Logo
শিরোনাম

তিন দিনব্যাপী বর্জ্যের প্রদর্শনী করবে ডিএনসিসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম আগামীকাল (শনিবার) সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আরেকটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজনন স্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রব্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।

প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ এসব পরিত্যক্ত দ্রব্য জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্রয় করা পরিত্যক্ত দ্রব্য প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিকটবর্তী এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন)-এ অপসারণ করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

কোন পরিত্যক্ত দ্রব্যতে কত টাকা পর্যন্ত দেবে সে বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চিপসের প্যাকেট বা সমজাতীয় প্যাকেটপ্রতি ১০০টির জন্য ১০০ টাকা করে মূল্য দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। একইভাবে আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবলব গ্লাস, কাপ ১০০টির ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, প্রতি ডাবের খোসা ২ টাকা, মাটি, প্লাস্টিক, মেলামাইন, সিরামিক ইত্যাদির পাত্র প্রতিটির জন্য ৩ টাকা করে দেবে ডিএনসিসি।

এ ছাড়া পরিত্যক্ত টায়ার প্রতিটি ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত কমোড, বেসিন ইত্যাদি প্রতিটির জন্য ১০০ টাকা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্য প্রতি কেজি ১০ টাকায় কিনে নেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।


আরও খবর



নওগাঁয় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁয় দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিশুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এসড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ৬ মে দুপুরে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কের মহাদেবপুর থানাধীন (নওহাটামোড়) চৌমাশিয়া বাজারে। নিহত শিশু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোটগাড়ী খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের শামিম হোসেন এর ছেলে বাধন হোসেন (১০)। স্থানিয় লোকজন ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, নওহাটামোড় বাজারের কফিল চাউল মিলে লেবার হিসেবে শিশুর বাবা শামিম হোসেন ও তার মা একই চাতালে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার সময় শিশু বাধন চাতালের সামনে সড়ক পারাপার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে নওগাঁ অভিমুখি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী একটি বাস শিশুটিকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু বাধন হোসেন এর মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে স্থানিয় নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছান। শিশু নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দূর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ফাঁড়ি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে   বাসটি সনাক্ত করনের কাজ চলছে একই সাথে আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর



রিজার্ভ চুরির খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে বলে আবারও সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের একটি গণমাধ্যম।


 মঙ্গলবার (১৪ মে) নর্থইস্ট নিউজ নামের এই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ হ্যাক করে নিয়ে গেছে ভারতীয় হ্যাকাররা।


 এ খবর সত্য নয় বলেই দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


ডলার চুরি বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, নতুন করে কোনো রিজার্ভ চুরি হয়নি। খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া।



বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, প্রতিবেদনটিতে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া (ফেক)। 


ভারতের অনলাইনে রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ নিয়ে ব্যাংকপাড়াসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 



বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ বিষয়ে বলেন, নিউইয়র্ক ফেডের সঙ্গে লেনদেনে নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে বর্তমানে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নীতি চালু রয়েছে। রিজার্ভ চুরির এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া।


২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট–ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ৩৫টি ভুয়া বার্তার মাধ্যমে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের নিউইয়র্ক শাখায় থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার চুরির চেষ্টা চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত ১০ কোটির বেশি ডলার চুরি করতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা।


এই অর্থের একটি অংশ চলে যায় শ্রীলঙ্কায় আর বাকিটা যায় ফিলিপাইনের। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলার উদ্ধার হলেও বাকিটা আর ফেরত পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমেরিকার আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। 


আরও খবর



নতুন নকশায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। দেশের প্রথম এ রেল লাইন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে বাইক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ। এ সময় মাত্রার অতিরিক্ত গতি, ওভার ট্রাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীবাহী বাসের চালক ও প্রাইভেট কারসহ ১১টি যানবাহনকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের তিনটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাতসহ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে মহাসড়কে। এছাড়া প্রথম দিনের অভিযানে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে যাত্রী ও পথচারীদের অনীহা ও যানবাহনের ওভার ট্রাকিংসহ অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের চিত্র চোখে পড়েছে। ফলে দ্রুত এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 এছাড়া শিগগিরই মহাসড়কের মূল সড়কের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে, তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। কারণ গত এক বছরের মহাসড়কের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সব থেকে বেশি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীরা, যার সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ফলে শিগগিরই মহাসড়কে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এছাড়া স্পিডগানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে মহাসড়কে বৃদ্ধি করা হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) অতিরিক্ত সচিব নুর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের আদালত ৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কে ৯৫ থেকে ১১৫ গতিতে যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এতে ১১টি যানবাহন থেকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে যানবাহনের দ্রুত গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে অসংখ্য মানুষকে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে এমন জোরালো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



মে মাসেই আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

তাপপ্রবাহ শেষে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কার কথা বলছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ১০ দিনের মধ্যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই বললেও মে মাসের শেষে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ  বলেছেন, দেশে চলমান তাপপ্রবাহ মে মাসের ২ তারিখের আগে কমার সম্ভাবনা খুবই কম। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে মে মাসের ১৫ তারিখের পরে। ঘূর্ণিঝড় যদি বাস্তবে সৃষ্টি হয় তবে সেটির নাম হবে রিমাল। এই নামটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া।

তিনি মার্কিন আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেন, বর্ষার পূর্বে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম মার্চ মাসে শুরু হলেও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোন ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ কিংবা লঘুচাপও সৃষ্টি হয়নি। তাই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি যেহেতু মে মাসের ১৫ তারিখের পরে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সেহেতু সেটি খুবই শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা আছে।

মে মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কেমন হবে ও কোন উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি সে সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল পলাশ।

তিনি বলেন, আগামী মাসের ১৩ থেকে ১৪ তারিখের দিকে নিম্নচাপটি সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে ২০ থেকে ২৪ মে এর মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এটি অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, আগামী ১০ দিনের পূর্বাভাসে কোনো ঘূর্নিঝড়ের সম্ভাবনা নেই। তবে বর্ষা পূর্ববর্তী সময়ে সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে হিসেবে মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে রবিবার (২৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুইদিন পর চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে গতকাল তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। একই দিনে ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সন্ধ্যার বুলেটিনে গতকাল বলা হয়েছে, সারাদেশে সর্বোচ্চ ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। সিলেটে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন বৃষ্টি বা বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকতে পারে। এখনো সারা দেশে বৃষ্টি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত তাপ সতর্কতা বাড়িয়েছে কারণ চলমান তাপপ্রবাহ গতকাল থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এই মাসে এটি ৭ম তাপপ্রবাহ সতর্কতা।


আরও খবর