Logo
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর তাণ্ডব, মৃত্যু-১৫

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


ভয়াবহ টর্নেডো ও ঝড়ের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঙ্গরাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন। টর্নেডোর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। 


 সোমবার (২৭ মে) সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওকলাহোমা, টেক্সাস এবং আরকানসাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র টেক্সাসেই মারা গেছেন ৭ জন।


শনিবার গভীর রাতে সাউদার্ন প্লেইনস অঞ্চলে ঝড় আঘাত করে। এতে কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।



টেক্সাসের কুক কাউন্টির শেরিফ রে স্যাপিংটন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ডালাসের উত্তরে ভ্যালি ভিউ এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে সাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবিসির শাখা ডব্লিউএফএএর প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে।


টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট চারটি কাউন্টির জন্য একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এতে যেসব মানুষের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তার জন্য কর্মী নিযুক্ত করা এবং অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।



টর্নেডো ও ঝড়কে কেন্দ্র করে কিছু বাড়িঘর এবং একটি গ্যাস স্টেশন ধ্বংস হয়ে গেছে। একটি সড়কে কিছু গাড়ি উল্টে গেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর তাণ্ডব

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর তাণ্ডব

শনিবার গভীর রাতে মায়েস কাউন্টিতে টর্নেডো আঘাত হানলে কমপক্ষে দুজনের মৃত্যু হয়। 


কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান জনি জ্যানজেন তুলসাতে ফক্স নিউজ–সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেছেন।


রোববার ভোরে আরকানসাসে ঝড়ে পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবিসির স্থানীয় স্টেশন কেএটিভিকে কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং গাছপালা উপড়ে গেছে। কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।


মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ বলেন, কেন্টাকির লুইসভিলেতেও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের কারণে ইন্ডিয়ানাপোলিস ৫০০ নামের কার রেস শুরু হতে চার ঘণ্টা দেরি হয়েছে।  তখন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ–বিভ্রাটবিষয়ক তথ্য সংগ্রহকারী ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ঝড়কে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৪৯ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।


এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় টর্নেডোজনিত সতর্কতা বহাল রাখা হয়েছে।


আরও খবর



সবজির দাম ঊধ্বমুখী, স্বস্তিতে আলু-পেঁয়াজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ৮০ টাকার নিচে সবজির কেজি মেলাই ভার। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে স্বস্তিতেই রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দাম।০৪ এপ্রিল রাজধানীর বাড্ডা এলাকাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০, করলা ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা ৮০-৯০ টাকা, ঢেড়স ৭০-৮০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৯০ টাকা, শশা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে পাট শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, ডাটা শাক ১৫-২০ টাকা, পালং ২০-২৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটির কারণে বাইরে থেকে খুব বেশি পণ্য আসছে না। তাই আড়তে দাম বাড়তি। এ কারণে খুচরা বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে সামনে সপ্তাহে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেছে আদা রসুনের দাম। নতুন রসুন ৮০-১০০ টাকা ও আদা ১৫০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাড়তি রয়েছে আমদানি করা আদা রসুনের দাম।

অপরদিকে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মাছ-মাংসের বাজারে। গত সপ্তারে ঈদের বাজারের তুলনায় কিছুটা কমেছে দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ২২০ টাকা ছাড়ালেও আজ তা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ৩৩০-৩৬০ টাকা। অন্যদিকে ফের ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

মাছের বাজারে সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গেল সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এছাড়াও ৫০০-৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড় তার দাম ততো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সোনামুখি বিলের পদ্মফুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

যশোরের শার্শায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হরিনাপোতা গ্রামের সোনামুখি বিলের গোলাপি রঙের পদ্মফুল। ফলে সকাল ও বিকেলে মানুষের আনাগোনায় জায়গাটি নান্দনিকতা পেয়েছে।

দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া ঘর থেকে শুধু দুপা ফেলিয়া। ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক ভালোবাসার প্রতীক ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুজে পাওয়ায় মুশকিল। তাই বাড়ির পাশে ফোঁটা গোলাপি পদ্মের সৌন্দর্য উপ়ভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাশু মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সোনামুখি বিলের গোলাপি পদ্মের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে দূরদূরান্ত থেকেও ছুটে আসছে ভ্রমন পিপাশু মানুষও।

এখন বৈশাখ মাস তাই সোনামুখি বিলে পানি নেই, অথচ কাদামাটিতে ফুটে আছে লাখো লাখো পদ্মফুল। দেশীয় পাখির কলকাকলীতে মুখরিত চারি দিক।এমন দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে ব্যাস্ত এই বিলে বেড়াতে আসা প্রতিটি মানুষ,কেউ মোবাইল দিয়ে আবার কেউবা দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে। কেউ কেউ টিকটকও করছেন। অনেক মুখ পরিচিতি ইউটিবারও আসেছেন এ বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কন্টেন্ট তৈরি করতে।

পদ্মফুল দেখতে আসা শার্শার জামতলার নুরে হাবীব জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদ্মবিলের ছবি দেখেছি। আশেপাশে বেড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই। ঘরবন্দি সময় কাটাতে হচ্ছিল। এখানে এসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।

ইউটিবার রানা আহমেদ বলেন, আমি গোলাপি পদ্মের সংবাদ পেয়ে এই প্রাথম বার এখানে এলাম, আসার পরে দেখি যা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি পদ্ম। একটা বিষয় আমাকে খুবই অবাক করেছে, পানি ছাড়া এমন লাখো পদ্ম কিভাবে ফুটলো? জায়গাটা এতটাই নিরিবিলি এতটাই সুন্দর আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। বিশেষ করে মানুষের বিরুপ আচারণের ফলে অপরুপ গ্রাম বাংলার রুপ হারাতে বসেছি আমরা। তাই আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিৎ যেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের বিরুপ আচরণে বিলুপ্ত হয়ে না যায়।


আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাদা ও চাচা কর্তৃক শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে দাদা ও চাচার বিচার দাবিতে শুক্রবার ১৮ এপ্রিল নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা'র স্বজনরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা (১৬) এর মামা ফজলুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সানজিদা'র মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামানিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল ও মামা হামিদুল প্রামানিক।

লিখিত বক্তব্যে স্কুল ছাত্রী সানজিদার মামা ফজলুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী কিশোরী সানজিদা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে ও উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী ছিলো। সানজিদার

বাবা দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরবে ও আরব আমিরাত (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল তার বসত-ভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মা বসবাস করাকালে সেই জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এতে প্রবাসী শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধা দেয় এবং বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গাঁয় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বলে আসছিল। এনিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এরপর থেকে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মায়ের সাথে তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক বিরোধ লেগে থাকতো। সেই জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে সানজিদার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে স্কুল ছাত্রী সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। 

এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সানজিদার দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন। এসময় আরে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সানজিদা প্রাইভেট পড়ে সকাল ১১টারদিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে এক পর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর করে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় মেয়ে সানজিদাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঐ দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক স্কুল ছাত্রী সানজিদা হত্যায় জড়ীত তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের বিচার দাবি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। অপরদিকে এব্যাপারে জানতে চাইলে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ

শাহাবুদ্দীন বলেন, ঐ ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে যেহতু রাজশাহী রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে এবং ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এর পরি-প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় জুয়ার আসর থেকে মদ্যপ অবস্থায় ৪ জন আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলায় বৈশাখী মেলা থেকে সেনা বাহিনীর অভিযানে জুয়ার আসর থেকে মদ্যপ অবস্থায় ৪ জন হাতেনাতে আটক।বুধবার পূর্বরাত সাড়ে ১২টারদিকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত ৪ জন হলেন, নওগাঁ সদর থানাধীন বরুনকান্দি গ্রামের খাদিমুলের ছেলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (৫৪), লকাইজানী গ্রামের মৃত খুদা বক্সের ছেলে পিন্টু (৪৪), একই গ্রামের পিন্টু হোসেনের ছেলে তামিম (১৮) ও কুসাডাঙ্গা গ্রামের মৃত চেরু মন্ডলের ছেলে কলিম উদ্দিন (৬৮)।

জানা যায়, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নওগাঁ সদর উপজেলার লখাই জানি বাজারের পাশে বৈশাখী মেলা চলছিল। এ মেলায় প্রশাসনের অগোচরে নিসিদ্ধ জুয়া খেলা চলচ্ছিল। ডিজি এফ আইয়ের এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে মেলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখে বেশ কয়েক জন পালিয়ে গেলেও ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় জুয়া খেলার সামগ্রীসহ তাদেরকে মদ্যপান অবস্থায় আটক করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এবিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে থানায় সোপার্দ করেছেন তবে কেউ বাদী না হওয়ায় আটককৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মাত্র ১৫ মিনিটে ছাতা তৈরি করেন ঈমান আলী

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সামনে বর্ষাকাল আর বর্ষা এলেই বেড়ে যায় ছাতার চাহিদা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে বর্ষায় ছাতা মাথায় ঘোরাফেরা।

যুগের আবর্তনে ছাতা তৈরিতে এসেছে নতুনত্ব এবং গ্রাম থেকে শহরে সব স্থানে বেড়েছে এর চাহিদা। এ ছাতা তৈরির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহের এক সংগ্রামী কারিগর।

নাম ঈমান আলী, বয়স ৭০ বছরের বেশি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা সেরে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে হালকা পাতলা গড়নের শরীর নিয়ে হেলেদুলে হেঁটে দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে শহরের দোকানে যান ঈমান আলী।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে তিনি ছাতা তৈরি করে আসছেন। শহরের একটি দোকানে ছাতা তৈরি করেন। ঈমান আলীর কাজের স্পৃহা দেখে অভিভূত বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা। অনেকের কাছে এটা গল্পের মতো মনে হয়।

ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ঈমান আলী মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে দিয়ে একটার পর একটা ছাতা তৈরি করে যাচ্ছেন। সামনে ঈদ এবং গরম পড়তে শুরু করেছে, হবে বৃষ্টিও। সেজন্য ছাতার চাহিদা বেড়েছে। ফলে বেড়েছে কাজের চাপ।

ঈমান আলীর বলেন, আমার চাচার কাছ থেকে ছাতা তৈরি করতে শিখেছি। আমাদের সময়ে মানে স্বাধীনতার আগে তেমন কাজ পাওয়া যেতো না। সেই সময়টাতে আমার চাচা ভালো ছাতা তৈরি করতেন। তখন চাচার সঙ্গে থেকে ছাতা তৈরি করতে শিখেছি। বলতে পারেন, কিছুটা বাধ্য আর কিছুটা নেশায় পড়ে এ পেশা বেছে নেওয়া।

তিনি আরও বলেন, ছাতা বানানো এখন আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। আমি এখন কাজ না করে থাকতে পারি না। আমার কাছে এ কাজটা এখন খুবই সহজ লাগে। এখন আমার একটা ছাতা তৈরি করতে সর্বোচ্চ সময় লাগে ১৫ মিনিট। আমি একদিনে প্রায় ৩৬-৪৮টা ছাতা বানাতে পারি। আমার তৈরি করা ছাতা চলে যায় গ্রামের হাট-বাজারে। সেখানে এসব ছাতা খুচরা দামে বিক্রি করা হয়। আগে আমি বাইরে বসে ছাতা তৈরি করতাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ময়মনসিংহ নগরের ছোটবাজারের এ ছাতার দোকানটিতে কাজ শুরু করি, এখনো করছি। বর্তমানে দিনে ছাতা বানিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয়।

আমি বছরের নয় মাস ছাতা তৈরি করি। আর বাকি তিন মাস অন্য কাজ করি। ফাল্গুন থেকে শ্রাবণ এ চার মাস ছাতার চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সময়টাতে বেশি ছাতা বিক্রি করা হয়। ছাতা বানিয়ে আমার পাঁচ সন্তানকে বড় করে বিয়ে দিয়েছি। কাজ করতে করতে এখন ছাতা তৈরি করা আমার এক রকম নেশায় পরিণত হয়েছে।

ঈমান আলীর মেজো ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০) বলেন, আমার বাবা আমাদের জন্মের আগে থেকে ছাতা তৈরির কাজ করেন। আমাদের তিনি এ কাজ করে বড় করেছেন।

ঈমান আলীর ছোট ছেলের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, আমার শ্বশুর খুবই সহজ সরল একজন মানুষ। তিনি তার কাজ করে আনন্দ পান। তিনি এতই কাজ পাগল একজন মানুষ যে দোকানে না গেলে ভালো লাগে না।

ঈমান আলী যে দোকানে কাজ করেন নব-ছাতা দোকানের মালিক নব কুমার সাহা বলেন, ঈমান আলী খুবই সৎ এবং কাজ পাগল মানুষ। তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখনও আমাদের দোকানে ছাতা তৈরি করে আসছেন। তার কাজের দক্ষতা অসাধারণ। আমরা তার মতো একজন কর্মী পেয়ে খুবই খুশি।


আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫