Logo
শিরোনাম

যে নিয়ম মানলে চুল পড়া বন্ধ হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে পরিবর্তন আসে। স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুলেও এর প্রভাব পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে বয়স মাত্র ত্রিশ পার হলেই দেখা দেয় বলিরেখা, টাক পড়ার মতো সমস্যা। তাই বয়স ত্রিশ পার হওয়ার আগেই ত্বক ও চুলের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসময় থেকে যত্ন না নিলে চুল পাতলা হতে শুরু করে। এমনকী অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দেয় টাক পড়ার সমস্যাও। মাথায় টাক পড়ার সমস্যা এড়াতে মেনে চলুন এই ৫ নিয়ম :

খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে

বাইরের খাবার যতই এড়িয়ে চলতে চান, তবু নানা কারণে সপ্তাহে অন্তত দুই-একবার খেতেই হয়। বলা বাহুল্য, বাইরের বেশিরভাগ খাবারই অস্বাস্থ্যকর। আর এ ধরনের খাবার খেতে ভালোলাগে ঠিকই, খাওয়ার পরে শরীরে এর প্রভাব পড়ে মারাত্মক। তাই বাইরে খাবার খাওয়া যদি একান্তই এড়াতে না পারেন, তবে সতর্ক হোন। অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর শাক-সবজি, ফল, শস্য, পানি ইত্যাদি যোগ করুন।

পানির ঘাটতি পূরণ করুন

চুল এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য নিয়মিত পানি পান করা জরুরি। শরীরের ভেতরে যেন পানির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই পানি। তাই পানি এবং তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সঠিক হেয়ার প্রোডাক্ট। নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে। দিন অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে।

প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার

চুলের যত্নের জন্য কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নয়, ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদান। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে, বাড়বে উজ্জ্বলতাও। বাড়িতে থাকা নানা উপকারী উপাদান দিয়েই চুলের পরিচর্যা করা সম্ভব। প্রাকৃতিক বলে সেসব উপাদানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে না। তাই চুল ভালো রাখার জন্য বেছে নিন প্রাকৃতিক উপাদান।

দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন

বয়স ত্রিশ পার হলে অনেক রকম দায়িত্ব চলে আসে। সেসব পালন করতে গিয়ে বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে। তার প্রতিফলন দেখা যায় আমাদের চুলেও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

আমাদের হেয়ার ফলিকলে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান থাকে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক থাকে তবে চুল ভালো রাখা সহজ হয়। চুলের ঘনত্বও বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন। এতে শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকভাবে হয়। যে কারণে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। তাই চুলের বৃদ্ধি ঠিকভাবে হয়।

তথ্য : রিমিস ড্রিম


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




সুদান থেকে ফিরলেন ১৩৬ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ঢাকায় পৌঁছালেন ১৩৬ বাংলাদেশি। সোমবার (৮ মে) সকালে তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বাংলাদেশি বর্তমানে পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিলেন। পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

রিয়াদের অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে রবিবার রাতে তারা জেদ্দা থেকে ঢাকা রওনা হন।

বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে ১৩৬ বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ তিনটি বিমানে জেদ্দা পৌঁছেছেন। দুপুরে দুটি বিমানে ৭০ জন, বিকেলে আরও একটি বিমানে ৬৫ জন বাংলাদেশি জেদ্দায় পৌঁছান।

এই ১৩৬ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী, ১১টি শিশু ও অন্তত ৮ জন অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন বলে কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




যে ফল খেলে দূর হবে বাতের ব্যথা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা দেখা যায়। এই রোগে দেহের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ব্যথা হয়, দেখা যায় ফুলে ওঠা ও জড়তার মতো সমস্যাও।

আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব, বংশগত, বিভিন্ন রোগের প্রভাব, এ ছাড়া আরও অনেক কারণেই বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেরই ধারণা, বয়স বাড়লেই বাত দেখা দেয়। কিন্তু যেকোনও বয়সেই হতে পারে এই সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু খাবার আরাম দিতে পারে বাতের ব্যথায়। এমন কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো খেলে বাতের কষ্ট থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।

আপেল আপেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। আপেলে রয়েছে কোয়ারসেটিন নামক এক ফ্ল্যাভোনয়েড, যাতে আবার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। কোয়ারসেটিন জয়েন্টে পেন, বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

চেরি চেরি, বিশেষ করে টার্ট চেরি আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। চেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। এই কারণেই বাতের রোগীদের প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে চেরি।

আনারস আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে। জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলাভাবের মতো বাতের বিভিন্ন উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে পারে এই ফল। তাই আনারসকে আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

ব্লুবেরি ব্লুবেরিতে পুষ্টিগুণ ভরপুর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন উপকারী যৌগ সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের প্রদাহ কমায়। ব্লুবেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে বাতের বিভিন্ন উপসর্গ উপশম হতে পারে।

কমলালেবু কমলালেবু ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন সি প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই বাত বা আর্থ্রাইটিস উপশম করতে নিয়মিত কমলালেবু খেতে পারেন।


আরও খবর

আম পান্না তৈরি করবেন যেভাবে

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




ভোটের জন্য প্রস্তুত গাজীপুর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা মঙ্গলবার রাত থেকে শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম সিটির প্রায় ১২ লাখ ভোটার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইভিএম মেশিনে ভোট দেবেন। এখন সব ভোটারের অপেক্ষা ভোট উৎসবের জন্য।

নির্বাচনে আট মেয়র প্রার্থী, ২৪৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৭৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদের মধ্য একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। প্রায় ৪০ লাখ নগরবাসীর সেবার জন্য কারা হচ্ছেন জনপ্রতিনিধি, এটাই নির্ধারণ হবে ২৫ মের এ নির্বাচনে। অবশ্য এরই মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের দিকে শুধু নগরবাসী নয়, সারা দেশ এমনকি বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের মানুষ তাকিয়ে আছে। অবশ্য এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। প্রথমে মানুষের ধারণা ছিল নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। কিন্তু বিএনপি পরিবারের সন্তান এবং সাবেক মেয়রের মা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এ নির্বাচন পেয়েছে নতুন মাত্রা। অনেকের মতে, এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমারা প্রস্তুত। এরই মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। নির্বাচনে ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার বা ভিডিপি সদস্যসহ ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স সিটির প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে স্ট্রাইকিং ফোর্স একটি এবং মহানগরের আটটি থানায় একটি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে টিমসহ র‌্যাবের ৩০টি টিম, পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন হিসেবে বিজিবির ১৩ প্লাটুন সদস্য এবং ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটগ্রহণের পূর্বের দুই দিন (মঙ্গলবার থেকে) ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন (২৭ মে) পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্তরা আসতে শুরু করেছেন গাজীপুরে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় ভারী যানবাহনসহ ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এবং আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ বিষয়ে জিএমপির জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার (২৪ মে) রাত ১২টা থেকে ২৫ মে রাত ১২টা পর্যন্ত যে কোনো ধরনের ভারী যানবাহনসহ ট্রাক, পিকআপ ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (২৩ মে) রাত ১২টা থেকে ২৬ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ২৩ মে ভোর ৬টা থেকে ২৭ মে রাত ১২ পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধের পাশাপাশি সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




নওগাঁয় ছাত্রীর সাথে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ছাত্রীর সঙ্গে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের অভিযোগে নহলা কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মখলেছুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা স্বাক্ষরিত পত্রে গত বুধবার থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক মকলেছুর রহমান নওগাঁর মান্দা উপজেলার কয়লাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নহলা কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। 

ইতি পূর্বেও এমন অভিযোগে নুরুল্লাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেও তাকে বাথইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শাস্তিমুলক বদলি করা হয়েছিল। 

ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর বাবা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে আমার মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিলেন শিক্ষক মকলেছুর রহমান। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের জানানোর পরও তাঁর আচরণের পরিবর্তন হয়নি। অবশেষে প্রতিকার চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেব আলী বলেন, শিক্ষক মখলেছুর রহমান এর আচার-আচরণ সন্তোষজনক ছিল না। তাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে ছাত্রীর বাবা গত ১৪ মার্চ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পত্রটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত একটি পত্র পেয়েছি।

সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল বাশার শামসুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর সেটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। পরে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক শিক্ষক মকলেছুর রহমানকে ১০ মে থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা শিক্ষা অফিসার।


আরও খবর



শান্তিরক্ষা মিশনে জীবন উৎসর্গকারী ৫ জন বাংলাদেশিকে মরণোত্তর মেডেল প্রদান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী ৫ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে মর্যাদাপূর্ণ মরণোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রদান করেছে জাতিসংঘ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের কাছ থেকে ৫ জনের পক্ষে এ মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

স্থায়ী প্রতিনিধি'র কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে ২০২২ইং সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩৯টি দেশের নিহত ১০৩ জন শান্তি রক্ষীকে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য এ মেডেল প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশের ৫ জন জীবন উৎসর্গকারী শান্তি রক্ষীদের মধ্যে সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনজুর রহমান আবেইতে ইউনিসফা মিশনে, ল্যান্স করপোরাল কফিল মজুমদার দক্ষিণ সুদানের আনমিস মিশনে, সৈনিক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সৈনিক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের মিনুসকা মিশনে কর্মরত ছিলেন।

আত্মোৎসর্গকারী শান্তি রক্ষীদের পক্ষে মেডেল গ্রহণের পর এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সাধারণ পরিষদ হলে রক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। 

তিনি শোকবার্তায় শান্তিরক্ষায় জীবন দানকারী সকল শান্তি রক্ষীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় এই ক্ষতির জন্য তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। 

এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার ৫শ' জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের ৯টি মিশনে দায়িত্বরত রয়েছেন। দায়িত্বরত অবস্থায় এ পর্যন্ত ১শ' ৬৬ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন।

উল্লেখ্য, ''দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল'' জাতিসংঘ এর দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড-এর নামে প্রবর্তিত হয়।


আরও খবর

সহায়ক হতে পারে মার্কিন ভিসা নীতি

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩