Logo
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি নিত্যপণ্যের দাম : সিপিডি

প্রকাশিত:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এক গবেষণায় জানিয়েছে, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম অনেক বেশি। একইভাবে আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, গুঁড়ো দুধ, ডিম ও মাংসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যস্ফীতিই মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়।

ঢাকার ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ অর্থনীতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে ড. ফাহমিদা ‘স্থিতিশীল মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে দাম আকাশচুম্বী?’ এবং ‘পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি: নীতিগত অবস্থান কী হওয়া উচিত?’ শীর্ষক দুটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, বিআইবিএমের ড. শাহ মোহাম্মদ আহসান হাবীব, অধ্যাপক এম তামিম, সিপিডির সিনিয়র ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

বক্তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি, বাহ্যিক খাত, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং খাত এবং সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনার ওপর আলোকপাত করেন।

গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী; কিন্তু সরকারি খাতায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, সরকার মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে ধ্রুবক গণনা করে। অথচ এ সময়ে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে, খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশে। এটা কিভাবে সম্ভব প্রশ্ন করেন ড. ফাহমিদা।

অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিপুল পরিমাণ আমদানির তুলনায় রফতানির পরিমাণ বাড়েনি; যার ফলে ১০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে।

জাহিদ হোসেন বলেন,উদ্বৃত্ত অর্থ থাকা সত্ত্বেও সরকারের বাজেট ব্যয় বাড়ছে না। তিনি টেকসই বিনিয়োগের জন্য দেশে জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি নীতিমালার আহ্বান জানান।

এসময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুর্বল এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীর ওপর এর বিরূপ প্রভাব বিবেচনা করে সরকারের নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।

সিপিডি বলেছে, ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সমস্ত উপলব্ধ নীতি সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত। যার মধ্যে রয়েছে- অভ্যন্তরীণ এবং আমদানি উভয় স্তরেই অপরিহার্য পণ্যের ওপর শুল্ক এবং কর অব্যাহতি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি প্রসারিত করা এবং আয়কর ছাড়ের স্তর বৃদ্ধি করা।

সিপিডি বলেছে, মুদ্রাস্ফীতিজনিত প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্য স্থিতিশীল হওয়া উচিত বলে বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকিং সেক্টরের অস্থিতিশীলতা প্রশমনে অবিলম্বে একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা উচিত এবং ঋণ পুনরুদ্ধারের দিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া উচিত।

বিপুল পরিমাণ আমদানি হলেও রফতানি বাড়েনি। কিন্তু বাস্তবের তুলনায় এটি সঠিক চিত্র নয়। নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও তীব্রভাবে বেড়েছে, সিপিডির সভায় পরিস্থিতি পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সিপিডির সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অসাধু ব্যবসায়ীরা সবসময়ই সঙ্কটাবস্থার সুবিধা নিতে সক্রিয় থাকে। তারা পণ্য মজুদ করে এবং বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তাই রমজান মাস এবং এরপরেও পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনা করাটা গুরুত্বপূর্ণ।

সিপিডি বলেছে, খোলা বাজার ব্যবস্থার (ওএমএস) মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই পণ্যগুলির বিতরণ কার্যকরভাবে এবং কোনো দুর্নীতি ছাড়াই পরিচালনা করতে হবে; যাতে যোগ্য ব্যক্তিরা কম দামে এই পণ্যগুলো কেনার সুযোগ পান। সরকারের উচিত দরিদ্রদের সরাসরি নগদ সহায়তা প্রদান করা, নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির জন্য সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি করা এবং কঠিন সময়ে তাদের বেঁচে থাকার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায় উদ্দীপনা বৃদ্ধি করা।


সূত্র : ইউএনবি


আরও খবর



নেত্রকোনায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে এক হাজারের বেশি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ। 

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের নেতৃত্বে নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি  ১০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচি আরও ১০ দিন চলবে। রোপণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে— আম, কাঠাঁল, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছ।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের বলেন, ‘এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন এবং তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই বৃক্ষরোপণ। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’ 

তিনি আরো বলেন, আমরা বন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে বিভিন্ন গাছ সিলেকশন করেছি। তারপর আমার গাছ গুলো পরিচর্যার জন্য একজন নির্ধারিত লোক রেখেছি যিনি প্রতিদিন দুইবেলা পানি কিছুদিন পরপর ইউরিয়া সার দিবে এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখবে ও অন্যান্য কাজ নিয়মিত করে যাবে। 

এর আগে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ১০ দিনে সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য(এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষের অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে।


প্রয়োজনীয় নির্দেশনা :

চলতি এপ্রিল মাসের ২১-৩০ তারিখের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে; কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে নিয়মমাফিক বৃক্ষরোপণ করবে; শুষ্ক মৌসুম বিধায় নিয়মিত গাছে পানি দিতে হবে; রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে; প্রতিটি উপজেলা ইউনিট এক হাজার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিট পাঁচ শত বৃক্ষ রোপণ করবে; বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে; বৃক্ষরোপণের ছবি, ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগ থানায় তিনি এ জিডি করেন।

১৪২৭ নম্বর জিডিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জিডিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর যাবত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরেো বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এ মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, এখন আইন অনুযায়ী জিডির কপি আদালতে পাঠানো হবে। আদালত অনুমোদন দিলে তদন্ত শুরু হবে।

 


আরও খবর



শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় চীন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় পড়েছে চীন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন ভয়াবহ বন্যা প্রতি একশ বছরে মাত্র একবারই দেখা যায়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পূর্ব সতর্কতা জারি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গুয়াংদং প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে চুচিয়াং নদীর জলপথগুলোর পানি উপচে পড়ছে। গুয়াংদং চীনের উৎপাদন শিল্পের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। এই প্রদেশে আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে কাল সোমবার পর্যন্ত ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে বন্যার পানি। এতে নিচু ভবনগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়া জলে নিমজ্জ একটি প্যাগোডাও দেখা যাচ্ছে।

প্রাদেশিক জলবিদ্যা ব্যুরোর বরাতে সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে বেঈ রিভার নদীর আশপাশের তিনটি অঞ্চলে একশ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ৫০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অববাহিকা চীনের সবচেয়ে জনবহুল একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে ওই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর শোনা যায়নি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াও চোখে পড়েনি।

গুয়াংদংয়ের পাশের প্রদেশ জিয়াংজি এবং ফুজিয়ানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে।

চীনে প্রায়ই এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহ দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর



নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জন্য ৩০দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কোর্সটি বাস্তবায়ন করছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। রবিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) উপপরিচালক খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান। 

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রানা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুঃ জাবেদ ইকবাল, কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের প্রধানগন, সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ। উক্ত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪০জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণ হলো একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি বাড়ি যাদের চেনা তারা হলেন গ্রাম পুলিশ। তাই গ্রাম পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে ভয় পান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও চৌকস করতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে। তাই আগামীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট গ্রাম পুলিশ বাহিনীর কোন বিকল্প নেই। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান অক্ষরে অক্ষরে পালন ও প্রয়োগ করতে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।


আরও খবর



হাতীবান্ধায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর- আহত ১০

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট,প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে দুই চেয়ারম্যান প্রাার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও করতে গেলে কালের কন্ঠের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর করে। সংঘর্ষে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমাসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধী আছেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাত ১টার দিকে উপজেলা মেডিকেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে প্রচারণা নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ছিল দুপক্ষের মধ্যে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কাপ পিরিচ প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক হাফিজুল অপর আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌস সীমাকে নিয়ে নির্বাচন প্রচারণার সময় অশ্লীল মন্তব্য করেন। বিষয়টি জানতে পেরে শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত প্রতিবাদ করেন। এর প্রেক্ষিতে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। এক পর্যায় পুলিশে উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সাহানা ফেরদৌসী সীমা তার সমর্থকদের নিয়ে মেডিকেল মোড় ত্যাগ করার সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চু সমর্থকরা শাহানা ফিরদৌসী সীমার গাড়ী ভাংচুর করে। সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনার ভিডিও করতে গেলে কালের কন্ঠের সাংবাদিক হাসান মাহামুদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর করে বাচ্চুর সমর্থকরা। এতে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা হাতে ও শরীরে আঘাত পান। পরে আহতরা হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী মজিবুল আলম সাদাত বলেন, মেডিকেল মোড় এলাকায় হ্যান্ড মাইক দিয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে নানা কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করেছে এবং আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর লোকজন। বিষয়টি অনেকেই সাক্ষী দিয়েছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ ধরনের ঘটনায় আমরা সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কিত।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (কাপ-পিরিচ) লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে কোন কথা নাই। আপনারা অন্য প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন বলেই রেগে যান।

এ বিষয়ে দৈনিক কালের কন্ঠের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক চিহিৃত মাদক কারবারি মোতাহার আমার উপর হামলা করে। এ সময় আমার ক্যামেরা কেড়ে নেয় ও ভাংচুর করে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই কোন অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।


আরও খবর