Logo
শিরোনাম

যানজট আর দুর্ঘটনা রুখবে কে ?

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এত আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন সত্ত্বেও শৃঙ্খলা ফেরেনি। নতুন আইন পাস হলেও তার বাস্তবায়ন নেই। তৈরি করা হয়নি এর বিধিমালা। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ফুট ওভারব্রিজ বা ফুটপাত নেই। সাইন-সিম্বল নেই। থাকলেও তার তেমন ব্যবহার নেই। নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া রাস্তার যেখানে সেখানে চলছে যাত্রী নামানো-ওঠানো। চালকদের মধ্যে চলছে ওভারটেকিংয়ের প্রতিযোগিতা। কমেনি লাইসেন্সবিহীন চালকদের দৌরাত্ম্য। ভাড়া আদায়ে অনিয়ম ও অভিযোগ।

এই দৃশ্য আর দেখতে হবে কতদিন। কিছু বাসে ই-টিকিট ব্যবস্থা থাকলেও মানা হচ্ছে না এই নিময়। তাই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে পথচারী ও যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিআরটিএকে আরও তৎপর হতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে হতে হবে আরও দায়িত্বশীল। এ ছাড়া নিজ দায়িত্বের প্রতি আমাদের সবারই সজাগ হতে হবে সবার আগে। অন্যায়ের প্রতিবাদ শুরু করতে হবে নিজ উদ্যোগে।

পক্ষান্তরে দেশের আন্তঃজেলা মহাসড়কগুলোতে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, যেখানে যানবাহন খুব দ্রুতবেগে চলাচল করে। এই সড়কগুলোতে মুখোমুখি যানবাহন চলাচল করলেও সড়কগুলো তেমন একটা চওড়া নয় এবং কোনো ডিভাইডার নেই। ফলে যানবাহনগুলো যখন পাশাপাশি চলে আসে, তখন তাদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব না থাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ওভারটেকিংয়ের সময় এমন আশঙ্কা আরও বাড়ে। আর নিরাপদ দূরত্ব রাখতে হলে রাস্তা ছেড়ে যানবাহন নিচে নেমে আসে। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঢাকার বাইরে অসংখ্য পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলছে, যেগুলো দুর্ঘটনা ঘটানোর অন্যতম কারণ। রাস্তাঘাটে যেসব অবৈধ চালক, ফিটনেসহীন গাড়ি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আটক করেন, তার অধিকাংশই অর্থের বিনিময়ে বৈধ হয়ে যায় বা মামলা কাগজ-কলমেই থাকে। এসব নিয়ম-কানুনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।


যদিও কথাটি সত্য, আমাদের দেশের আয়তন কম, সেই তুলনায় জনসংখ্যা বেশি। এজন্য সবকিছুতে আমাদের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে সড়কে চলাচলে লেন মেনে চলতে হবে। বামে সাইকেল এবং মোটরসাইকেল চলবে। তারপর রিকশা, রিকশা ওভারটেক করতে পারবে না, একটার পেছনে একটা চলবে। তারপর চলবে বাস, কার এবং অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়া জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভার অথবা আন্ডারপাস ছাড়া কেউ রাস্তা পার হতে পারবে না। ট্রাফিক পুলিশ সব জেব্রা ক্রসিংয়ে থাকবে। সারজেন্ট ফুটপাতে থাকবেন আর দূর থেকে মনিটরিং করবেন, অনিয়ম দেখলেই মামলা দিতে হবে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কাগজ চেক করা যাবে না। গাড়ি লাল, হলুদ এবং সবুজ বাতি অনুযায়ী চলবে।

সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে দেখা যাচ্ছে, পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশালের সঙ্গে রাজধানীর সড়কপথে যাত্রীর সঙ্গে সঙ্গে বাসের সংখ্যাও বেড়েছে আগের তুলনায় কয়েকগুণঅথচ তাল মিলিয়ে বাস টার্মিনালের উন্নয়ন হয়নি। টার্মিনালে জায়গা না পেয়ে মহাসড়কের ওপরই যত্রতত্র যাত্রী নামানো ও তোলার কাজ করছে বাসগুলো। এতে টার্মিনাল সংলগ্ন এক কিলোমিটার দীর্ঘ পথজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। আর নগরজুড়ে যানজট এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। সঙ্গে বাড়তি উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিনকার ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

দেশের নানা জায়গার মানুষকে বরিশালের ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। ফলে নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কের ওপর দিন দিন চাপ বাড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে ১১ কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ওপর দিয়ে। এই সড়কে দূরপাল্লার পরিবহন যেমন চলাচল করে, তেমনি জেলা শহরের অভ্যন্তরের ক্ষুদ্র পরিবহনগুলোও চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কটিতে গাড়ির চাপ বেড়েছে ৪ থেকে ৫ গুণ। অথচ সংকীর্ণ সড়কটি প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো।

এদিকে বাস টার্মিনালে জায়গা না পাওয়ায় বাসগুলো রাখতে হচ্ছে এলোমেলোভাবে। কখনো টার্মিনাল সংলগ্ন রাস্তার পাশে আবার কখনো টার্মিনাল ছেড়ে অনেক দূরে মহাসড়কের পাশে। জায়গা না পেয়ে বাস রাখা হয় টার্মিনাল সংলগ্ন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সামনের সড়কেও। এতে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে মহাসড়ক। নগরজুড়ে যানজটের ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘ট্রাফিক বিভাগ চেষ্টা করেও কোনো লাভ হবে না। এর জন্য বাস টার্মিনাল যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই দুটি বাস টার্মিনালে বাসের বিশৃঙ্খলার কারণে পুরো নগরীতে যানজটের সৃষ্টি হয়। আমাদের দিক থেকে কঠোর পরিশ্রম করি নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি যানজট না থাকে, পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের সময় কমে যাবে প্রায় ২ থেকে ৪ ঘণ্টা এবং ওই জেলাগুলোতে প্রসার ঘটবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের।

কৃষকরা পাবে পণ্যের ন্যায্য দাম। ফলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহও বৃদ্ধি পাবে। তা ছাড়া চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ভারত, ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য আরও সহজ এবং দ্রুত হবে।

কিন্তু যানজটের কারণে এই সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে অতিরিক্ত সময় ও জ্বালানি দুটিই লাগছে। যানজটে সময় নষ্ট করে ও অধিক জ্বালানি পুড়িয়ে যাত্রী বা পণ্যবাহী যান চলাচল করলে পদ্মা সেতুর সুফল পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব হবে না। কাজেই আমরা প্রত্যাশা করি, পদ্মা সেতুর কারণে যেসব জেলায় কিংবা সড়কে-মহাসড়কে অতিরিক্ত যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নিরসনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি সড়কে নিয়ন্ত্রণ আনতে হলে অবশ্যই পথচারীসহ চালকদের সচেতন হতে হবে।

ফিটনেসহীন গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা করতে হবে। বাসগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা কমাতে হবে। বিশেষ করে সড়ক-মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন তুলে দেওয়া দোষী চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমি মনে করি। যদিও বাস্তবতা বিভিন্ন সময়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সিন্ডিকেট সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেছে। ফলে সরকারের ও প্রশাসনের সব ইতিবাচক পদক্ষেপ মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা সাধারণ জনগণ সড়কে ও গণপরিবহনে সব ধরনের অরাজকতার অবসান চাই।

 


আরও খবর

আত্মহননের সাংবাদিকতা

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24




মাগুরার শালিখায় ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ব্যাস্ত সময় পার করছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার বোরো চাষীরা। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে কৃষাণ ক্রয়, শ্রমিক সংকট , বৈরী আবহাওয়া তার উপর কারেন্ট পোকার উপদ্রব সব মিলিয়ে চাষীদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ। সরেজমিন উপজেলার তালখড়ি, শতখালী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কেউ ধান কাটছে, কেউ দিচ্ছে ধানের সারি, কেউ আবার গরু, মহিষ, ঘোড়াগাড়ি যোগে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, কেউ কেউ আবার নিকটবর্তী জমি থেকে মাথায় করে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে। অনেকে আবার ধান কেটে মাঠেই সেরে ফেলছেন মাড়ায়ের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি ধান কাটা ও মাড়াই করার কাজে অংশ নিচ্ছেন মহিলারাও। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। রোদের তাপ বেশি থাকায় কাজের জন্য সকাল ও বিকালকেই বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ চাষী।

আড়পাড়া ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের কৃষক রতন বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর ৭ বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি, ফসল অনেক ভালো হয়েছে তবে কৃষাণের (ধান কাটার শ্রমিক) যে মূল্য তাতে করে এক মণ ধানে মিলছে একজন কৃষাণ। এতে করে ধান ঘরে তুলতে মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ ধান শ্রমিকদের পাছে ব্যয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কৃষক রবি বিশ্বাস বলেন, এ বছর বোরো ধানের মৌসুমে ১২ একর জমিতে ধান রোপন করেছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি অনুকূলে থাকে তাহলে দায়-দেনা পরিশোধ করে সোনা-মণিদের ভোরণ পোষণের পাশাপাশি নিজের আর্থিক যোগান দিতে সক্ষম হব অন্যথায় বিপদের শেষ হবে না।

তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসাইন বলেন, গত বছর যে জন (কৃষাণ) কিনেছি ৬-৭শ টাকা দিয়ে এবছর তা ১১-১২শ টাকা তার উপর জমিতে কারেন্ট পোকা লাগদিছে ফলে ধান ভালো হলেও চিন্তায় আছি দাম নিয়ে । ধানের দাম যদি ভালো হয় তাহলে তো বেঁচে গেলাম না হলে সমস্যায় পড়ে যাব। এছাড়াও কৃষক এনামুল বিশ্বাস,নজরুল মোল্যা, হরিদাস, গোপাল সহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা হলে জানা যায়, ফসল ভালো হলেও শঙ্কা কাজ করছে বৈশাখীর ঝড় নিয়ে পাশাপাশি শ্রমিক সংকট এবং কিষাণের মূল্য যেন তাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ। তবে শ্রমবাজারের শ্রমিক মূল্য নির্ধারণ করে দিলে একদিকে শ্রমিক এবং অপরদিকে ধান চাষিরাও একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে উভয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর ১৩ হাজার ৫৭৫ হে. জমিতে বোরো ধানের আবাদ অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ হে. বেশি। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে যেখানে গড় ফলন হেক্টরে ৪.২টন (চাউলে) এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কর্তন সম্ভব হবে বলে জানা গেছে

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কর্তনের ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে। এতে করে শ্রমিক সংকটও কেটে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় অঙ্কে শিক্ষকের ভুল ধরায় ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় গণিত ক্লাসে শিক্ষকের ভুল ধরায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিক্ষার্থীকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহলে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সাফি (১১)। সে গোবিন্দপুর গ্রামের আনিছুর রহমান মণ্ডলের ছেলে ও গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার ভর্তি রোল ৪৪ বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গণিপুর গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে।  

শিক্ষার্থী সাফি জানায়, সোমবার টিফিনের পর আড়াইটার দিকে সহকারী শিক্ষক ইয়ামিন স্যারের গণিত ক্লাস চলছিল। ক্লাসে লসাগু’র পূর্ণরূপ স্যার ভুলভাবে উপস্থাপন করছিলেন। সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ায় ইয়ামিন স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ছড়ি দিয়ে আমাকে বেদম মারধর করেন।

শিক্ষার্থী সাফির মা নাদিরা বেগম বলেন, ছেলে সাফি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অঙ্ক ক্লাসে ভুল ধরায় শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। সন্ধ্যার দিকে তাকে মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন বলেন, গণিত ক্লাস চলাকালিন শিক্ষার্থী সাফি আমার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাই তাকে একটু শাসন করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি। অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। স্থানীয় প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মণ্ডল বলেন বিষয়টি শুনেছি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীকে মারধর করা ঠিক হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, সুনামগঞ্জে একজন, হবিগঞ্জে একজন ও ও নেত্রকোণায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।২৮ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

জেলায় বজ্রপাতের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কৃষক ও দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে বজ্রপাতে মারা যান দুই কৃষক।

তারা হলেন- দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০) ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র। নিহতরা হলো- ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন। দুজনেই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আকস্মিক বজ্রপাতে দিদারুল ইসলাম নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষক ও মদন উপজেলায় আরাফাত মিয়া নামে এক মাদরাসার ছাত্র (১০) মারা গেছেন।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় আরাফাত মিয়ার। সে উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।

অপরদিকে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হোন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এর হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান জানান, সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালবাসী দাসশর ছেলে দূর্বাসা দাশ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় তার ভাই ভূষণ দাশ (৩৪) ও বোন সুধন্য দাশ (২৮) । এছাড়াও বজ্রপাতে বানিয়াচং উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (১৩) আহত হয়।

সুনামগঞ্জ

শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এই ঘটনা ঘটে।

রিমন তালুকদার উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও শাল্লা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে গ্রামের পাশে বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান রিমন তালুকদার। এক পর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। রিমন তালুকদার নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কৃষক ও একজন কৃষাণী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে খড় শুকাতে গিয়ে ফুলেছা বেগম নামে এক কৃষাণী বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজীত দাস ও কলমা হাওরে ধান কাটার সময় স্বাধীন মিয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।

মৃত ফুলেছা বেগম মিঠামইনে উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী, ইন্দ্রজীত দাস অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া একই উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

মিঠামইন থানার উপ-পরিদর্শক অর্পন বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কৃষক ইন্দ্রজীত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক ইন্দ্রজীত দাসের মৃত্যু হয়। একই সময় উপজেলার খয়েরপুর হাওরে কৃষক স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।


আরও খবর



এক মুঠো চালের জন্য জেলেদের বুক ফাটা কান্না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বরগুনার আমতলি ফকিরঘাটে ভিড় জমায় সাগরের সাহসী সন্তানরা। একসময় যাদের হাতের জালে ধরা পড়তো সাগরের সোনা, আজ তাদের হাতে কিছুই নেই। চোখে শূন্যতা, মুখে হতাশা। ট্রলারগুলো নিশ্চুপ, জালগুলো ছেঁড়াআর মানুষগুলো নীরব, অথচ বুকের ভেতর চলছে কান্নার তীব্র গর্জন।


সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে যারা জীবন কাটিয়েছেন, আজ সেই জীবনের সামনে শুধুই অনিশ্চয়তা। ১৫ দিন ধরে চলা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা হাজারো জেলের ঘরে এনেছে হাহাকার, আর পাতে এনে দিয়েছে ফোঁটা ফোঁটা ক্ষুধা। প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে আজ বাঁচার জন্য তাকিয়ে আছেন এক মুঠো সাহায্যের দিকে। কিন্তু এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সহায়তার চালের এক দানাও।


ষাটোর্ধ্ব মোশাররফ হোসেন এক কোণে বসে আকাশের দিকে চেয়ে কাঁদছেন। তার কণ্ঠ রুদ্ধ, চোখের জল অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে।


"ঝড়-তুফান, সাগরের কাঁচা ঢেউসবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজ... আজ তো নিজেরই যুদ্ধ জীবন বাঁচানোর। সরকার যদি চাল না দেয়, আমরা না খেয়ে মরে যাবো।" তার কাঁপা কণ্ঠের এই মর্মস্পর্শী আহাজারি যেন আঘাত হানে মানবতার শেষ প্রাচীরে।


আরেক কোণে দাঁড়িয়ে শহিদুল ইসলাম, ছোট্ট মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। মেয়ের ক্ষুধার্ত চোখ যেন হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে তার দিকে। মাথা নিচু করে শহিদুল ফিসফিস করে বলেন, "মাছ ধরতে জীবন বাজি রাখি। আজ মেয়েটার ভাতের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। একজন বাবার চেয়ে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে?" 

মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তালতলীতে প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন, যাদের কেউই এখন সাগরে যেতে পারছেন না। সাগরের হাওয়ায় এখন আর মাছের ঘ্রাণ নেইভেসে আসছে দুর্ভিক্ষের গন্ধ। প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু খাদ্য সহায়তা মিললেও, এবারের নিষেধাজ্ঞায় এখনো কোনো বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি। সাগরের গর্জন আজ আর তাদের কাছে রোমাঞ্চ নয়, বরং মৃত্যুর সুর হয়ে বাজছে।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "নীতিমালা অনুযায়ী সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আগেরবার খাদ্য সহায়তা ছিল, এবার বিলম্ব হয়েছে। চাল আসলে দেওয়া হবে।" কিন্তু তার কথাগুলো যেন ক্ষুধার্ত পেটের গহীন আর্তনাদের সামনে একটি তুচ্ছ আশ্বাসমাত্র। চাল কবে আসবে, তা কেউ জানে না। আর ততদিন ক্ষুধা আগুন হয়ে পুড়িয়ে দেবে তাদের শরীর ও আশা।


ফকিরঘাট নয়, উপকূলের সবখানেই একই ছবি। শীর্ণকায় জেলেরা ছেঁড়া গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করছে। শিশুদের কান্না মিলিয়ে যাচ্ছে সাগরের বাতাসে। "ভাত দে মা, ক্ষুধা পেয়েছে"শত শত শিশুর এই চিৎকার যেন আকাশকেও ভারী করে তুলেছে।

এই বাস্তবতা কেবল দারিদ্র্যের গল্প নয়এ হলো লজ্জার গল্প। যেখানে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা আর মানবতার ব্যর্থতা মিলেমিশে একটি জাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জীবনের যুদ্ধ তো তারা জিতেছে বারবার, কিন্তু আজতালতলীর সাগরপাড়ে বসে থাকা এই হাজারো জেলে হারছে ক্ষুধার কাছে।


আরও খবর



শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সোনামুখি বিলের পদ্মফুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যশোরের শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হরিনাপোতা গ্রামের সোনামুখি বিলের গোলাপি রঙের পদ্মফুল। ফলে সকাল ও বিকেলে মানুষের আনাগোনায় জায়গাটি নান্দনিকতা পেয়েছে।

দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া ঘর থেকে শুধু দুপা ফেলিয়া। ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক ভালোবাসার প্রতীক ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুজে পাওয়ায় মুশকিল। তাই বাড়ির পাশে ফোঁটা গোলাপি পদ্মের সৌন্দর্য উপ়ভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাশু মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সোনামুখি বিলের গোলাপি পদ্মের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে দূরদূরান্ত থেকেও ছুটে আসছে ভ্রমন পিপাশু মানুষও।

এখন বৈশাখ মাস তাই সোনামুখি বিলে পানি নেই, অথচ কাদামাটিতে ফুটে আছে লাখো লাখো পদ্মফুল। দেশীয় পাখির কলকাকলীতে মুখরিত চারি দিক।এমন দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে ব্যাস্ত এই বিলে বেড়াতে আসা প্রতিটি মানুষ,কেউ মোবাইল দিয়ে আবার কেউবা দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে। কেউ কেউ টিকটকও করছেন। অনেক মুখ পরিচিতি ইউটিবারও আসেছেন এ বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কন্টেন্ট তৈরি করতে।

পদ্মফুল দেখতে আসা শার্শার জামতলার নুরে হাবীব জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদ্মবিলের ছবি দেখেছি। আশেপাশে বেড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই। ঘরবন্দি সময় কাটাতে হচ্ছিল। এখানে এসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

ইউটিবার রানা আহমেদ বলেন, আমি গোলাপি পদ্মের সংবাদ পেয়ে এই প্রাথম বার এখানে এলাম, আসার পরে দেখি যা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি পদ্ম। একটা বিষয় আমাকে খুবই অবাক করেছে, পানি ছাড়া এমন লাখো পদ্ম কিভাবে ফুটলো? জায়গাটা এতটাই নিরিবিলি এতটাই সুন্দর আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। বিশেষ করে মানুষের বিরুপ আচারণের ফলে অপরুপ গ্রাম বাংলার রুপ হারাতে বসেছি আমরা। তাই আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিৎ যেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের বিরুপ আচরণে বিলুপ্ত হয়ে না যায়।


আরও খবর