Logo
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে পারে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন করে চালু হতে পারে জিএসপি সুবিধা। এরই মধ্যে দেশটির কংগ্রেসে এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। ফের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে চাইলে বাংলাদেশকে পূরণ করতে হবে দেশটির দেয়া অ্যাকশন প্ল্যান। বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ল্যাবার অ্যাটাশে লিনা খান।

রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনার রেশ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি সুবিধা হারায় বাংলাদেশ। ফিরে পেতে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার জন্যে স্কিমটি বন্ধ রেখেছে মার্কিনিরা।

এটি ফের চালুর সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে শুরু হয়েছে আলোচনা। যেখানে বাংলাদেশ পেতে পারে অগ্রাধিকার। আর সে কারণেই দেশটির তরফ থেকে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি, কাজের মান ও পরিবেশ, শ্রমিকের সংগঠন করবার স্বাধীনতাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা তুলে দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের হাতে। লিনা খান জানান, তার দেশ আশা করে, ২০২৬ সাল নাগাদ সব শর্ত পূরণে সক্ষম হবে ঢাকা।

প্রথম মার্কিন ল্যাবার অ্যাটাশে লিনা খান বলেন, বাংলাদেশ যদি জিএসপি সুবিধা ফেরত পেতে চায়, তবে আন্তর্জাতিক নিয়ম বা শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি আইএলওকে দেয়া সময় অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে সব শর্ত পূরণে সক্ষম হবে।

তার দাবি গেল কয়েক বছরে বাংলাদেশে কাজের পরিবেশ সুরক্ষিত হয়েছে যেমন, তেমনি অভিযোগ আছে শ্রমিক ও শ্রম অধিকার কর্মীদের স্বাধীনভাবে সংগঠন করবার অধিকার ক্ষুন্নের অভিযোগ।

প্রথম মার্কিন ল্যাবার অ্যাটাশে লিনা খান বলেন, আমাদের কিছু বিষয়ে গভীর উদ্বেগ আছে। যেমন- শ্রমিক হয়রানি, সংগঠন বিরোধী মনোভাব ও কার্যকলাপ, শ্রম অধিকারকর্মীদের সংগঠন করবার স্বাধীনতা খর্ব ও মামলার মতন বিষয়গুলোতে। অথচ আমরা গত ১০ বছরে কাজের পরিবেশের নিরাপত্তার দারুণ অগ্রগতি দেখেছি, যা প্রশংসার যোগ্য।

ভিন্ন এক প্রশ্নে লীনা বলেন, মার্কিনিদের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম লক্ষ্য শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করা। তাই বাংলাদেশেও একে সম্মান জানাবে বলে প্রত্যাশা তাদের।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শুরু হচ্ছে টিসিবির ট্রাকসেল, মিলবে ৫ পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেল কার্যক্রম আজ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে এবার মিলবে ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নআয়ের উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ঢাকা মহানগরী ও চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভতুর্কি মূল্যে টিসিবির পণ্য ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর বিক্রি করা হবে।

যেকোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নতুন বাংলাদেশে গণ্ডগোল সৃষ্টিকারীদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে, সারা দেশের জন্য এটা খুব জরুরি। কতো ঘটনা ঘটে গেলো, সামনে আরও বহু ঘটনা ঘটবে। যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সহজে মেনে নেবে না। তারা না মানলে আমরা মানাবো। নতুন বাংলাদেশের ভেতরে যারা গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে পারে তাদেরও নিশ্চিহ্ন করবো আমরা। নিজেদের দলে নিয়ে আসবো, না হলে আইনের কাছে সোপর্দ করে দেবো। এটা হলে আমরা তাড়াতাড়ি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবো বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২১টি জুলাই শহীদ পরিবার ও সাত জন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আজ নতুন বাংলাদেশ বলতে পারছি, তাদের জন্য দেশ কী করতে পারে, তাতে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের জনগণের যে জবাবদিহি, আরেকটা পরিবর্তন, সেটা কোনও নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না। আপনার ছেলে, সন্তান, ভাই ইতিহাসের স্রষ্টা। ইতিহাসের স্রষ্টাকে সাধারণ মাপকাঠি দিয়ে, টাকা-পয়সা দিয়ে মাপা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘যে বাংলাদেশকে আমরা নতুন বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করলাম, এটা যাতে সেভাবে রাখতে পারি। এটাকে হেলায় ফেলে দিলে হবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্বক্ষণিক সাবধান থাকতে হবে, নজর রাখতে হবে। সেই দায়িত্ব আমাদের সবাইকে মিলে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের সন্তান হারালো তাদের শোকের পরিবর্তে কী আসবে সেটি আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের পক্ষ থেকে। এখানে দুটো বিষয়– একটি প্রাতিষ্ঠানিক, আরেকটি ব্যাক্তিগতভাবে। ব্যক্তির সঙ্গে আমরা কীভাবে সংযোগ স্থাপন করে দিয়ে যাবো সেটা করা। আজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আপনারা সরকারের অংশ হয়ে গেলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কারণে মুক্তিযোদ্ধারা সব এক হয়ে গেছে, কেউ আর মুছতে পারবে না। আপনারা আজ এই মন্ত্রণালয়ের অংশ হয়ে গেলেন। জুলাই স্মৃতি পরিদফতর সৃষ্টি হয়েছে, আপনারা সরকারের কাঠামোর ভেতর ঢুকে গেছেন। যত কথা বলার, দাবি করার, সরকারের ভেতরে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটা করে দেওয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ‘সরকারিভাবে যা কিছুই করা হোক এটা কেউ মুছতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধারা অত ভাগ্যবান ছিলেন না। বহু বছর লেগেছে তাদের জন্য কিছু করতে, এটা দেয় তো ওইটা দেয় না, আস্তে আস্তে দিতে দিতে বহু বছর চলে গেছে। আমরা খুশি যে প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করতে পেরেছি। সবকিছু না করতে পারলেও একটা জায়গা তো পাওয়া গেলো।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘একটা বিষয় ক্ষোভের মধ্যে এসে যায়। আমরা এবং আপনারা যদি দুইভাবে কথা বলি, এটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না। আমরা এক। আপনাদের ত্যাগের কারণে আমরা এক হয়ে গেছি। যদি এই অভ্যুত্থান না হতো আপনার-আমার সাক্ষাৎ হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। কীভাবে আপনাদের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার সেই হিসেবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আজকে ‘‘আমরা’’ আর ‘‘আপনারা’’ হয়ে গেলে এই নতুন বাংলাদেশ হবে না, বিভেদ হয়ে গেলো। এই বিভাজন ভালো না।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার কী বিতাড়িত করা গেছে? তাদের ভয়ে থাকার জন্য কি এই বাংলাদেশ গড়লাম আমরা? তাদের জয় করতে হবে, সোজা রাস্তায় আনতে হবে। এই দেশে চলতে হলে এভাবে করতে হবে, মারপিট করে হবে না। সে আমাকে পিটাবে, আমি তাকে পেটাবো, এই পিটাপিটি আর শেষ হবে না। তাদের বোঝাতে হবে তোমাদের রাস্তা ভুল। তোমরা মাফ চাও, বিচারের কাজ তো চলছেই। অনেকেই তাৎক্ষণিক বিচার চায়, এখানে মুশকিল হলো তাৎক্ষণিক এই জিনিস হয় না। তাৎক্ষণিক হতে হলে অবিচার হয়ে যায়। মূল বিষয় হল সুবিচার হতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারের কাজ চলতে থাকুক, যারা অপরাধী পুলিশের কাছে দিয়ে দাও। যথেষ্ট সাক্ষী-প্রমাণসহ তুলে দিতে হবে, অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই সংগ্রাম হয়েছে। আমরা যদি নিজেরা অবিচারে নেমে যাই তাহলে তফাৎ থাকলো কী। আমরা অবিচারে নামবো না। যারা অপরাধী তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করবো। যারা অপরাধী নয় পুলিশের হাতে দেওয়ার মতো, তাদের মানুষ করবো। আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয় তাদের সৎপথে নিয়ে আসতে হবে এ দেশে থাকার জন্য, একতার জন্য। আমরা যারা এখানে বসে আছি তারা যেন আলাদা না হয়ে যাই। দুঃখের কথা বলবো, কিন্তু বিবাদ সৃষ্টি যেন না হয়।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাতে বিশ্বশান্তি, দেশ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার সাফল্য কামনা করা হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে ২৫ মিনিটব্যাপী চলে মোনাজাত। এতে মুসল্লিদের কান্নার রোল পড়ে যায়।

আখেরি মোনাজাত ঘিরে এদিন ভোর থেকে লোকারণ্য টঙ্গী এলাকা। ময়দানে জায়গা না পেয়ে লাখো মানুষ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে শরিক হয়েছেন। টঙ্গী-উত্তরার সব সড়কে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। সবাই হাত তুলে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।

ময়দানের ভেতরে যারা জায়গা পাননি তারা সড়কেই পলিথিন ও কাগজ বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে নারী মুসল্লিদেরও অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

মোনাজাতে কায়মনোবাক্যে বারবার মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। একইসঙ্গে সব ধরনের পাপাচার, অন্যায়, অবিচার থেকে বেঁচে থাকার কথা বলা হয়। স্রষ্টার কাছে অন্তরের আত্মশুদ্ধি কামনা করা হয়। মুসল্লিরা এ সময় কান্নার স্বরে আমিন আমিন বলতে থাকেন।

মোনাজাত উপলক্ষে আজ ভোর থেকে বিশ্ব ইজতেমাগামী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। ভোর ৬টা থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড় এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারতের সাথে অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের সাথে সম্পাদিত সীমান্ত সংক্রান্ত সকল ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লীতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ২০১১ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিন বিঘা ও দহগ্রাম করিডোর নিয়ে একটি অসম চুক্তি হয়েছে। তাছাড়া মহিষাশন (ভারত)-কুলাউড়া (বাংলাদেশ) আন্তঃদেশীয় রেলপথের কুলাউড়া রেল স্টেশন সীমান্ত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত। আমরা তাদেরকে আমাদের বর্ডারের তিন কিলোমিটার ভিতরে আসতে দেবো না। সেখানে সীমান্তের সন্নিকটে কাস্টমস-সহ একটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট নির্মাণের প্রস্তাব করা হবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে হলে দুই পক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এগুলো একপক্ষে করার নিয়ম নাই। উন্নয়নমূলকভাবে একটা মসজিদ বা মন্দির করতে হলে দুই দেশের সম্মতি নেয়া প্রয়োজন৷ আগামীতে কিছু করতে হলে যেন তারা সম্মতি নেয় এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হবে৷

ভারতের সাথে সম্পর্কের আস্থা বাড়াতে বাংলাদেশ কোনো ছাড় দিবে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শুধু ছাড় দিয়ে কিন্তু আস্থা বাড়ানো যায় না। আলোচনার মাধ্যমেও আস্থা বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয়রা অনেক সময় ফেন্সিডিল-সহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করে আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দেয়। যদিও তারা বলে ফেন্সিডিলগুলো ওষুধ হিসেবে তৈরি করছে। আসলে এটা মাদক হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বৈঠকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার বন্ধের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ খুবই সোচ্চার।

৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক/ভারতীয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক সীমান্ত হত্যা/সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বা কাউকে আহত করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া বা আটক করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন বা অবৈধ পারাপার অথবা অনুপ্রবেশ বন্ধ; ভারত হতে বাংলাদেশে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হয় এরূপ চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপন; বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীসমূহের পানির সুষম বণ্টন, নদী হতে পানি উত্তোলন, পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং রহিমপুর খালের মুখ পুনঃউন্মুক্তকরণ; বিতর্কিত মুহুরীর চর এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিভিন্ন এলাকায় বর্ডার পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য 'কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা' কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন; দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানীতে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও শতভাগ যাত্রীসেবা নিশ্চিতে টিকিট কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। ফলে সোমবারের মতো আজও বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ গণপরিবহন।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা মিলছে না। আর কোথাও কোথাও বাসের দেখা মিললেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর সায়েদাবাদ, মুগদা, বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় সড়কের পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন বহু মানুষ। দু-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে উঠার মতো পরিস্থিতি নেই। অনেকেই বাসের দেখা না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন। আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা রিকশা, সিএনজি বা রাইড শেয়ারের মাধ্যমে গন্তব্যে ছুটছেন।

তবে বাসের জন্য অপেক্ষারত অনেকেই জানেন না যে, আজ সড়কে বাস চলাচল করছে না। ফলে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করে পড়েছেন ভোগান্তিতে।

ভিক্টর বাসের চালক আবুল হাসেম বলেন, গোলাপি রং করতে গিয়ে অনেক বাসই নামেনি রাস্তায়। আর ই-টিকিটিংয়ে চালক-হেলপারের ক্ষতি হচ্ছে বলে অনেকে বাস চালাচ্ছেন না।

এর আগে, গতকাল সায়েদাবাদে বাস চালক-শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন আগের মতোই যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলার দাবিতে। এতে জনপথ থেকে সায়েদাবাদ টার্মিনাল পর্যন্ত সড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।


আরও খবর

যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫