
চট্টগাম নগরীর সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম নালা। সামান্য বৃষ্টি
কিংবা ভারি বর্ষণে তলিয়ে যায় শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি। খাল, নালা, ময়লা-আর্বজনায় পরিপূর্ণ থাকায়
এবারও বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী রেহাই পাবে না বলে মনে করছেন নগর
পরিকল্পনাবিদরা।
সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন খাল
পরিদর্শন করে দেখা যায়, নগরীর
ফুলতলা এলাকায় ময়লা-আর্বজনায় ভরে গেছে পুরো খাল। নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার
ত্রিপুরা খালের চিত্র একই। ভরাট হতে হতে ময়লা-আবর্জনায় খালের অস্তিত্বই খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না। নূর নগর হাউজিং এলাকার খালগুলো ভরাট হয়ে আগাছা জন্মে রীতিমতো
ঝোপঝাড় হয়ে গেছে। রহমান নগরের খালের চিত্র আরও ভয়াবহ। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না
করায় পানি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ।
শুধু বড় খালগুলো নয়, নগরীর দুই নম্বর গেট কিংবা বহদ্দারহাট এলাকার রাস্তার পাশের
বড় নালাগুলো ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এবারও জলাবদ্ধতার
আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী এস এম শহীদুল আলম জানান, বর্ষার আগে খালগুলো পরিষ্কারের
কথা ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ খালে ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে নগরীর মানুষজন কষ্ট পাচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি
বৃষ্টিতেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা শুরু হলে কী
অবস্থা হবে, সেটি
কল্পনাই করা যায় না।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন
প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নগরীর ৩৬টি বড় খাল পরিষ্কারে সিটি করপোরেশনের
এখতিয়ার নেই বলে জানান প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আবুল হাশেম।
তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলায় খালগুলোর দায়িত্ব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। কাজ শেষ হয়ে বুঝিয়ে দিলে তখন সিটি করপোরেশন নিয়মিত কাজ করতে পারবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার
কথা ছিল। কিন্তু শেষ না হওয়ায় সময়সীমা বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এবার আরও
এক দফা সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।