Logo
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে তিন হাজার খোলা মাঠে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শনিবার (৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রে সকল দেশের মুসলিম সম্প্রদায় পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ৩ হাজারেরও বেশি মসজিদের ব্যবস্থাপনায় এবারে ঈদের জামাতের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আরো ৩ হাজার ঈদ জামাত এবং বাকি জামাতগুলো অনুষ্ঠিত মসজিদ ও গির্জার মিনলায়তনে।

দ্য অ্যাসোসিয়েশ অব স্টাটিস্টিশিয়ান্স অব আমেরিকান রিলিজিয়াস বডিস'র সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, গত দুই দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদ ও মুসলিম ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০০ সালের যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২ শ' ৯টি, মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ সালে পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ১শ' ৬টি এবং ২০২০ সালের সর্বশেষ গণনায় যুক্তরাষ্ট্রে মোট মসজিদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৭শ' ৯৬টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মসজিদ রয়েছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৩৪৩টি, ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩০৪টি, টেক্সাসে ২২৪টি, ফ্লোরিডায় ১৫৭টি ইলিনয়সে ১০৯টি এবং নিউ জার্সিতে ১৪১টি মসজিদ রয়েছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দেশীয় আমেজে উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করবে শনিবার (৯ জুলাই)। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি পরিচালিত মসজিদ, মসজিদ সংলগ্ন মাঠ, পার্কের মাঠে ও গির্জার মিনলায়তনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। যেসব এলাকায় মসজিদ নেই সেসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গির্জার মিনলায়তনেই জুমা ও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাংলাদেশিদের পরিচালনাধীন দুই শতাধিক মসজিদ বা তৎসংলগ্ন মাঠে ঈদ জামাত করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে জামাত এবং মসজিদগুলোতে পরযায়ক্রমে চলবে সকাল ১০টা পর্যন্ত। ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নিউ ইয়র্কের বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে। এ ছাড়া জ্যামাইকার অন্য মসজিদ, জ্যাকসন হাইটস, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ওজন পার্ক, এস্টোরিয়া, ম্যানহাটনসহ প্রায় সব এলাকার মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনবহুল ও বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, ইলিনয়স, কলারাডো, ডেলাওয়ার, জর্জিয়া, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়াশিংটন ও কেন্টাকি’র বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার ও দেড় শতাধিক খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।


আরও খবর



পাল্টে যাচ্ছ মহাদেবপুর শহর চৌমাশিয়া বাজারের চিত্র

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে, কাজ সম্পূর্ণ হলে পাল্টে যাবে উপজেলা সদর শহরের চিত্র, কমবে জন-দূর্ভোগ। ইতি মধ্যেই সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। গত বছর শুরু হওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মেষ সূচনা ঘটবে। একই সাথে পাল্টে যাবে মহাদেবপুর উপজেলা সদর শহর সহ এলাকার সড়কের চেহারা। এমনটিই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সওজ বিভাগ নওগাঁ থেকে আত্রাই, বদলগাছী, মহাদেবপুর আর মান্দা থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত ৬টি সড়কে মোট ১৪টি প্যাকেজে আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক হাজার একশ’ কোটি টাকা। মহাদেবপুর অংশে ব্যয় হবে একশ’ ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে নওগাঁ টু মহাদেবপুর হয়ে পত্নীতলা সড়কের চৌমাশিয়া বাজার (নওহাটামোড়) থেকে আখেড়া পর্যন্ত। শুধু মহাদেবপুর না ইতি মধ্যেই নওগাঁ জেলার মধ্যেমনি স্থান হিসেবে পরিচিত চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে ব্যাপক উন্নয়ন এর ছোয়াতে পাল্টে গেছে এবাজারের চেহারা। পুঠে ওঠেছে এক সুন্দর বাজার এর চিত্র। তারপরও চলমান রয়েছে আরো কাজ। কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে জনগুরুত্বপূর্ণ তিন-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার সর্বসাধারনের কাছে বিনোদন কেন্দ্র হয়ে ফুটে ওঠবে বলেই মনে করছেন মানুষজন। মহাদেবপুরে চলমান আখেড়া থেকে কালুশহর মোড় পর্যন্ত এবং কালুশহর মোড় থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতি প্যাকেজে ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। এছাড়া মহাদেবপুর কুঞ্জবন থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত ০ থেকে ৯ কিলোমিটার। 

চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত সড়কের স্বাভাবিক চওড়া হবে ১০ দশমিক ৩ মিটার অর্থাৎ ৩৪ ফুট। তবে মহাদেবপুর উপজেলা সদর এলাকায় বচনা ব্রিজের পশ্চিমে চাউল কল মালিক গ্রুপের অফিস থেকে ঘোষপাড়ার মোড় আলফা ক্লিনিকের সামনে পর্যন্ত মোট এক কিলোমিটার ৩০০ মিটার সড়ক হবে আরসিসি ঢালাই। আর চওড়া হবে ৬৮ ফুট। মাঝখানে থাকবে আইল্যান্ড। ইতিমধ্যেই এর ৬০০ মিটার ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭০০ মিটারের কাজ রয়েছে চলমান। মহাদেবপুর কুঞ্জবন থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত সড়ক হবে ১৮ ফুট চওড়া। আর বিভিন্ন বাজার এলাকায় হবে ২৪ ফুট আরসিসি ঢালাই। 

এসব সড়কে প্রয়োজনীয় স্থানে নতুন ব্রিজ ও কালভার্টও নির্মাণ করা হবে। 

পাশাপাশি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে যে মাছের মোড়ের মাছের ফোয়ারা আর চারমাথা বকের মোড়ের বকের ফোয়ারা আর থাকবেনা। এ দুটি স্থানে তৈরি হবে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারের আদলে বিশাল ইন্টারসেকশন। আগামী এক দের বছরের মধ্যেই এগুলোর কাজ শেষ হবে। এগুলো সম্পন্ন হলে মহাদেবপুর উপজেলা সদর শহরের চেহারাও পাল্টে যাবে। জাতীয় সংসদ-৪৮, নওগাঁ-৩, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এর উদ্যোগে বিশাল বাজেট এর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এমপি'র প্রচেষ্টায় ৩৪ ফুট চওড়া ঢালাই সড়ক বচনা ব্রিজ এলাকা থেকে বাড়িয়ে আখেড়া ওসমান গণির বয়লারের ওপার কালভার্ট পর্যন্ত এবং ঘোষপাড়ার মোড় আলফা ক্লিনিকের সামনে থেকে বাড়িয়ে বরেন্দ্র মোড় পর্যন্ত বর্ধিত করার চেষ্টা চলছে ৬৮ ফিট করণের। এছাড়া উপজেলা সদরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে মহাসড়কের পাশ দিয়ে নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থাও সংযোগের উদ্যোগ নিয়েছেন এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার। 

সরেজমিনে উপজেলা সদরের বুলবুল সিনেমা হল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া শিবগঞ্জ মোড়ে সড়কে আরসিসি ঢালাই দেয়া হচ্ছে। সেখানে পাওয়া গেলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর পত্নীতলা উপ-বিভাগের মহাদেবপুর এর দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী নুর আহমেদকে। তিনি জানালেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পটি শেষ হলে এলাকার সড়ক যোগাযোগে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হবে। অপরদিকে নওগাঁ জেলার মধ্যেবর্তী স্থান ও জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে ও ব্যাপক উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতীতে এগিয়ে চলেছে। কাজ সব সম্পূর্ণ হলে এবাজার এর চেহারাও পাল্টে যাবে বলেই বলাবলি করছেন সর্ব-সাধারন।


আরও খবর



নওগাঁয় চোর চক্রের ৮ জন সক্রিয় সদস্য আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ব্যাটারি চালিত চার্জার ভ্যান চোর চক্রের সক্রিয় আট সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের রবিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়।

এর পূর্বে শনিবার গভীর রাতে নওগাঁর মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাদের চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যদের আটক ও চোরাই ভ্যান উদ্ধার করেন মান্দা থানা পুলিশ।

মান্দা থানা পুলিশের অভিযানে রাতে ২ টি সহ মোট ৩ টি চোরাই ভ্যান উদ্ধার হয়।

আটককৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (৪০), সাংশইল তেলিহারী গ্রামের মোকছেদুল ইসলাম (৩০) ও একই এলাকার শাহিন আলম (২৫), পীরপুর চৌরা গ্রামের রুবেল ওরফে রবিউল ইসলাম (২৯), মানিক পাঠান গ্রামের শহিদুল ইসলাম দেওয়ান (৩৪) ও মান্দা উপজেলার চকরঘুনাথ গ্রামের জামিনুর রহমান (৪৫), চককেশব গ্রামের মিঠু প্রামাণিক (২৫) ও বানিস্বর গ্রামের রুবেল মোল্লা (২৭)।  

পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বান্দাইপুর এলাকায় চোর সন্দেহে একটি চার্জার ভ্যান সহ ৩ জনকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে চার্জার ভ্যানটি বিজয়পুর এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ামতপুর উপজেলার সাংশইল গ্রামের নিয়ে যাচ্ছিল। এ সংবাদ পেয়ে মান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে চোরাই ভ্যান সহ আটক ব্যক্তিদের থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।  

এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী জানান, আকতার হোসেন নামের এক ব্যক্তির চার্জার ভ্যান চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বান্দাইপুর এলাকায় ৩ জনকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। তারা চার্জার ভ্যান চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য।  

তিনি আরো জানান, তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক থানার এস আই নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম নিয়ামতপুর ও মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরো ৫ জনকে গ্রেফতার সহ চোরাই আরো দুটি ভ্যান উদ্ধার করে। ঘটনায় মামলার পর রবিবার গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



লিবিয়ার পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মৃত্যুপুরী লিবিয়ায় বন্যা দুর্গতদের মানবিক সহায়তায় জরুরি ত্রাণ-সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার মানুষের সাহায্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০ জে পরিবহন বিমান প্রয়োজনীয় ত্রাণ-সামগ্রী ও ওষুধসহ দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করে।

সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক বিমানটির লিবিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ উপলক্ষে ব্রিফ করেন। এ সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুলমুতালিব এসএম সুলাইমান উপস্থিত ছিলেন।

ওই পরিবহন বিমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ত্রাণ-সামগ্রী হিসেবে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাঠানোর কথা জানানো হয়। সেনাবাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী উল্লিখিত বিমানে লিবিয়ায় পাঠানোর কথাও জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বাংলাদেশের দেওয়া চিকিৎসা ও অন্যান্য সামগ্রীর লোডিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানি, বিভিন্ন স্থাপনাসমূহের ক্ষয়ক্ষতিসহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের তাণ্ডব এবং আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ হাজার ৩০০ জনে। এ ছাড়া ২০ হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। খাবার, জ্বালানি, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পর্যাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আশ্রয়ের অভাবে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা পরবর্তী সময়ে লিবিয়ায় এক সংকটময় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বন্যার পর দেরনা শহর ভবিষ্যতের জন্য আর বাসযোগ্য থাকবে না। শহরটির অন্তত ৮০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেরনায় যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগই এড়ানো যেত। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের প্রধান পেটেরি তালাস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, যদি স্বাভাবিক কোনও অপারেটিং আবহাওয়া পরিষেবা থাকত, তাহলে তারা সতর্কতা জারি করতে পারত। আর সেটি হলে জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হতো।


আরও খবর



এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বাসসেবা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) চালু হলো বাস। সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির আটটি বাস দিয়ে শুরু হলো এ সেবা।

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিআরটিসির বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সঙ্গে ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। উদ্বোধনের পর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে প্রথম বাস উত্তরার জসীমউদ্‌দীন রোডের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এই বাস অনেকটা শাটল সার্ভিসের মতো। অর্থাৎ শুধু উড়ালসড়ক কেন্দ্র করে চলবে। ফার্মগেটের খেজুরবাগানের কাছ থেকে বাসগুলো ছাড়বে। এরপর উড়ালসড়ক দিয়ে উত্তরার জসীমউদ্‌দীন রোড হয়ে খেজুরবাগান এলাকায় ফিরে আসবে। এভাবে সকাল ৭টা থেকে সারা দিন চলবে বাসগুলো। রাত পর্যন্ত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে, ততক্ষণ চলবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাড়ে ১১ কিলোমিটার উড়ালসড়ক পাড়ি দিতে ১২ থেকে ১৩ মিনিট লাগছে।


আরও খবর

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বকশীগঞ্জে বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। শুক্রবার দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন করে। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগরের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ক্বারী,যুগ্ম আহবায়ক শান্তি বেগম,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বিপ্লব সওদাগর,পৌর যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহিদুল হক দুলাল,সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান ও বাট্টাজোড় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ ও  ওলামা দল নেতা মওলানা রুহুল আমিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,হামলা মামলা করে আমাদের আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। নির্দদলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন না দেয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আপনাদের ভয়ের কোন কারন নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা গনতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো।


আরও খবর