Logo
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

আগের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। তার মানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।

এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




বাংলাদেশের জনগণ তাদের পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের জনগণ তাদের ইতিহাসে পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।০৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে নৃশংস সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস ধরে গণহত্যায় লাখ লাখ সাধারণ নারী, পুরুষ, শিশু এবং যুবক-যুবতী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছিলেন। আমাদের জনগণ এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত এবং মুক্ত সমাজের আকাঙ্ক্ষা করেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। দুঃখের বিষয় হলো, গত পনেরো বছরে আমাদের জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, ধীরে ধীরে তাদের স্থান এবং অধিকার হ্রাস পেয়েছে। তারা প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গভীর ক্ষয় এবং নাগরিক অধিকার পদদলিত হতে দেখেছে। প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষের জীবন বিনষ্ট করে, যাদের বেশিরভাগই যুবক, যার মধ্যে ১১৮ জন শিশু ছিল। বাংলাদেশের মানুষ তার ইতিহাসে এক পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে।

শেখ হাসিনার দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে বিদ্রোহের নেতৃত্বদানকারী এবং দেশকে মুক্তকারী ছাত্রনেতারা আমাকে আমাদের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।

বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিমসটেক অঞ্চলের আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সরাসরি আলাপচারিতা। ১৯৯৭ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হওয়ার পর থেকে বিমসটেক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমাদের আগমনের পর থেকে আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং আতিথেয়তা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বিমসটেক সচিবালয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মহাসচিব, রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।

মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে প্রাণহানির পর থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের সরকার এবং জনগণের প্রতি তিনি আন্তরিক সমবেদনা এবং গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের ভাই বোনদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। প্রিয়জনদের হারিয়েছেন এমন পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আমি নিশ্চিত যে আপনার (পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা) দৃঢ় নেতৃত্ব এবং সরকারের প্রচেষ্টার ফলে আপনি চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।


আরও খবর



ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে আগ্রহী পুতিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া স্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে আগ্রাহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত উইটকফ। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য আগ্রহী।তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পুতিনের সাথে আলোচনার পর স্টিভ উইটকফ একথা বলেন।

ট্রাম্প মস্কো ও কিয়েভকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তবে রাশিয়ার ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বারবার আলোচনা সত্ত্বেও ক্রেমলিনের কাছ থেকে কোনও বড় ছাড় পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।

শুক্রবার, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত জানুয়ারিতে রিপাবলিকান দলের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে এটি তাদের তৃতীয় বৈঠক।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, তিনি একটি শান্তি চুক্তি উদীয়মান দেখছেন। পুতিনের দুই প্রধান উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ ও কিরিল দিমিত্রিভ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

উইটকফ বলেন, পুতিনের অনুরোধ হলো এখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তাই যুদ্ধবিরতির বাইরেও আমরা এর উত্তর পেয়েছি। এই জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমরা এমন কিছুর দ্বারপ্রান্তে এসে পড়েছি, যা বৃহত্তরভাবে বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭% শুল্ক আরোপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন, যাকে বাণিজ্য যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে অনেক দেশ। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করেছে, বাংলাদেশ কার্যকরভাবে আমেরিকান পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, এখন থেকে বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা দেশটি প্রধানত রফতানি নির্ভর, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য। 

হোয়াইট হাউস জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও চীনের মতো সবচেয়ে বেশি অপরাধী দেশগুলোর পণ্যের ওপর আরও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প বলেছেন, এটি দেশের দেশের অন্যায্য বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মুক্ত বাণিজ্যনীতির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে। দেশটির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়তে পারে।

হোয়াইট হাউস জানায়, ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ শুরু হবে ৫ এপ্রিল থেকে। এরচেয়েও বেশি হারে শুল্ক কার্যকর হবে ৯ এপ্রিল থেকে।  

চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সিএনবিসিকে জানায়, চীনের ওপর নতুন পাল্টা শুল্ক আগের ২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে, যার ফলে ট্রাম্পের এই মেয়াদে বেইজিংয়ের ওপর প্রকৃত শুল্ক হার দাঁড়াবে ৫৪ শতাংশ। আর জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ হারে শুল্ক বসবে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বসছে ৩৭ শতাংশ।

কিছু ছোট দেশের ওপর অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করা হবে। যেমন; দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ লেসোথোর পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, আর ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পণ্যের ওপর যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ ও ৪৯ শতাংশ শুল্ক বসবে।

হোয়াইট হাউসের একটি তথ্যপত্র অনুযায়ী, বেসলাইন (মূল মান) শুল্ক ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যকর হবে, এর মধ্যে প্রায় ৬০টি দেশ উচ্চমাত্রার পাল্টা শুল্কের আওতায় পড়বে। 


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




ঝালকাঠির রাজাপুরে জব্দকৃত জাটকা ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ,ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছের পোনা নিধন ও বিক্রির অপরাধে ২ জনকে জরিমানা ও আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দকৃত মাছ স্থানীয় ৪ টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।


সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাহুল চন্দ।


এর আগে রাজাপুরের তুলাতালা এলাকা থেকে ইলিশ মাছের পোনা বিক্রির সময় অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে আটক করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা।


আটকদের ভ্রাম্যমান আদালতে তোলা হলে বিচারক, মোবাইল কোর্টের মাধ‍্যমে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন ,একই সাথে জব্দকৃত ৩০ কেজি ইলিশ মাছের পোনা স্থানীয় ৪ টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।


আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বাদুরতলা গ্ৰামের বাসিন্দা আবদুল মজিদ ও উপজেলার উত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হাওলাদার।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ জানান, উপজেলার তুলাতলা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ইলিশ মাছের পোনা জব্দ করা হয়। সেগুলো চারটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



মোদি-ইউনূস বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়াও বৈঠকে সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ০৪ এপ্রিল দুপুরে দুই প্রতিবেশি নেতার মধ্যে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তুলে ধরা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’

প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে বসে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, এসব বিষয় বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হলো। এই বৈঠককে বাংলাদেশে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসাবে দেখা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ, সিএ-এর প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিমসহ অন্যান্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে অংশ নিয়েছেন ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের সরকার প্রধানরা। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা, যাতে একসঙ্গে নিরাপত্তা এবং উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিমসটেক বিপুল সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে যদি সদস্য-রাষ্ট্রগুলি সংকীর্ণ রাজনীতি এবং অভ্যন্তরীণ লক্ষ্যগুলি বাদ দিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

২০০০ সালে ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩ সালে আন্তঃবিমসটেক বাণিজ্য বেড়ে ৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর জনসংখ্যা ১৬৭ কোটি। মোট জিডিপি ২.৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার।


আরও খবর