সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের
মধ্যেই আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা দেখা যায়। এই রোগে দেহের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র
ব্যথা হয়, দেখা যায় ফুলে ওঠা ও জড়তার মতো সমস্যাও।
আর্থ্রাইটিসে
আক্রান্ত হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব, বংশগত, বিভিন্ন রোগের প্রভাব, এ
ছাড়া আরও অনেক কারণেই বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেরই ধারণা, বয়স বাড়লেই বাত দেখা দেয়। কিন্তু যেকোনও বয়সেই হতে পারে এই সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, কিছু খাবার আরাম দিতে পারে বাতের ব্যথায়। এমন কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো খেলে বাতের কষ্ট থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।
আপেল আপেল
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। আপেলে রয়েছে কোয়ারসেটিন নামক এক
ফ্ল্যাভোনয়েড, যাতে আবার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান।
কোয়ারসেটিন জয়েন্টে পেন, বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
চেরি চেরি,
বিশেষ করে টার্ট চেরি আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। চেরিতে
থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। এই কারণেই বাতের রোগীদের প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা কমাতে
ভালো কাজ করে চেরি।
আনারস আনারসে রয়েছে
ব্রোমেলিন নামক এনজাইম, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে।
জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলাভাবের মতো বাতের বিভিন্ন উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে পারে এই
ফল। তাই আনারসকে আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
ব্লুবেরি ব্লুবেরিতে
পুষ্টিগুণ ভরপুর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন উপকারী যৌগ সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের
প্রদাহ কমায়। ব্লুবেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের
অধিকারী। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে বাতের বিভিন্ন উপসর্গ উপশম হতে পারে।
কমলালেবু কমলালেবু
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন সি প্রদাহ কমায় এবং
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই বাত বা
আর্থ্রাইটিস উপশম করতে নিয়মিত কমলালেবু খেতে পারেন।