Logo
শিরোনাম

৬০ টাকার চিনি এখন ১৪৮ টাকায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

সরবরাহে ঘাটতি দেখিয়ে চিনির দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এবার সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই চিনির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়। যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৩ টাকা বেশি। কিন্তু বাজারে কোনো তদারকি নেই। ফলে বেশি দামেই চিনি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তবে নতুন করে চিনির দাম আর বাড়বে না বলে মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রংপুরে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

চিনির দাম প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেটা বাড়ছে আপনারা সবাই জানেন ডলারের ভ্যারিয়েশনে দাম বাড়ে-কমে। যেহেতু আমদানি করে আনতে হয়, ডলারের দামটা যদি একটু কমে আসে, তাহলে কমানো যায়। আবার ডলারের দাম যদি বেড়ে যায় তাহলে ইন্টারন্যাশনাল ভ্যালু সেটেল করতে গেলে দামটা বাড়ে। এই মুহূর্তে আমার ডলারটা একটা লেভেলে আছে, হয়তো আর বাড়বে না কিন্তু আমাদের তো চিনি হয় নাসবটাই আমদানি করতে হয়। ভারত থেকেও আনতে পারি না, দূর থেকে আনতে হয়। যার জন্য চিনির ওপর একটু প্রভাব পড়েছে কিন্তু আমি মনে করি না যে, আর বাড়বে।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এজন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছি। টিসিবির মাধ্যমে চিনি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বুকিং দেওয়া হয়েছে। আরো বুকিং চলছে।

আমদানিকারকরা নতুন করে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারছেন না, এ ব্যাপারে টিপু মুনশি বলেন, 'যারা বড় আমদানিকারক, খাদ্যপণ্যের ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ব্যবসায়ীরা, তাতে সাড়া দেয়নি সরকার। তারপরও বেশি দামে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি করছে কোম্পানিগুলো।

রাজধানীতে প্রতি কেজি প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দাম ১৩৫ টাকা। খোলা চিনি ১৩০ টাকা ঠিক করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে।

রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন বলেন, বাজারে এসে দেখি চিনি দাম বাড়তি। পাকেটে প্রতি কেজি ১৪৮ টাকা দরে কিনলাম।

ডলারের উচ্চমূল্যকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই লোকসান এড়াতে নিজেরাই দাম ঠিক করেছে।

ইগলু সুগার প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ডলারের দাম বেশি। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হয়।

চিনির বাজারের কারসাজি থামাতে বাজারে তদারকি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ক্যাব। ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে কারসাজি করে দাম না বাড়াতে পারে সে ব্যাপারে নিয়মিত বাজার তদারকি দরকার।

এর আগে, জুলাই মাসেও চিনির দাম নিয়ে কারসাজি হয়েছিল। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে বেরিয়ে আসে, যে কয়েকটি কোম্পানি চিনি আমদানি করে তারাই দাম কমায়-বাড়ায়। দেশে প্রতি বছর চিনি আমদানি হয় ২০ থেকে ২২ লাখ টন। অন্যদিকে, স্থানীয় উৎপাদন ৩০ হাজার টনের মতো, যা মোট চাহিদার ১ শতাংশের কিছুটা বেশি। ফলে চিনির বাজার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। আবার চিনি আমদানি করে অল্প কয়েকটি কোম্পানি। স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা দিতে অবশ্য চিনি আমদানিতে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ রয়েছে।

 


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




গজারিয়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন চিহ্নিত মাদক কারবারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল,জেলা প্রতিনিধি  মুন্সিগঞ্জ :

আসন্ন ০৮ এপ্রিল প্রথম ধাপে দেশের কয়েকাংশে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই যাত্রায় অনুষ্ঠিত হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডোনেশন তৎপরতা বেড়েছে স্থানীয় মাদক কারবারীদের। স্থানীয় সূত্র জানা যায় ক্ষমতায় যেতে মড়িয়া মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয়  চক্রটি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও সরাসরি মাদক কারবারে সাথে জড়িত বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আতংক ২২ মামলার আসামি,  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু। এই নির্বাচনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পেয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীক। বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ও তার আশেপাশে এলাকায় তার পেশীশক্তির প্রভাবে চালান রমরমা মাদক ব্যবসা। নিজের আপন বড় ভাই বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বর্তমান ও দুইবারের চেয়ারম্যান সেই সুবাদে তার এলাকায় মাদক কারবার ও পেশীশক্তির সংশ্লিষ্ট আধিপত্যতা রয়েছে দীর্ঘদিনের।


মাদক কারবার জমি দখল চাঁদাবাজি করে বাগিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যম হিসেবে এই পরিবার বেছে নিয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে। অভিযোগ রয়েছে নিজের আপন বড় ভাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে খরচ করেছেন মাদক কারবার হতে বাগিয়ে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা।

বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম মন্টু মানেই একটি ভয়াভয় অংতকের নাম। এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় তীব্রভাবে দাবী করে বেড়াচ্ছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যান্ডিডেট হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী মোঃ ফয়সাল বিপ্লবের নিজস্ব ব্যাক্তিগত প্রার্থী হিসেবে এবং তিনিই তাকে এই নির্বাচনে পাশ করিয়ে দিবেন এমন গুঞ্জন ও আংতক বিরাজ করছে স্থানীয় ভোটাদের মাঝে।  এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকরা ও তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে ভয় পায়। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় এলাকায় এমন সংবাদ হারহামেশাই বলাবলি হচ্ছে সাইফুল ইসলাম মন্টুর মাদক কারবার ও পেশীশক্তির মাধ্যমে আয় করা অর্থের ভাগ পান বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লব। তাই এই মর্মেই বোধহয় এমন পেশীশক্তি অধিপত্যেতা বজায় রেখেছেন তিনি। বারবার নানারকম অপকর্ম প্রশাসনের নাকের ডগায় করেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেড়িয়ে যান সদম্ভে।

এই প্রার্থী ছাড়াও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গজারিয়া উপজেলায় চিহ্নিত মাদক কারবারিদের ডোনেশন (বিনিয়োগ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় একাধিক প্রার্থী পক্ষে। মাদক কারবারিদের নির্বাচনে লগ্নি করা অর্থ লুফে নিচ্ছেন একাধিক প্রার্থী বিনিময়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পাশ করলে করতে পারবেন নিরাপদ মাদক ব্যবসা।


এই তালিকায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু শীর্ষে অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে একাধিক প্রার্থীর পক্ষে।

এই তালিকায় মাদক কারবারী না হলেও মাদকসেবী হিসেবে এলাকায় খ্যাতি রয়েছে আরেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুনায়েত হোসেন মনির পেয়েছেন তালা প্রতীক।

মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশে পরের অবস্থানে রয়েছে বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এই নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি পেয়েছেন পদ্মফুল প্রতীক তিনিও মুন্সীগঞ্জ -০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লবের নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালাচ্ছেন জনসংযোগ কালে। তার একাধিক কোটিপতি মাদক কারবারি ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশীশক্তিশালীদের সাথে রয়েছে নানা সম্পর্ক।

এই তালিকায় তারপরের অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেসা উত্তরা ও আরেকজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুসরাত বেগম মিতু তাদের নির্বাচনী প্রচরনা ও গনসংযোগ কালে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তারাও গুপ্তসন্ধি করেছেন এলাকাবেধে স্থানীয় মাদক কারবারিদের সাথে এমন খবর চাউর হয়েছে স্থানীয় ভোদের মাঝে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম ও মনসুর আহাম্মেদ খান জিন্নাহ্ শিবিরেও ভয়ংকর মাদক কারবারিদের আঁতাত করা সর্ম্পক ও যোগসাজশ রয়েছে এবং এই সব মাদক কারবারিদের দেখা যায় তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় সরব উপস্থিতি হিসাবে।

এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত ও আংতকিত গজারিয়া উপজেলাবাসী মাদক ব্যবসায়ী ও পেশীশক্তিশালীরা ক্ষমতায় গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করবে সারা গজারিয়া উপজেলা জুড়ে।

স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানতে পারি ভালো প্রার্থী না থাকায় সচেতন ভোটাররা ভোট বয়কট করবেন সেই হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে গজারিয়া উপজেলার এই নির্বাচন স্মরনকালের সব থেকে কম ভোটার উপস্থিতি হবে।


আরও খবর



তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটির তথ্য মতে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজধানী ঢাকার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আগামী আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনে আবহাওয়া পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



শৃঙ্খলা ভঙ্গের তালিকায় আওয়ামী লীগে শ্রেষ্ঠ যাঁরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতারা যোগ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত পেয়েছেন তারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন, দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

 যুগে যুগে আওয়ামী লীগের জন্য এটি একটি বাস্তবতা। 

খন্দকার মোশতাক কখনোই আওয়ামী লীগের এত বড় নেতা হওয়ার কথা ছিল না। যোগ্যতার বাইরে বঙ্গবন্ধু তাকে সামনের দিকে এনেছিলেন এবং খুনি মোশতাক তার চরম বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, অযোগ্যরা সবসময় বিশ্বাসঘাতক হয়।

 সবাই মোশতাকের মতো বড় মাপের বিশ্বাসঘাতক না হলেও বিভিন্ন সঙ্কট দেখা গেছে, আওয়ামী লীগে যারা অযোগ্য, আওয়ামী লীগে যারা যত বেশি পেয়েছে তারাই দলের শৃঙ্খলার প্রতি ততটাই বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। 

এক এগোরোর সময় হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া নেতারাই আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ হয়ে গিয়েছিল। আর এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, তখন সেই সিদ্ধান্ত যারা লঙ্ঘন করেছেন তাদের একটি বড় অংশই হলো অনেক বেশি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতারা। 

 যদি এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত মন্ত্রী এবং এমপিরা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের হিসাব খতিয়ে দেখি তাহলে দেখব যে, বেশির ভাগই আছেন যারা অনেক বেশি আওয়ামী লীগ থেকে পেয়েছেন। 

এদের মধ্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন ২০০০ সালের দিকে। যোগদান করেই তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, নির্বাচন করেছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পেয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালেও তিনি মন্ত্রী ছিলেন এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবেও তিনি এখন দায়িত্ব পালন করছেন। 

এত অল্প সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগে এত কিছু পেয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। আর এই সৌভাগ্যের প্রতিদান তিনি দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ অমান্য করে তার খালাতো ভাই হারুন অর রশীদ হীরাকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে।

শাজাহান খান আরেকজন যিনি আওয়ামী লীগে এসে প্রাপ্তির ঝুড়ি পূর্ণ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মন্ত্রী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা হিসেবে তিনি পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য  দখল করেছেন। আর এবার নির্বাচনে তিনি তার ছেলে আসিফুর রহমান খানকে প্রার্থী করেছেন। 

একরামুল করিম চৌধুরী সেই বিরল ভাগ্যবান আওয়ামী লীগের নেতা যিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং স্থানীয় এলাকায় দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও আওয়ামী লীগ সভাপতির আপাত্য স্নেহের কারণে এখনও রাজনীতিতে টিকে আছেন। 

আর তার প্রতিদান তিনি দিলেন দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে শাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে।

সাহাদারা মান্নান আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা কৃষিবিদ মুহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সহধর্মিণী। কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এক এগোরার সময় সংস্কারপন্থী ছিলেন। বাংলাদেশের পচাঁত্তর পরবর্তী রাজনীতিতে শেখ হাসিনা যাদেরকে টেনে তুলে পাদপ্রদীপে এনেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত আব্দুল মান্নান অন্যতম।

 ২০০৬ সালে সংস্কারপন্থি হওয়ার পরও শেখ হাসিনা তাকে বগুড়া থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগে তিনি কিছুটা কোণঠাসা থাকলেও দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। বরং তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সাহাদারা মান্নানকে মনোনয়ন দিয়ে শেখ হাসিনা তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। 

আর সেই সহানুভূতির পুরস্কার হল সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

বাংলাদেশে যদি সৌভাগ্যবান কোন আওয়ামী লীগার থাকেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শুয়ে বসে দিন কাটিয়েছেন। তবু শেখ হাসিনা তার সব অত্যাচার সহ্য করেছেন। অর্থনীতির বারোটা বাজানোর পরও আ হ ম মোস্তফা কামালকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। 

আর তার পুরস্কার তিনি দিয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে। তার আপন ছোট ভাই এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

জাহিদ মালেক হলেন আওয়ামী লীগের ভাগ্যবান এক ব্যক্তি, যিনি রাজনীতিতে কোনো রকম ত্যাগ তিতিক্ষা না করেই অনেক কিছু পেয়ে গেছেন। বিশেষ করে তার বাবা ছিলেন স্বৈরাচারের দোসর এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কর্নেল মালিকের মতো স্বৈরাচারের দোসরদেরকে ছাত্র জনতাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।

 সেই কর্নেল মালেক পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান এবং তার সূত্র ধরে জাহিদ মালেক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মানিকগঞ্জ থেকে।

 তিনি ২০১৪ সালে প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ সালে পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি এখন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটিরও সদস্য। অথচ তিনি কিনা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ভাইকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন।

গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের নেতা এবং জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি এতোই ভাগ্যবান যে শেখ হাসিনা তাকে তিনবার দলের জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী হিসেবে অলঙ্কৃত করেছেন। মন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটুকু সফল হয়েছেন সেটি সাধারণ জনগণ ভালো মতোই জানেন। 

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পর একজন জেষ্ঠ্যতম মন্ত্রী হয়েও তিনি দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তার ভাতিজা মুরাদ কবীরকে কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রার্থী করেছেন। 

অপরদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ সালে সাবেক মন্ত্রী এড রহমত আলী মনোনয়ন না কেনায় মনোনয়নের স্বর্ণ দুয়ারে পা রাখেন জেলার সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ।

উত্তাল জনসমুদ্রের কাফেলায় দাড়িয়ে তিনি প্রথমবারের মত মনোনয়ন পেলেও এমপি হয়ে তিনি তার চিরায়ত সততার জায়গা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর  প্রয়াত এড রহমত আলীর প্রতি শ্রদ্ধার উপহার হিসেবে তার কন্যা রুমানা আলী টুসিকে সংরক্ষিত আসনের এমপি করেন শেখ হাসিনা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করেন।

তিনিও শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থি করেছেন নিজের আপন বড় ভাই জামিল হাসান দুর্জয়কে।

একই সাথে শিল্প শহর শ্রীপুরের সকল মিল ইন্ডাস্ট্রির কান্ডারী করেছেন জামিল হাসান দুর্জয়কে।এমন বাস্তবতা এখন গাজীপুর-৩ আসনের সর্বত্রই।

এরকম তালিকা অনেকে দীর্ঘ। যারাই যত বেশি সুযোগ পেয়েছেন তারাই তত বেশি দলের শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।শেখ হাসিনার বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছেন। এটাই আওয়ামী লীগের একটি বড় ট্রাজেডি।


আরও খবর



আরও ৫০ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশের চালের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চলছে কারসাজি। তাই মূল্য নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০ প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে আরও ৫০ আমদানিকারককে ৯১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৩ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। দ্রুত চালের বাজারের সংকট কাটিয়ে উঠতে আমদানি করা চাল ১৫ মে এর মধ্যে বাজারজাত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জারি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করতেও নিষেধ করেছে মন্ত্রণালয়। এই চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।

তাছাড়া আমদানিকৃত চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে গত ২১ মার্চ বেসরকারিভাবে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালের আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




গরমে নানা অসুখের রোগী বাড়ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একদিকে বৈশাখের অসহনীয় গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। অন্যদিকে গত কয়েকদিনের কড়া রোদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে। 


এছাড়াও জন্ডিস, হিট স্ট্রোক, সর্দি-জ্বর নিয়েও হাসপাতালে ছুটে আসছেন রোগীরা। তবে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।  তাদের সুরক্ষায় রোদ পরিহারের পাশাপাশি যত্রতত্র পানি, রাস্তার পাশের খোলা জুস-শরবত পান থেকে বিরত থাকা এবং পচা বাসী খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মহাখালির আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বা কলেরা হাসপাতাল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫শ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং  মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও  রোগী সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ বেড়েছে।

 

কলেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুশ থেকে আড়াইশ  ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা  চারশ ছাড়িয়েছে।গত ১০ দিনে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও গেছে।


রাজধানীর শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে

দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা হাসপাতালের শিশু বিভাগেও ইতোমধ্যে রোগীতে সব শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 


প্রচণ্ড এ গরমের মধ্যে শিশুদের সুরক্ষায় যথাসম্ভব বাসায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে উল্লেখ করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিনের গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে আমার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি আছে ১৬ জন। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার আমরা অস্বাভাবিক বলছি।


তিনি বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আমরা বেশি পাচ্ছি। এজন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাসায় পানি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যতটুকু সম্ভব পানি ফুটিয়ে, এরপর ফিল্টার করে পান করা নিরাপদ।


প্রচণ্ড গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,  প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সময়ের  বলেন, বেশি গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা ডায়বেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভোগেন, তাদের ঝুঁকিও কোন অংশে কম নয়। তবে গরমের সময় যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ঝুঁকিটা অনেক বেশি। তারা ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) ঝুঁকিতে থাকেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন; ডায়রিয়া আর সর্দি-কাশি তো আছেই। এজন্য একটানা এক ঘণ্টার বেশি রোদে থাকা যাবে না।


তিনি বলেন, গরমে এই সময়ে বাইরে না যাওয়াই ভাল। আর বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। আরও ভালো হয় যদি দু-একটা ওরস্যালাইন খাওয়া যায়। কারণ, গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায়। যদি গরমের সময় বাইরে বের হতে হয়, তাহলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে এবং একটু ঢিলেঢালা কাপড় পরা ভাল। কারণ, জামা-কাপড় বেশি টাইট হলে শরীর থেকে গরমটা সহজে বের হতে পারে না।


ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, গরমের এই সময়ে অনেকে পিপাসা মেটাতে রাস্তাঘাটের লেবুর শরবত, আখের শরবতসহ নানা ধরনের পানীয় পান করেন। অথচ এগুলোতে ব্যবহার হওয়া পানি বিশুদ্ধ কি না, আমরা কেউই জানি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ পানি বিশুদ্ধ হয় না। এগুলো খেয়েই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুধু পানি আর শরবত নয়, এ সময়ে বাইরের সবধরনের খোলা খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। গরমে বের হওয়ার সময় অবশ্যই বাসা থেকে বেশি তাপে ফোটানো ও ফিল্টার করা পানি বোতলে করে নিয়ে বের হতে হবে।


আর গরমের এই সময়ে শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে বাড়তি সর্তকতার পরামর্শ এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।




আরও খবর