Logo
শিরোনাম

১১ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় শিশু একাই স্লোভাকিয়ায় পৌঁছেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরোজিয়ে শহরের এক ১১ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় শিশু একাই প্রতিবেশী দেশ স্লোভাকিয়ায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে যে শিশুটি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সঙ্গ ছাড়াই একা স্লোভাকিয়ায় পৌঁছেছে। আরও জানা গেছে যে সে সুস্থ অবস্থাতেই সেখানে পৌঁছেছে।


মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার হাসি, সাহসিকতা এবং একজন সত্যিকারের নায়কের সংকল্প দিয়ে সবার মন জয় করেছে সে। তার পরিবারের পক্ষে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় সে একাই ভিন দেশে পাড়ি দেয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ৬ মার্চ টুইট করে জানিয়েছেন যে ১০ দিনের ব্যবধানে ইউক্রেনের যুদ্ধ মোট ১.৫ মিলিয়ন মানুষকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।

ইউক্রেন থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণ করেছে পোল্যান্ড। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, মোট ১,৭৩৫,০৬৮ জন সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত মধ্য ইউরোপে সীমান্ত অতিক্রম করেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। ইউক্রেনের বেশিরভাগ পুরুষ দেশের হয়ে যুদ্ধে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে দেশেই রয়ে গেছেন। খবর জি নিউজের।


আরও খবর



ফের অস্থির ডিমের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


ফের অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। রাজধানীর খুচরা বাজারে গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।


শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, মালিবাগ, নিউমার্কেট, হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। যা মাসখানেক আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।


এদিকে ডিমের দাম বাড়ার বিষয়টি বাজারদরের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি)।


ডিম ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত কিছু দিনে সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে খামারে অনেক মুরগি মরে গেছে। এতে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।



ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, এক মাস আগে রমজানের সময় ডিমের চাহিদা কম ছিল। তখন দামও কমেছিল। এখন ডিমের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু ডিমের উৎপাদন কমেছে। এরফলে বেড়েছে ডিমের দাম।


তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হালিপ্রতি ডিমের দাম যা বেড়েছে, তা অস্বাভাবিক। আমাদের কিছু করার নেই।


কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিমের উৎপাদন খরচ হিসেব করে একটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৪৯ পয়সা হতে পারে বলে জানিয়েছে। গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। সেখানে ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা।


এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মোহসিন বলেন, গরমের কারণে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে ডিমের দামের ওপর।


তিনি বলেন, বাজারে সবজি ও মাছের দাম বাড়ায় ভোক্তারা ডিমের প্রতি বেশি ঝুঁকেছে। ডিমের দাম বাড়ার এটিও একটি কারণ বলে মনে করেন তিনি।


এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী কোল্ড স্টোরেজে ডিম সংরক্ষণ করেছে। এখন সেই ডিম তারা বেশি দামে বিক্রি করছে। এ কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। এমন অভিযোগ প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদারের।


ভোক্তারা বলছেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। 


বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিবার নিয়ে টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



আসছে ঘূর্ণিঝড়, দেশজুড়ে কালবৈশাখীর সতর্কতা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যারমধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকালে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কিন্তু আমরা বলেছি- চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। হয়তো ১৫ তারিখের পর থেকে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুইটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেই লঘুচাপ থেকে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা আছে।

এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতের প্রবণতার ধারাবাহিকতা এই মাসের ১১-১২ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া শনিবার আমরা কালবৈশাখীর একটি সতর্কবার্তা জারি করেছি। আগামী ৭২ ঘণ্টা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড়, দমকা হাওয়া, ঝড়ো হাওয়া ছাড়াও বজ্রঝড় এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ সময় সবাইকে বজ্রপাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকায় ৩৬ মিলিমিটার ও চট্টগ্রামে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, খুলনা বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে আজ আমরা আশা করছি খুলনা বিভাগে বৃষ্টিপাত বিস্তার লাভ করবে।

তাপপ্রবাহের দাপট কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী ১২-১৩ তারিখ পর্যন্ত দেশে তেমন আর তাপপ্রবাহ আশা করছি না।


আরও খবর



অর্থনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ডলার সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডলারের কবজায় এখন দেশ আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়), রাজস্ব আয়সবই নিয়ন্ত্রণ করছে এই ডলার সরকার কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোভাবেই একে বাগে আনতে পারছে না সব নীতি-কৌশল আর কড়াকড়ি সত্ত্বেও বাড়ছে ডলার খরচ, কমছে এর মজুত আইএমএফের কঠিন শর্তে উচ্চ সুদের ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে অর্থনীতির অনেক খাতের প্রসার সংকুচিত করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না সরকার ডলারের কারণেই অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে জনজীবনও অনেকটা বিপর্যস্ত এই সুযোগে রাজনীতিও উত্তপ্ত

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ডলার সংকট এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সীমাবদ্ধ নেই; বরং বস্তি থেকে ওপরতলার হেঁশেল, চায়ের টেবিল থেকে মন্ত্রিপাড়াসবখানেই উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে তাদের মতে, ডলারের মজুত না বাড়ালে আর আমদানি দায় শোধ করার সক্ষমতা না বাড়লে, সরকার-উদ্যোক্তা কেউই হাত খুলে খরচ করতে পারবে না ফলে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানের স্থবিরতা কাটবে না

অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মতে, আমদানিনির্ভর অর্থনীতির অন্যতম শক্তিশালী চালক রিজার্ভ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার নেতৃত্বে আছে ডলার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সহনীয় হয়ে আসার পর বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় টান পড়লে দাম বাড়তে থাকে মার্কিন ডলারের এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আগুনে ঘি ঢালে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করায় ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়তে থাকে অর্থনীতিতে কম পণ্য আমদানি করেও বেশি ডলার খরচ করতে হয় ওই সময় থেকেই মজুত ভেঙে দায় শোধ করতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক একই সময়ে রপ্তানি আর প্রবাসী আয়ে ভর করে যেভাবে ডলারের মজুত স্থিতিশীল রাখার কথা, সেটা ধরে রাখা যায়নি সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করেছে, কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করেছে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে ডলারের বাজারে নৈরাজ্য ঠেকাতে অভিযানও চালানো হয়

একের পর এক পদক্ষেপ নিতে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সময়ে মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও ফল হয় উল্টো এতে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দরে বড় পার্থক্য রয়ে যায় প্রবাসীরা বৈধ পথে ডলার পাঠানোর বদলে হুন্ডির দিকে ঝোঁকেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমতে কমতে এখন সরকারি হিসাবেই ৩৪ বিলিয়ন ডলার  আইএমএফের হিসাবে ২৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেন, ডলার একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা। এর সংকট স্বীকার করেই আমাদের চলতে হবে। এটিকে একেবারে বাদ দিয়ে চলতে পারব না। সহজ কথা হলো, ডলার সাশ্রয় করতে হবে, আয়ও করতে হবে। আয় করার জন্য রপ্তানি বাড়াতে হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। আরও প্রণোদনা দিয়ে আয়টা বাড়ানো সম্ভব। ডলার আমরা ছাপতে পারব না। তা কামাই করেই আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমদানিনির্ভরতার কারণে আমাদের ডলার প্রয়োজন। আমরা যদি স্থানীয়ভাবে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ নিজেরা উৎপাদন করতে পারি, তাহলে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমবে।

ডলারের জন্য ব্যাংকগুলোতে হাহাকার চলছে। জানা গেছে, অন্তত ২০টি ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় আমদানি ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। এতে প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিও কমছে। ডলারের উচ্চ মূল্যের সঙ্গে ঘাটতির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল যন্ত্রপাতির আমদানি। এলএনজি আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি তেল আমদানিতেও সংকট। সরকার প্রায় দ্বিগুণ দাম বাড়িয়েও আমদানির ঋণপত্র খোলার প্রয়োজনীয় ডলার পাচ্ছে না। জ্বালানি তেল গ্যাস আমদানি সীমিত হওয়ায় এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে পণ্য উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য রপ্তানিতে। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ২৫-৩০ শতাংশ

উদ্যোক্তাদের লোকসান বাড়ছে। তারা এখন বেশি দাম দিতে রাজি থাকলেও এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। 
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, জ্বালানি সংকট চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক মানুষ কাজ হারাবে। গত সপ্তাহে মেইড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান জ্বালানি সংকটে পোশাকশিল্পের চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন

বিশ্বমন্দার কারণে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারেও প্রভাব পড়েছে। রপ্তানির আদেশ কমে যাওয়ায় আয়ও কমেছে। দেশে ডলারের দরের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এবং ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে দর বেশি হওয়ায় প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। গুজবের কারণে প্রবাসীরা চলতি মাসেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করলেও আস্থা ফেরেনি

মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর দেখে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। কাতারপ্রবাসী ব্যবসায়ী ফরহাদ আহমেদ মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার জানান, ব্যাংকে টাকা পাঠালে তা ঠিকমতো পাওয়া যাবে কি না, নিয়ে অনেক প্রবাসীই উদ্বিগ্ন। সরকারের ঘোষণার পর কেউ কেউ কিছুটা মনোবল পেলেও অনেকেই পুরো আস্থা ফিরে পাননি। যদিও তাঁরা নিজেরা ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা পাঠান বলে জানিয়েছেন

জানা যায়, হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে বিবৃতি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে, সেটা মাস শেষে জানা যাবে। এরই মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩০টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন স্থগিত করেছে। তাদের পরিবার মুচলেকা দিলে ওই সব হিসাব চালু করার শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডলার সংকটে ব্যয় বাড়লেও পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে। আমদানি থেকে আহরিত শুল্ক আয়ে প্রায় ধস নেমেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের আয় কমছে। আয়কর, ভ্যাট দেওয়ার হারও কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই প্রায় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘাটতি আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান

ডলার সংকটে কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপের প্রভাবে ব্যক্তি খাতের উদ্যোগের প্রবৃদ্ধিতেও ধাক্কা লাগছে। কাঁচামালে টান পড়েছে। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এটা পণ্য উৎপাদন সেবায় কতটা ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করছে, তার চিত্রও সামনে স্পষ্ট হবে

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ডলার সংকট দীর্ঘায়িত হলে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হবে, রপ্তানি কমে যাবে। পরিণামে তা ডলার সংকটকে আরও কঠিন করে তুলবে। জন্য তিনি রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করেন

ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পর্ষদ পরিচালক অর্থনীতিবিদ . জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলার সব সময়ই বিশ্বে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সংকটের সময় এটা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। বাংলাদেশ ক্রমে এর রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। সংকট কাটাতে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে হবে। জন্য রেমিট্যান্সে জোর দিতে হবে। প্রথম কাজ হলো এমএফএসগুলোকে কাজে লাগানো। এর জন্য প্রবাসী-অধ্যুষিত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। তিন আরও বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি চক্র বিদেশে বসে কারসাজি করে। বিদেশি মিশনের গোয়েন্দাদের কাজে লাগিয়ে এদের রোধ করতে হবে


আরও খবর



তিন মাস ধরে দুবাইয়ের হিমঘরে পরে আছে রাণীনগরের মিন্টুর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার এনায়েতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত্যু জামাল জোয়ারদারের ছেলে মিন্টু হোসেন। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে আর দশজনের মতো পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকার আসায় তিন বছর আগে দুবাই পারি জমান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেখানে হাসপাতালের হিম ঘরে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে পরে রয়েছে মরদেহ। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে পারছেননা স্বজনরা। ফলে একদিকে স্বজন হারানোর শোক অন্যদিকে অর্থাভাবে মরদেহ আনতে পারার বেদনা পরিবারকে যেন ঘোর হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

মিন্টুর মামা আব্দুল মতিন জানান,মিন্টুর স্ত্রী-দুই মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল। মাথাগোঁজার ঠাই ছাড়া আর কোন সম্পদ নেই তার। শ্রমীকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো মিন্টু। এরই মধ্যে স্বপ্ন জাগে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাল চলার। গত ২০২১সালে ধার-দেনা করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে দুবাই যান মিন্টু। সেখানে যে কোম্পানীর ভিসায় গিয়েছিলেন সেই কোম্পানীতে কাজ না থাকায় অন্যত্র চলে যান মিন্টু। কিন্তু কোম্পানীর লোকজন পাসপোর্ট আটকে দেয়ায় অবৈধ হয়ে পরেন। তার পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও পাসপোর্ট-ভিসা হাতে পাননি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলেও সুষ্ঠু বেতন পায়নি। এরই মধ্যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরলে দুবাইয়ের আজমানস্থ খলিফা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ফেব্রæয়ারী মারা যান মিন্টু। এর পর মৃত্যুর খবর এপর্যন্ত পরিবারের লোকজন জানতে না পারলেও গত ১০মে এক স্বজনের মাধ্যমে মিন্টুর মৃত্যুর খবর জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকে তার মরদেহ দেশে ফেরাতে নানা চেষ্টা করছেন পরিবারের লোকজন। আব্দুল মতিন জানান, কোম্পানীর আওতায় থাকলে কোম্পানীর খরচে তার মরদেহ দেশে আসতো। কিন্তু অবৈধ থাকার কারনে নিজ খরচে মরদেহ দেশে আনতে হচ্ছে। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যায় হবে। যা পরিবারের পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। নগদ একাউন্ট নাম্বার- ০১৭৩৫ ১৯১৭৭৩(স্ত্রী),বিকাশ একাউন্ট নাম্বার-০১৭৮৩ ৮৪০৭৪৪(মামা)।


আরও খবর



থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা কুশল বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এদিন সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড।

বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতিসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পাশাপাশি শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।


আরও খবর