Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য, ধ্বংস হচ্ছে তরুন ও যুব সমাজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরে হাত বাড়ালেই মিলছে বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। প্রাপ্যতা সহজলভ্য হওয়ায় কৌতুহলবশত না বুঝে মাদ্রকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে মরন ফাঁদ নামক মাদকের নীল ছোবলে যুক্ত হচ্ছে তরুন সহ যুব সমাজ। তরুন ও যুব-সমাজ নিয়ে চরম উদ্বিগ্নের মধ্যে রয়েছে অভিভাবকরা। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে দ্রুত মাদক কারবারীরা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে মাদক দ্রব্য সরবরাহ করায় উদ্বেগের শঙ্কা আরো বাড়িয়েছে। 

অপরদিকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা পুরো উপজেলাকে ঠেলে দিচ্ছে মাদকের অন্ধকার জগতে। বর্তমানে হাত বাড়ালেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, চোলাই মদ, দেশি মদ, রেক্টিফায়েড স্পিরিট, তাড়ি, বুপ্রেনরফিন, এম্পল পাওয়া যাচ্ছে। তবে গাঁজা ও ইয়াবার বিস্তার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন চিহ্নিত কিছু মাদক কারবারীদের আটক করে জেলে দিলেও আইনের ফাঁক দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে বেরিয়ে এসে আবার দেদারছে শুরু করে মাদকের কারবার। চিহ্নিত মাদক কারবারীদের ও মাদকের সম্রাটদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছেন উপজেলার সচেতনমহল।  

আবার মাদকের সঙ্গে সঙ্গে জুয়া, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডও বেড়েছে সমান তালে। এতে করে এলাকার স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরছে। বহিরাগত ও স্থানীয় মাদকসেবী এবং বখাটেদের আনাগোনায় অতিষ্ঠ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। অনেকেই মাদকের কারবার করে হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হওয়ার কারণে স্থানীয়রা তাদের ভয়ে কোন প্রতিবাদও করতে পারে না।    

তথ্যঅনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পূর্বদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও উত্তর দিকে আদমদীঘি এবং সদর থানা। আবার দক্ষিণ দিকে নওগাঁর আত্রাই, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকা ও পশ্চিম দিকে মান্দা উপজেলা। এমন সুযোগে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের পারইল বাজার, বগারবাড়ি মোড়, ভান্ডারগ্রাম বাজার, বিলকৃষ্ণপুর বাজার, ডুবাগাড়ী বাজার, কালিগ্রাম ইউনিয়নের ভেটি এলাকা, আবাদুপুকুর বাজার, করজগ্রাম, রাতোয়াল বাজার, পাশের বগুড়ার আদমদীঘির চাঁপাপুর এলাকা, একডালা ইউনিয়নের অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো, বড়গাছা ইউনিয়নের বড়গাছা বাজার, মালশন-গিরিগ্রাম বাজার, শলিয়া, ভাটকৈ বাজার, বিভিন্ন আশ্রয়ণপল্লীর এলাকা, সদর উপজেলার লোহাচ’ড়া বাজার, গহেলাপুর বাজার, সিম্বা বাজার এলাকা, রাণীনগর বাজার এলাকার সুইপার পট্টি (মেথর পট্টি), রেলস্টেশন ও রেলগেইট এলাকা, হাতিরপুল এলাকা, বটতলী মোড়, চোরপট্টীপাড়া, সদর ও আদমদীঘি উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা চকউজির স্কুলের পুরো এলাকা, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ স্থানগুলো বাহাদুরপুর গ্রামের বাজার, হাসপাতাল মোড়, ত্রিমোহনী হাট, মন্ডলের ব্রীজ, কুবরাতলী মোড়, এনায়েতপুর মোড়, কুজাইল বাজার, গোনা ইউনিয়নের বেতগাড়ী বাজার, গোনা বাজার এলাকা, আত্রাই উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা প্রেমতলী মোড়, পাগলীর মোড়, রেললাইন সংলগ্ন নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়, মিরাট ইউনিয়নের মিরাট বাজার, আত্রাই ও মান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা বান্দাইখাড়া এলাকাসহ পুরো উপজেলাতেই নতুন করে জমে উঠেছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বেচা-কেনা।

উপজেলার ভেটি গ্রামের কালাম সরদার (ছদ্মনাম) বলেন, বেশকিছুদিন যাবত ভেটি গ্রাম এলাকাটি অনেকটাই মাদকমুক্ত ছিলো কিন্তু সম্প্রতি পুলিশের সোর্স সেজে চিহ্নিত মাদক কারবারীরা পুনরায় মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে। কোন কিছু বলতে গেলেই পুলিশের ভয় ও হয়রানী মূলক মামলার ভয় দেখায়। মাঝে মধ্যেই সম্ভবত সিভিল পোষাকে পুলিশের লোকেরা এসে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে যায়। হাতের কাছে পাওয়ায় মাদকের নীল নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুন ও যুব সমাজ। সন্তানেরা বড় হয়ে গেলে আর কত চোখে চোখে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে। অথচ পুলিশ বাহিনী ইচ্ছে করলেই নিমিষের মধ্যে এলাকা থেকে মাদকের দৌরাত্ম কমাতে পারে।     

কুবরাতলী এলাকার এক মাদককারবারী মো. রইচ উদ্দিন (ছদ্মনাম) বলেন থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকার মাদক কারবারীদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছে। যারা সেই চুক্তিতে সম্মত দিচ্ছে তারা দেদারছে ব্যবসা করছে আর যারা চুক্তির বাহিরে তাদেরকে বিভিন্ন সময় আটক করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্যের চলাচলের পথ রোধ না করা পর্যন্ত মাদকের বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যারা প্রভাবশালী যারা থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে আসছে তারা প্রকাশ্যে মাদকের রমরমা ব্যবসা করলেও পুলিশ তাদেরকে দেখতে পায় না।  অথচ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন চাইলেই উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে শক্তিশালী ভ’মিকা রাখতে পারে। 


পারইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ জাহিদুর রহমান (জাহিদ ফকির) মোবাইল ফোনে বলেন, বর্তমানে উপজেলার মধ্যে পারইল ইউনিয়ন মাদকের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। সীমান্তবর্তি ইউনিয়ন হওয়ার কারণে এই ইউনিয়ন দিয়েই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি মাদক চালান হয়। আগে গোপনে হলেও বর্তমানে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে পারইল বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়। ইদানিং এই ইউনিয়নের অধিকাংশ স্থানই মাদক বিস্তারের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং-এ মাদক নিয়ে কথা বলে কোন লাভ হয় না। মাদক নিয়ে করা ওই অভিযোগ কিংবা কথাগুলো শুধুমাত্র রেজুলেশনের খাতার পাতায় লিপিবদ্ধ থাকে বাস্তবায়ন করে না কেহই। তাই মাদক নিয়ে আর কোথাও কোন কথা বলতে কিংবা তথ্য দিতে ইচ্ছে হয় না। 

তিনি আরো বলেন, যখন দেখি ইউনিয়নের তরুন-যুবকরা বুঝে না বুঝে চোখের সামনে মাদকের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে তখন খুব কষ্ট হয় খুব খারাপ লাগে। অনেকবার মাদকের বিস্তাররোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা বাস্তবায়ন করার মতো কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় পরিষদে আমার কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছি। যদি রক্ষকরা ভোক্ষক হয় তাহলে সেই সমাজ থেকে মাদকের দৌরাত্ম বন্ধ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।  

থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ মোবাইল ফোনে সংবাদকর্মীদের বলেন, থানা পুলিশ সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। আমরা প্রতিনিয়তই মাদকের বিস্তার রোধে এর সঙ্গে জড়িতদের আটক করছি এবং আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করছি। এছাড়া জনবল সংকট থাকার কারণে ইচ্ছে করলেও মাদকের বিষয়ে বেশি কার্যক্রমও পরিচালনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই উপজেলায় মাদকের বিস্তারকে জিরো টলারেন্সে আনতে আমরা পুলিশ বদ্ধ পরিকর। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম মোবাইল ফোনে বলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো মাদকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত তেমন কোন ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করতে পারি না। তবে মাঝে মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া মাদকের কারবার কোথায় হচ্ছে সেই তথ্যগুলো আমাকে জানালে আমি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।   


আরও খবর



গাজীপুরে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইকৃত ৯৮ লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

গাজীপুর প্রতিবেদক :

মাল্টি পয়েন্ট বিডি প্রতিষ্ঠানের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/-টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার ও লুন্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধারসহ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই গাজীপুর জেলা।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া সাকিনস্থ রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/-টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার, লুন্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধার ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই গাজীপুর জেলা।

ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন (২৮), পিতা-মোঃ হাসান বেপারী, মাতা-রাবেয়া বেগম @ নিলুফা, সাং-গোবিন্দপুর, হাজী বাড়ি, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, এ/পি. সরকারবাড়ী মোড়, প্রিয়াংকা ভিলা, ওয়ার্ড নং-১৬, থানা-বাসন, গাজীপুরকে ডিএমপি, ঢাকার পল্টন থানাধীন ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এলাকা থেকে গত ইং ২৩/০৪/২০২৫ তারিখ সময় ২০:৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করে তার দেয়া তথ্য মতে সাক্ষী মোঃ আব্দুল গফুর আকন্দ এর উপস্থাপন মতে লুন্ঠিত ২,৫৫,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ২। মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০), পিতা-মোঃ ফারুক, সাং- কাহনিয়া, থানা-ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ, এ/পি সাং- মালেকের বাড়ী হাজী মান্নানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- গাছা, জিএমপি গাজীপুরকে ইং ২৮/০৪/২০২৫ তারিখ ০৩.১০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ৩। মোঃ উজ্জল (৩৬), ৪। মোঃ মিরাজ (২৫), উভয় পিতা-মোঃ হাসান মৃধা, সাং-ছোট চরশিবা, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী দ্বয়কে ভোলা জেলার দুলারহাট থানাধীন শিকদারের চর সাকিনে কিল্লার মাঠ এলাকা থেকে গত ইং ৩০/০৪/২০২৫ তারিখ ভোর ০৫.০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ উজ্জল এর হেফাজত হতে ঘটনায় লুন্ঠিত নগদ ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা উদ্ধার এবং আসামী মোঃ আসামী মোঃ মিরাজ এর তথ্য ও দেখানো মতে গাজীপুর টঙ্গীপূর্ব থানাধীন মরকুন সাকিনস্থ আসামী মোঃ মিরাজ এর স্ত্রীর বড় ভাই রাহাত এর ভাড়া বাসায় রেখে যাওয়া লুন্ঠিত নগদ ১৭,৫০,০০০/-(সতের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সহ তিন জনের নিকট থেকে সর্বমোট ২২,৫৫,০০০/-(বাইঁশ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া সাকিনস্থ রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ইং ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.১৫ ঘটিকার সময় বাদী মোহাম্মদ একরামুল হক (৩২), পিতা-শাহ মোহাম্মদ মনিরুল হক, মাতা-হাসিনা বেগম, সাং-মির্জারচর, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী, বর্তমান সাং-মিরেরবাজার, থানা-পুবাইল, গাজীপুর মহানগর সহ তার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছিলেন। অফিসের কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ইং ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.৪৪ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীরা তাদের অফিসে প্রবেশ করে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীর প্রতিষ্ঠানে অবৈধ কার্যকলাপ করা হয় মর্মে জানিয়ে আসামীদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদানসহ প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বাদীসহ অন্যান্যদেরকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। একপর্যায়ে আসামীরা বাদীর অফিসের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/- (আটানব্বই লক্ষ) টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে এই সংক্রান্তে মাল্টি পয়েন্ট বিডি প্রতিষ্ঠানের জিএম মোহাম্মদ একরামুল হক বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে জিএমপি বাসন থানার মামলা নং-২০ তারিখ-১৫/০৪/২০২৫ ইং ধারা-১৭০/৩৯৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

মামলাটি রুজু হওয়ার পর জিএমপি বাসন থানা পুলিশ গত ইং ১৫/০৪/২০২৫ তারিখ হতে ০৮ দিন মামলাটি তদন্তকালীন সময়ে মামলাটি পিবিআই এর সিডিউল ভূক্ত মামলা হওয়ায় আবেদনের প্রেক্ষিতে অত্র মামলাটি পিবিআই গাজীপুর জেলা অধিগ্রহন করেন।  

অতিরিক্ত আইজিপি পিবিআই জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল মহোদয়ের সঠিক তত্তাবধানে ও জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার পিবিআই গাজীপুর মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মামলাটি এসআই(নিঃ)/ বিশ্বজিত বিশ্বাস, বিপিএম-সেবা তদন্ত করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন এর জবানবন্দি মতে, বাইপাস থেকে বাগের বাজার পর্যন্ত নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আসামী আব্দুর রহমান ২ মাস পূর্বে চান্দনা ঈদগাহ মাঠে ঘুরতে গেলে রবিউলের সাথে তার পরিচয় হয়। তখন সে জানায় তাদের অফিসে অনলাইনে ক্যাসিনো (জুয়া) এবং অবৈধ লেনদেনের ব্যাবসা চলে। আলোচনার ১০/১৫ দিন পরে রবিউল আব্দুর রহমানকে নিয়ে তার ঘনিষ্ট বন্ধু মিরাজের কাছে যায়। মিরাজের কাছে তাদের অফিসে অনলাইন ক্যাসিনোর ব্যাবসার কথা বলে। তার ৪/৫ দিন পরে মিরাজ তার আপন ভাই মোঃ উজ্জলকে নিয়ে তার কাছে আসে। মিরাজ এবং উজ্জল @ আমিনুর দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে তারা ডিবি পরিচয়ে নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসে ঢুকে কম্পিউটার তল্লাশি দিয়ে ক্যাসিনোর সাথে সম্পৃক্ততার তথ্য সংগ্রহ করে অফিসের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে। গার্মেন্টসের বেতনের সময় (৭ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে) তাদের অফিসে কোটি টাকার বেশী ক্যাশ থাকে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৪/০৪/২৫ ইং তারিখ বিকাল ৫.৪৫ ঘটিকায় উজ্জ্বল, মিরাজসহ আরো ৪ জন নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসে প্রবেশ করে ডিবির পরিচয় দিয়ে অবৈধ ক্যাসিনোর সাথে উক্ত অফিসের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে অফিসে থাকা ৫/৬ জন লোককে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে অফিসের ভল্টের থাকা ৯৮,০০,০০০/- (আটা নব্বই লক্ষ) টাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামী মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন ঘটনার দিন ০২.৩০ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পনা করে একটি তালা কিনে আসামী উজ্জলকে দেয়। ঘটনার পর আসামী উজ্জল তালা দিয়ে অফিসের বাইরের দিক থেকে সবাইকে তালা মেরে দেয়। পরে আব্দুর রহমান অভিনয় করে তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে। মিরাজ, আব্দুর রহমানের বাসায় গিয়ে তাকে লুন্ঠনকৃত ০৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। 


আরও খবর



পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁ'য়া'চে রো'গ ‘স্ক্যা'বি'স’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

স্ক্যাবিস (SCABIES) একটি ছোঁয়াচে ত্বকের রোগ। এটি Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র মাকড়সার (MITE) কারণে হয়ে থাকে। এই মাকড়সা ত্বকের উপরিভাগে গর্ত তৈরি করে এবং ডিম পাড়ে, যার ফলে ত্বকে তীব্র চুলকানি এবং ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

স্ক্যাবিসের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

 * তীব্র চুলকানি: বিশেষ করে রাতে চুলকানি বাড়ে।

 * ফুসকুড়ি: ছোট ছোট লালচে দানা বা ফোস্কার মতো দেখা যায়।

 * গর্তের চিহ্ন: ত্বকের উপর ছোট, আঁকাবাঁকা, ধূসর বা সাদা রঙের সরু রেখা দেখা যেতে পারে, যা মাকড়সার তৈরি করা গর্ত।

স্ক্যাবিস সাধারণত নিম্নলিখিত স্থানগুলোতে বেশি দেখা যায়:

 * আঙুল ও পায়ের আঙুলের মাঝে

 * কবজি

 * কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে

 * বগলের নিচে

 * কোমর

 * নিতম্ব

স্ক্যাবিস অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং সরাসরি চামড়ার সংস্পর্শে আসা, অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কাপড়, বিছানা ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

যদি আপনার মনে হয় আপনার স্ক্যাবিস হয়েছে, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে ত্বকের নমুনা নিয়ে রোগ নির্ণয় করতে পারেন। স্ক্যাবিসের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ধরনের ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায় যা মাকড়সা এবং তাদের ডিম ধ্বংস করে। পরিবারের সকল সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও একই সময়ে চিকিৎসা করানো উচিত, এমনকি তাদের লক্ষণ না থাকলেও। এছাড়া, ব্যবহৃত কাপড় ও বিছানা গরম পানিতে ধুয়ে বা ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করা জরুরি।


আরও খবর



গজারিয়ায় উদ্ধারকৃত মর্টাল শেলের অপরিকল্পিত বিস্ফোরণ!

কেঁপে উঠলো গোটা গ্রাম,ক্ষতিগ্রস্থ অর্ধশত বসতবাড়ি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এতে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের ৫০-৬০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তীব্র শব্দে মারা গেছে তিনটি গরু। এঘটনায় স্থানীয় লোকজন চড়াও হয় পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর।জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করতে বিকাল থেকে কাজ শুরু করে পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। রাত ৭টা ৫৬ মিনিটে মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতোটাই বেশী ছিল যাতে গ্রামটির অর্ধশত ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণে সেলিম, হারেস, রশিদ, রফিজ, রেনু মিস্ত্রী, ফরিদ হোসেন, আব্দুল হান্নান, মানিক মিয়া, জলিল, মুক্তার হোসেন, আব্দুল গাফফার, সেলিম মিয়া, বারেকের বাড়িসহ গ্রামটির অর্ধশত বাড়ি ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তীব্র শব্দ আশিক নামে এক চাষীর ৩টি গরুসহ মোট ১৭টি গবাদি পশু মারা গেছে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানী আব্দুর রশিদ বলেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল, প্রায় তিনশ মিটার দূরের আমার দোকানের প্রায় সব কিছু উড়ে যায়। শুধু আমার নয় আশপাশের অন্তত ৫০-৬০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদ ও বিল্ডিং-এ ফাটল ধরেছে। তীব্র শব্দে মারা গেছে গোয়ালে থাকা গরু বাছুর।ঘটনাস্থলের চার কিলোমিটার দূরে বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা তানিয়া আক্তার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ঠিক ৭টা ৫৬ মিনিটে আমরা তীব্র ঝাকুনি অনুভব করি। প্রথমে বিষয়টিকে আমরা ভূমিকম্প ভাবলেও পরে জানতে পারি আড়ালিয়া গ্রামের উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনার পর স্থানীয়দের জনরোষে পড়ে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা। গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে স্থানীয় কয়েকজন।বিষয়টি সম্পর্কে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল বলেন, মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটানোর পরে আশেপাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। এই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা আমাদের ওপর চড়াও হয়। কেন আমরা বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের মর্টার শেলটি দূরে কোথাও নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে বললাম না সেজন্য তারা আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করায় আশেপাশের কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে, সেনাবাহিনী সেখানে যাচ্ছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, বিস্তারিত পরে জানাবো।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন হানিফের কৃষি জমিতে মাটি কেটে আইল বানাতে গিয়ে একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা এটিকে প্রথমে সীমানা পিলার মনে করলেও পরবর্তীতে পুলিশ জানায় এটি একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল।


আরও খবর



দাবানলে পুড়েই চলছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের জেরুজালেমে লাগা দাবানল কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ফলে একরের পর একর বনাঞ্চল পুড়েই যাচ্ছে। ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর দাবানলের তীব্রতা আরও ছড়িয়ে পড়ে। খবর টাইমস অব ইসরায়েল

ইসরায়েলের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার ফাইটারের ১৬৩ জনের একটি দল স্থল থেকে এবং আকাশ থেকে ১২টি বিমান আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্ত তাতে তেমন কোনো কাজ হয়নি, বরং জেরুজালেমের একাধিক স্থানে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে- লাটরান, নেভে শালম এবং এসটাওলে। এ ছাড়াও মেভো হারোন, বার্মা রোডের বেইত মেইর, মেসিলাত জিওন এবং শাহার গাহাই গ্যাস স্টেশনের কাছেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

দাবানলে ফলে ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন। তবে তাদের কারো অবস্থা গুরুতর নয়। দাবানলের ফলে ২ হাজার ৯০০ এক এলাকা পুড়ে গেছে।

সরিয়ে নেয়া এস্টাওল সম্প্রদায়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সন্ধ্যায় জেরুজালেম জেলার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের কমান্ডার শমুলিক ফ্রিডম্যান সতর্ক করে বলেছেন, জেরুজালেম পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হতে পারে। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বেইত শেমেশের কাছে মেসিলাত সিয়োন এলাকার নিকটবর্তী স্থান থেকে দাবানল শুরু হয় এবং প্রবল বাতাসের কারণে দ্রুত এটি পশ্চিম দিকে ছড়িয়ে পড়ে, পরে দিক পরিবর্তন করে পূর্বমুখী হয়ে যায়।

শমুলিক বলেন, আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। কারণ বাতাসের গতিবেগ বেড়েই চলছে। যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কী কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। আগুণের কারণ খুঁজতে আমরা এখনও কাজ শুরু করিনি।

তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত জানিয়েছে, কিছু এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হতে পারে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ মে ২০২৫ |

Image

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন (৬৫) কে গ্রেফতার করেছে। রোববার (২০ এপ্রিল ) বিকেলে অভিযান 

চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মফিজ উদ্দীনকে এদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান জানান,গত ২৬আগষ্ট উপজেলা বিএনপির দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নি সংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার সাথে জরিত সন্দেহে আওয়ামীলীগ নেতা মফিজ উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাকে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মফিজ উদ্দীন উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের মৃত কোকাই প্রামানিকের ছেলে।তাকে এদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর