭২ কিলোমিটার রেলের কাজ শেষ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশের সম্পূর্ণ রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, গত ৪ এপ্রিল আমরা গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করেছি। এ পথে ডিজাইন-স্পিড ১২০ কিলোমিটার থাকলেও আমরা ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে পরীক্ষামূলক টেস্ট-রান চালাই। ওই পরীক্ষামূলক কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এই প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। তিন অংশের কাজই দ্রুত এগিয়ে চলছে।

প্রকল্প সূত্রে আরো জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি সাড়ে ৯৩ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




ধনীদের কারণে শহরে পানির সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : সুইমিং পুলসহ ধনীদের বিভিন্ন ধরনের বিলাসী জীবনযাপনের জন্য শহরে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে পানির সংকটের পেছনে ধনীদের সুইমিং পুল, বাগানে পানি সেচ, গাড়ি ধোয়াসহ বিলাসী জীবনযাপন দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এ তথ্য উঠে এসেছে। শহরের পানির সংকট মোকাবিলার জন্য গবেষকেরা নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রবন্ধটি নেচারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি পানির সংকটে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী শহর কেপটাউন। গবেষকেরা কেপটাউনের বাসিন্দারের পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করে তাদের পানির ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করেছেন।

গবেষকেরা বলেছেন, কেপটাউনের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করেন অভিজাত শ্রেণির এবং ১২ দশমিক ৩ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করেন উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির। অথচ এই তিন শ্রেণির মানুষ সমগ্র কেপটাউনের অর্ধেকেরও বেশি পানি (৫১ শতাংশ) ব্যবহার করেন। অন্যদিকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করেন ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। তারা ব্যবহার করেন কেপটাউন শহরের মাত্র ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ পানি।

গবেষকেরা আরও বলেছেন, এ ধরনের ভারসাম্যহীনতা ভবিষ্যতে গুরুতর পরিণতি ডেক আনবে। ধনীরা মূলত অভ্যন্তরীণ পানির সংকটের জন্য রীতিমতো হুমকি হয়ে উঠছেন।

গবেষণাটি থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের পানির সংকটের পেছনে অভিজাতরা দায়ী এবং তাদের কারণে বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোতে পানির সংকট আরও বাড়বে। সন্দেহ নেই, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও তারা দায়ী।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির এলিসা সাভেলির নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণা প্রবন্ধটির সহলেখক ছিলেন যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিবিশেষজ্ঞ হান্না ক্লোক।

হান্না ক্লোক বলেছেন, ‘আমরা গবেষণায় দেখিয়েছি যে সামাজিক বৈষম্যের কারণে দরিদ্র মানুষ প্রয়োজনীয় পানীয় জল পায় না। ধনী-গরিবের বৈষম্য যত বাড়বে পানির সংকটের পরিমাণও তত বাড়তে থাকবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের অন্তত ৮০টি শহর তীব্র পানির সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। হান্না বলেন, ‘আমরা যদি শহরের পানির সুষম বণ্টন না করি, তাহলে ভবিষ্যতে সবাইকেই গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এদিকে জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২০ সালে বিশ্বের অন্তত ২০০ কোটি মানুষ পানীয় জলের সুবিধা পায়নি।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




পালিয়ে বিয়ের দু' সপ্তাহ না পেরোতেই স্বামীর আত্নহত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

স্কুলের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর প্রেম ও পালিয়ে বিয়ের দু' সপ্তাহ না পেরোতেই প্রেমিক স্বামী (স্কুল ছাত্রের) আত্নহত্যা।

আত্নহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিনগত রাতে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা সদর ইউনিয়ন এর ভাটি পাঁচানি গ্রামে।

আত্নহত্যাকারি স্কুল ছাত্র ইমরান হোসেন (১৬), ভাটি পাঁচানি গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে ও স্থানিয় পাঁচানি উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র।

স্থানিয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানায়, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র ইমরান হোসেন একই শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রেম-ভালোবাসা'র এক পর্যায়ে গত ১৬ মে প্রেমিকা স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে ইমরান হোসেন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাত্র দু'দিনের মাথায় ১৮ মে ইমরান হোসেন এর বাবা নুরুল ইসলাম তার ছেলে ইমরান হোসেন এর সাথে প্রেমিকা ছাত্রীর বিবাহ পড়িয়ে দেন। বিয়ের পরই নব-দম্পতি কিশোর ও কিশোরীর মধ্যে মনোমালিন্য (মান-অভিমান) শুরু হয়। এক পর্যায়ে ২৭ মে শনিবার কিশোরী বধূ কিশোর স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে চলে যান। এরপর ছেলে ইমরান হোসেন তার স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে তার বাবাকে চাপদিতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে রবিবার দিনগত রাত ৯ টারদিকে অভিমান করে বাড়ির পাশে মাচানীতে বসে থেকে বিষ পান করেন ইমরান হোসেন। বিষ পানের ঘটনা জানতে পেরে স্বজনরা ইমরান হোসেন কে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ও অবস্থার অবনতি হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পর রাত ১২টারদিকে মারা যায় ইমরান হোসেন।

ইমরান হোসেন এর বাবা নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলেটি আমাদেরকে না জানিয়ে গোপনে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অনেক অপমান সইতে হয়েছে। তারপর বাড়িতে নিয়ে আসলে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছি। হঠাৎ করেই তারা স্বামী-স্ত্রী বিবাদে লিপ্ত হয় এবং ছেলের বউ রাগকরে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর ছেলে আমাকে তার বউকে এনে দিতে বললে আমি স্থানীয় মেম্বার এর সাথে কথাও বলি। এরি মাঝেই আমার ছেলেটি কার উপর অভিমান করে কেন বিষপান করলেন তা আমি জানিনা।

সত্যতা নিশ্চিত করে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ

মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশেদ মুঠোফোনে বলেন, বিষপানে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো এবং মৃতদেহটি যেহতু ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে আছে, এজন্য সেখানেই ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে। এঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় জাতীয় কবির ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা কবি পরিষদ এর আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৪ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কবির জীবন ও সাহিত্যকর্ম বিষয়ক আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সারে ১০টায় পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর অস্থায়ী কার্যালয় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে উক্ত আলোচনা সভায় মূল্যবান বক্তব্য রাখেন, পত্নীতলা উপজেলা কবি পরিষদ এর সভাপতি কবি গুলজার রহমান, উপজেলা কবি পরিষদ এর সিনিয়র সহসভাপতি ও পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ইউনুছার রহমান, উপজেলা কবি পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও পত্নীতলা প্রেস ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, উপজেলা কবি পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছানাউল হোসাইন, নির্বাহী সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। আলোচনা শেষে কবির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপজেলা লাইব্রেরীয়ান মাও মোহাঃ মাসুদ আলী। 


আরও খবর



কোরবানির আগে পেঁয়াজের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নিজেরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন ইচ্ছামতো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদুল আজহার এক মাস আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় একশ টাকা।

মাত্র দেড়মাস আগে রমজানে এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। সবশেষ দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রবিবার (৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ সামনে রেখে অসাধু বিক্রেতারা পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেট করেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, মূলত ভারত থেকে আমদানি না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে রান্নায় অতিপ্রয়োজনীয় মসলাজাতীয় পণ্যটির।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং এসব এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।

পেঁয়াজ কিনতে খিলগাঁও বাজারে এসেছেন আয়েশা খাতুন। দুইদিন আগেও তিনি ৮০ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ কিনেছেন, রবিবার ৯৫ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা।

আয়েশা বলেন, দুইদিনের ব্যবধানে কীভাবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে যায়? দুইদিন আগে কিনেছিলাম, আজ আবার কিনতে আসলাম। কিন্তু বাজারে এসে দাম শুনেই হতবাক।

একই কথা জানান আরেক ক্রেতা বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের এখনো প্রায় এক মাস দেরি, এর মধ্যেই দাম বেড়েছে অনেক। রোজায় ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন দাম প্রায় তিনগুণ। এখনই সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজ মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এটা না হলে কোরবানি আসতে আসতে ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা লাগবে।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগের সঙ্গে একমত নন মালিবাগ রেলগেট বাজারের খুচরা বিক্রেতা নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে, আমদানির মাধ্যমে তা মেটানো হয়। ফলে আমদানি বন্ধের পর দাম ধীরে ধীরে পাইকারিতে বাড়তে থাকে। এখন আমদানি উন্মুক্ত হলে দাম আবারও কমে আসতে পারে।

হাসান নামের অপর এক বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রি করি, দর-দাম নিয়ে মাথাব্যথা নেই। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমরা সেভাবে বিক্রি করি। আবার পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায়ও কমে যায়। তবে বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) অর্থাৎ আমদানি অনুমতি বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। আর, এরপর থেকেই ধীরে-ধীরে দাম বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির।


আরও খবর