Logo
শিরোনাম

আজ এমন কিছু করবো যা আগে কখনো হয়নি !

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

ইয়াসফি রহমান :  দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সেঞ্চুরিয়নে শুরু হবে এই সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ।

বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, তার অধীনে বাংলাদেশ দল ‘এমন কিছু করবে যা আগে কখনো হয়নি’।

একটা ম্যাচ জিতেই কোচের কথা রাখতে পারে বাংলাদেশ দল।

কারণ প্রায় ২০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ, তারপর এখন পর্যন্ত কোনো ফরম্যাটেই কোনো ম্যাচেই জয় পায়নি বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল।

এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ফরম্যাটে মুখোমুখি ২২ দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭টি ম্যাচে জিতেছে, একটিতে কোনো ফলাফল আসেনি, বাংলাদেশ চারটিতে জিতেছে, কিন্তু কোনোটিই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে নয়।

দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ২০১৯ সালে বাংলাদেশের হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন, এরপর এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

ডোমিঙ্গো চার বছর দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন, তবে সেই দক্ষিণ আফ্রিকা আর বর্তমান স্কোয়াডের মধ্যে অনেক পার্থক্য, তখন মনে করা হতো দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে যেকোনো কন্ডিশনে যেকোনো ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রাখতো, যেখানে খেলতেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেল স্টেইন, ফ্যাফ ডু প্লেসির মতো ক্রিকেটাররা। আর এই দক্ষিণ আফ্রিকা এখন একটা পুনর্গঠনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, এখনো অনেক পরীক্ষা দেয়া বাকি আছে এই দলটার।

তাই এটাকে একটা সুযোগ হিসেবেও নিতে চান বাংলাদেশের কোচ হিসেবে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করতে যাওয়া ডমিঙ্গো।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতেও বাংলাদেশের উচিত এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যাচ জেতা।

এসব জায়গায় আত্মবিশ্বাসটা একটা বড় ব্যাপার। ভালো শুরু, ভালো কিছু মোমেন্ট- এসব বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।

খেলোয়াড়রাও বলছেন জয়ের কথা
বছরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গুইয়ে টেস্ট জয়কে অনুপ্রেরণা মানছেন অনেকেই, এই একটা জয় বাংলাদেশের স্কোয়াডকে বাড়তি প্রেরণা দেবে।

তখন মুমিনুল হকও ম্যাচ জয়ের পর বলেছিলেন, ‘আগে যদি বলতাম নিউজিল্যান্ডে আমরা টেস্ট জিতবো অনেকেই হাসতেন। কিন্তু এখন আর হাসবে না।’

তামিম ইকবাল অবশ্য সরাসরি জয়ের কথা বলেননি, কিন্তু তিনি মনে করেন এখন শুধু ভালো খেলা বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য হতে পারে না।

দেশ ছাড়ার আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘১০ বছর আগে যদি প্রশ্ন করতেন বলতাম ভালো খেলতে চাই। কিন্তু এখন সেটা কঠিন। এখন আমাদের ম্যাচ জেতা ছাড়া ভালো খেলেছি এটা বলাও কঠিন।

সাকিব আল হাসানও নানা পর্বের নাটকীয়তা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমান ধরার আগে ঢাকায় বিমানবন্দরে বলে গেছেন, অন্তত একটা ওয়ানডে জেতা উচিত বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ ২২ বছর ধরে টেস্ট এবং ছোট ফরম্যাট শুরু হওয়ার পর থেকে টি-টোয়েন্টি খেললেও এখন পর্যন্ত পরিসংখ্যান ও আনুকূল্য সব মিলিয়েই দলটির প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ গত পাঁচ-সাত বছরে বিশ্বের যেকোনো দলকেই হারাতে পারে এবং সেটা করেও দেখিয়েছে বাংলাদেশ, এক্ষেত্রে কন্ডিশন বা উইকেট তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি, এই ২০১৯ সালেও তুলনামূলক বৈরী কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রভিডেন্সে জ্যাক ক্যালিস, গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্সের দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের কাছে ৬৭ রানে হেরে গিয়েছিল।

এসব স্মৃতি যেমন বাংলাদেশের এই স্কোয়াডের অনেককেই আশা জোগাবে। একই সাথে এসব জয়ের কোনওটিই যে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে নয়, এই তথ্য বাংলাদেশের জন্য খানিকটা অস্বস্তিরও।

দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যালান ডোনাল্ড, অ্যালবি মর্কেলও আছেন সাকিব-তামিমদের সাথে
সাকিব-তামিমদের মতো সিনিয়র প্লেয়াররা সেই অস্বস্তি কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ক্যারিয়ারের অন্তত একটা জয় চাইবেন সেটাই স্বাভাবিক।

তবে সেটা কাটিয়ে তুলতে আরেকটি অস্ত্র আছেন শরিফুল ইসলাম, তিনিই এই দলের একমাত্র সদস্য যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ‘কিছু একটা’ জিতেছেন।

২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল, এই দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম এখন বাংলাদেশের নিয়মিত ফাস্ট বোলার হিসেবেই একাদশে খেলেন।

তার কথাতেও সেই স্মৃতিচারণ চলে এসেছে, শেষবার যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেছিলাম বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। এটা একটা বড় ব্যাপার।

একই সাথে শরিফুল আনন্দিত দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে অ্যালান ডোনাল্ডের সান্নিধ্য পেয়ে, বাংলাদেশের নতুন ফাস্ট বোলিং কোচের সাথে কাজ করা শুরু করেছেন বোলাররা।

শরিফুলের সাথে কথা বলেছেন, ‘কব্জির অবস্থান নিয়ে’।

৯০’র দশকে দক্ষিণ আফ্রিকা তো বটেই বিশ্বেরই সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন ছিলেন অ্যালান ডোনাল্ড।

এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অলরাউন্ডার অ্যালবি এই আসরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার হিটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।

যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেম্বা বাভুমার দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল জয়ের আশা করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এবং ম্যানেজমেন্ট তবে কাজটা ততটাও সহজ হবেনা বলছেন বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের মেন্টর নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

এমন কোনো দেশে গিয়ে খেলা সবসময়ই কঠিন। যেখানে কোয়ালিটি পেস বোলাররা আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে থাকবেই। বাংলাদেশের জন্য কঠিনই হবে।’

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে, নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই ধরনের ম্যাচে শুরুটা ভালো হওয়া খুব দরকার। প্রাথমিক ধাক্কাটা ড্রেসিংরুমে একটা উদ্বেগ ছড়িয়ে দেয়।’

বিশ্লেষক হিসেবে তিনি মনে করেন সাকিব আল হাসানের দলে থাকাটা দলকে সাহায্য করবে।

কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও মনে করেন সাকিবের উপস্থিতি সবসময় তাকে স্বস্তি দেয়, একটা ভারসাম্য তৈরি হয় একাদশে।

তবে কোচের মতে মূল ব্যাপারটা হচ্ছে দল হিসেবে ভালো খেলা।

যেমন বোলিং ব্যাটিংয়ে প্রভাব দেখিয়েও বাংলাদেশ অনেক ম্যাচ হেরে গেছে বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে, তার ওপর ভিন্ন কন্ডিশনে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ ধরতে খানিকটা সমস্যা হয় এটা স্বীকারও করেছেন অনেক ক্রিকেটার।

তবে নিজেদের মাটিতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৯টি ক্যাচ মিস করেছে।

এটাকে বড় উদ্বেগ বলছেন ডোমিঙ্গো। তার মতে, ‘এসব ম্যাচে এমন কিছু সুযোগ আসে যা ধরতে পারলে অন্য দরজাগুলোও খুলে যায়।’

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পরে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ণশক্তির স্কোয়াড থাকছে না। ওয়ানডে সিরিজ খেলেই মূল দলের ৮ থেকে ১০ জন ক্রিকেটার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা হবে।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



দশমিনায় সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন ,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীতে আইএফডিসি ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ফিট দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এক্টিভিটি এর উদ্যোগে সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী নিজ হাওলা গ্রামে প্রায় আর্ধশতাধিক কৃষক-কৃষানীর অংশ গ্রহনে সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সুর্যমুখি চাষি মো. মকবুল হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন-আইএফডিসি প্রকল্পের ফিল্ট সুপার ভাইজার মো. নাজমুল হক, সিএফডিসও মো. হাবিবুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রবি ফয়সাল ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আবারো বাড়লো গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

আবারও বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি আরও ৭৫ পয়সা বাড়ানো হলো। পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার (১ মে) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটারের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।


আরও খবর



বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

 বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পরই আরব আমিরাতে ঈদের জামাত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ঈদ জামাতের সময়সূচি ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। দেশটির বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

তবে দেশটিতে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর। এছাড়া অন্যান্য শহর বা স্থানে সূর্যোদয়ের সময় ভেদে ১৯ মিনিট পর পর্যন্তও ঈদ জামাতের সময়সূচী ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন এবং সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সূর্যোদয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি সামনে এসেছে।

মূলত সোমবার আরব আমিরাতের আকাশে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায়নি। আর তাই আজ মঙ্গলবার ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে এবং দেশটির জেনারেল অথরিটি অব দ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এন্ডোমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের নামাজের সময় ঘোষণা করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আরব আমিরাতের এই কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে সকল আমিরাতের (এবং কিছু প্রধান অঞ্চলের জন্য) ঈদের নামাজের সময়সূচী ভাগ করে দিয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, আবুধাবিতে ঈদের জামাত সকাল ৬টা ২২ মিনিটে, দুবাইয়ে ৬টা ২০ মিনিটে, শারজাহ ও আজমানে ৬টা ১৭ মিনিটে, রাস আল খাইমাহতে ৬টা ১৫ মিনিটে, ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানে ৬টা ১৪ মিনিটে এবং উম্মে আল কুওয়াইনে ৬টা ১৩ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আল আইনে ৬টা ১৫ মিনিটে এবং জায়েদ সিটিতে বুধবার সকাল ৬টা ২৬ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের তথ্য অনুযায়ী, উম্মে আল কুওয়াইন বুধবার সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টায়। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর ৬টা ১৩ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বুধবার সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০৫ মিনিটে। এর ১৭ মিনিট পর ৬টা ২২ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া একইদিন দুবাইয়ে সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০১ মিনিটে। এর ১৯ মিনিট পর ৬টা ২০ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে শারজাহ ও আজমানের পাশাপাশি রাস আল খাইমাহ ও ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানেও সূর্যোদয়ের ১৭ মিনিট পর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে রোজা শেষে ঈদের দিনকে ঘিরে আরব আমিরাতের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রবাসী বাঙালিরাসহ স্থানীয়রা ঈদ ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন করেছেন।

 


আরও খবর



"মানুষের মাঝে বৈষম্য দূর করাই হোক ঈদের শপথ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী :

১১ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফের শাহী ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর এর সালাত আদায় করেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। নামাযের পর তিনি বলেন, "মহান আল্লাহ্ এবং প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের মুসলিম জাতিকে একতাবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন মানবতার মহান দূত। তার কাছে ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম-শ্রেণী নির্বিশেষে সকলে মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, এক বিশ্বাসী মুসলমান আরেকজনের জন্য আয়নার মতো। আয়নায় যেমন নিজের রূপটিই প্রতিফলিত হয়, তেমনি যেন আমরা নিজের জন্য যা পছন্দ করি, ভালো মনে করি, তা অন্য ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করি। ইসলামের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবতা, সাম্য ও ভাতৃত্বকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বারবার বলেছেন, আমাদের চারপাশের দুর্বল, অসহায়দের যত্ন নিতে। প্রতিবেশী অনাহারে, অভাবে থাকলে, হাজারো ইবাদাতও কখনো আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। পবিত্র রমজান মাস সংযমের, আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আত্নত্যাগের শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদের আনন্দ  তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন সকলে মিলে আমরা ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে পারবো। অথচ আজ আমরা দেখছি, রমজান ও ঈদকে ঘিরে একতার বিপরীতে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। বিত্তবানরা বিলাসিতার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত ; আর অভাবীদের সংকট, কষ্ট, ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। যাকাত দরিদ্রদের অধিকার হলেও, অনেকে এ হক আদায় করতে উদাসীন। তাই আসুন আমরা ঘুরে দাঁড়াই। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণে, অভাবগ্রস্ত, অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়াই। নতুন প্রজন্মকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ উপহার দেই।

শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, দরবার শরীফের আওলাদ-এ-পাক এবং ভক্তবৃন্দ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

এরপর মাইজভাণ্ডার শরিফের অলি আল্লাহ্দের মাজার শরিফ জিয়ারত শেষে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করেন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর