Logo
শিরোনাম

৩ মাস ১৭ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে ১৪৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

উচিংছা রাখাইন কায়েস, রাঙ্গামাটি ঃ

দীর্ঘ তিন মাস ১৭ দিন বন্ধ রাখার পর গত মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে বৃহত্তর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ। প্রথম দিনেই রাঙ্গামাটি বিএফডিসি ৪ টি ল্যান্ডিং ঘাট রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই, মহালছড়ি ও মারিশ্যা ঘাটে ১৪৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা। তবে বরফ ও পরিবহন সংকট এবং প্যাকেজিং সমস্যার কারনে ব্যবসায়ী মারাত্মক ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার মধ্য রাত ১২ টা থেকে কাপ্তাইহ্রদের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকে জেলেরা হ্রদে মাছ শিকার শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাছ আসতে শুরু করেছে ঝাকে ঝাকে কাচকি চাপিলা সহ ছোট জাতের মাছ। দীর্ঘদিন পর মাছ আহরণ শুরু হওয়ায় ফিরে পেয়েছে দীর্ঘদিনের কর্মচাঞ্চল্য। সকাল থেকে ব্যবসায়ীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে মাছ প্যাকিং করে রপ্তানী শুরু করেছে। তবে হ্রদের পানি কম হওয়ায় বিপুল পরিমান ধরা পাচ্ছে। আগামী কিছু দিনের মদ্যে মাছ শুন্য হওয়ার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।

সাধারণ ব্যাবসায়িরা জানান রাঙ্গামাটি বিএফডিসির মুল সমস্যা হচ্ছে স্থান সংকুলান। যতগুলো ব্যাবসায়ী রয়েছে সে পরিমাণ জায়গায় না থাকায় সময়স্যায় পড়তে হয়েছে।  ইতিমধ্যে জয়গা না থাকার ফলে বোটের মধ্যে মাছ নষ্ট হয়ে গেছে।  বিকালে কয়েকটি ব্যাবসায়ী প্রায় দেড় শতাধিক ড্রাম মাছ নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে জানান। 

কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর জানান, দীর্ঘদিন পর মাছ শিকার শুরু হওয়ায় আমরা সকলেই খুশী। তবে মাছের সাইজ খুবই ছোট। এই মাছ ঢাকায় যেতে যেতে দাম কী রকম পাবো তা জানি না। আশা করছি আগামী দিন গুলোতে বড়ো মাছের আধিক্য বাড়বে ব্যবসাও ভালো হবে। 

এদিকে রাঙ্গামাটি মৎস্য ব্যবসসায়ী সমবায় সমিতি উদয়ন বড়–য়া, এবছর ব্যবসায়ীরা খুবই ক্ষতির দিকে রয়েছে। যেমন পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। তেমনি সকল সেক্টরে মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। হ্রদে নাব্যতা কমে যাওয়ায় বেশী দিন মাছ শিকার করতে পারবে তাও আমাদের মনে হচ্ছে না। হ্রদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে আমরা বার বার তাগিদ দিলেও কোন কর্ণপাত হয়নি। তিনি বলেন, হ্রদের মাছ শিকার শুরু হয়েছে। কর্ম চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পানি কম থাকায় মাছ ও বেশী ধরা পড়ছে। তার পরও আমরা বিএফডিসির সাথে সমন্বয় করে একটি টাইম আমরা মাছ শিকার থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছি সকল ব্যবসায়ীকে। আশা করছি সকলেই আই নিষেধজ্ঞা মান্য করবে। প্রতিদিন বিকাল ৩ টা পর্যন্ত মাছ ল্যান্ডিং হবে রাতে আর কোন মাছ আসবে না। বিএফডিসি রয়েল্টি বাড়িয়ে দেয়ায় আমাদের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। 

বিএফডিসির ব্যবস্থাপক কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণ ও বাজার জাত করণের সুবিধার্থ্যে ল্যান্ডিং প্যাকিং করে প্রায় আজ বিকাল পর্যন্ত ১৪৫শ মেট্রিক টন মাছ বাজার জাত করতে পারবে। আজ বিকাল ৩ টার পর থেকে মাছ ল্যান্ডিং করা হয়েছে। আবার আগামীকাল সকাল ৬ টা থেকে আবারো মাছ ল্যান্ডিং শুরু হবে। সেই চিন্তা ভাবনা করে মাছ শিকার করতে জেলেও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছেন। 

কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গত ১ মে থেকে ৩ মাসের জন্য হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ গত মধ্য রাত থেকে শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের সাথে জড়িত প্রায় ২২ হাজার জেলে পরিবার ও ব্যবসায়ী সহ প্রায় ৫০ হাজার পরিবার সুখের মুখ দেখছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

 বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



হজযাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া যাবে না কোরবানির টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে কুরবানির অর্থ না নেওয়ার জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন না পাঠানোসহ কতিপয় বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ার করেছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি পত্র জারি করেছে।

পত্রে জানানো হয়, গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ওই সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকেরা অংশগ্রহণ করেন।

ওই সভায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগে কুরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছা মাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কূপন ক্রয় করে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কুরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কুরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের খাউলিয়ায় মারপিটে দিনমজুরের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে রাসেল মুন্সী বাদি হয়ে মো. কালাম গাজী, কবির হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৫.৪.২০২৪।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর নূর ইসলাম মুন্সী প্রতিবেশী মো. কালাম গাজী ও মোঃ কবির হাওলাদারের সাথে বসতবাড়ির ৪০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে এর জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বসতবাড়ির জমি দখলে বাধা দিলে হামলা মারপিটের গুরুত্বর আহত হয় দিনমজুর।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কতাব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকাকালিন অবস্থায় (২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) দুপুরে নূর ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু হয়।

   বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ এজাহার নামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিরা হলেন, নিহতের বড় ভাই রহমান মুন্সি (৬৫) ছোট ভাই মোঃ দীন ইসলাম মুন্সী (৫০), ভাইজি কোকেলা বেগম (৪৮)। চাচাতো ভাই বেলায়েত মুন্সী (৬৫)। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। ওই দিনমজুরের ২ ছেলে ও  ৪ মেয়ে স্ত্রী রয়েছে।  

দিনমজুরের ছেলে মো. রাসেল মুন্সী, প্রতিবন্ধী বোন জনতা বেগম বলেন, আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের ফাঁসি চাই তা হলে আমার পিতার আত্মার শান্তি পাবে।  

   এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই জয়ন্ত কুমার বলেন, দিনমজুর নিহতের ঘটনায় ৪ জন আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস রূপক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস  রহমান রূপক। তিনি উপজেলর সর্বস্তরের মানুষের  নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

তিনি সাংবাদিক  পেশায় দীর্ঘ দিন যাবত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।

শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়ন  ও ১টি পৌরসভার প্রবাসীসহ  সকল শ্রেনী পেশার নাগরিক ও সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের নিকট দোয়া, আশীর্বাদ কামনা করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ফেরদৌস রহমান রূপক। উপজেলার জনগণকে সাথে নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তরুন এ সাংবাদিক ফেরদৌস রহমান রূপক।

ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ফেরদৌস রহমান রূপক বেস্ট কেন্ডিডেট। তার ভদ্রতা, আচার ব্যাবহার ভোটারদের মন জয় করেছে। ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন মহলে ভালো মানুষ হিসেবে রূপকের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন ভদ্রলোককেই উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।

বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস রহমান রূপক বলেন, আমি জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ে ও ভোটারদের আগ্রহ ও সমর্থন দেখে আমি নিশ্চিত বিজয়ের স্বপ্ন দেখছি। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে সাধারণ মানুষের হয়ে উন্নয়নে অংশীদার হবো, জনসাধারণের পাশে দাঁড়াবো এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সচল রাখতে সুদ, ঘুষ,  মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ডামুড্যা উপজেলা বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার নিয়ে আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই গড়বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ” আমি এরই অংশ হিসেবে ডামুড্যা উপজেলাকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে চাই। সাংবাদিক  পেশার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে আমি সদা প্রস্তুত। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আমি আরও গভীরভাবে সাধারণ মানুষ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সংস্পর্শে থাকবো। 

বহুগুণে গুণাবলীর অধিকারী ফেরদৌস রহমান রূপক  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয়  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক , শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক।

তিনি বলেন, আধুনিক শরীয়পুররের রূপকার ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের সুযোগ্য সন্তান জননেতা আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপির উন্নয়নে শরীক হয়ে উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজেকে জনতার কাছে সমর্পণ করতে চাই। আমার জন্মভূমি ডামুড্যা উপজেলাকে “স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে জনগণের ভালবাসা ও সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার দলীয় প্রতীক রাখেন নি।নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী।  আমি মনে করি নির্বাচন করার অধিকার সবারই রয়েছে। আমার পদে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন তাদের জন্যও শুভকামনা রইলো।

দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন ফেরদৌস রহমান রূপক।


আরও খবর



বিএনপি-জামায়াতের সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করায় আমাদের আন্তরিক প্রয়াস ছিল। 


কিন্তু দুর্ভাগ্য নেমে আসে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।


বুধবার (১৫ মে) সকালে 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।



শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দ্বায়িত্ব হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিল গঠন করেন। 


আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপরেই দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আসে এবং সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পারি দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিৎ করতে নতুন জাতীয় স্বস্থ্য নীতি প্রণয়ন করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু হয়। 


বিশেষ করে মা ও শিশুর অপুষ্টি কমিয়ে আনতে জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি।



তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।


শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের হার কমে আসছে। নানাভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।


আরও খবর