Logo
শিরোনাম

আসিয়ানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, চীন-রাশিয়াকে চাপে রাখতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সামরিকীকরণ করতে চাইছে পশ্চিমারা। রবিবার কম্বোডিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনের শেষ দিনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনের সংবাদ সম্মেলনে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন ল্যাভরভ। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ওই অঞ্চলের মহাকাশ আয়ত্বে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ল্যাভরভের এমন মন্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি পশ্চিমাদের।
এবারের আসিয়ান সম্মেলনে মিয়ানমারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনায় হয়। তবে মিয়ানমারে সামরিক শাসনে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে তা গুরুত্ব পায় আলোচনায়। দেশটিতে দমন-পীড়ন বন্ধ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রকসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন।


আরও খবর



বেড়েছে ঋণ পরিশোধের চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। গত মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের ৯ মাসে শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদই ব্যয় বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। সরকারের দেয়া উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতাও। অর্থনীতিবিদদের মতে, ঋণ ব্যয়ে দূরদর্শিতা দেখাতে না পারলে সুদের জালে আটকে যাবে দেশের উন্নয়ন।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ খরচ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। গত রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ-এ ৯ মাসে বাংলাদেশকে কেবল সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করতে হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছর এ সুদ বাবদ গুনতে হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

স্বাভাবিকভাবেই বছর ব্যবধানে বেড়ে গেছে সুদাসলে ঋণ শোধ বাবদ ব্যয়। ইআরডির তথ্য, গত নমাসে সব মিলিয়ে ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার সুদ ও আসল গুনতে হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ আগের বছরের ‍তুলনায় বেড়েছে ৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিভিন্ন ঋণের আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

তবে এ সময়ে ঋণ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতিও অনেক বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭২৪ কোটি ২১ লাখ ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। গত বছরের তুলনায় যা ১৩৫ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃপ্তির ঢেকুর না তুলে, তা যেন ব্যয় করা হয় লাভজনক প্রকল্পে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা।

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই যতটুকু ঋণ পাওয়া যাবে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। না হলে সুদের জালে আটকে যেতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

যে সব প্রকল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ নেয়ার তাগিদ দেন অর্থনীতিবিদরা।


আরও খবর



প্লাস্টার করা হাতেই কান চলচিত্র উৎসব মাতালেন ঐশ্বরিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image


সদরুল আইনঃ



চলচ্চিত্র দুনিয়ার মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহরে বসেছে শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় এই চলচ্চিত্র উৎসব। মঙ্গলবার (১৪ মে) পর্দা উঠেছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের।


প্রতিবারের মতো এবারও কানের রেড কার্পেটে হাঁটেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গডফাদার’ খ্যাত নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার নতুন ছবি ‘মেগালোপোলিস’ এর প্রিমিয়ারে লাল গালিচায় হাঁটতে দেখা গেছে ঐশ্বরিয়াকে। 



 

এর আগে বুধবার (১৫ মে) চোট পাওয়া হাতেই মেয়ে আরাধ্যকে সঙ্গে নিয়ে কানের উদ্দেশে ভারত ছাড়েন ঐশ্বরিয়া। প্লাস্টার করা হাতে মুম্বাই এয়ারপোর্টে তাকে দেখে অনেকে চমকে গিয়েছিলেন। 



 

সেই প্লাস্টার করা হাতেই কানের রেড কার্পেটে দ্যুতি ছড়ালেন ঐশ্বরিয়া। সোনার বিবরণসহ একটি কালো এবং সাদা পোশাকে রেড কার্পেটে হাজির হন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। তার পোশাকটি ডিজাইন করেছেন ফাল্গুনী শেন ময়ূর।


আরও খবর

বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মুক্তিযোদ্ধা ও গরীব অসহায়দের চিকিৎসায় কোনো ফি নেন না ডা. এজাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইনঃ

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ। 


তার নাম মনে হলেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে হাসিখুশি সাবলীল এক গুণী অভিনেতার মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


 আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবেও পরিচিত।



মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময়ই রংপুর বেতারে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করতেন, অংশ নিতেন রেডিওর নাটকে। চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনার বরাতে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান। এখন অবসর। এই অবসরে অভিনয় আর পুরোপুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. এজাজুল হক এজাজ।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমি হয়তো সবক্ষেত্রে সবার সহায়তা করতে পারি না। কারণ আমি তো সব ধরনের বিশেষজ্ঞ নই। তারপরেও যারা আমার কাছে আসেন, আমি তাদের সেই মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করি।


 এরপর তার যেন খরচ কম হয়, ওই হাসপাতালে বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আমি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ফি নিই না। কারণ তাদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের সেবা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের।



একটা হাসপাতাল তৈরি করার স্বপ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গরিব রোগীদের বিনে পয়সায় চিকিৎসা হবে। ধরেন, কথার কথা আমি যদি কোনোভাবে ৫০ কোটি টাকা পেয়ে যাই-তাহলে আমি কিন্তু কানাডা বা দুবাইয়ে বাড়ি কিনব না। এমন অভিলাষ আমার নেই। 


আমি সেই টাকা দিয়ে একটা হাসপাতাল করব। কিছুদিন আগে এক অর্থবান ভদ্রলোক এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন একটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। 


আমি বললাম আমার একটা শর্ত আছে, ওই হাসপাতালে একটা কর্নার করতে হবে যেখানে গরিব রোগীরা বিনে পয়সায়, বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। ওই ভদ্রলোক আর যোগাযোগ করেননি।


গাজীপুর চৌরাস্তায় রয়েছে এজাজ সেন্টার।সেখানে নিয়মিত রুগি দেখেন তিনি।নামমাত্র ফি নেন এই বরেন্য চিকিৎসক।তার ব্যবস্থাপত্রেও থাকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা ঔষধের নাম।অমায়িক আচরনের এই মানুষটি তার শিল্পী সত্ত্বা দিয়েই শুধু নয় চিকিৎসক হিসেবেও নাম কুড়িয়েছেন গাজীপুরসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত জনপদে।




আরও খবর



নারীর জীবনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে দ্রুত লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশেষ করে নারীর স্বাস্থ্য জীবন-জীবিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য

গত কয়েক দশকে উপকূলীয় এলাকায় পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে যে উষ্ণায়ন, পরিবেশের বিপন্নতা তার প্রভাব প্রথম এসে পড়ে নারীর ওপর। পানির স্তর নিচে নেমে যায়, নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে যায়, নদী শুকিয়ে যায়, দুই-একটি নলকূপে, যেখানে মিষ্টি পানি ওঠে সেখানেও পানির জন্য হাহাকার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা না হলে কলসি নিয়ে পানির খোঁজে দীর্ঘপথ হাঁটা। জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে নারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনের ভেতরে যেতে হয়। শুধু খাওয়ার পানিই নয়, সংসারে সব কিছুর জন্য যে পানি, সেই পানি সংগ্রহ করার দায়িত্বও নারীর। তাই সেই বিপর্যয় মোকাবিলায় নারীকে সামনে দাঁড়াতে হয়

পশুর নদী অববাহিকায় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, অঞ্চলের মানুষ ভূগর্ভস্থ পানি অন্যান্য খাবার থেকে দৈনিক ১৬ গ্রামের বেশি লবণ গ্রহণ করছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। ২০০৯-১০ সালে খুলনার দাকোপ উপজেলার ১৩-৪৫ বছর বয়সী ৩৪৫ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত নোনাপানি গ্রহণের ফলে নারীদের উচ্চ রক্তচাপ, জরায়ুর প্রদাহ, গর্ভকালীন খিচুনি, গর্ভপাত, এমনকি অপরিণত শিশুও জন্ম নিয়েছে

বিষয়ে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম বলেন, দীর্ঘদিন অতিরিক্ত নোনাপানি গ্রহণ ব্যবহারের ফলে গর্ভকালীন সময়ে নারীদের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় এর ফলে জরায়ুর প্রদাহ, গর্ভকালীন খিচুনি, গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে পাশাপাশি অপরিণত শিশু জন্মের আশঙ্কাও থাকে এই লোনাপানি ব্যবহারের ফলে

এর সমাধান হিসেবে তিনি বলেন, গর্ভাবস্থায় নারীদের লোনাপানি গ্রহণ ব্যবহার কমাতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায়, নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে যায়, নদী শুকিয়ে যায়। এগুলো রোধ করতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। মানুষের সুস্থতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন রোধের কোনো বিকল্প নেই

ছাড়া দীর্ঘদিন লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে চুল ত্বকের ক্ষতি হয়। রং কালো হয়ে যায় দ্রুত বার্ধক্য চলে আসে। উপকূলের নারী শিশুদের চিংড়িপোনা ধরার জন্য ভাটার সময় ভোরে দিনের বেলায় প্রায় - ঘণ্টা  লবণাক্ত পানিতে থাকতে হয়। এর ফলে প্রজনন স্বাস্থ্যসহ নারী অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। লবণাক্ত পানির কারণে নারীরা এখন জরায়ু ক্যানসারের মতো জটিল রোগে ভুগছেন। 

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে প্রতিবছর যে কয়েক লাখ নারী জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা। নারীদের জরায়ুসংক্রান্ত অসুখের তীব্রতা লবণাক্তপ্রবণ গ্রামগুলোতে বেশি। সে জন্য অল্প বয়সেই এলাকার নারীরা জরায়ু কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। 

জাতিসংঘ জনসংখ্যা কর্মসূচির (ইউএনএফপিএ) প্রতিবেদন অনুসারে, অন্তঃসত্ত্বা স্তন্যদাত্রী নারী এবং কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। ছাড়া শুধু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। ১৯৯১ সালের বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়ে নিহত লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ছিলেন নারী। ২০০৪ সালের সুনামিতে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী। ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের পর মায়ানমারের ৮৭ শতাংশ নারী তাদের কাজ হারান। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় আক্রান্তদের (নিহত আহত) ৭৩ শতাংশই ছিলেন নারী


আরও খবর



খ্রিষ্টানদের প্রধান নেতা হতে চেয়েছিলেন মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

পাহাড় সমান অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকালে শুনানি শেষে অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। সিটি করপোরেশনের ভুয়া সিল দিয়ে মৃত্যু সনদ তৈরি করে অননুমোদিত লাশ দাফনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা এবং বাকি দুটি মামলা দায়ের করেছেন পৃথক দুই ব্যক্তি।

এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। এরই ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

গ্রেপ্তারের পরেরদিন বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন। এ সময় মিল্টনের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে মিল্টনের জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জোর করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিল্টন সমাদ্দার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান নেতা হতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই লক্ষ্যে মিল্টন সমাদ্দার, তার ভাই লিটন সমাদ্দার এবং আত্মীয়স্বজন মিলে একের পর এক গির্জার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। এক্ষেত্রে তারা প্রথমেই সুকৌশলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল ও স্বাক্ষর জাল করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিল্টন সমাদ্দার প্রথমে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র জাল করে নিজে গির্জা পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। এরপর সেই কমিটির অনুলিপি পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে। এরপর দলবল নিয়ে গিয়ে চার্চের ভেতরে থাকা যাজকদের বের করে দিয়ে দখল করে নিয়ে নেন। এ প্রক্রিয়ার প্রথমে মিল্টনরা দখলে নেন রাজধানীর গ্রিন রোডের ফেলোশিপ চার্চ। এই চার্চের কমিটিতে মিল্টন সমাদ্দারের বড় ভাই লিটন সমাদ্দার রয়েছেন।

ফেলোশিপ চার্চের সম্পাদক প্রফেসর সরা বৈদ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মিল্টন গংরা পথভ্রষ্ট। ওরা আমাদের মারধর করে জোর করে চার্চ থেকে বের করে দিয়ে দখলে নিয়েছে। যাজকরা চার্চ তালাবদ্ধ করে বসেছিলেন। ওরা ১৪টি তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে। মারতে মারতে যাজকদের চার্চ থেকে বের করে দিয়েছেন।

বরিশালে একই কায়দায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান গির্জা চন্দ্রকান্ত মেমোরিয়াল চার্চ দখলের চেষ্টা করেছেন মিল্টন সমাদ্দার। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করা এই চার্চের কমিটির সভাপতি মিল্টন সমাদ্দার নিজেই।

সাধারণ সম্পাদক মিল্টন সমাদ্দারের বড় ভাই লিটন সমাদ্দার। এ ছাড়াও এই কমিটির সবাই মিল্টন সমাদ্দারের আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে যাজকদের সন্দেহে হলে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।

বাংলাদেশের খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীদের জ্যেষ্ঠ যাজক প্রেমানন্দ সরকার জানান, মিল্টন সমাদ্দাররা দেশের সব চার্চ দখল করে খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের নেতা হতে চেয়েছিলেন।

তিনি পথভ্রষ্ট হয়ে যাজকদের মারধর করে তাদের বের করে দিয়ে আমাদের পান্থপথের চার্চ দখল করে নিয়েছেন। এ কায়দায় তিনি বরিশালের চার্চও দখল করতে চেয়েছিলেন। আমাদের যাজকদের বেধড়ক মারধর করেছে তাদের লোকজন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।


আরও খবর