Logo
শিরোনাম

যাত্রাবাড়ি ও মিরপুরে ময়লার ড্রেনের ভেতর দিয়ে ওয়াসার পানির লাইন,দেখার কেউ নেই

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সদরুল আইন:

রাজধানীর জুরাইন, মিরপুরসহ অনেক এলাকায় ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) পানির লাইন গেছে ড্রেনের ভেতর দিয়ে। 


কোনো কারণে প্লাস্টিকের পাইপ ফাটলে বা লিক হলে সেই পানির সঙ্গে মিশবে মলমূত্র। আর সেই দূষিত পানিই ব্যবহার হবে বাসা-বাড়িতে। 



সিটি করপোরেশন বলছে, ওয়াসা চাইলে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা দেওয়া যেত। অথচ পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করছে ওয়াসা।



জুরাইনে ড্রেনের ময়লা পানির দৃশ্য প্রতিদিনের ব্যাপার। ড্রেন উপচে সেই ময়লা পানি মিশছে রিজার্ভ ট্যাঙ্কিতে, ফলে সংকট দেখা দেয় খাবার পানির। এই যখন পরিস্থিতি, তখন ওয়াসার নতুন পাইপ লাইন বসানোর উদ্যোগে স্বস্তি পায় এলাকাবাসী। 


কিন্তু সেটিও ঝুঁকিতে পড়েছে। কারণ জুরাইনে ড্রেনের ভেতর দিয়েই বসানো হচ্ছে ওয়াসার পানির লাইন।


সংবাদমাধ্যমকে এলাকাবাসী জানিয়েছে, ড্রেনের ভেতর থেকেই বাসাবাড়িতে লাইন টেনে দিয়েছে ওয়াসা। কোনো কারণে এই পাইপ লিক হলেই খাওয়ার পানির সঙ্গে মিশে যাবে মলমূত্র। 



ওয়াসার এ কাজে ক্ষুব্ধ সিটি করপোরেশন। বলছে, সমন্বয় করে কাজ করলেই এ পরিস্থিতি এড়ানো যেত। উল্টো সিটি করপোরেশনের ওপর দায় চাপাচ্ছে ওয়াসা।


ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ওয়াসার এই কাজের কারণে নর্দমার যে কাজ তাও ব্যাহত হবে, আর ওয়াসার কাজও ব্যাহত হবে। এভাবে পানির লাইনের কাজটা ঠিক হচ্ছে না।


এদিকে ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. এ.কে.এম সহিদ উদ্দিন বলেন, সিটি করপোরেশন পুরো এলাকাজুড়েই ড্রেন তৈরি করছে বলে, ওয়াসার পানির লাইনের জন্য কোনো আলাদা জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। 


ড্রেনের ভিতর দিয়ে ওয়াসার পাইপ টানার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়ারী, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুরে। 


আরও খবর



জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ সংগঠনঃ বিএনপি নেতা কাজী শিপন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

 জামায়াতে ইসলামী একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। এখনো এই দলটি নিবন্ধন পায়নি। সকলে এই দলটিকে বয়কট করুন’। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এ ধরণের মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত একটি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন তার বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন। জামায়াতে ইসলামী ধর্মের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে বলেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলে আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কোন অস্তিত্ব নেই, এটি একটি নিষিদ্ধ সংগঠন।  

দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহিদুল হক বাবুল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শিকদার ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এফ এম শামীম আহসান, সামাদ হোসেন ফকির, আফজাল জোমাদ্দার, পৌর শ্রমিকদল সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, মজনু মোল্লা, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক ফকির রাসেল আল ইসলাম। 


আরও খবর



পিএসজি ছাড়ার ব্যাপারে মুখ খুললেন মেসি

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

বার্সেলোনা ছেড়ে দুই বছর পিএসজিতে কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ওই দুই বছর একেবারেই উপভোগ করেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এতদিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

২০২১ সালে বার্সার সঙ্গে ২১ বছরের বাঁধন ছিন্ন করে ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দেন মেসি। এই ক্লাবের জার্সিতে দুই বছরে ৭৬ ম্যাচ খেলে ৩২ গোল করার পাশাপাশি ৩৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। কিন্তু এরপর আর চুক্তি নবায়ন না করে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমান আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

ফ্রান্স ছাড়ার ব্যাপারে অ্যাপল মিউজিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আটবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী বলেন, 'মায়ামির হয়ে খেলতে আসা একটি সুযোগ এবং প্যারিসে আমার শেষ বছরে যা ঘটেছে, যদিও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতেই হতো, কারণ আমাকে বার্সা ছাড়তে হয়েছে এবং ওই দুই বছর আমি উপভোগ করিনি। সেখানে প্রতিটি দিনই আমি অখুশি ছিলাম, অনুশীলন এবং ম্যাচ নিয়েও। সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি মায়ামির ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম, কারণ এই ক্লাবটির উন্নতি হচ্ছে, খুবই নতুন এবং ক্লাব হিসেবে মাত্র কয়েক বছর হয়েছে।'

মেসি পিএসজি ছেড়ে যাওয়ার পর কাতারি মালিকানার ক্লাবটির চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফি তার বিরুদ্ধে ফরাসি ক্লাবটিকে 'অসম্মান' করার অভিযোগ আনেন। ওই সময় মেসি বলেছিলেন, ক্লাবের সমর্থকদের একটি বড় অংশ তার সঙ্গে বাজে আচরণ করার কারণে দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।

এদিকে মায়ামিতে মেসি ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছেন তিনি। এছাড়া আছে ২০টি অ্যাসিস্টও। মেসির মাধ্যমে ক্লাব হিসেবে মায়ামির উত্থান হয়েছে নাটকীয়ভাবে। ২০২৫ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে মায়ামি, যেখানে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির সঙ্গে পিএসজিও অংশ নেবে।

ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে আশান্বিত মেসি বলেন, আমি মনে করি, এটা ক্লাবের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া, যেটি হবে এই দেশেই (যুক্তরাষ্ট্র) এবং এমএলএস থেকে দুটি দল অংশ নেবে। এসব এমএলএস-কে লিগ হিসেবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করছে। এতে অন্য খেলোয়াড়দের জন্য এখানে আসার এবং উন্নতি করার পথ তৈরি হচ্ছে।


আরও খবর

কোনো ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকে মিলবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে ৬৪ জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম ছয় জেলায় চলমান আছে। নতুন করে ৫৬ জেলায় কার্যক্রম যুক্ত হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চায় সরকার। সে ক্ষেত্রে প্রকৃত উপকারভোগী বাছাইয়ে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে সব উপকারভোগীকে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ৫৭ লাখ উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবে। যাদের এখনো স্মার্টকার্ডের কার্যক্রম শেষ হয়নি, কিন্তু তালিকায় নাম আছে তারাও পণ্য পাবে। এছাড়া ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে আগামী ৫ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, রমজানে কেউ যেন মজুতদারি করতে না পারে জেলা প্রশাসকদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভোক্তারা যেন পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে না করে সে বিষয়েও অনুপ্রাণিত করতে হবে। পুরো মাস বা সাতদিনের পণ্য একসঙ্গে কিনলে সরবারহ সংকটে কেউ কেউ দাম বাড়িয়ে নেয়।

তিনি বলেন, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো প্রতি জুলুম করা হবে না, তবে কেউ জুলুম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় অন্যায় প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একদম প্রাথমিক ধাপ টিসিবির মতো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপকারভোগী নির্বাচন করা। এটি নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের মধ্যে আপনাদের (জেলা প্রশাসকদের) গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। মানুষ আপনাদের সম্মান দেবে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।


আরও খবর



ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টিতে ইফতারীর সময় ডাকাতির চেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাক্তার পট্টিতে (স্বর্ণকার পট্টি) দুর্ধর্ষ ডাকাতির চেষ্টা। রবিবার সন্ধ্যায় ইফতার চলাকালীন সময়ে বোমা বিস্ফোরণে ঝালকাঠি শহর কেঁপে উঠে। এৎসময় সাতটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর গ্লাসে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গ্লাস বেদ করে গুলি বের হয়ে যায় কিন্তু গুলিতে কেহ আহত হয় নি। বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা একটি মিনি পিকআপ করে শহরের সাধনা মোড় হয়ে ফায়ার সার্ভিস চাদকাঠি হয়ে ঝালকাঠি বরিশাল সড়কে উঠে ষাইট পাকিয়া হয়ে বরিশাল শহরের দিকে চলে যায়।  এ সময় ষাইট পাকিয়া ও জেলা পুলিশ লাইনের সামনে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এতে ২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ দিকে ১ জন পথচারী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেছে। ঝালকাঠি শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ দিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ডাকাতি চেষ্টা বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে এই ধরনের অরাজকতা ও অপকর্ম প্রতিরোধ করবে। এ দিকে জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোঃ শামীম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটি চক্র সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, সন্ধ্যায় ইফতারের জন্য সবাই যে যার মতো ব্যস্ত ছিল। সেই সুযোগে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা স্থানীয়দের সচেতনতার কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। আমরা সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে সনাক্ত করণের চেষ্টা করছি।


আরও খবর



লেবু-শসার দামে আগুন, বেগুনেও অস্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ লেবু ও শসা। রোজা শুরুর একদিন আগে থেকে ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান লেবু চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। শুধু লেবু নয় শসার বাজারেও আগুন। বেড়েছে বেগুনের দামও। এগুলো দেখারও যেন কেউ নেই।রাজধানীর শাহজাহানপুর ও খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল শনিবার থেকে বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এর আগেই বাজারে প্রায় সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতি বছরের মতো লেবু, শসা এবং বেগুনের দাম বেড়ে গেছে।

বাজারে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায়। দেড় সপ্তাহ আগেও লেবুর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৪০ টাকা। সে সময় ২০ টাকাতেও এক হালি লেবু কেনা গেছে। এখন ৬০ টাকার নিচে মিলছে না। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হালি এলাচি লেবু ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলেটের শরবতি লেবুর দাম এক হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যদিকে কাগজি লেবু এক হালি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রোজায় ইফতারির অন্যতম উপকরণ হলো শসা। বাজারে এখন ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে শসা। যা আগে ছিল ৫০ টাকা।

এদিকে বেগুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে এবং গোল বেগুন ৮০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।

শুধু ক্রেতারাই নয়, খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন লেবুর হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক। রোজায় শরবত তৈরির জন্য লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। এটাকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে সরবরাহকারীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখন লেবুর মৌসুম নয় বলে দাম বাড়তি থাকা স্বাভাবিক। তবে যতটা বেড়েছে তা স্বাভাবিক নয়।

লেবু এবং শসা ক্রয় করেছেন খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিবছর রোজার মাস আসলেই অধিকাংশ পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লেবু এবং শসা। এভাবে দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। রমজান মাসের আগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এভাবে প্রতিবছর ইফতারের আনুষঙ্গিক পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি করে থাকে। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই।

সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, আড়তে গিয়ে লেবু পাওয়া যাচ্ছে না। আড়ত থেকে লেবু আনার জন্য যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এক মাস পূর্বেও যে দাম ছিল এখন তার দ্বিগুণ হয়েছে। সকালে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ ক্রেতা দাম জিজ্ঞেস করেছেন, কিন্তু দাম শুনে কেউ নিতে সাহস করছে না। এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজনের কাছে বিক্রি করেছি। আমাদের তো এখানে কিছুই করার নেই। অতিরিক্ত দাম দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।


আরও খবর